ম্যাচ বাঁচাতে লড়ছে নিউজিল্যান্ড
স্কোর
চতুর্থ দিনশেষে
নিউজিল্যান্ড ২৭৮, ৪২/০ (লাথাম ২৫*, রাভাল ১৭*)
ইংল্যান্ড ৩০৭, ৩৫২/৯ ডিক্লে ( ভিন্স ৭৬, স্টোনম্যান ৬০, বেইরস্টো ৩৬, গ্র্যান্ডহোম ৪/৯৪)
জয়ের জন্য নিউজিল্যান্ডের প্রয়োজন আরও ৩৪০ রান
জিততে হলে গড়তে হবে রেকর্ড। শেষ দেড় দিনে ৩৮২ রান তাড়া করা যে মোটামুটি ‘অসম্ভবের’ কাছাকাছি, সেটা বুঝেই কিনা ‘প্রস্তর যুগের’ ব্যাটিং করছিলেন নিউজিল্যান্ডের দুই ওপেনার। ম্যাচ বাঁচানোই যে তাদের লক্ষ্য, সেটা স্পষ্ট ছিল ইনিংসের শুরু থেকেই। সেই লক্ষ্যে কিউইদের সঙ্গী হয়েছে আবহাওয়াও। রুটদের হতাশা বাড়িয়ে আলোকস্বল্পতার কারণে ক্রাইস্টচার্চে চতুর্থ দিনের খেলা বন্ধ হয়েছে ২৪ ওভার আগেই। জয়ের জন্য এখনো নিউজিল্যান্ডের প্রয়োজন ৩৪০ রান, ইংল্যান্ডের ১০ উইকেট।
গত দিনের লিডটা আজ আরও বাড়িয়েছেন ইংলিশ ব্যাটসম্যানরা। প্রথম ঘণ্টাটা দেখে শুনে পার করেন রুট-মালান জুটি। এরপর তিন বলের ব্যবধানে ফেরেন দুজন। ফেরার আগে অবশ্য ফিফটি করেছেন দুজনই। কিছুক্ষণ পর কলিন ডি গ্র্যান্ডহোমের বলে বেন স্টোকস ফিরলে ইংল্যান্ডকে কম রানেই বেধে ফেলার স্বপ্নটা উজ্জ্বল হয়।
তবে উইলিয়ামসনদের সেই আশায় গুড়েবালি। দলের লেজকে সাথে নিয়ে লিডটা নিউজিল্যান্ডের ধরাছোঁয়ার বাইরে নিয়ে গেছেন ইংলিশ উইকেটকিপার জনি বেইরস্টো। ৫ চারে সাজানো ইনিংসে ৫ ৪ বলে করেন ৩৬ রান।
নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে যখন ওয়াগনারের বলে ফিরলেন বেইরস্টো, ইংল্যান্ডের লিড তখন ৩৮১ রান। দিনের তখনও বাকি ৪৭ ওভার। লিডটা যথেষ্ট হয়েছে ভেবেই বেইরস্টো ফেরার সাথে সাথেই ইনিংস ঘোষণা করলেন রুট।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে কোনো তাড়াহুড়াই দেখাননি নিউজিল্যান্ডের ওপেনিং জুটি। ব্রড-অ্যান্ডারসনদের ধৈর্যের পরীক্ষা নিয়ে দাতে দাঁত চেপেই পার করে দিয়েছেন অনেকটা সময়। টম লাথাম ও জিত রাভাল ক্রিজে কাটিয়েছেন ২৩ ওভার, রান উঠেছে মাত্র ৪২!
দিনের শেষ সেশনে যখন কিউইদের কিছু উইকেট তুলে নেওয়ার পরিকল্পনা সাজাচ্ছিলেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক, তখনই আলোকস্বল্পতার জন্য খেলা বন্ধ করেন আম্পায়ার। সাথে যোগ হয় হালকা বৃষ্টিও। সব মিলিয়ে সিদ্ধান্ত হয়, আজ আর খেলাই হচ্ছে না। আগামীকাল আধ ঘণ্টা আগে শুরু হবে পঞ্চম দিনের খেলার।