সাকিব-মাহমুদউল্লাহর অবিশ্বাস্য বাংলাদেশ
নিউজিল্যান্ড ২৬৫/৮, ৫০ ওভার (টেইলর ৬৩, উইলিয়ামসন ৫৭, মোসাদ্দেক ৩/১৩, তাসকিন ২/৪৩)
বাংলাদেশ ২৬৮/৫, ৪৭.২ ওভার (সাকিব ১১৪, মাহমুদউল্লাহ ১০২*, সাউদি ৩/৪৫)
ফলঃ বাংলাদেশ ৫ উইকেটে জয়ী
যদি বাংলাদেশ হারবে বলে খেলা দেখা বাদ দিয়ে উঠে যান, তবে আপনার সময় চোখ পরিষ্কার করার। আর যদি দেখে থাকেন, তাহলের আপনার চোখজোড়া ভাগ্যবান। ৩৩ রানে ৪ উইকেট হারিয়েছিল বাংলাদেশ, ৩৩ রানের মাঝেই কি আশা শেষ হয়ে গিয়েছিল? সাকিব-মাহমুদউল্লাহ তা ভাবেননি। সাকিব-মাহমুদউল্লাহ যে এদিন গড়বেন ইতিহাস! সেই মাহমুদউল্লাহ, যিনি দাঁড়িয়ে ছিলেন এশিয়া কাপের সেই ফাইনালে, পরাজিত হয়ে। সেই সাকিব, যিনি দাঁড়িয়ে ছিলেন কতোবার, একা। সেই মাহমুদউল্লাহ-সাকিব আজ দাঁড়িয়ে রইলেন। লুটিয়ে পড়লো ইতিহাস। ২২৪ রানের এই জুটিকে কি অভিধায় অভিসিক্ত করবেন, তার দায়ভার নিতে হবে আপনাকে।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির লড়াইয়ে টিকে থাকতে এ ম্যাচে জয়ের বিকল্প ছিল না। ডেথ ওভারের বোলিংয়ে বাংলাদেশ আটকে রেখেছিল কিউইদের, বাকি কাজটা ছিল ব্যাটসম্যানদের। শুরুর ওই ধাক্কা হড়কে দিয়েছিল। তবে পথ হারায়নি বাংলাদেশ। টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ টিকে রইল, কাল অস্ট্রেলিয়াকে ইংল্যান্ড হারিয়ে দিলে বাংলাদেশ উঠে যাবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালে।
প্রথমবারের মতো। কতো প্রথমের অনুপ্রেরণা হিসেবে তো এই ম্যাচকেই মনে রাখতে পারেন আপনি!
আহা, মাহমুদউল্লাহ!
হ্যামিল্টন, বিশ্বকাপ। মাহমুদউল্লাহর সেই ‘ব্যাক টু ব্যাক’ সেঞ্চুরি! ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরিটা পেলেন মাহমুদউল্লাহ, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণও বোধহয়! চার মারলেন, পেয়ে গেলেন সেঞ্চুরি। লুটিয়ে পড়লেন মাটিতে, পুরো বাংলাদেশ কি লুটিয়ে পড়লো না তার ব্যাটের সামনে!
ফিরলেন সাকিব
অভিনন্দন জানালেন কিউইরা। অভিনন্দন জানালো পুরো কার্ডিফ। অভিনন্দন জানালো তো পুরো বাংলাদেশই। ১১৫ বলে ১১৪, ১টা ছয়, সঙ্গে ১১টা চার। বাংলাদেশের ইতিহাসে, ওয়ানডে ইতিহাসের অন্যতম সেরা ইনিংস খেলে ফিরলেন সাকিব। বোল্টের বলে বোল্ড হয়ে। ‘সাকিব, দ্য সুপারম্যান’!
সাকিবের ১০০
মিলনেকে ছয়! ২০১৪ সালের জিম্বাবুয়ের সঙ্গে শেষ সেঞ্চুরি করেছিলেন সাকিব। আজ করলেন আবার, ৭ম সেঞ্চুরিটা পেয়ে গেলেন সাকিব। এই সেঞ্চুরির তুলনায় আসবে সাকিবের কোন ইনিংস? তুলনার দরকার আছে নাকি?
প্রথম ‘২০০’
৩৩ রানে ৪ উইকেট হারিয়েছিল বাংলাদেশ। সেই মৃত্যু উপত্যকা থেকে উদ্ধার করেছে এই জুটি, এটাই যে হবে ইতিহাস গড়া জুটি, তা আর বিস্ময়ের কী! বাংলাদেশের প্রথম ২০০ রানের জুটি গড়োলেন মাহমুদউল্লাহ-সাকিব, ইতিহাস লুটিয়ে পড়ছে কার্ডিফে,আরেকবার!
রেকর্ড জুটি
২০১৫ সালের পাকিস্তানের সঙ্গে ৩য় উইকেট জুটিতে ১৭৮ রান করেছিলেন তামিম-মুশফিক। সেই জুটিকে ছাড়িয়ে গেছে সাকিব-মাহমুদউল্লাহর জুটি। বাংলাদেশের ইতিহাস সর্বোচ্চ জুটি এখন এই দুজনের।
২০০ পেরুলো বাংলাদেশ
বাংলাদেশ ২০৫/৪, ৪১ ওভার
এতক্ষণ ঝুঁকি নিচ্ছিলেন মাহমুদউল্লাহ, সাকিবও এবার আসছেন ডাউন দ্য গ্রাউন্ডে। সাউদিকে চার মেরেছেন। ২০০ পেরিয়ে গেছে বাংলাদেশ। ৫৪ বলে প্রয়োজন ৬১ রান। দুজনের জুটি ১৭২ রানের।
১৫০-এর জুটি
বাংলাদেশ ১৮৭/৪, ৩৮ ওভার
পঞ্চম উইকেটে ১৫০ রানের জুটি হলো সাকিব-মাহমুদউল্লাহর। দুজনের এটি সর্বোচ্চ রানের জুটি। ৭২ বলে দরকার ৭৯ রান। বাংলাদেশের ওয়ানডেতে রেকর্ড পঞ্চম উইকেট জুটিও হয়ে গেল।
সাকিবের ফিফটি, মাহমুদউল্লাহরও
বাংলাদেশ ১৪৫/৪, ৩১ ওভার
থার্ডম্যানে সিঙ্গেল নিয়ে ফিফটি হলো সাকিবের, ৩৫তম। ব্যাট তুললেন না, বরং চেয়ে পাঠালেন গ্লাভস। লক্ষ্যটা নিশ্চয়ই আরও বড়! মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে তার জুটি হয়ে গেছে ১০০, দুজনের এটি তৃতীয় শতরানের জুটি। ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ডাবলস নিয়ে এরপর ফিফটি হয়েছে মাহমুদউল্লাহরও, ১৮ নম্বর।
সাকিব-মাহমুদউল্লাহতেই আশা?
বাংলাদেশ ১০৩/৪, ২৩ ওভার
২৩তম ওভারে এসে ১০০ পূর্ণ হলো বাংলাদেশের। কিউইদের হয়েছিল ১৯তম ওভারে। সাকিব-মাহমুদউল্লাহর জুটি ৫০ ছাড়িয়েছে আগেই। দুজনকে টিকে থাকতে হবে আরও, পাড়ি দিতে হবে সুদীর্ঘ পথ। সেই আশাতেই কি বুক বেঁধে আছে বাংলাদেশ?
ছয় এবং চার!
বাংলাদেশ ৮২/৪, ১৯ ওভারে
বাংলাদেশের প্রথম ছয় হলো। ডাউন দ্য উইকেটে এসে মাহমুদউল্লাহ নিশামকে প্রথমে উড়িয়ে মারলেন স্কয়ার-লেগের ওপর। পরের বলটা শর্ট বল করলেন নিশাম, এবার মাহমুদউল্লাহর পুল ডিপ স্কয়ারলেগ দিয়ে চার হয়ে গেল। আশা এখনো ফুরিয়ে যায়নি বাংলাদেশের?
ফিরে গেলেন মুশফিকও
বাংলাদেশ ৩৩/৪, ১১.৩ ওভার
আগের বলে চার মেরে একটু আশা দেখাচ্ছিলেন মুশফিক। পরের বলেই মিলনে নিলেন প্রতিশোধ, এক্সপ্রেস গতির বলটা সুইং করে ঢুকল স্টাম্পে। মুশফিক কিছু বুঝে ওঠার আগেই বোল্ড। জয় পেতে বাংলাদেশকে এখন করতে হবে অলৌকিক কিছু।
বাঁচলেন মুশফিক
বাংলাদেশ ২৪/৩, ১০ ওভার
দুইটা স্লিপ ছিল, একটা সরিয়ে নিলেন উইলিয়ামসন। ক্যাচ গেল প্রথম ও দ্বিতীয় স্লিপের মাঝে। বাঁদিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে শুধু হাতেই লাগাতে পারলেন টেইলর, হাত থেকে বেড়িয়ে হয়ে গেল চার। মুশফিকের ভাগ্য সুপ্রসন্ন, কতোখানি কাজে লাগাতে পারবেন তা?
অভাগা’ সৌম্যকেও ফেরালেন সাউদি
বাংলাদেশ ১২/৩, ৫ ওভার
পেছনের পা, বিপজ্জনক সবসময়ই। সেই পেছনের পায়েই লাগলো সৌম্যর, সাউদির গুডলেংথের সিমিং ডেলিভারি। উইকেটের পড়ার পর ঢুকলো ভেতরের দিকে, সৌম্য কাবু তাতেই। আম্পায়ার গৌল্ড আউট দিলেন, সৌম্যর রিভিউয়ের সুযোগও ছিল না তামিম শেষ করাতে। দুর্ভাগ্য সৌম্যর, বল ট্র্যাকিং দেখাচ্ছে, বল যেতো উইকেটের ওপর দিয়ে। সাউদির তিন ওভারে তিন নম্বর উইকেট, আরও চাপে বাংলাদেশ।
সাউদির শিকার সাব্বিরও
বাংলাদেশ ১০/২, ২.৫ ওভার
আহ, সাউদি! শিকার এবার সাব্বির। গুডলেংথের বল। প্রথম স্লিপের দিকে তাক করা সিম, পড়ার পর একটু ঘুরলো। ওই একটুতেই কাজ হয়ে গেল, সাব্বিরের ব্যাটে এজ হয়ে রঙ্কির কাছে গেল সহজ ক্যাচ। সাউদির আরেকটি অসাধারণ বল, তিন নম্বরে ফিরে এসে ব্যর্থ সাব্বির।
তামিমের ডাক
বাংলাদেশ ৯/১, ২ ওভার
আগের দুই ম্যাচের স্কোরকার্ড বলবে, অনেক কিছু নির্ভর করছিল তার ওপর। সেই তামিমই ইনিংসের দ্বিতীয় বলে হলেন আউট। মিডল স্ট্যাম্পে ফুললেংথের বল, তামিম খেললেন ভুল লাইনে। আম্পায়ার গৌল্ড আউট দিলেন, তামিম করলেন রিভিউ। বল-ট্র্যাকিংয়ের তিন লাল শুধু হতাশই করলো তামিমকে, হতাশ করলো বাংলাদেশকেও। নিউজিল্যান্ডের শুরুর ব্রেকথ্রু, বাংলাদেশের শুরুর ধাক্কা। তামিমঃ শুন্য।
নিউজিল্যান্ড ২৬৫/৮, ৫০ ওভার (টেইলর ৬৩, উইলিয়ামসন ৫৭, মোসাদ্দেক ৩/১৩, তাসকিন ২/৪৩)
আগের ম্যাচে খেলেননি দুজনের কেউই। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ফিরলেন তাসকিন ও মোসাদ্দেক। সেই দুইজনের সাফল্যেই নিউজিল্যান্ডকে ২৬৫ রানে আটকে দিল বাংলাদেশ। শুরুটা করেছিলেন তাসকিনই। প্রথম ব্রেকথ্রু এনেছিলেন রঙ্কিকে আউট করে। গাপটিলকে ফিরিয়েছেন রুবেল, টেইলর-উইলিয়ামসনের জুটি এরপরই। সেই জুটি ভেঙ্গেছে উইলিয়ামসনের রান-আউটে, আর টেইলরকে পরে আবার ফিরিয়েছেন তাসকিন। উইলিয়ামসন-টেইলর ছাড়া কিউইদের ভঙ্গুর মিডল অর্ডার টিকে ছিল তখনও, সেটাই হুড়মুড় করে ভেঙ্গে পড়েছে মোসাদ্দেক জাদুতে। ৪২তম ওভারে তাকে এনেছিলেন মাশরাফি, নিজের দ্বিতীয় ওভারেই ব্রুম-অ্যান্ডারসনকে ফেরানোর পরের ওভারে বোকা বানিয়েছেন নিশামকেও। এরপর মুস্তাফিজের জবাব দিতে পারেননি মিলনে, ৫১ রানের ভেতর ৫ উইকেট হারিয়েছে নিউজিল্যান্ড।
এর বেশী রান তাড়া করে নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে এর আগে দুইবার জিতেছে বাংলাদেশ। আজই কি হবে নম্বর তিন?
এবার মুস্তাফিজ
নিউজিল্যান্ড ২৫২/৮, ৪৮.২ ওভার
উইকেট থেকে সহায়তা পাচ্ছিলেন না তেমন, তবে মুস্তাফিজ চমক আটকালো না তাতেও। ফুললেংথে স্লোয়ার, মিলনে যেন আশা করে ছিলেন এটারই। তবুও জবাব নেই, দুই পায়ের মাঝ দিয়ে ঠিকই হলেন বোল্ড। মুস্তাফিজের প্রথম উইকেট, কিউই লেজ ছাঁটার কাজটাও শুরু হয়ে গেল এবার।
নিউজিল্যান্ড ২৪১/৭, ৪৬.১ ওভার
আবার মোসাদ্দকের জাদু
আহা, মোসাদ্দেক! আহা, মাশরাফি! ফ্ল্যাট, স্লাইডার ডেলিভারিটা থাকলো নীচেই। ডাউন দ্য গ্রাউন্ডে গিয়ে স্লগ করতে গেলেন নিশাম। বল ফাঁকি দিল তার ব্যাট, ফাঁকি দিল না মুশফিকের গ্লাভস। স্ট্যাম্প ভেঙ্গে দিলেন, তৃতীয় ওভারে এসে তৃতীয় সাফল্য মোসাদ্দকের। কী বলবেন একে? জাদু!
জোড়া সাফল্য মোসাদ্দেকের
নিউজিল্যান্ড ২৩২/৬, ৪৪.২ ওভার
‘ম্যান উইথ দ্য গোল্ডেন আর্ম!’ ৪২তম ওভারে মোসাদ্দেককে আনলেন মাশরাফি, নিজের দ্বিতীয় ওভারেই কিউইদের দিলেন জোড়া ধাক্কা! প্রথমে ব্রুম, জায়গা বানিয়ে স্লগ করতে গিয়েছিলেন। ‘এজ’ তাকে নিয়ে গেল ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে, তামিম ঠান্ডা মাথায় নিলেন ক্যাচ। অ্যান্ডারসন এলেন, সামনের পা সরিয়ে খেলতে গেলেন ভেতরের দিকে ঢোকা বলটা। লাগলো শুধু প্যাডে, চলেই যাচ্ছিলেন এলবিডাব্লিউ হয়ে। নিশাম রিভিউ নিতে বাধ্য করালেন, সফল হলো না তা। অ্যান্ডারসন পেলেন গোল্ডেন ডাক। আরেকবার ব্যর্থ হলেন অ্যান্ডারসন, আরেকবার ধ্বসে পড়লো কিউইদের মিডল অর্ডার।
তাসকিনের স্লোয়ারে শেষ টেইলর
নিউজিল্যান্ড ২০১/৪, ৩৮.৫ ওভার
দুই আঙ্গুলের ওপাশ থেকে বের হওয়া স্লোয়ার, তাসকিন করলেন বুদ্ধিমত্তার সাথে। টেইলর যা করেন সাধারণত, তাই করলেন, শাফল করে সরে গেলেন অফস্ট্যাম্পের দিকে। তুলে মারতে চাইলেন, শর্ট ফাইন লেগে মুস্তাফিজ সামনে গিয়ে নিলেন সহজ ক্যাচ। ক্যারিয়ারে এই প্রথম একই ইনিংসে দুই ক্যাচ নিলেন তিনি। তাসকিনের হাতেই এলো আরেকটি ব্রেকথ্রু, ম্যাচের প্রেক্ষিতে গুরুত্বপূর্ণ যা। ৬৩ করে ফিরলেন টেইলর।
ফিফটি টেইলরেরও
নিউজিল্যান্ড ১৯৪/৩, ৩৭.৩ ওভার
৩৭তম ওয়ানডে ফিফটি রস টেইলরের। উইলিয়ামসন ফেরার পর ব্রুমকে নিয়ে জুটি গড়ছেন। ব্রুম এখন পর্যন্ত টুর্নামেন্টে তার সর্বোচ্চ স্কোর করেছেন, আগের দুই ম্যাচে করেছিলেন সর্বোচ্চ ১৪ রান। ফর্ম ফেরার ইঙ্গিত তার, সেটা ভাল লক্ষণ নয় বাংলাদেশের জন্য।
উইলিয়ামসনের রান-আউটে ব্রেকথ্রু বাংলাদেশের
নিউজিল্যান্ড ১৫২/৩, ৩০.৩ ওভার
ফাইন লেগ থেকে রান চুরি করতে গেলেন দুজন মিলে। মত বদলালেন দুজনই, অল্প একটু বের হওয়া টেইলর নিরাপদে ফিরলেন স্ট্রাইকিং প্রান্তে, নন-স্ট্রাইকিং প্রান্তে ফিরতে পারলেন না উইলিয়ামসন। মোসাদ্দেকের থ্রো সাকিব ধরলেন, ঘুরে লাগালেন স্ট্যাম্পে। ৫৭ রান করে আউট কিউই অধিনায়ক, বাংলাদেশ পেলো ব্রেকথ্রু!
উইলিয়ামসনের আরেকটি ফিফটি
নিউজিল্যান্ড ১৩৪/২, ২৫ ওভার
রুবেলের শর্ট বলে ব্যাটের কিনারে লেগে গেল থার্ডম্যানে। আরেকটা ফিফটি হয়ে গেল উইলিয়ামসনের, ক্যারিয়ারের ৩১তম। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রথম ম্যাচে সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন, পরের দুই ম্যাচেই পেলেন ফিফটি। সঙ্গে ফিফটি জুটি হয়ে গেছে টেইলর-উইলিয়ামসন জুটিরও। ব্রেকথ্রুর দেখা পায়নি এখনও বাংলাদেশ।
রুবেলে হার মানলেন গাপটিল
নিউজিল্যান্ড ৭০/২, ১৩ ওভার
এবার রুবেলের গতির কাছে হারলেন গাপটিল। পড়ার পর সিম-মুভমেন্ট, সোজা ব্যাটে খেলতে গিয়ে মিস করলেন, ইয়ান গৌল্ড দিলেন আউট। উইলিয়ামসনের সঙ্গে কথা বলার পর রিভিউয়ের সিদ্ধান্ত নেননি গাপটিল, মেনে নিয়েছেন সিদ্ধান্ত। তাসকিনের মতো দ্বিতীয় ওভারে উইকেট মিললো রুবেলেরও।
তাসকিনে ব্রেকথ্রু বাংলাদেশের
নিউজিল্যান্ড ৪৭/১, ৭.৩ ওভার
দলে ফিরেছেন আজ। একপ্রান্তে মুস্তাফিজকে সরিয়ে তাসকিনকেই এনেছেন মাশরাফি। নিজের দ্বিতীয় ওভারেই পেলেন সাফল্য। জায়গা বানিয়ে খেলতে থাকা রঙ্কি এবার অবশ্য জায়গায় দাঁড়িয়েই খেলতে গিয়েছিলেন ব্যাক-অব-দ্য লেংথের বলটা। গতির কাছেই হার মানলেন রঙ্কি, মিড-অন পার করতে গিয়ে ক্যাচ গেল মিড-অনে, মুস্তাফিজের কাছে।
টসে জিতে ব্যাটিং নিয়েছেন কিউই অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। উইকেট শুকনো মনে হচ্ছে তার কাছে, শুরতেই তাই ব্যাটিং করে নিতে চান। তবে মাশরাফি বলেছেন, টসে জিতলে তিনি বোলিং-ই করতেন।
দুইটি পরিবর্তন বাংলাদেশ দলে। ইমরুল ও মেহেদী বাইরে গেছেন, দলে এসেছেন তাসকিন ও মোসাদ্দেক।
বাংলাদেশ একাদশ
তামিম, সৌম্য, সাব্বির, মুশফিক, সাকিব, মাহমুদউল্লাহ, মোসাদ্দেক, মাশরাফি, মুস্তাফিজ, রুবেল, তাসকিন।
ইংল্যান্ডের সঙ্গে ম্যাচ থেকে পরিবর্তন আসেনি কোনও নিউজিল্যান্ড দলে।
নিউজিল্যান্ড একাদশ
রঙ্কি, গাপটিল, উইলিয়ামসন, টেইলর, ব্রুম, নিশাম, অ্যান্ডারসন, সাউদি, বোল্ট, স্যান্টনার, মিলনে।
ভাল খবর! ৪টায় টস হবে। ৪.৩০টায় শুরু হবে খেলা। কোনো ওভার কমেনি ম্যাচ থেকে।
এখন পর্যন্ত টুর্নামেন্টের সবচেয়ে বেশি ২২৩ রান তামিম ইকবালের, ২০০ রান নেই আর কারও। সবচেয়ে বেশি ৬টি ছয়ও মেরেছেন তামিম, আজ সুযোগ থাকছে নিজের রেকর্ড আরও বাড়িয়ে নেওয়ার।
কার্ডিফে কাল হয়ে গেছে বেশ ভারি বৃষ্টি। আজ সকালেও হয়ে গেছে এক পশলা। এই মুহূর্তে বৃষ্টি না হলেও ম্যাচ তাই পিছিয়ে গেছে অন্তত এক ঘণ্টা। নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে বাঁচা মরার ম্যাচে মুখোমুখি বাংলাদেশ, খেলা হবে নতুন একটা উইকেটে। দল নির্বাচনের ওপর কতটুকু প্রভাব ফেলবে উইকেট? বাংলাদেশ কি চার পেসার নিয়ে নামবে? ইমরুল কায়েসের জায়গায় কি মোসাদ্দেক আসছেন? উত্তর মিলবে কিছুক্ষণ পরেই। তার আগে মাশরাফি বিন মুর্তজার কালকের সংবাদ সম্মেলনের কথা শুনে আসা যাক। বাংলাদেশের জন্য সুখস্মৃতি, এই কার্ডিফেই ১২ বছর আগে হারিয়েছিল অস্ট্রেলিয়াকে।