দুই ওভারে ৫২ রান নিয়ে জয়!
স্কোর
সেন্ট কিটস ও নেভিস প্যাটট্রিওটস ১৩ ওভারে ১৬২/৩ (গেইল ৯৩, নারাইন ১/৩৬)
ট্রিনবাগো নাইট রাইডার্স ৫.২ ওভারে ৮৮/২ ( ম্যাককালাম ৪০*, ব্রাভো ৩৮*)
ফলাফল- ট্রিনবাগো নাইট রাইডার্স ৮ উইকেটে জয়ী
লক্ষ্যটা প্রথমে ছিল ১৩ ওভারে ১৬৩। তৃতীয় ওভারের প্রথম বলেই উইকেট পেলেন স্যামুয়েল বাদ্রি, এরপর নামল ঝুম বৃষ্টি। ডিআরএস পদ্ধতিতে নতুন লক্ষ্য দাঁড়ালো ৬ ওভারে ৮৬ রান। ট্রিনবাগো নাইট রাইডার্সের হয়ে ক্রিজে থাকা ব্রেন্ডন ম্যাককালামের সাথে যোগ দিলেন ড্যারেন ব্রাভো। ১৭ বলে লাগবে ৫২ রান, এরকম পরিস্থিতিতে ম্যাচের ভাগ্য অনেকটাই ঝুলে গেছে সেন্ট কিটস ও নেভিস প্যাটট্রিওটসের দিকে। কিন্তু তখন যে ব্রাভো-ম্যাককালাম ‘তান্ডব’ বাকি। ১৩ বলেই ৫২ রান তুলে নাইট রাইডার্সকে অবিশ্বাস্য এক জয় এনে দিয়েছেন এই জুটি।
বৃষ্টির পর বাদ্রির ওভারের পরের পাঁচ বলে ব্রাভো নিয়েছেন ১৯ রান। ব্যাট করতে নেমে নিজের প্রথম তিন বলেই মেরেছেন ছয়। দ্বিতীয় ছক্কার সময় তো বল স্টেডিয়ামের বাইরেই পাঠিয়ে দিয়েছেন। বাকি দুটি ছয়ও ছিল বিশাল।
চতুর্থ ওভার শেষে লক্ষ্য দাঁড়ায় ১২ বলে ৩৩ রান। পঞ্চম ওভার করতে আসা আফগান স্পিনার মোহাম্মদ নবীর ওপর ছোটোখাটো একটা ‘ঝড়’ গেছে। প্রথম বলে কোনো রান হয়নি। এরপর পরের বলে আরেকটি ছয় মারেন ব্রাভো। পরের চার বলে আরও দুটি ছয় ও একটি চার মারেন ম্যাককালাম। তিন ছক্কা ও এক চারে নবীর ওভারে ওঠে ২৩ রান।
শেষ ওভারে দরকার ১০ রান। জোনাটন কার্টারের প্রথম দুই বলেই ছয় মেরে খেলা শেষ করেন ব্রাভো। ৬ ছক্কায় সাজানো ১০ বলে করা ৩৮ রানের জন্য ম্যাচসেরা হন ব্রাভোই। ম্যাককালামও অপরাজিত থাকেন ১৪ বলে ৪০ রানে, মেরেছেন ৩ ছক্কা ও ৫ টি চার।
এদিকে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ক্রিস গেইলের বিধ্বংসী এক ইনিংসে ১৩ ওভারে ১৬২ রান তোলে সেন্ট কিটস। ৪৭ বলে ৮ ছক্কা ও ৫ চারে ৯৩ রান করেন গেইল। তবে ব্রাভোর ওই ব্যাটিংয়ের কাছে ম্লান হয়ে গেছে তার ইনিংসটি।