• নিউজিল্যান্ড-ইংল্যান্ড সিরিজ
  • " />

     

    সোধির অবিশ্বাস্য প্রতিরোধে সিরিজ নিউজিল্যান্ডের

    সোধির অবিশ্বাস্য প্রতিরোধে সিরিজ নিউজিল্যান্ডের    

    স্কোর

    নিউজিল্যান্ড ২৭৮, ২৫৬/৮ ( লাথাম ৮৩, সোধি ৫৬*, উড ২/৪৫) 

    ইংল্যান্ড ৩০৭, ৩৫২/৯ ডিক্লে

    ম্যাচ ড্র 


    এটাই কি তার ‘ক্যারিয়ার সেরা’ ইনিংস? ‘বোলার’ ইন্দেবির সিং সোধি বোধহয় আপত্তি করবেন না। আপত্তি থাকার কথা না নিউজিল্যান্ডের কারোরই। তার ১৬৮ বলের ৫৬ রানের হার না মানা অসাধারন এক ইনিংসেই যে ম্যাচ বাঁচিয়েছে কিউইরা। ক্রাইস্টচার্চে রোমাঞ্চকর শেষ দিনে ম্যাচ ড্র হওয়ায় ২ উইকেটের আফসোস নিয়েই মাঠ ছেড়েছে রুটের দল, হাতছাড়া হয়েছে সিরিজটাও। এই ড্রয়ে ৩৪ বছর পর ঘরের মাটিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জিতল নিউজিল্যান্ড।

     

     

    ‘মাটি কামড়ে পড়ে থাকা’, প্রবাদটার বাস্তব চিত্র যেন আজ ফুটে উঠেছিল সোধির ব্যাটে। ইংলিশ বোলারদের উপহার দিয়েছেন শুধুই হতাশা। তার পাশাপাশি ধৈর্যের প্রতিমূর্তি হয়ে উঠেছিলেন আরেক বোলার নেইল ওয়াগনার, খেলেছেন ১০৩ বল! কলিন ডি গ্র্যান্ডহোমও কম যান না, টিকে ছিলেন  ৯৭ বল। এই তিনজনের কৃতিত্বেই মূলত পরাজয় এড়িয়েছে নিউজিল্যান্ড।

    জয়ের জন্য নিউজিল্যান্ডকে ভাঙতে হতো রেকর্ড। কালকেই ইংল্যান্ড বুঝে গিয়েছিল, জয় নয়, ড্রয়ের জন্যই খেলছে নিউজিল্যান্ড। আবহাওয়ার কারণে সেই পালে হাওয়া লেগেছিল কাল। আজ সকাল থেকে অবশ্য আকাশে ঝকঝকে রোদ। আকাশের মতো হেসেছেন ইংলিশ বোলাররাও। প্রথম সেশনেই টপ অর্ডারের ৫ ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে পরাজয় চোখ রাঙাচ্ছিল কেন উইলিয়ামসনের দলকে। সেঞ্চুরি থেকে ১৭ রান দূরে থাকতে ফেরেন টম লাথাম। মাঝের সেশনে আরও দুই উইকেট পড়লে ইংল্যান্ডের জয়কে সময়ের ব্যাপারই মনে হচ্ছিল।

    তখনই শুরু গ্র্যান্ডহোম-সোধির প্রতিরোধ। দুজন ব্যাট করেছেন ২৬ ওভার! কোনোভাবেই যেন তাদের এই জুটি ভাঙতে পারছিলেন না ব্রড-অ্যান্ডারসরা। ভাগ্যও আজ সহায় ছিল না ইংলিশদের, বেশ কয়েকবার আউট হওয়ার কাছে গিয়েও বেঁচে গেছে দুজন। হুট করেই এরপর ‘মতিভ্রম’ হয় গ্র্যান্ডহোমের, উড়িয়ে মারতে গিয়ে মার্ক উডের বলে আউট হন। খানিকটা আশা জেগে ওঠে ইংল্যান্ড শিবিরে।

    কিন্তু ওই আশা জাগা পর্যন্তই। গ্র্যান্ডহোমের পর ব্যাটিংয়ে নামা ওয়াগনার দুর্দান্ত সঙ্গ দিয়েছেন সোধিকে। ১০৩ বল খেলে করেছেন ৭ রান। এই জুটি সামলেছে ১৮৮ বল! অন্যদিকে সোধি করেছেন ক্যারিয়ারের তৃতীয় ফিফটি। কিন্তু এই ফিফটি ছিল একটু বেশিই ‘স্পেশাল’। ১৬৮ বল খেলে ম্যাচ ড্র করেই মাঠ ছেড়েছেন। শেষ ১০ মিনিটে অবশ্য খানিকটা রোমাঞ্চ ছড়িয়েছিল ওয়াগনারের উইকেট পড়লে, তবে ওটাই ছিল ম্যাচের শেষ বল।