• চ্যাম্পিয়নস ট্রফি
  • " />

     

    'কোহলিরা শুধুই হ্যাঁ শুনতে চান'

    'কোহলিরা শুধুই হ্যাঁ শুনতে চান'    

    অনিল কুম্বলের হঠাৎ পদত্যাগ যেন জোর একটা নাড়া দিয়েছে ভারতের ক্রিকেটে। কোহলির সঙ্গে সমন্বয়হীনতার কারণেই সরে যেতে হয়েছে, এমন আভাস কুম্বলে নিজেই দিয়েছেন। সাবেক ক্রিকেটাররাও এবার কোহলিদের সমালোচনায় মুখর। সাবেক কোচ ও ক্রিকেটার মদন লাল যেমন কোহলিদের ওপর দোষ চাপিয়েছেন। 

    খেলোয়াড়দের স্বেচ্ছাচারিতায় কোচের পদত্যাগের সংস্কৃতিটাই মেনে নিতে পারছেন মদন লাল, “এই দলের খেলোয়াড়রা এমন কাউকে চায়, যে সবসময় তাঁদেরকে হ্যাঁ বলবে। কোনো কাজে বাধা দেবে না। বর্তমান ব্যাটিং কোচ সঞ্জয় বাঙ্গার যেমন। খেলোয়াড়দেড় অহংবোধে কখনই আঘাত করেন না তিনি, তাই টিকেও আছেন বহুদিন। কিন্তু ক্রিকেটারদের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ালেই মারা পড়তে হয়”। 


    ভারতীয় ক্রিকেটারদের এই সমস্যা অনেক আগেই থেকেই ছিল বলে নিজের সাক্ষাৎকারে দাবি করেছেন মদন লাল। ১৯৯৭-১৯৯৮ সালে ভারতীয় দলের কোচ থাকাকালীন কুম্বলের মতো একই সমস্যায় পড়তে হয়েছিল তাঁকেও। কোচ হিসেবে জয়ের হার ৪৫ শতাংশ থাকার পরও ছাঁটাই হওয়ার কারণ হিসেবে খেলোয়াড়দের তারকাদ্যুতিকে দুষছেন সাবেক এই কোচ। নিজের কথার সূত্র ধরেই জানিয়েছেন, মাঠের খেলার চেয়ে বরং খেলোয়াড় ব্যবস্থাপনাই ভারত কোচের প্রধান কাজ হয়ে দাঁড়ায়। আর অধিনায়কের সাথে মতের অমিল হলেই চলে যেতে বাধ্য হতে হয় কোচকে।    

    ভারতের কোচের হট সিটে বিদেশী কোচের সফলতার কারণও ব্যাখ্যা করেছেন, “ভিনদেশী কোচরা খেলোয়াড়দের খুব গভীরে যেতে চান না। সিনিয়র খেলোয়াড়রাও কখনও প্রশ্নের সম্মুখীন হন না তাঁদের কাছ থেকে। ডানকান ফ্লেচার, জন রাইট, গ্যারি কারস্টেন-সবার সাফল্যের পেছনেই গল্পটা একই রকম। যখনই কেউ প্রশ্ন তোলে, তার ভবিষ্যৎ কী হয় তা তো আমাদের জানাই আছে।“ শেষের কথায় ইঙ্গিত দিয়েছেন গ্রেগ চ্যাপেলের ছাঁটাইকে। 

    খেলোয়াড়-কোচের মতের অমিল থাকাটা অস্বাভাবিক ঘটনা বলেও মনে করেন না মদন লাল। তবে সে কারণে কাউকে দল থেকে ছাঁটাই করার সংস্কৃতির ঘোর বিরোধী তিনি।  তাঁর মতে দিনশেষে কোহলির অহংকারের কাছেই হার মানতে হয়েছে কুম্বলেকে।