কিক অফের আগেঃ আর্জেন্টিনার প্রথম পরীক্ষা আইসল্যান্ড
আর্জেন্টিনার প্রথম পরীক্ষা আইসল্যান্ড
আর্জেন্টিনা বনাম আইসল্যান্ড; গ্রুপ ‘ডি’; স্পার্টাক স্টেডিয়াম; ১৬ জুন, সন্ধ্যা ৭টা; টেন ২/৩
চার বছর আগে মারাকানায় রানার্স-আপ মেডেল নিতে যাওয়ার সময় বিশ্বকাপ শিরোপার দিকে লিওনেল মেসির শূন্যদৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকার ছবিটা আজও তাড়িয়ে বেড়ায় আর্জেন্টাইন সমর্থকদের। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিলের মারাকানায় তীরে এসে তরী ডোবানোর পর আজ আবারও বিশ্বজয়ের মিশনে নামছে আর্জেন্টিনা। মেসি-আগুয়েরোদের প্রথম ম্যাচের প্রতিপক্ষ আয়তন, জনসংখ্যার দিক দিয়ে ছোট হলেও তাদের গল্পটা আকাশছোঁয়া। ২০১৬-তে প্রথমবার ইউরো খেলার পর আইসল্যান্ড আজ নামছে নিজেদের প্রথম বিশ্বকাপ খেলতে। ইউরোতে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনাল খেলেছিল স্ক্যান্ডিনেভিয়ার দেশটি। এবার নিজেদের বাছাইপর্বে চ্যাম্পিয়ন হয়ে তারা প্রমাণ করেছে, এবারও বিস্ময়কর কিছু উপিহার দেওয়ার সামর্থ্য আছে তাদের।
তাহারা বলেন
খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে বাছাইপর্ব পার করা আর্জেন্টাইনদের স্কোয়াড, বা তার অধীনে মেসিদের খেলা- কোনোটিই মন কাড়তে পারেনি সমর্থকদের। সেজন্য বিশ্বকাপে ভাল করার প্রচন্ড চাপ এবং প্রত্যাশা নিয়েই রাশিয়া এসেছেন হোর্হে সাম্পাওলি। তবে বাছাইপর্বের যাত্রা ভুলে শুরু করতে চাইছেন নতুন দিনের যাত্রা, “হ্যাঁ এটা ঠিক যে আমরা দল হিসেবে প্রত্যাশামত হয়ত খেলতে পারছি না, কিন্তু সেসব এখন ইতিহাস। আজ থেকে এক মাস যে ভাল খেলবে, বিজয়ের হাসি সে-ই হাসবে।” প্রথমবারের মত বিশ্বকাপে আসা আইসল্যান্ডকে খাট করে দেখছেন কি না, এমন প্রশ্ন উঠতেই শশব্যস্ত হয়ে পড়লেন সাম্পাওলি, “বিশ্বকাপে কোনো দল ছোট বা বড় নয়। আর তারা (আইসল্যান্ড) তো ইংল্যান্ডের মত দলকেও হারিয়েছে। সেটপিসে তারা বেশ ভয়ঙ্কর। প্রতি আক্রমণেও তারা বেশ দক্ষ। রক্ষণে এই দুটি বিষয়ে আমাদের ভালমত খেয়াল রাখতে হবে।" বাছাইপর্বে আক্ষরিক অর্থেই মেসির ওপর নির্ভর করেই রাশিয়ার টিকেট পাকা করেছে আর্জেন্টিনা। মূল আসরেও মেসির প্রতি এতটা নির্ভরশীল থাকবে কি না তার দল; এমন প্রশ্নে সাম্পাওলি বলেন, “দেখুন আপনার দলে মেসির মত একজন থাকলে অবশ্যই দলের খেলায় তার প্রভাবটাই থাকবে সবচেয়ে বেশি। বাছাইপর্বে সে আমাদের ত্রাণকর্তা ছিল বেশ কয়েকবার। তবে আশা করি মূলপর্বে কুন (আগুয়েরো) এবং গঞ্জালোরাও (হিগুয়াইন) নিজেদের সামর্থ্যে জানান দিয়ে মেসির ওপর থেকে চাপটা কমাবে।” প্রথম বিশ্বকাপ খেলতে আসা লেফটব্যাক নিকোলাস তালিয়াফিকোর কণ্ঠেও জয়ের দৃঢ় প্রতিজ্ঞা, “আইসল্যান্ড খুবই গোছানো একটি দল। প্রথম বিশ্বকাপ বলে তাদের ছোট করে দেখা স্রেফ বোকামী। আমরা তাদের আগের ম্যাচের ভিডিও দেখেছি কিছু এবং আমরা মনে করি আগামীকালের (আজ) জন্য আমরা প্রস্তুত। আশা করছি জয় নিয়েই ফিরতে পারব।”
নিজের এবং দেশের প্রথম বিশ্বকাপ ম্যাচের আগে বেশ খোশমেজাজেই ছিলেন আইসল্যান্ড কোচ হেইমির হালগ্রিমসন, “আগামীকালের (আজ) ম্যাচটি আমাদের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ম্যাচ। চার বছর আগে আমরা কেউ বিশ্বকাপে খেলার কথা ভাবতেও পারতাম না। কিন্তু স্বপ্ন দেখতাম একদিন এখানে আসার। শত ত্যাগ, প্রতিজ্ঞার জোরে আজ আমরা এখানে। অনেকেই বলে আমাদের যাত্রাটা কোনো চমৎকার বা বিস্ময়। আমি বলবো এটা প্রবল অধ্যবসায় এবং সাধনার ফল। দল হিসেবে আমরা প্রচন্ড একতাবদ্ধ। ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে আমাদের অবস্থান ২০তম। তবে আর্জেন্টিনা আর্জেন্টিনাই। তাদের আছে মেসি, আগুয়েরোর মত ফুটবলার। তবে তাদের রুখে দেওয়ার মত মানসিকতাও আছে আমাদের।”
দলের খবর
পূর্নশক্তির দল নিয়েই মাঠে নামছেন সাম্পাওলি। ম্যাচের আগের দিনই ঘোষণা করে দিয়েছেন দল। হালগ্রিমসনের একমাত্র দুশ্চিন্তা অধিনায়ক অ্যারন গানারসনের খেলা নিয়ে সংশয়। পিঠের ইনজুরি কাটিয়ে অনুশীলনে ফিরলেও তার ফিটনেস নিয়ে আছে সংশয়। মেসিকে আটকানোটাই মূল লক্ষ্য হলেও ডি মারিয়া-আগুয়েরোর দিকেও নজর রাখতে হবে আইসল্যান্ডকে। গানারসনের কাঁধেই থাকবে আর্জেন্টাইন আক্রমণ ভেস্তে দেওয়ার গুরুদায়িত্ব। দলের প্রায় সবাই দীর্ঘকায় হওয়ায় আর্জেন্টাইনদের বিপক্ষে নিশ্চিতভাবে ‘হাইট অ্যাডভান্টেজ’ পাবে হালগ্রিমসনের দল। সেটপিসগুলোতে তাই মাসচেরানো-ওটামেন্ডি-রোহোদের থাকতে হবে সদা সতর্ক।
সম্ভাব্য মূল একাদশঃ
আর্জেন্টিনা (৪-২-৩-১): কাবায়েরো; সালভিও, ওটামেন্ডি, রোহো, তালিয়াফিকো; মাসচেরানো, বিলিয়া; ডি মারিয়া, মেসি, মেজা; আগুয়েরো
আইসল্যান্ড (৪-৪-১-১): হ্যালডরসন; ইঙ্গাসন, সিগুর্ডসন, সেভারসন, ম্যাগনাসন; গুডমুন্ডসন, গানারসন, হালফ্রেডসন, বিয়ার্নেসন; সিগুর্ডসন; ফিনবোগেসন
সংখ্যায় সংখ্যায়
ইউরোপিয়ান প্রতিপক্ষের বিপক্ষে গ্রুপপর্বে ৭ ম্যাচ খেলে মাত্র ১বার হেরেছে আর্জেন্টিনা (৪ জয়, ২ ড্র)। শেষ তিন বিশ্বকাপের প্রতিবারই গ্রুপপর্বে চ্যাম্পিয়ন হয়েই শেষ ষোলতে গেছে মেসিরা। ১২ বছর আগে ঠিক আজকের এই দিনেই সার্বিয়া এবং মন্টেনেগ্রোর বিপক্ষে বিশ্বকাপে অভিষেক হয়েছিল মেসির।
ফ্রান্সের ‘সোনালী প্রজন্ম’-এর অমরত্বের লড়াই
ফ্রান্স বনাম অস্ট্রেলিয়া; গ্রুপ ‘সি’; কাজান; ১৬ জুন, বিকেল ৪টা; টেন ২/৩
কাগজে কলমে খুব সম্ভবত এবারের বিশ্বকাপের সেরা স্কোয়াড ফ্রান্সের। কিন্তু বাছাইপর্বে বেলারুশ, লুক্সেমবার্গের মত দলের সাথে ড্র, প্রীতি ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্রকে হারাতে না পারা- সব মিলিয়ে বিশ্বজয়ের মিশনের আগে কিছুটা হতাশই ফ্রান্সের সমর্থকেরা। বিশ্বজয়ের মিশনে ফরাসীদের প্রথম প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া; ধুঁকতে ধুঁকতে যারা নিশ্চিত করেছে রাশিয়ার টিকেট।
তাহার বলেনঃ
ইউরো ২০১৬-তেও দুর্দান্ত এক দল নিয়ে শেষমেশ ফিরতে হয়েছিল খালি হাতেই। ধারাবাহিকতার অভাবে ভোগা ফ্রান্সের প্রথম ম্যাচের আগে তবুও বেশ নির্ভারই মনে হল কোচ দিদিয়ের দেশমকে, “খুব সম্ভবত এই বিশ্বকাপের সবচেয়ে আক্রমণাত্মক দল অস্ট্রেলিয়া। ট্যাকেল নির্ভর খেলায় তারা বেশ দক্ষ। কিন্তু আমার মনে হয়, দলগতভাবে আমরা তাদের চেয়ে ভাল। বার্ট কোচ হয়ে আসার পর থেকেই দলটাকে বেশ গুছিয়ে নিয়েছে। ৩ জনের রক্ষণ ছেড়ে ৪ জনের রক্ষণে দলকে সাজিয়েছে সে। তবে তাদের দলে গোল করার মত বেশকিছু ফুটবলার আছে। তাদের আটকে দেওয়াটাই আমাদের মূল লক্ষ্য”। বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচের ঠিক আগের দিন ক্লাব অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদেই থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন স্ট্রাইকার আঁতোয়া গ্রিযমান। দলের অন্যতম মূল তারকার এমন সিদ্ধান্তটি ইতিবাচকই মনে করছেন দেশম, “এখন সে পুরোপুরি ভাবে বিশ্বকাপে মনোযোগী হতে পারবে যা আমাদের জন্য খুবই ভাল। সেই সাথে চাপমুক্ত থেকে নিজের সেরাটাও দিতে পারবে সে।”
বিশ্বকাপের অন্যতম ফেভারিটদের বিপক্ষে ম্যাচের আগে বেশ বাস্তববাদীই ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার কোচ ভ্যান মারউইক, “আমরা ফ্রান্সের বিপক্ষে ১০টি খেললে খুব সম্ভবত ৯টিতেই হারব। কালকের ম্যাচটি যেন ঐ ১টি ম্যাচ হয় যেটায় আমরা ড্র করতে বা জিততে পারি, সেটিই আমাদের মূল লক্ষ্য। আমরা গত ৪ সপ্তাহ কঠোর পরিশ্রম করেছি এবং আগামীকাল (আজ) নিজেদের সর্বোচ্চটা দিয়েই ভাল কোনো ফলাফল আনার চেষ্টা করব।”
দলের খবর
অস্ট্রেলিয়া পূর্ণশক্তির দল নামাতে পারলেও ফ্রান্সের মূল দুশ্চিন্তা রক্ষণে। রাইটব্যাক জিব্রিল সিদিবে এবং স্যামুয়েল উমতিতির খেলা নিয়ে আছে সংশয়। তরুণ এই দুই ডিফেন্ডার ফিট না হলে তাদের বদলে বেঞ্জামিন পাভার্দ এবং আদিল রামি। ফ্রান্সের ‘অল স্টার’ আক্রমণভাগ ঠেকানোটাই হবে অস্ট্রেলিয়ার মূল লক্ষ্য। গ্রিযমান-এম্বাপ্পেদের আটকানোর জন্য রীতিমত আটঘাঁট বেঁধেই নামতে হবে মেরেডিথ-ডেগেনেকদের। অধিনায়ক এবং মিডফিল্ডার মেইল জেডিনাকের ওপরও থাকবে পগবা-মাতুইদিদের সাথে ফরোয়ার্ডদের বোঝাপড়া রুখে দেওয়ার গুরুদায়িত্ব।
সম্ভাব্য মূল একাদশ
ফ্রান্স (৪-২-৩-১): লরিস; পাভার্দ, ভারান, রামি, মেন্ডি; মাতুইদি, কান্তে; ডেম্বেলে, পগবা, গ্রিযমান; এম্বাপ্পে
অস্ট্রেলিয়া (৪-৩-৩): রায়ান; ডেগেনেক, মেরেডিথ, মিলিগান, জুরমান; লুয়োঙ্গো, মুই, ক্রুস, নাবুত; লেকি, কাহিল, জুরিচ
সংখ্যায় সংখ্যায়
প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে এর আগে একবারই দেখা হয়েছিল দু’দলের। ২০০১ সালের কনফেডারেশনস কাপে ফ্রান্সকে ১-০ গোলে হারিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। শেষ ৯ বিশ্বকাপে মাত্র ২বার নিজেদের গ্রুপের শীর্ষ দল হিসেবে পরের রাউন্ডে গিয়েছে ফ্রান্স। ২০০৬ সালের কেবল গ্রুপপর্বের বাঁধা পেরুতে পেরেছিল সকারুরা।
বিশ্বকাপের প্রথম দেখায় শেষ হাসি কার?
ক্রোয়েশিয়া বনাম নাইজেরিয়া; গ্রুপ ‘ডি’; কালিনিনগ্রাদ; ১৬(১৭) জুন, রাত ১টা; টেন ২/৩
নব্বইয়ের দশকের সেই সোনালী যুগ হারিয়ে গেছে অনেক আগেই। কাগজে কলমে দল ভাল হলেও আগেকার মত বিস্ময় জন্ম দিতে পারে না ক্রোয়েশিয়া। শেষ ৪ বিশ্বকাপের ৩বারই বাদ পড়েছে গ্রুপপর্ব থেকেই। ব্রাজিল বিশ্বকাপে শেষ ষোলতে গেলেও সাম্প্রতিক ফর্ম বেশ ভোগাচ্ছে নাইজেরিয়াকে। আর্জেন্টিনা এবং আইসল্যান্ডকে নিয়ে গড়া ‘গ্রুপ অফ ডেথ’ থেকে দ্বিতীয় রাউন্ডে যেতে হলে আজ জয়ের বিকল্প নেই কারোই।
তাহারা বলেন
বাছাইপর্ব এবং প্রীতি ম্যাচে একাধিক পরীক্ষামূলক ফর্মেশন খেলিয়েছিলেন নাইজেরিয়া কোচ গের্নট রোর। নিজের পছন্দের ফর্মেশনটাও পেয়ে গেছেন তিনি, “অনেকগুলো ফর্মেশনে খেলালেও ছেলেরা প্রায় সবগুলোতেই ভাল করেছে। ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে রেখে আক্রমণাত্মক খেললে আমরা ভাল কিছুর আশা করতে পারি।” নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী বড় আসরে কখনোই পারফর্ম করতে না পারা দলটিকে নিয়ে অবশ্য এবার আশাবাদী ক্রোয়েশিয়ার কোচ ডালিচ, “অভিজ্ঞতা এবং তারুণ্যের মিশেলে দারুণ একটি দল আমাদের। খেলোয়াড়দের মাঝে বোঝাপড়াটাও দারুণ। আমাদের থেকে দেশবাসীর প্রত্যাশাও অনেক বেশি। এবার আশা করি সমর্থকদের গর্ব করার মতই কিছু করে দেখাবো আমরা।”
দলের খবর
প্রথম ম্যাচের আগে দু’দলের সবাই আছেন ফিট। পূর্ণশক্তির স্কোয়াড থেকেই পছন্দের একাদশ নামাতে পারবেন দু’দল। মাঝমাঠে মদ্রিচ-রাকিটিচ এবং মিকেল-এনদিদির লড়াইটা হবে দেখার মত। আর মানজুকিচ-বালগুন দ্বৈত লড়াইয়ের ওপর নির্ভর করছে দু’দলেরই ভাগ্য।
সম্ভাব্য মূল একাদশ
ক্রোয়েশিয়া (৪-২-৩-১): সুবাসিচ; চোরলুকা, লভ্রেন, ভিদা, স্ট্রিনিচ; রাকিটিচ, কোভাচিচ; পেরিসিচ, মদ্রিচ, ক্রামারিচ; মানজুকিচ
নাইজেরিয়া (৪-৩-৩): উজোহো; ইদুয়ো, একং, বালগুন, ওনাজি; মিকেল, এনদিদি, ইওবি; মুসা, ইগালো, ইহিয়ানাচো
সংখ্যায় সংখ্যায়
এবারই প্রথম কোনো প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে মুখোমুখি হচ্ছে দু’দল। বিশ্বকাপে নিজেদের শেষ ৭ ম্যাচে মাত্র ১বার জিতেছে ক্রোয়েশিয়া। সেই সাথে নিজেদের শেষ ৩ বিশ্বকাপের প্রতিটিতেই প্রথম ম্যাচ হেরেছে মদ্রিচরা।
‘মুক্ত’ গুরেরোতে পেরুর স্বপ্ন
পেরু বনাম ডেনমার্ক; গ্রুপ ‘সি’; সারানস্ক; ১৬ জুন, রাত ১০টা; টেন ২/৩
গত বছর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্লে-অফের সময় ডোপটেস্টে পজিটিভ আসায় নিষিদ্ধ হয়েছিলেন এক বছরের জন্য। আপিল সফল হলে অবশ্য ব্যান সরিয়ে নেয় ফিফা। কিন্তু আবারও অ্যান্টি-ডোপিং অথোরিটির রায়ে দু’বছরের জন্য সাজাপ্রাপ্ত হন তিনি। কিন্তু তখনই তার এসে দাঁড়ান গ্রুপের অন্য তিন দলের অধিনায়কেরা। ফিফার কাছে সুপারিশ করেন তার ব্যান উঠিয়ে নিতে। শেষমেশ মন গলে ফিফারও। সব নাটকীয়তা শেষে আজ ঠিকই পেরুর অধিনায়ক হয়েই মাঠে নামছেন তাদের সর্বসেরা ফুটবলার পাওলো গুরেরো। ডেনিশদের বিপক্ষে দলের মূল অস্ত্রের প্রত্যাবর্তনই হাওয়া যোগাচ্ছে পেরুর পালে।
তাহারা বলেন
গুরেরোকে নিয়ে এরই মাঝে জলঘোলা হয়েছে অনেক। তবে পেরু কোচ রিকার্ডো গারেচার মতে তার মূল চিন্তা এখন বিশ্বকাপ নিয়েই, “পাওলো আগে কী হয়েছে তা নিয়ে ভাবছে না। সে প্রচন্ড অনুপ্রারিত, পুরোদমে অনুশীলন করছে। ডেনমার্ক দারুণ একটি দল। পাওলোর সাথে দলের অন্যদেরও জ্বলে উঠতে হবে আজ।” ডেনিশ কোচ আগা হারিদার কাছে আজকের ম্যাচের গুরুত্ব অপরিসীম, “ফ্রান্স নিঃসন্দেহে এই গ্রুপের ফেভারিট। দ্বিতীয় স্থানের জন্যই লড়ছি আমরা। পরের রাউন্ডে যেতে হলে প্রত্যেকটি ম্যাচকেই আমাদের ফাইনাল হিসেবে খেলতে হবে।”
দলের খবর
পূর্ণশক্তির একাদশ নামাতে পারবেন দুই কোচই।
সম্ভাব্য মূল একাদশ
পেরু (৪-৫-১): গালিস; আদভিঙ্কুলা, রড্রিগেজ, রামোস, ট্রাকো; তাপিয়া, ইয়োতুন, ফারফান, কুয়েভা, ফ্লোরেস; গুরেরো
ডেনমার্ক (৪-২-৩-১): স্মেইকেল; ডালসগার্ড, কিয়ার, ক্রিস্টেনসেন, স্ট্রিগার; কেভিস্ট, ডেলানি; পোলসেন, এরিকসেন, সিস্টো; ইয়োর্গেনসেন
সংখ্যায় সংখ্যায়
এবারই প্রথম একে ওপরের মুখোমুখি হচ্ছে দুই দল। নিজেদের শেষ ৪ বিশ্বকাপের ৩টিতেই দ্বিতীয় রাউন্ডে গিয়েছিল ডেনমার্ক।