• নিউজিল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ
  • " />

     

    বোল্ট তোপে উড়ে গেল ওয়েস্ট ইন্ডিজ

    বোল্ট তোপে উড়ে গেল ওয়েস্ট ইন্ডিজ    

     

    নিউজিল্যান্ড ৫০ ওভারে ৩২৫/৬ (নিকোলস ৮৩, ওয়ার্কার ৫৮, টেলর ৫৭; কটরেল ৩/৬২)

    ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২৮ ওভারে ১২১ (নার্স ২৭; বোল্ট ৭/৩৪, ফার্গুসন ৩/১৭)

    ফলঃ নিউজিল্যান্ড ২০৪ রানে জয়ী


    নিউজিল্যান্ড সফরটা এখন পর্যন্ত দুঃস্বপ্নেরই কেটেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের। সিরিজের একটা ম্যাচও জিততে পারেনি, তবে আজকের মতো অসহায় আত্মসমর্পণ করতে হয়নি একবারও। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে নিউজিল্যান্ডের কাছে ২০৪ রানে উড়ে গেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৭ উইকেট নিয়ে ট্রেন্ট বোল্ট বলতে গেলে একাই ধসিয়ে দিয়েছেন ক্যারিবিয়দের, নিশ্চিত করেছেন সিরিজ জয়ও।

    অথচ ম্যাচের শুরুটা খুব একটা খারাপ করেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৫০ রানে কলিন মানরো ফিরে যাওয়ার পর খুব দ্রুত ফিরে যান নিল ব্রুম। এরপর জর্জ ওয়ার্কার ও রস টেলরের ফিফতি নিউজিল্যান্ডকে পথে রাখলেও ওয়েস্ট ইন্ডিজ উইকেট পাচ্ছিল নিয়মিত বিরতিতেই। ১৮৫ রানে যখন পঞ্চম উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড, তখনও আরও ১৭ ওভার বাকি।

    সেই ১৭ ওভারের ফায়দাটা এরপর ভালমতোই লুটেছেন হেনরি নিকোলস ও টড অ্যাস্টল। ষষ্ঠ উইকেটে দুজন মিলে যোগ করেছেন ১৩১ রান, শেষ ওভারে গিয়েই বিচ্ছিন্ন হয়েছে দুজনের জুটি। অ্যাস্টল ৪৫ বলে ৪৯ রান করে আউট হয়ে গেছেন, নিকোলস অপরাজিত ছিলেন ৬২ বলে ৮৩ রান করে।

    তখন অবশ্য বোঝা যায়নি, নিউজিল্যান্ডের এই ৩২৫ রান জয়ের জন্য যথেষ্টর চেয়েও অনেক অনেক বেশি হবে। বলতে গেলে প্রথম ছয় ওভারের মধ্যেই ম্যাচটা মুঠোয় পুরে ফেলে স্বাগতিকেরা। কাইল হোপের পর চতুর্থ ওভারে এভিন লুইসও ফিরে গেলে বড় একটা ধাক্কা খায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ষষ্ঠ ওভারে ফিরে যান শিমরন হেটমেয়ারও। বোল্টের সুইং সামলাতেই হিমশিম খাচ্ছিল ক্যারিবিয়রা, টপ অর্ডারের প্রথম চারটি উইকেটই নিয়েছেন এই বাঁহাতি পেসার। অন্য পাশ থেকে লকি ফার্গুসন যোগ দেওয়ায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের ১০০ নিয়েই টানাটানি পড়ে যায়। শেষ পর্যন্ত অলআউট হয়ে যায় ১২১ রানেই। ৭ উইকেট পেয়েছেন বোল্ট, ওয়ানডেতে এটি নিউজিল্যান্ডের কোনো বোলারের দ্বিতীয় সেরা বোলিং। আর এক রান কম দিলে টিম সাউদির সঙ্গে সেরা বোলিংয়ের রেকর্ডেও ভাগ বসাতে পারতেন। তবে এমন একটা দিনের পর তা নিয়ে আফসোস নিশ্চয় করবেন না বোল্ট!