• নিউজিল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ
  • " />

     

    দিনটা নিউজিল্যান্ডের হতে দিলেন না গ্যাব্রিয়েল

    দিনটা নিউজিল্যান্ডের হতে দিলেন না গ্যাব্রিয়েল    

     

    সংক্ষিপ্ত স্কোর

    ১ম দিনশেষে

    নিউজিল্যান্ড ২৮৬/৭ ( রাভাল ৮৪, গ্যাব্রিয়েল ৩/৭৯)

     

    হ্যামিল্টনে আকাশের মুখটা গত কয়েকদিন ধরেই গোমড়া। এটা দেখেই কিনা টসে জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিলেন ক্রেগ ব্রাথওয়েট। দিনের বেশিরভাগ সময় এই সিদ্ধান্তকে ‘ভুল’ মনে হলেও দিনশেষে নিউজিল্যান্ডকে খুব একটা স্বস্তিতে থাকতে দেয়নি ক্যারিবিয়ান পেসাররা। শেষ সেশনে শ্যানন গ্যব্রিয়েলের কল্যাণে কিউইদের বড় স্কোরের স্বপ্ন দেখতে দিচ্ছে না ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

     

     

     

    শুরুটা দারুণ করেছিলেন দুই ওপেনার। জিত রাভাল ও টম লাথাম নির্বিঘ্নে কাটিয়ে দিয়েছেন প্রথম দেড় ঘণ্টা। নতুন বল একদমই সুইং করছিল না, সেজন্যই হয়ত ভয়ংকর হয়ে উঠতে পারেননি কিমার রোচ, গ্যব্রিয়েলরা। অবশেষে ৬৫ রানের মাথায় প্রথম আঘাত আনেন মিগুয়েল কামিন্স। তাঁর বাউন্স সামলাতে না পেরে উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন লাথাম।

     

    লাথাম ফিরলেও কেন উইলিয়ামসনকে নিয়ে লাঞ্চ পর্যন্ত কাটিয়ে দেন রাভাল। লাঞ্চের পর এই জুটি ব্যাট করে আরও ১৯ ওভার। ৮৯ রানের জুটি গড়ার সময় রাভাল তুলে নেন ফিফটি। ফিফটি থেকে ৭ রান দূরে কামিন্সের বলেই ফিরতে হয় উইলিয়ামসনকে। লেগ সাইডের নির্বিষ বলকে মারতে গিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন কিউই অধিনায়ক। কিছুক্ষণের মাঝেই গ্যব্রিয়েলের দারুণ এক ডেলিভারিতে আউট হলে সেঞ্চুরিবঞ্চিত হন রাভাল। ৩০ রানের ভেতর আরও দুই উইকেট পড়লে খানিকটা বিপদেই পরে নিউজিল্যান্ড।

     

     

     

    ৭৬ রানের জুটি গড়ে সেই বিপদ থেকে দলকে রক্ষা করেন কলিন গ্র্যান্ডহোম- মিচেল স্যান্টনার। গ্র্যান্ডহোম ছিলেন বেশ আক্রমণাত্মক মুডে। ৬৩ বলে করেছেন ৫৮ রান, এর মাঝে ৫ টি চার, ছক্কা ৪ টি। স্যান্টনার অবশ্য ধীর গতিতেই ব্যাট করেছেন। 

     

    নতুন বল নেওয়ার প্রথম ওভারেই এই জুটি ভাঙ্গেন গ্যব্রিয়েল। ১০ রানের ব্যবধানে দুই সেট ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে ফিরিয়ে আনেন স্বস্তি। দুজনই গ্যব্রিয়েলের বলে বোল্ড হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন। আগের ম্যাচে সেঞ্চুরিয়ান টম ব্লান্ডেল অপরাজিত আছেন ১২ রানে।