• আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজ
  • " />

     

    আইরিশদের 'অঘটন' ঘটাতে দিলেন না স্যান্টনার

    আইরিশদের 'অঘটন' ঘটাতে দিলেন না স্যান্টনার    

    নিউজিল্যান্ড ২৮৯/৭, ৫০ ওভার (নীল ব্রুম ৭৯, রস টেলর ৫২, জর্জ ওয়ার্কার ৫০; ম্যাকার্থি ২/৫৯, মুরতাঘ ২/৬২)

    আয়ারল্যান্ডঃ ২৩৮, ৪৫.৩ ওভার (নীল ও’ব্রায়েন ১০৯, বালবির্নি ৩৬, উইলসন ৩০; স্যান্টনার ৫/৫০, কুগেলেন ৩/৪১)

    ফলঃ নিউজিল্যান্ড ৫১ রানে জয়ী

    ম্যাচসেরাঃ মিচেল স্যান্টনার (নিউজিল্যান্ড)


    শেষ ১৫ ওভারে প্রয়োজন ছিল ১০২ রান, হাতে ৬ উইকেট। নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে আয়ারল্যান্ডের আরেকটা ‘অঘটন’ জন্ম দেয়াটা তখন সময়ের ব্যাপার বলেই মনে হচ্ছিল। কিন্তু বাঁধা হয়ে দাঁড়ালেন মিচেল স্যান্টনার। ক্যারিয়ারসেরা বোলিংয়ে এই বাঁহাতি স্পিনার ধ্বসিয়ে দেন আইরিশদের লওয়ার অর্ডার। নীল ও’ব্রায়েনের অভিষেক ওয়ানডে শতকের পরও ২৭ বলের খেলা বাকি থাকতেই স্বাগতিকরা ম্যাচটা হেরে যায় ৫১ রানে।

     

    ২৯০ রানের জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ২৬ রানে ২ উইকেট হারিয়ে ফেললেও নীল ও’ব্রায়েনর ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় আয়ারল্যান্ড। বালবির্নির সাথে ৮৬ আর উইলসনের সাথে ৭৫ রানের জুটিতে এক পর্যায়ে দলকে জয়ের আশাই দেখাতে শুরু করেছিলেন। ৩৫ ওভার শেষে আয়ারল্যান্ডের স্কোরবোর্ডে ছিল ৪ উইকেটে ১৮৮ রান। কিন্তু স্যান্টনারের ৩ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে সহজসাধ্য সমীকরণটাও অসাধ্য বানিয়ে ফেলে স্বাগতিকরা। অভিষেক ওয়ানডে সেঞ্চুরি করা নীল ও’ব্রায়েনের ১০৯ রানের ইনিংসটির আগে-পরে আর কেউই বড় ইনিংস খেলতে পারেন নি। ৭ ব্যাটসম্যান ফেরেন কুড়ির কম রান করে। শেষ ৫ উইকেট পড়ে যাইয় ২৬ রানের মধ্যে। ৪৫.৩ ওভারে অলআউট হওয়ার আগে তাঁদের দলীয় সংগ্রহ ছিল ২৩৮ রান। ক্যারিয়ারসেরা বোলিংয়ে স্যান্টনার নিয়েছেন ৫০ রানে ৫ উইকেট। নিউজিল্যান্ডের হয়ে অভিষেক হওয়া ডানহাতি পেসার স্কট কুগেলেন নেন ৪১ রানে ৩টি।

     

    এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ২৮৯ রান করে নিউজিল্যান্ড। দলের পক্ষে নীল ব্রুম সর্বোচ্চ ৭৯, অস টেলর ৫২ ও জর্জ ওয়ার্কার ৫০ রান করেন। আয়ারল্যান্ডের পক্ষে মুরতাঘ ও ম্যাকার্থি ২টি করে উইকেট নেন।