ইংল্যান্ডকে সিরিজে ফেরালেন স্টোকস

স্কোর
নিউজিল্যান্ড ৪৯.৪ ওভারে ২২৩ ( স্যান্টনার ৬৩*, স্টোকস ২/৪২)
ইংল্যান্ড ৩৭.৫ ওভারে ২২৫/৪ ( স্টোকস ৬৩*, মরগান ৬২, বোল্ট ২/৪৬)
ফল- ইংল্যান্ড ৬ উইকেটে জয়ী
প্রথম ম্যাচে ফেরাটা প্রত্যাশা অনুযায়ী হয়নি, রোমাঞ্চকর সমাপ্তিতে হেরেছিল দলও। দ্বিতীয় ম্যাচেই অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে ইংল্যান্ডকে জিতিয়ে সিরিজে সমতা আনলেন নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফেরা বেন স্টোকস। বে ওভালে বোলিং-ফিল্ডিংয়ে দুর্দান্ত ইংল্যান্ড ৬ উইকেটে হারিয়েছে নিউজিল্যান্ডকে।
২২৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে চতুর্থ ওভারে ১৫ রানের মাথায় ট্রেন্ট বোল্টের বলে ফেরেন জেসন রয়। জো রুট, জনি বেইরস্টোও কিউইদের মাথাব্যাথার কারণ হয়ে ওঠার আগেই আউট হয়েছেন। ৮৬ রানে ৩ উইকেট তুলে নিয়ে কিছুটা আশা জেগেছিল নিউজিল্যান্ডের ।
চতুর্থ উইকেটে অধিনায়ক অইন মরগানের সাথে স্টোকসের জুটিতে সেই স্বপ্ন মিলিয়ে যায় খুব দ্রুতই। মরগান-স্টোকস জুটি ৮৮ রান যোগ করলে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ আবারও ইংল্যান্ডের হাতেই আসে। খারাপ ফরম পেছনে ফেলে রানে ফিরেছেন মরগান, ১৩ ম্যাচ পর ফিফটি পেলেন আজ। ৬ চার ও ৩ ছয়ে ৬৩ বলে ৬২ রান করে আউট হয়েছেন কলিন মানরোর বলে।
মরগান যখন ফিরলেন, ততক্ষণে ইংল্যান্ডের জয় সময়ের ব্যাপার মাত্র। বাকি কাজটা সারেন স্টোকস-বাটলার জুটি। হাফ সেঞ্চুরি করে অপরাজিত ছিলেন স্টোকস। ৭ চার ও ১ ছয়ে ৭৪ বলে করেন ৬৩। উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান জস বাটলারের ঝড়ো ইনিংসে ১২ ওভার বাকি থাকতেই জয় পায় ইংলিশরা। ৩ ছয় ও ২ চারে ২০ বলে ৩৬ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন বাটলার।
দিনের শুরুতে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামা নিউজিল্যান্ড ইনিংসে ছিল রান আউটের মহড়া। ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হয়েছেন চার কিউই ব্যাটসম্যান! টপ অর্ডারে গাপটিল ছাড়া ব্যর্থ সবাই, ১৪৭ রানের মাঝে নেই ৮ উইকেট। নিউজিল্যান্ডের স্কোর যে ২০০ পেরিয়েছে, সেটার বড় কৃতিত্ব দিতে হবে মিচেল স্যান্টনারের ইনিংসকেই।
প্রথম ম্যাচে এই স্যান্টনারের ব্যাটেই দারুণ এক জয় পেয়েছিল নিউজিল্যান্ড। আজও দলের বিপদে ত্রাতা ছিলেন তিনিই। নবম উইকেটে লকি ফারগুসনের সাথে যোগ করেন ৬৯ রান। ৬ চার ও এক ছয়ে ৫২ বলে ৬৩ করে অপরাজিত থাকেন স্যান্টনার। যদিও শেষ পর্যন্ত তার ইনিংসটি বিফলেই গেছে।