• আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজ
  • " />

     

    মাশরাফিদের প্রতিপক্ষ কন্ডিশনও

    মাশরাফিদের প্রতিপক্ষ কন্ডিশনও    

    সাসেক্সের কন্ডিশনিং ক্যাম্পের পর আয়ারল্যান্ডের ত্রিদেশীয় সিরিজ। র‍্যাংকিংয়ের কথা মাথায় রাখলে এ সিরিজেরও গুরুত্ব আছে, তবে ইংল্যান্ডে সামনে মাসের চ্যাম্পিয়নস ট্রফির জন্য তো এই সিরিজ একটা প্রস্তুতিও। তবে সেই প্রস্তুতিটা যেরকম ভাবা হয়েছিল, মাশরাফিদের জন্য হচ্ছে একটু ভিন্নভাবেই। কন্ডিশন যেরকম হবে ভেবেছিলেন, আলাদা তো সেটাই! 

     

    ‘ম্যাচ খেলাটা জরুরী। আমরা যেটা আশা করেছিলাম। ইংল্যান্ডে যেরকম কন্ডিশন পাবো, হয়তো একই কন্ডিশনে খেলতে পারবো। কিন্তু সেরকম পুরোপুরি হচ্ছে না আসলে।’ মাশরাফি বিন মুর্তজার কাছে নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে ম্যাচের আগে বাস্তবতাটা ধরা দিচ্ছে এভাবেই।

     

    আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে প্রথম ম্যাচে তো মাঠের সাথে উইকেট আলাদা করাই কঠিন হয়ে গিয়েছিল ঘাসের কারনে। তবে সে উইকেটে তামিম-মাহমুদউল্লাহর ব্যাটিংয়ের প্রশংসা করেছেন অধিনায়ক মাশরাফি, ‘উইকেট কিরকম ছিল দেখেছেন। আগের ম্যাচেও দ্রুত উইকেট পড়ে যাওয়ার পর তামিম রিয়াদ যেভাবে ব্যাটিং করেছে, অভিজ্ঞতা দেখিয়েছে। এরকম উইকেটে যেটা হয়, শুরুতে দুই তিনটা উইকেট পড়ে যেতে পারে। তবে সেট হয়ে গেলে এই উইকেটে ২৭০-৩০০ রান তোলা সম্ভব।’

     

    তবে সেই রান তুলতে গেলেও উইকেটে আগে থিতু হতে হবে, ‘শুরুর দিকের মুভমেন্ট চলে গেলে, উইকেট ফ্ল্যাট হয়ে যায়। কিন্তু তবুও আমার কাছে মনে হয়, উইকেট ইংল্যান্ডের চেয়ে অনেক বেশি আলাদা।’

     

    শুধু উইকেট না, ইংল্যান্ডের সঙ্গে আয়ারল্যান্ডের কন্ডিশনেরও বিস্তর পার্থক্য ধরা পড়ছে মাশরাফির কাছে, ‘আমরা যে কদিন এখানে খেলেছি বা অনুশীলন করেছি, দেখেছি, আবহাওয়ার কোনো ঠিক থাকে না। বাতাস হয়, বৃষ্টি হয়, কখনও রোদ হয়। এই কন্ডিশনে এভাবেই মানিয়ে নিয়ে খেলতে হবে। ইংল্যান্ডে হয়তো এতোটা ঠান্ডা থাকবে না। এখানে আমাদের এখনও তিনটা ম্যাচ বাকি, এভাবেই মানিয়ে নিয়ে খেলতে হবে। আমরা সেটাই চেষ্টা করছি।’

     

    উইকেটের চ্যালেঞ্জের বাইরেও চ্যালেঞ্জ আছে বাংলাদেশ দলের জন্য, ‘হয়তো কন্ডিশন, সুযোগ সুবিধা ‘আপ টু দ্য মার্ক’ ছিল না এখানে। তবে আমরা চেষ্টা করেছি, সীমাবদ্ধতা নিয়েও আমাদের প্রস্তুতিটা ভাল নেয়ার।’