• নিউজিল্যান্ড-ইংল্যান্ড সিরিজ
  • " />

     

    নিউজিল্যান্ডকে জেতালেন 'অতিমানব' টেলর

    নিউজিল্যান্ডকে জেতালেন 'অতিমানব' টেলর    

    সংক্ষিপ্ত স্কোর 

    ইংল্যান্ড ৫০ ওভারে ৩৩৫/৯ (বেইরস্টো ১৩৮, রুট ১০২, সোধি ৪/৫৮)

    নিউজিল্যান্ড ৪৯.৩ ওভারে ৩৩৯/৫ (টেলর ১৮১*, লাথাম ৭১, কারান ২/৫৭)

    নিউজিল্যান্ড ৫ উইকেটে জয়ী


    ধারাভাষ্যকার ডেভিড লয়েড এক পর্যায়ে বলেই ফেললেন, ম্যাচ জেতালে সতীর্থদের উচিত তাকে কাঁধে করে ড্রেসিংরুমে নিয়ে যাওয়া! ভুল বলেননি লয়েড, ‘এক পায়ের’ রস টেলরের ইনিংসটি যে তাকে কাঁধে তোলার মতোই। ম্যাচের প্রায় অর্ধেকটা সময় খুড়িয়ে খুড়িয়ে খেলা টেলর আজ সত্যিই হয়ে উঠেছিলেন ‘অতিমানব’। অপরাজিত ১৮১ রানের অবিশ্বাস্য ইনিংস খেলে একাই নিউজিল্যান্ডকে এনে দিয়েছেন ৫ উইকেটের দারুণ এক জয়। তাঁর সেঞ্চুরিতেই ম্লান হয়ে গেছে ইংল্যান্ডের জো রুট ও জনি বেইরস্টোর সেঞ্চুরি।

     

     

    লক্ষ্য ৩৩৬, ২ রানের মাঝেই দুই ওপেনার ফিরেছেন রানের খাতা না খুলেই। টেলর যখন ক্রিজে নামলেন, জয়টাকে মনে হচ্ছিল বহু দূরের পথ। কেন উইলিয়ামসনকে নিয়ে ৮৪ রানের জুটি গড়ে জয়ের প্রামথিক ভিত গড়েন। ৪৫ রান করা উইলিয়ামসন ফেরেন স্টোকসের বলে, কিউইদের স্কোরবোর্ডে তখন ৮৬ রান। 

    এর পরের গল্পটা শুধুই টেলরের। ডানেডিনের তুলনামূলক ‘ছোট’ মাঠকে আরও বেশি ছোট লাগছিল টেলরের দানবীয় ছয়ের জন্য। ৬ ছক্কার ৩টিই গেছে মাঠের বাইরে, মেরেছেন ১৭টি চারও। সেঞ্চুরির কিছুক্ষণ আগে পায়ে পেলেন ব্যথা, প্রাথমিক চিকিৎসা নিলেও বাকি সময়টা খুড়িয়েই কেটেছে। তীব্র ব্যথাও অবশ্য দমাতে পারেনি টেলরকে। ইংলিশ বোলারদের ওপর তান্ডব চালিয়ে পেয়েছেন ক্যারিয়ারের ১৯তম সেঞ্চুরি। টেলরকে দারুণ সঙ্গ দিয়েছেন টম লাথামও। ৬৭ বলে ৭১ রান করে টম কারানের বলে ফেরেন লাথাম।

    লাথাম ফেরার পর হয়ত ঘুরে দাঁড়ানোর আশা করছিল মরগানরা। ১২ বলের ২৩ রানের ছোট্ট এক ঝড়ে সেই আশাকে উড়িয়ে দিয়ে দলকে জয়ের আরও কাছে পৌঁছে দিয়েছেন কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম। ম্যাচের একদম শেষে গিয়ে খানিকটা রোমাঞ্চের আভাস দিয়েছিলেন কারান। শেষ ওভারে প্রথম বল ডট হলে খানিকটা অস্বস্তি ভর করে নিউজিল্যান্ড ড্রেসিংরুমে। তৃতীয় বলে ছয় মেরেই কিউইদের আনন্দে ভাসান হেনরি নিকলস।

    টেলর মহাকাব্যে ম্লান হয়েছে রুট-বেইরস্টোর অসাধারন সেঞ্চুরি। টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে দুজনের ১৯০ রানের জুটি বড় স্কোরের দিকেই নিয়ে যাচ্ছিল ইংল্যান্ডকে। ১৩৮ রান করা বেইরস্টোকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙ্গেন কলিন মানরো।

    বেইরস্টো ফেরার পড়েই খেই হারিয়ে ফেলে ইংল্যান্ড। ১ উইকেটে ২৬৭ রান থেকে নিমেষেই ইংল্যান্ডের স্কোর দাঁড়ায় ৯ উইকেটে ৩১৩। ৪৬ রানেই পড়ে তাদের শেষ ৮ উইকেট। রুট আউট হয়েছেন ১০২ রান করে। মিডল অর্ডারের ৫ ব্যাটসম্যান দুই অংক ছুঁতে পারেননি, নাহলে স্কোরটা ৪০০ রানের কাছে অনায়াসেই যেতে পারত বদলে যেতে পারত ম্যাচের ফলাফলটাও। শেষের দিকে কারানের ২২ রানের সুবাদে ৩৩৫ রান করে ইংল্যান্ড।

    এই জয়ে সিরিজে ২-২ এ সমতা আনল নিউজিল্যান্ড। আগামী শনিবার ক্রাইস্টচার্চের পঞ্চম ম্যাচটা তাই সিরিজের অঘোষিত ফাইনাল।