• অ্যাশেজ ২০১৭-১৮
  • " />

     

    'অ্যাশেজ জয়ের অনুভূতিটা বিশেষ কিছু'

    'অ্যাশেজ জয়ের অনুভূতিটা বিশেষ কিছু'    

     

    শেষ উইকেটটা যেন কিছুতেই পড়ছিল না। কখন আসবে সেই কাঙ্ক্ষিত মুহূর্ত, অপেক্ষায় ছিল পুরো ওয়াকা। অবশেষে প্যাট কামিন্সের বাউন্সারে টিম পেইনের হাতে ক্যাচ দিলেন ক্রিস ওকস, উল্লাসে ফেটে পড়ল অস্ট্রেলিয়া দল। ওয়াকায় ইংল্যান্ডকে ইনিংস ও ৪১ রানে হারিয়ে অ্যাশেজ পুনরুদ্ধার করল স্টিভ স্মিথের দল। ম্যাচ শেষে স্মিথ বলছেন, অধিনায়ক হিসেবে অ্যাশেজ জয়ের অনুভূতিটা তাঁর কাছে বিশেষ কিছু।

     

     

     

    তিন টেস্টের দুটিতেই ম্যাচসেরা। দলকে আক্ষরিক অর্থেই সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়া স্মিথ প্রথমবার পেলেন অধিনায়ক হিসেবে অ্যাশেজ জয়ের স্বাদ। দলকে নিয়ে গর্বিত তিনি, “অধিনায়ক হিসেবে অ্যাশেজ জেতার অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। এই মুহূর্তের জন্য বহুদিন অপেক্ষা করেছি। পার্থে যেভাবে জয় পেয়েছি, তাতে আমার দলকে নিয়ে গর্বিত। সিরিজের প্রথম তিন ম্যাচে প্রতিপক্ষের সব কয়টি উইকেট তুলে নিয়েছে তাঁরা। একটা টসে না জিতেও আমরা সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছি দুই ম্যাচ হাতে রেখেই।”

     

    এবারও কি ইংল্যান্ডকে ২০১৩-১৪ মৌসুমের মতো ধবলধোলাই করতে পারবে অস্ট্রেলিয়া? স্মিথ অবশ্য এখনই এসব নিয়ে ভাবছেন না, “আজ শুধু সিরিজ জয়ের উদযাপন হবে। মেলবোর্নের কথা এখনই ভাবছি না। তবে আশা করি সেখানে ৪-০ হবে, আর সিডনিতে ৫-০!”

     

    অ্যাশেজ শুরুর আগে নির্বাচকদের বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। পার্থ টেস্টের আগে মিচেল মার্শের অন্তর্ভুক্তি নিয়েও কম কথা হয়নি। তবে দলে ঢোকা পেইন, মার্শ সবাই নিজেদের প্রমাণ করেছেন। স্মিথ তাই ধন্যবাদ জানাতে ভুল করেননি নির্বাচকদের, “নির্বাচকদের ধন্যবাদ দিতে চাই সাহসী সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য। তাঁরা যাদের দলে নিয়েছিলেন সবাই দারুণ পারফর্ম করেছে। তিন পেসার অসাধারণ বোলিং করেছে। সাথে লায়নও ছিল দুর্দান্ত।”