টেলরের সেঞ্চুরিতে জয় দেখছে নিউজিল্যান্ড

সংক্ষিপ্ত স্কোর
তৃতীয় দিনশেষে
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২২১, ৩০/২ ( ব্রাথওয়েট ১৩*)
নিউজিল্যান্ড ৩৭৩, ২৮১/৮ ডিক্লে ( টেলর ১০৭*, কামিন্স ৩/৬৯)
তখনও দিনের খেলার প্রায় ৪৫ মিনিটের মতো বাকি, ম্যাচের বাকি আরও দুই দিন। লিডটা ওয়েস্ট ইন্ডিজের ধরাছোঁয়ার বাইরে নিয়ে যাচ্ছিলেন সেঞ্চুরি ছোঁয়া রস টেলর। তখনই সবাইকে একটু অবাক করে দিয়েই ইনিংস ঘোষণা করলেন নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। ১০ ওভার ব্যাটিং করে ক্যারিবিয়দের ২ উইকেট হারানোয় উইলিয়ামসনের সিদ্ধান্ত শেষবেলায় ‘কার্যকরীই’ মনে হলো। হ্যামিল্টনে তৃতীয় দিনশেষে জয়ের জন্য ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রয়োজন আরও ৪১৪ রান।
আগের দিনের স্কোরের সাথে খুব বেশি রান যোগ করতে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ২২১ রানেই শেষ হয় তাঁদের প্রথম ইনিংস। শেষ দুই ব্যাটসম্যানকে ফেরান বোল্ট, সব মিলিয়ে নিয়েছেন ৪ উইকেট।
১৫২ রানের লিড নিয়ে ব্যাটিংয়ে নেমে দুই কিউই ওপেনার খুব বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। এর পরের গল্পটা শুধুই টেলরের। উইলিয়ামসনকে সাথে নিয়ে লিডটা ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে। নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক ফিফটি তুলে নেওয়ার পর মিগুয়েল কামিন্সের বলে ফিরলেও টেলরকে ফেরানোর কোনো উপায় বের করতে পারেনি বোলাররা।
উইলিয়ামসনের পর মিচেল স্যান্টনার, কলিন গ্র্যান্ডহোম ও টিম সাউদিকে নিয়ে টেলরের জুটির কল্যাণে লিড ৪০০ পেরোয়। টেলর তুলে নেন ক্যারিয়ারের ১৭ তম সেঞ্চুরি। এই ফলে নিউজিল্যান্ডের হয়ে টেস্টে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির উইলিয়ামসের রেকর্ডে ভাগ বসালেন তিনি। তাঁর সেঞ্চুরির পরপরই ইনিংস ঘোষণা করে নিউজিল্যান্ড।
৪৪৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে রানের খাতা না খুলেই বোল্টের বলে ফেরেন কিরান পাওয়েল। দিনের খেলা শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ আগে সাউদির বলে ওয়াগনারের হাতে সহজ ক্যাচ দিয়ে আউট হন শিমরণ হেটমেয়ারও। ম্যাচ বাঁচাতে হলে শেষ দুই দিন দারুণ কিছুই করে দেখাতে হবে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে।