• নিউজিল্যান্ড-ইংল্যান্ড সিরিজ
  • " />

     

    ইংল্যান্ডের রোমাঞ্চকর জয়ে উইলিয়ামসনের নিস্ফলা সেঞ্চুরি

    ইংল্যান্ডের রোমাঞ্চকর জয়ে উইলিয়ামসনের নিস্ফলা সেঞ্চুরি    

    স্কোর

    ইংল্যান্ড ৫০ ওভারে ২৩৪ ( মরগান ৪৮, স্টোকস ৩৯, সোধি ৩/ ৫৩)

    নিউজিল্যান্ড ৫০ ওভারে ২৩০/৮ (উইলিয়ামসন ১১২*, স্যান্টনার ৪১, আলি ৩/৩৬)

    ইংল্যান্ড ৪ রানে জয়ী


     শেষ ওভারে প্রয়োজন ১৫। ক্রিস ওকসের তৃতীয় বলে মিড উইকেটের ওপর দিয়ে ছয় মেরে ওয়েলিংটনের দর্শককে জয়ের স্বপ্ন দেখানো শুরু করলেন নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। পরের বলেই নিলেন ২ রান। শেষ দুই বলে দরকার পাঁচ, একটা চার মারলেই ম্যাচ টাই, এউইন মরগানের মুখটাও তখন মলিন। ওকস অবশ্য সেই মলিন মুখে হাসি ফোটালেন। দুই বলে কোনো রান এলো না, শেষ ওভারের রোমাঞ্চে জয় পেল ইংল্যান্ডই। তৃতীয় ওয়ানডেতে নিউজিল্যান্ডকে ৪ রানে হারিয়ে সিরিজে ২-১ এ এগিয়ে গেলেন মরগানরা।

    ম্যাচটা যে শেষ ওভার পর্যন্ত গেছে, সেটা উইলিয়ামসন-স্যান্টনার জুটির কারণেই। ইংল্যান্ডের দেওয়া ২৩৫ রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো হলেও মাঝে এসে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে কিউইরা। ১ উইকেটে ৮০ রান থেকে ৬ ওভারের ব্যবধানেই নিউজিল্যান্ডের স্কোর দাঁড়ায় ৬ উইকেটে ১০৩। আদিল রশিদ ও মঈন আলির স্পিনে দাঁড়াতেই পারেনি নিউজিল্যান্ডের মিডল অর্ডার।

    স্যান্টনারকে নিয়ে উইলিয়ামসন শুধু বিপর্যয়ই সামাল দেননি, দুইজনের ৯৬ রানের জুটি জয়ের খুব কাছেই নিয়ে গিয়েছিল নিউজিল্যান্ডকে। সবকিছু পরিকল্পনা অনুযায়ীই হচ্ছিল, ঠিক তখনই ভাগ্য বাধা হয়ে দাঁড়াল স্যান্টনারের। উইলিয়ামসনের শট ওকসের হাতে লেগে স্টাম্পে লাগলে ৪১ রানে রান আউট হয়েই ফিরলেন স্যান্টনার।

    নিউজিল্যান্ডের আশার প্রদীপ হয়ে টিকে ছিলেন এক উইলিয়ামসনই। ক্যারিয়ারের ১১তম সেঞ্চুরি পেলেও শেষ পর্যন্ত জয়টা এনে দিতে পারেননি দলকে। ৬ চার ও ২ ছয়ে ১৪৩ বলে ১১২ রানের অপরাজিত ইনিংসটি তাই বৃথাই গেছে।

    টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছে ইংল্যান্ড। মরগান, স্টোকস, বাটলাররা নিজেদের ইনিংসের ভালো সূচনা করেছেন ঠিকই, তবে কেউই বড় স্কোর করতে পারেননি। কিউদিদের মতো ইংলিশরাও ভুগেছে স্পিনে, বাটলার ও স্টোকসের আগে বেইরস্টোর উইকেটও নিয়েছেন লেগস্পিনার ইশ সোধি। জ্যাসন রয় ও শেষদিকে ক্রিস ওকসের উইকেট গেছে ট্রেন্ট বোল্টের কাছে। .৫০ ওভার ব্যাটিং করলেও ২৩৪ রানের বেশি তুলতে পারেনি ইংল্যান্ড।