• পাকিস্তান-অস্ট্রেলিয়া-জিম্বাবুয়ে ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজ
  • " />

     

    ২৮ বছর পর ফাইনালে অস্ট্রেলিয়াকে হারাল পাকিস্তান

    ২৮ বছর পর ফাইনালে অস্ট্রেলিয়াকে হারাল পাকিস্তান    

    ফাইনাল, ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজ, হারারে
    অস্ট্রেলিয়া ১৮৩/৮, ১৯.৪ ওভার 
    পাকিস্তান ১৮৭/৪, ১৯.৪ ওভার 
    পাকিস্তান ৬ উইকেটে জয়ী 


    শেষদিনে এসে খেই হারিয়ে ফেললেন অস্ট্রেলিয়ান বোলাররা। শেষদিনে এসে পুরো টুর্নামেন্টের ফর্মের চূড়ান্ত রূপটা দেখালেন পাকিস্তানী ব্যাটসম্যান ফাখার জামান। ফল- কোনও টুর্নামেন্টের ফাইনালে ২৮ বছর পর অস্ট্রেলিয়াকে হারালো পাকিস্তান। জিতল টানা নবম টি-টোয়েন্টি সিরিজ, জিতলো জিম্বাবুয়ের ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনাল। রান-তাড়ায় এটি পাকিস্তানের নতুন রেকর্ডও। 

     

     

    ১৮৪ রানের লক্ষ্যে পাকিস্তানের শুরুটা ছিল বিভিষীকাময়। বোলিংয়ে ওপেন করতে এসে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল হানলেন জোড়া আঘাত, শাহিবজাদা ফারহান ও হুসাইন তালাত ফিরলেন রান না করেই। অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদের সঙ্গে ৪৭ রানের জুটিতে সেটা সামাল দেওয়ার প্রথম ধাপটা পেরিয়েছেন ফাখার। ২৮ রানে সরফরাজ হয়েছেন রান-আউট। এরপরই পাকিস্তানের অস্ট্রেলিয়াজয়ী জুটি। ৬৪ বলে ফাখার ও শোয়েব মালিক মিলে যোগ করেছেন ১০৭ রান। ঘুরিয়ে ফিরিয়ে সবাইকে ব্যবহার করলেও ব্রেকথ্রুটা কাজের সময়ে পাননি অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ। 

     


    ছবি/আইসিসি

    এই টুর্নামেন্টেই ফাখার তার টি-টোয়েন্টির সর্বোচ্চ স্কোরকে ছাড়িয়ে গেলেন এ নিয়ে তিনবার। শেষ পর্যন্ত রান-আউট হওয়ার আগে ৪৬ বলে ১২ চার ও ৩ ছয়ে করেছেন ৯১ রান। আসিফ আলিকে নিয়ে বাকি কাজটা সেরেছেন ৩৭ বলে ৪৩ রানে অপরাজিত থাকা শোয়েব মালিক। আর আসিফ অপরাজিত ছিলেন ১১ বলে ১৭ রানে। চার বল বাকি থাকতেই জিতেছে পাকিস্তান। 

    এর আগে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং ইনিংসটাও তাদের বোলিং ইনিংসের মতোই দুই মেরুর। ডিআরকি শর্ট ও অ্যারন ফিঞ্চ মিলে ওপেনিংয়ে তুলেছিলেন ৯৫ রান, ৯.৫ ওভারে। ২৭ বলে ৪৭ রান করে প্রথমে আউট হয়েছেন ফিঞ্চ, এরপরই অস্ট্রেলিয়া ইনিংসে নেমেছে ধস। শেষ ৮ উইকেটে তারা হারিয়েছে মাত্র ৮৮ রানে, ২ বল বাকি থাকতেই অল-আউট হয়ে গেছে তারা। সেই ধসে মিশে গেছেন ৫৩ বলে ৭৬ রান করা শর্টও। ৯ ম্যাচের ক্যারিয়ারে এটি দ্বিতীয় ফিফটি শর্টের, সর্বোচ্চ ইনিংসও।  

    ৩৩ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন মোহাম্মদ আমির, ৩৮ রানে ২টি শাদাব খান। একটি করে উইকেট গেছে ফাহিম আশরাফ, হাসান আলি ও শাহিন শাহ আফ্রিদির ভাগেও। 

    ম্যাচশেষে ফিঞ্চ দুষেছেন ব্যাটিং ধসকে, ২০০-এর আশা ছিল তার। আর উচ্ছ্বসিত সরফরাজ বলেছেন দলীয় সমন্বয়ের কথা, যেখানে বোলারদের পর উজ্জ্বল ছিলেন ম্যাচ ও সিরিজসেরা ফাখার, সঙ্গে মালিক।