• এএফসি অনূর্ধ্ব ১৬ চ্যাম্পিয়নশিপ
  • " />

     

    ভুটানের সঙ্গে জয়ে নায়ক জাফর ইকবাল

    ভুটানের সঙ্গে জয়ে নায়ক জাফর ইকবাল    

    একের পর এক আক্রমণ এসে আছড়ে পড়ছে ভুটান রক্ষণে। কিন্তু বাংলাদেশ বলটা জালেই শুধু ঢোকাতে পারছে না। শেষ পর্যন্ত সেই গেরো কাটালেন জাফর ইকবাল, তাঁর জোড়া গোলেই হলো মুক্তি। নিজেদের শেষ ম্যাচে ভুটানকে ২-০ গোলে হারিয়ে সাফ অনূর্ধ্ব ১৮ ফুটবলে নিজেদের কাজটা সেরে রেখেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা জয়ের জন্য যথেষ্ট হয়নি। দিনের শেষ ম্যাচে নেপাল ভারতকে ২-১ গোলে হারানোয় বাংলাদেশকে হতে হয়েছে রানার্স আপ।

    অথচ এই ম্যাচে শুরু থেকে নামেনিনি জাফর ইকবাল। প্রথমার্ধে কিছুটা এলোমেলোই শুরু করেছিল বাংলাদেশ, নিজেদের গুছিয়ে নিতেই পেরিয়ে গেছে অনেকটা সময়। এর মধ্যে মুন্নার একটি হেড অল্পের জন্য বারের বাইরে যাওয়া ছাড়া সেভাবে কোনো সুযোগও পায়নি।

    তবে ৫৪ মিনিটে মোহাম্মদ শাহীনের বদলে মাঠে নামেন ভারতের সঙ্গে জয়ের নায়ক জাফর ইকবাল। দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই তেঁড়েফুঁড়ে খেলতে থাকে বাংলাদেশ। গোলের সুযোগও তৈরি হতে থাকে। কিন্তু কখনো গোলরক্ষককে একা [এয়ে যেমন গোপ্ল করতে পারেননি জাফর ইকবালরা, আবার কখনো অতিমানব হয়ে ভুটান গোলরক্ষক করেছেন দারুণ কিছু সেভ। আবার শট পোস্টে লেগে বাইরে চলে গেছে একবার। বোঝাই যাচ্ছিল, গোলটা কেবল সময়ের ব্যাপার, কিন্তু আসি আসি করেও সেটা আসছিল না।

    শেষ পর্যন্ত তা এলো ৮১ মিনিট। ডান প্রান্তে বল পেয়ে ঝড়ের গতিতে বক্সে ঢুকে পড়েছিলেন জাফর ইকবাল। গোলরক্ষককে বেরিয়ে আসতে দেখে ডান পায়ের দারুণ প্লেসিং শট দূর পোস্ট দিয়ে জড়িয়ে দেন জালে। গোল করেই সেটি উদযাপন করলেন জার্সি খুলে, বাংলাদেশও পেল স্বস্তির নিঃশ্বাস।

    সেই যে গেরো কাটল, মিনিট তিনেকের মধ্যে আরেকটি গোল পেয়ে যায় বাংলাদেশ। এবার প্রতি আক্রমণে বক্সের বাঁ দিকে বল পেয়েছিলেন জাফর ইকবাল। ওপাশে দুজন সতীর্থকে বল দিলে তাঁরাই হয়তো কাজটা সেরে ফেলতে পারেন। তবে আত্মবিশ্বাসী জাফর ইকবাল নিজেই বাঁ পায়ের শট নেন। কাছের পোস্টে সেটি রুখতে পারেননি ভুটান গোলরক্ষক। ভুটান সেভাবে গোলেরই সুযোগ পায়নি আর, আগের সুযোগগুলো কাজে লাগাতে পারলে বাংলাদেশ অনেক বড় জয় নিয়েই মাঠ ছাড়তে পারত।

    এই জয়ে তিন ম্যাচে বাংলাদেশের পয়েন্ট হলো ৯। শেষ ম্যাচে নেপাল জেতায় তাদেরও পয়েন্ট হয়েছে ৯। কিন্তু মুখোমুখি লড়াইয়ে এগিয়ে থাকায় নেপালই হয়েছে চ্যাম্পিয়ন। রানার্স আপ হলেও বাংলাদেশের যুবারা জানান দিয়েছে, দেশের ফুটবলের আঁধারে পথ দেখানোর সামর্থ্য তাদের ভালোমতোই আছে।