• নিউজিল্যান্ড-ইংল্যান্ড সিরিজ
  • " />

     

    বেইরস্টো ঝড়ে সিরিজ ইংল্যান্ডের

    বেইরস্টো ঝড়ে সিরিজ ইংল্যান্ডের    

    স্কোর

    নিউজিল্যান্ড ৪৯.৫ ওভারে ২২৩ ( স্যান্টনার ৬৭, নিকলস ৫৫, ওকস ৩/৩২, রশিদ ৩/৪২)

    ইংল্যান্ড ৩২.৪ ওভারে ২২৯/৩ ( বেইরস্টো ১০৪, হেলস ৬১, স্যান্টনার ১/৪৪)

    ইংল্যান্ড ৭ উইকেটে জয়ী


     

    চতুর্থ ম্যাচে রস টেলরের অতিমানবীয় ইনিংস জমিয়ে তুলেছিল সিরিজ। শেষ ম্যাচটা তাই ছিল অঘোষিত ফাইনাল। ক্রাইস্টচার্চের পঞ্চম ওয়ানডে অবশ্য উত্তেজনা ছড়াতে পারল না একটুও, সিরিজও শেষ হলো একপেশে ম্যাচ দিয়েই। ওকস-রশিদের দুর্দান্ত বোলিং ও বেইস্টোর সেঞ্চুরিতে নিউজিল্যান্ডকে ৭ উইকেটে হারিয়ে ৩-২ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নিল ইংল্যান্ড।

     

     

    লক্ষ্য ছিল ২২৪। সেটাকে আরও মামুলি বানিয়ে দিয়েছেন বেইরস্টো-হেলস জুটি। ২০ ওভারের মাঝেই উঠলো দেড়শ রান। আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি করেও পরাজিত দলে থাকতে হয়েছিল বেইরস্টোকে। আজ তার ৫৮ বলে সেঞ্চুরি দলের জয়ের ভিত গড়ে দিয়েছে প্রথম ১৫ ওভারেই। ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরিটা ইংল্যান্ডের হয়ে তৃতীয় দ্রুততম সেঞ্চুরিও বটে।

    ৯ চার ও ৬ ছয়ে বেইরস্টো ছিলেন অপ্রতিরোধ্য। শেষ পর্যন্ত তাকে আউট করতে পারলেন না কোনো কিউই বোলারই, ট্রেন্ট বোল্টের বলে হিট উইকেট হয়েই ফিরেছেন। তার ফেরায় ভাঙ্গে ১৫৫ রানের উদ্বোধনী জুটি। এরপর কিছুক্ষণের মাঝেই ফেরেন ৬১ রান করা হেলস। বাকি কাজটা দ্রুতই সারেন জো রুট ও বেন স্টোকস। ১৭ ওভার ২ বল হাতেই রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করে ইংল্যান্ড।

    ম্যাচ শুরুর আগেই সবচেয়ে বড় ধাক্কাটা খায় নিউজিল্যান্ড। আগের ম্যাচে নায়ন টেলর আজ ইনজুরির কারণে খেলতে পারেননি। টেলরের অভাবটা ভালোই টের পেয়েছে কেন উইলিয়ামসনের দল। তৃতীয় বলেই ক্রিস ওকসের বলে আউট হন কলিন মানরো। ওকসের সাথে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছিলেন আদিল রশিদও।

    ৯৩ রানেই ৬ উইকেট হারানো নিউজিল্যান্ডকে সম্মানজনক স্কোর এনে দেন পুরো সিরিজেই দারুণ ব্যাটিং করা মিচেল স্যান্টনার। হেনরি নিকলসের সাথে তার ৮৪ রানের জুটিই কিছুটা লড়াইয়ের পুঁজি এনে দেয়। ৫৫ রান করে টম কারানের বলে আউট হন নিকলস। ৬৭ রান করা স্যান্টনারকে ফেরান ওকস।