হোপ-ব্র্যাথওয়েটে নতুন 'আশা' ওয়েস্ট ইন্ডিজের
হেডিংলি টেস্ট
ইংল্যান্ড ২৫৮
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৩২৯/৫(হোপ ১৪৭*, ব্র্যাথওয়েট ১৩৪, অ্যান্ডারসন ৩/৬৩)
দ্বিতীয় দিনশেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৭১ রানে এগিয়ে
হেডিংলিতে আগের দিনই নতুন শুরুর ইঙ্গিত দিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বোলারদের কাজটা তারা করে রেখেছিলেন, দায়ভারটা ছিল ব্যাটসম্যানদের ওপর। ব্যাটসম্যানরা সে কাজটা করলেন দারুণভাবে। আরও নির্দিষ্ট করে বললে করলেন আসলে শাই হোপ ও ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট। হোপ পেয়েছেন ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি, অপরাজিত আছেন এখনও। সেঞ্চুরি পেয়েছেন ব্র্যাথওয়েটও, ওয়েস্ট ইন্ডিজকে বড় লিডের ভিত্তি গড়ে দিয়েছে তাদের দুজনের ২৪৬ রানের জুটিই, ১৯৮৪ সালের 'ব্ল্যাকওয়াশ' সিরিজের পর যা সর্বোচ্চ।
নাইটওয়াচম্যান দেবেন্দ্র বিশুকে দ্রুতই ফিরিয়েছিলেন জিমি অ্যান্ডারসন। হয়তো তার সেরা ডেলিভারিতে না, তবে বিশুর জন্য যথেষ্ট ছিল সেটাই। কাইল হোপও ‘আশা’ দেখাতে পারেননি বেশিক্ষণ, দ্বিতীয় স্লিপে রুটের অসাধারণ ক্যাচ বনেছেন অ্যান্ডারসনের বলে। ৩৫ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে তখন নতুন শুরুর আশাটা পুরোনো দুরাশাতেই মিলিয়ে যাচ্ছিল উইন্ডিজের।
আরেক হোপ ও ব্র্যাথওয়েটের আশা দেখানো শুরু এরপরই। তারা শট খেললেন, রক্ষণ আগলালেন, ক্যারিবীয়দের নিয়ে গেলেন লিডের দিকে। চা-বিরতির আগেই সেঞ্চুরি পেয়েছেন ব্র্যাথওয়েট, ছয় মেরে। হোপ অপেক্ষা করেছেন আর কিছুক্ষণ, প্রথম সেঞ্চুরিটা ১৪৭ পর্যন্ত টেনে নিয়ে গিয়ে অপরাজিত আছেন এখনও।
দিনটা যে ওয়েস্ট ইন্ডিজের, তার আরও একটা প্রমাণ তাদের রিভিউয়ের ব্যবহার। ব্র্যাথওয়েটকে দুইবার আউট দিয়েছিলেন আম্পায়ার এস রভি, তিনি ভুল প্রমাণিত হয়েছেন দুইবারই। সেই ব্র্যাথওয়েটের বিপক্ষেই দুইবার রিভিউ নিয়েছিল ইংল্যান্ড, ব্যর্থ হয়েছে দুইবারই।
শেষ পর্যন্ত তিনি আউট হয়েছেন ব্রডের বলে, ব্যাট-প্যাডের ফাঁক গলে হয়েছেন বোল্ড, শেষ হয়েছে দারুণ এক ইনিংসের। চেজ বেশিক্ষণ টেকেননি, স্লিপে কুককে ক্যাচ দিয়েছেন স্টোকসের বলে। ব্ল্যাকউডকে নিয়ে দিনটা নিরাপদেই পার করেছেন হোপ, দেখিয়েছেন ক্যারিবীয়দের নতুন আশার আলো।
হেডিংলির কালকের দিনটা তাই আগের দিনের চেয়ে আরও বেশি নতুন হয়ে ধরা দেবে উইন্ডিজদের কাছে। যেদিন সবচেয়ে বড় আশার নাম ‘হোপ’, ওয়েস্ট ইন্ডিজের এ দুইদিনের পারফরম্যান্স আশা জোগাচ্ছে, আরও কোনো নতুন নামের, কোনো নতুন ইনিংসের!