• কিক অফের আগে
  • " />

     

    কিক অফের আগেঃ সামর্থ্য জানান দিতে পারবে বেলজিয়াম-ইংল্যান্ড?

    কিক অফের আগেঃ সামর্থ্য জানান দিতে পারবে বেলজিয়াম-ইংল্যান্ড?    

    এবার পারবে বেলজিয়াম? 

    বেলজিয়াম বনাম পানামা, গ্রুপ জি, সোচি, ১৮ জুন রাত ৯টা

    আশির দশকের ইয়ান কিউলেমানসদের দলটাকে বলা হতো বেলজিয়ামের সোনালি প্রজন্ম। সেই কিউলেমানসই বলেন, এখনকার বেলজিয়াম দলটাই আসলে তাদের সোনালি প্রজন্ম! তারকাঠাসা দলটি গত বিশ্বকাপে অনেক আশা নিয়ে আসলেও শেষ পর্যন্ত কোয়ার্টারের বাধা পার করতে পারেনি। এডেন হ্যাজার্ড, রোমেলু লুকাকু, ভিনসেন্ট কোম্পানিদের নিয়ে গড়া বেলজিয়াম আবারও বিশ্বকাপে এসেছে চোখভরা স্বপ্ন নিয়ে। প্রথম ম্যাচেই প্রতিপক্ষ হিসেবে পাচ্ছে নবাগত পানামাকে। হ্যাজার্ড-লুকাকুরা কি পারবেন দারুণ এক জয় দিয়ে বড় দলগুলোর সবাইকে জানিয়ে দিতে যে, বেলজিয়াম আসছে! নাকি নিজের প্রথম ম্যাচেই চমক দেখাবে পানামা?

    পানামা কোচের চোখে ফেভারিট বেলজিয়ামই

    বেলজিয়ামের সোনালি প্রজন্মকে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য এনে দেওয়ার দায়িত্বে তিনি। বেলজিয়াম কোচ রবার্তো মার্টিনেজ নিজের স্কোয়াড নিয়ে দারুণ আশাবাদী, ‘এরকম একটা স্কোয়াড পাওয়া যেকোনো কোচের জন্য ভাগ্যের ব্যাপার। প্রতিভা, কৌশলের কোনো অভাব নেই তাদের। আমার কাজটা হচ্ছে দলের সবার সেরাটা বের করে আনা। বিশ্বকাপটা উপভোগ করতে হবে। তাহলেই ভালো ফল সম্ভব।’



     

    এদিকে পানামা যে একদমই ফেভারিট নয়, সেটা স্বীকার করে নিলেন কোচ হার্নান দারিও গোমেজ নিজেই, ‘আমাদের স্বপ্ন অনেক বড়। দেশে ফিরতে চাই ভালো কিছু স্মৃতি নিয়েই। কিন্তু আমরা যে ফেভারিট নয় সেটা নিজেরাও জানি। বেলজিয়াম দারুণ দল, তাদের স্কোয়াড দেখলেই তা বোঝা যায়। যদিও তাদের মেসি নেই, তাও তারা বিশ্বকাপের দাবিদার। তবে আমরা নিজেদের সেরাটা দেবো, দিন ভালো গেলে যেকোনো কিছুই হতে পারে!

    দলের খবর 

    পানামার স্কোয়াডে নেই কোনো ইনজুরি শঙ্কা। তবে বেলজিয়ামের মাথাব্যথার কারণ হতে পারে অধিনায়ক ভিনসেন্ট কোম্পানির ইনজুরি। প্রস্তুতি ম্যাচে পাওয়া ইনজুরি কাটিয়ে প্রথম ম্যাচে হয়ত বেঞ্চেই বসে থাকতে হতে পারে।

    সম্ভাব্য মূল একাদশ

    বেলজিয়াম(৩-৪-২-১):থিবো কোর্তোয়, ইয়ান ভেট্রোনহেন, ডেরিক বোয়াটা, টবি অ্যালডারউইরারেল্ড, অ্যাক্সেল উইটসেল, কেভিন ডি ব্রুইন, ইয়ানিক কারাসকো, থমাস মুনিয়ের, ড্রিস মারটেনস, এডেন হ্যাজার্ড, রোমেলু লুকাকু।

    পানামা(৪-১-৪-১):জেইমি পেনেডো, রোম্যান টরেস, ফিদেল এস্কোবার, এরিক ডেভিস, মাইকেল মিউরেলো, গ্যাব্রিয়েল গোমেজ, অ্যানিবাল গোডি, আরমান্ডো কুপার, এডগার বারসেনাস, হসে লুইস রড্রিগেজ, বাস পেরেজ।

    সংখ্যায় সংখ্যায়ঃ

    দুই দলের এটাই প্রথম দেখা। ফিফা র‍্যাঙ্কিংয়ের ৩ এ থাকা বেলজিয়াম লড়বে র‍্যাঙ্কিংয়ের ৫৫ নম্বরে থাকা পানামার বিপক্ষে। বেলজিয়ামকে বাড়তি অনুপ্রেরণা যোগাচ্ছে কনকাকাফ অঞ্চলের দলের বিপক্ষে তাদের ইতিহাস। এই অঞ্চলের দলের বিপক্ষে শেষ ১১ ম্যাচে হারেনি তারা। অন্যদিকে ইউরোপের দলের বিপক্ষে শেষ ৯ ম্যাচে একটিতেও জেতেনি পানামা, হেরেছে ৫ টি, ড্র হয়েছে ৪টি ম্যাচ।

     

    জার্মানির হারের সুযোগটা নিতে পারবে কে?

    দক্ষিণ কোরিয়া বনাম সুইডেন, গ্রুপ এফ, নিঝনি নভগোরদ, ১৮ জুন, সন্ধ্যা ৬টা

    প্রথম ম্যাচেই মেক্সিকোর কাছে হেরেছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন জার্মানি। দক্ষিণ কোরিয়া-সুইডেন ম্যাচটাই তাই গ্রুপ এফ এ জার্মানিকে পেছনে ফেলার লড়াই। এই ম্যাচে জিতলেই গ্রুপ থেকে দ্বিতীয় পর্বে ওঠার স্বপ্ন দেখা শুরু করবে কোরিয়া কিংবা সুইডেন। এশিয়ার হয়ে সবচেয়ে বেশিবার প্রতিনিধিত্ব করা কোরিয়া কি পারবে ২০০২ এর সুখস্মৃতি ফিরিয়ে আনতে? নাকি ইতালিকে বিশ্বকাপে আসতে না দেওয়া সুইডিশরা জয় নিয়েই এগিয়ে থাকবে গ্রুপে?

    অভিজ্ঞতাই মূল অস্ত্র কোরিয়ার? 

    দক্ষিণ কোরিয়া কোচ শিন তাই ইয়ং বলছেন, অভিজ্ঞতাই তাদের সুইডেনের বিপক্ষে এগিয়ে রাখবে, ‘বড় টুর্নামেন্টে অভিজ্ঞতাটা গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের দলের অনেকেরী বিশ্বকাপে খেলার অভিজ্ঞতা আছে, যা সুইডেনের নেই। আমরা এটার ফায়দা নেওয়ার চেষ্টা করব।’

    অভিজ্ঞতায় পিছিয়ে থাকলেও আত্মবিশ্বাসে ভরপুর সুইডেন, জানালেন কোচ ইয়ান অ্যান্ডারসন, ‘আমাদের আক্রমণভাগটা নিয়েই একটু চিন্তায় আছি। তবে গোল অনেকভাবেই আসতে পারে! দলের সবাই একসাথে খেলতে পারলে কোরিয়াকে হারাতে পারব। শুধু ধৈর্যহারা হলে চলবে না।’


    দলের খবরঃ

    দুই দলেই নেই কোন ইনজুরি শঙ্কা। ম্যাচের আগেই তাই নির্ভার হয়েই একাদশ সাজাবেন কোরিয়া ও সুইডেন কোচ।

    সম্ভাব্য একাদশঃ 

    দক্ষিণ কোরিয়া(৪-২-৩-১):  কিম সিউং জু, ইয়ান ইয়ং সান, জ্যাং হুন সু, জুন সুং হুন,হং চুল, কি সুং ইয়ং, জুং উ ইয়াং, জু সে জংগ, হউই মিন সন, হোয়াং হি চান, কিম শিন উক।

    সুইডেন( ৪-৪-২): রবিন ওসলেন, লুডভিগ অগাসটিনসন, আন্দ্রেয়া গ্রাঙ্কভিস্ট, ভিক্টর লিন্ডেলফ, মিকায়েল লাস্টিগ, এমিল ফসবার্গ, আলবিন একদাল, সেবাস্তিয়ান লারসন, ভিক্টর ক্লায়েসন, মার্কাস বার্গ, ওলা টোইভোনেন।

    সংখ্যায় সংখ্যায়ঃ

    প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে দুই দলের প্রথম দেখা ১৯৪৮ সালের অলিম্পিকে। সেবার কোরিয়াকে ১২-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছিল সুইডেন। এরপর তিন প্রীতি ম্যাচের একটিতে জিতেছে সুইডেন, বাকি দুটি ম্যাচ হয়েছে ড্র।

     

    হতাশা পেছনে ফেলে ইংল্যান্ডের নতুন সূচনা?

    ইংল্যান্ড বনাম তিউনিসিয়া, গ্রুপ গি, ভলগোগারদ, ১৮ জুন,রাত ১২ টা

    সেই ১৯৬৬ সালে ট্রফি উঁচিয়ে ধরেছিলেন ববি মুররা। এরপর পেরিয়ে গেছে ৫২ বছর, ইংল্যান্ডের হাতে সোনালি ট্রফিটা আর কখনই দেখা যায়নি। বিশ্বকাপ মানেই যেন ইংলিশদের কাছে হতাশার গল্প। এবার হ্যারি কেইন, জেমি ভার্ডিরা সেই হতাশা ঘুচাবার লক্ষ্য নিয়েই রাশিয়াতে পা রেখেছেন। স্বপ্নপূরণের লক্ষ্যে ইংল্যান্ডের প্রথম বাধা শেষ দুই বিশ্বকাপে না খেলা আফ্রিকান দেশ তিউনিসিয়া। কেইনরা কি পারবেন জয় দিয়েই বিশ্বকাপ যাত্রা শুরু করতে? নাকি তাদের হতাশায় ডুবিয়ে জয় ছিনিয়ে নেবে তিউনিসিয়াই?

    তাহারা বলেনঃ

    অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়েই এগিয়ে যাবে তারুণ্যনির্ভর ইংল্যান্ড, বিশ্বাস কোচ গ্যারেথ সাউথগেটের, ‘আমার মনে হয় ইতিহাস থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। সবাইকে অতীতটা দেখে সেখানের ভুলগুলো শুধরাতে হবে। তবে এসবকে কখনোই বোঝা মনে করা যাবে না। আমার দলটা তরুণ, তাদের বেশিরভাগি জাতীয় দলের হয়ে খুব বেশি ম্যাচ খেলেনি। তাদের সামনে দারুণ ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করছে।’  

    এদিকে তিউনিসিয়া কোচ নাইল মালোউল ইংল্যান্ডকে ফেভারিট ধরেই প্রস্তুতি নিয়েছেন, ‘আমরা টুর্নামেন্টের অন্যতম সেরা দলের বিপক্ষে খেলব। তাদের প্রিমিয়ার লিগের অনেক দুর্দান্ত ফুটবলার আছে। তারা সবাই একই লিগে খেলে বলে বাড়তি একটা সুবিধাও পাবে। আমাদের লক্ষ্য পরের রাউন্ড, তাই সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে ভালো ফল বের করে আনা।’

    দলের খবরঃ

    ইংল্যান্ড কিংবা তিউনিসিয়া, দুই দলের কেউই ইনজুরি নিয়ে দুশ্চিন্তায় নেই। সাউথগেটের মাথাব্যাথার কারণ হতে পারে শুধু গোলরক্ষকের পজিশনটা নিয়েই। জর্ডান পিকফোর্ড কতটুক সামলাতে পারবেন গোলপোস্ট, সেটা সময়ই বলে দেবে।

    সম্ভাব্য একাদশঃ

    ইংল্যান্ডঃ জর্ডান পিকফোর্ড, কাইল ওয়াকার, জোনস স্টোনস, হ্যারি মাগুয়ের, কাইরন ট্রিপিয়ার, জর্ডান হেন্ডেরসন, অ্যাশলি ইয়াং, জেসি লিনগার্ড, ড্যালে অ্যালি, রাহিম স্টারলিং, হ্যারি কেইন।

    তিউনিসিয়াঃ মোয়েজ হাসেন, ড্যালান ব্রোন, সিয়াম বেন ইউসেফ, ইয়েসিন মেরিয়াহ, আলি মালোউল, ফ্রেজনাই সাসসি, এলিয়েস সখিরি, আনিস বাদরি, সাইফেদ্দিন খাওউই, নাইম স্লিতি, ওয়াহবি খাজরি।

    সংখ্যায় সংখ্যায়ঃ

    প্রথম আফ্রিকান দল হিসেবে বিশ্বকাপে জয় পাওয়া দল তিউনিসিয়া, ১৯৭৮ বিশ্বকাপে মেক্সিকোকে ৩-১ গোলে হারিয়েছিল তারা। ওটাই এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপে তাদের একমাত্র জয়। বিশ্বকাপে মাত্র একবারই দেখা হয়েছে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। ১৯৯৮ সালে গ্রুপ পর্বের ম্যাচে ২-০ গোলে জিতেছিল ইংলিশরাই।