একদিকে সাউদি, আরেকদিকে বেইরস্টো
ক্রাইস্টচার্চ টেস্ট, প্রথম দিনশেষে
ইংল্যান্ড ১ম ইনিংস ২৯০/৮* (বেইরস্টো ৯৭*, উড ৫২, সাউদি ৫/৬০, বোল্ট ৩/৭৯)
শুধু বিদেশের মাটিতে টানা ১৩ টেস্ট জয়হীন থাকার অনাকাঙ্খিত রেকর্ডটা এড়াতে নয়, দুই ম্যাচ সিরিজে সমতা ফেরাতেও ক্রাইস্টচার্চে জয়ের বিকল্প নেই ইংল্যান্ডের। দলের আবহটা বদলাতে ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো চোট ছাড়াই বাদ পড়লেন মইন আলি, বাদ পড়লেন ক্রিস ওকসও। সমারসেটের বাঁহাতি স্পিনার জ্যাক লিচের অভিষেক হলো, দলে ফিরলেন মার্ক উড।
তবে নিউজিল্যান্ড তো ইংল্যান্ডের জন্য সেই পুরোনো ভয়ঙ্করই, অকল্যান্ডের মতোই। টিম সাউদি-ট্রেন্ট বোল্টের আক্রমণ ইংলিশ লাইন-আপ চিড়ে বেরিয়ে যাওয়ার জন্য যেন সদা প্রস্তুত। সাউদি আজও নিলেন পাঁচ উইকেট, বোল্ট তিনটি। তবে বিরুদ্ধ স্রোতে দাঁড়িয়ে আছেন জনি বেইরস্টো, তার অপরাজিত ৯৭ রানের ইনিংসেই ৮ উইকেটে ২৯০ রানে প্রথম দিনটা শেষ করেছে ইংল্যান্ড, এখানে কৃতিত্বের দাবিদার মার্ক উডও, তার ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি নিয়ে।
টসে জিতেছে নিউজিল্যান্ড, ইংল্যান্ড দিন শুরু করেছে সাউদি-আক্রমণের শিকার হয়েই। ফুললেংথের সুইংয়ে বোল্ড অ্যালেস্টার কুক, ২ রান করে। দুইবার রিভিউয়ের হাতে নিজেকে সঁপে দেওয়া জেমস ভিনস এলবিডাব্লিউই হয়েছেন, সাউদির বলেই, আম্পায়ারস কলে রিভিউটা বাঁচলেও এ যাত্রায় বাঁচেননি তিনি। নিউজিল্যান্ডের হাত থেকে লাগামটা এরপর নিয়েছিলেন জো রুট ও মার্ক স্টোনম্যান।
দারুণ টাইমিংয়ে শট খেলতে থাকা রুট এরপর মিস করে গেলেন লাইন, সম্পূর্ণভাবেই, ৩৭ রান করে। এবারও হন্তারক সাউদি, স্টোনম্যানের সঙ্গে তার জুটি থেমেছে ৫৫ রানেই। প্রথম বলেই বোল্টের বলে এলবিডাব্লিউ হয়েছেন ডেভিড মালান, ইংল্যান্ড চাপে পড়েছে আরেকবার। ব্যাটের নতুন স্পন্সর পাওয়া বেন স্টোকসের সঙ্গে এরপর আরেকবার লাগাম নেওয়া চেষ্টা করেছেন জনি বেইরস্টো, হ্যাগলি ওভালের পিচে সাউদিদের খুব বেশি ভয়ঙ্কর না ধরনের শর্ট বলগুলো সামলেছেন ভালভাবেই। এর আগেই সাউদির ড্রাইভিং লেংথের ধোঁয়াশাপূর্ণ বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়েছেন স্টোনম্যান, ৩৫ রান করে।
বোল্টের লেগসাইড দিয়ে বেরিয়ে যাওয়া বলে খোঁচা মেরেছেন স্টোকস, বেইরস্টোর সঙ্গে তার ৫৭ রানের জুটি ভেঙেছে তাতেই। সাউদির ব্যাক অব আ লেংথে ব্যাকফুটে গিয়ে তুলে মারতে গিয়ে ধরা পড়েছেন ব্রড, বেইরস্টো তখন সঙ্গীহীনতায় ভোগার উপক্রম।
ত্রাতা হয়ে এলেন নয়ে নামা মার্ক উড। ওয়ানডে দলে মোটামুটি নিয়মিত সদস্য তিনি, বেইরস্টোর সঙ্গে তার জুটি হলো ওয়ানডে স্টাইলেই। ১৮ ওভারে দুইজন মিলে তুললেন ৯৫ রান, ১১তম টেস্টে ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি পেলেন উড। তার আগেই ফিফটি হয়েছে বেইরস্টোর।
৬২ বলে ৫২ রান করা উডকে বোল্ড করেই পাঁচ উইকেট পূর্ণ করেছেন সাউদি। দিনশেষে বেইরস্টোর সঙ্গী অভিষিক্ত লিচ, ১০ রানে।