স্পার্সকে হারিয়ে ফাইনালে চেলসি
ম্যাচের ঘন্টাখানেক আগে ঘোষিত মূল একাদশে কস্তা, হ্যাজার্ডকে বেঞ্চে দেখে কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়েছিলেন চেলসি সমর্থকেরা। দলের মূল দুই তারকা ছাড়া চেলসি দুবার লিড নিলেও ম্যাচে তখন ২-২ গোলের সমতা। বাধ্য হয়েই কস্তার পাশাপাশি হ্যাজার্ডকেও নামিয়ে দিলেন কন্তে। হ্যাজার্ড যেন নামলেন, দেখলেন এবং জয় করলেন। ম্যাচের ফলাফল গড়ে দিতে এই বেলজিয়ান সুপারস্টারের লাগলো মাত্র ত্রিশ মিনিট। নিজে গোল করার পাশাপাশি আরেক গোল করালেন মাতিচকে দিয়ে। ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে এফএ কাপের সেমিফাইনালে হ্যাজার্ড প্রমাণ করলেন, কেন তাকে দলে ভেড়াতে উঠেপড়ে লেগেছে রিয়াল মাদ্রিদের মত দল। হ্যাজার্ড জাদুতে স্পার্সকে ৪-২ গোলে হারিয়ে এফএ কাপের ফাইনালে চলে গেল চেলসি।
ইংল্যান্ডের অন্যতম সেরা এই দুই দলের মধ্যকার লড়াইয়ে আর যা-ই হোক, গোলের কমতি হয় না সাধারণত। ব্যতিক্রম হয়নি এবারও। ঘড়ির কাটা ৫ মিনিট পেরুতেই দুর্দান্ত এক ফ্রিকিকে ‘ব্লুজ’দের লিড এনে দেন উইলিয়ান। ম্যাচের শুরুতেই গোল খেয়ে অবশ্য হতবুদ্ধি হয়ে পড়েনি স্পার্স। চেলসিকে চেপে ধরে ঠিকই গোল আদায় করে নেয় পচেত্তিনোর দল। ১৮ মিনিটে এরিকসেনের ক্রসে কেনের হেড কর্তোয়াকে পরাস্ত করলে সমতায় ফেরে স্পার্স।
এরপর আবার এগিয়ে যায় চেলসি। ৪২ মিনিটে চেলসিকে পেনাল্টি উপহার দেন হিউং-মিন সন। পেনাল্টি থেকে ম্যাচে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন উইলিয়ান। ৪৪ মিনিটে লরিস ডিবক্সের বাইরে হ্যান্ডবল করলেও রেফারির চোখ এড়িয়ে যায় সেটি।
প্রথমার্ধের মতো দ্বিতীয়ার্ধেও আবার সমতায় ফেরে টটেনহাম। ৫২ মিনিটে আবারও এরিকসেনের চমৎকার এক পাসে মৌসুমে নিজের ২০তম গোল করেন ড্যালে আলি। এরপর ম্যাচের বাকিটা সময় ছিল ‘এডেন হ্যাজার্ড শো’। ৬০ মিনিটে নামার পর থেকে ম্যাচের শেষপর্যন্ত রীতিমত তটস্থ রেখেছিলেন স্পার্সের রক্ষণভাগকে। ৭৫ মিনিটে বাঁ-পায়ের এক শটে স্পার্সের বিপক্ষে নিজের পঞ্চম গোল করেন এই বেলজিয়ান। একাধিক দুর্দান্ত গোলে পরিপূর্ণ ম্যাচটির সেরা গোল আসে ম্যাচের মিনিট দশেক আগে। ৮০ মিনিটে হ্যাজার্ডের পাসে প্রায় ৩০ গজ দূর থেকে আগুনে এক শটে চেলসির ফাইনালের টিকেট নিশ্চিত করেন নেমানিয়া মাতিচ।
আজকের হারে এ নিয়ে টানা সাত সাতবার এফএ কাপের সেমিতে বাদ পড়লো স্পার্স। ওদিকে ২০০০ এর পর থেকে নিজেদের ৭ম এফএ কাপ ফাইনলে চলে গেল কন্তের দল।