এক ওভারে ছয় ছক্কার পরেও হোয়াইটলির হতাশা
৫ ওভারে প্রয়োজন ৯৮ রান। উস্টারশায়ারের দুই ব্যাটসম্যান নিজেদের মাঝে শলা পরামর্শ করে যার যার ক্রিজে চলে গেলেন। স্ট্রাইকে থাকা রস হোয়াইটলি চারপাশে তাকিয়ে ফিল্ডারদের অবস্থানটা আরও একবার ভালমত দেখলেন। ইয়োর্কশায়ারের হয়ে ম্যাচের ১৬ তম ওভারে বল করতে আসা কার্ল কারভার হয়তো কল্পনাও করেননি, ওই ওভারে তাঁর জন্য কী অপেক্ষা করছে! একে একে টানা ৬ বলে ছয় ছক্কা মেরে ইতিহাসের পাতায় নাম লিখিয়েছেন হোয়াইটলি।
জয়ের জন্য তখন আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ের কোনোই বিকল্প ছিল না। কারভারের সেই ওভারে তাই প্রথম বল থেকেই চড়াও হয়েছিলেন হোয়াইটলি। প্রথম ৪ বলেই ছয় হাঁকান। দিশেহারা কারভার পরের বলটা ওয়াইড দেন। অধিনায়ক এসে বারবার কারভারকে সাহস জোগাচ্ছিলেন, তবে কিছুতেই কাজ হয়নি। শেষ দুই বলেও বল চলে যায় দর্শকসারিতে। সব মিলিয়ে ওই ওভারে ওঠে ৩৭ রান।
ইতিহাসের ষষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসাবে এক ওভারে ছয়টি ছক্কা মারলেন হোয়াইটলি। ১৯৬৮সালে প্রথমবারের মতো এক ওভারে ছয় ছক্কা মারার কীর্তিটা ওয়েস্ট ইন্ডিজ কিংবদন্তি গ্যারি সোবার্সের। এরপর রবি শাস্ত্রী, হারশেল গিবস, যুবরাজ সিং এই তালিকায় প্রবেশ করেন। শেষবার ২০১৩ সালে ল্যাঙ্কাশায়ার ব্যাটসম্যান জর্ডান ক্লার্ক এক ওভারে ছয় ছক্কা হাঁকান। চার বছর পর এক ওভারে ছয় ছক্কা মারা ক্রিকেটারদের ছোট্ট এই তালিকায় ঢুকে গেলে হোয়াইটলি।
যদিও হোয়াইটলি শেষ পর্যন্ত জয় এনে দিতে পারেননি দলকে। ৩৭ রানের পরাজয়ের পর রেকর্ড গড়েও তাই খুব একটা আনন্দে নেই তিনি, “ওই সময়ে ওরকম ব্যাটিং করা ছাড়া আর উপায় ছিল না। বোলারদের জন্য কাজটা কঠিন ছিল কারণ বাউন্ডারি খুবই ছোট। এরকম ব্যক্তিগত অর্জন দারুন ব্যাপার, কিন্তু পরাজিত দলে থাকলে সেটা মেনে নেওয়া কঠিন। আমরা পাঁচ ম্যাচের চারটিতেই হেরেছি, পয়েন্ট তালিকার তলানিতে আছি। যেভাবেই হোক ঘুরে দাঁড়াতে হবে।”