• ক্রিকেট

চিন্তার দীনতা ঢাকি কিসে…

পোস্টটি ৩৪৩১ বার পঠিত হয়েছে
'আউটফিল্ড’ একটি কমিউনিটি ব্লগ। এখানে প্রকাশিত সব লেখা-মন্তব্য-ছবি-ভিডিও প্যাভিলিয়ন পাঠকরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে নিজ উদ্যোগে করে থাকেন; তাই এসবের সম্পূর্ণ স্বত্ব এবং দায়দায়িত্ব লেখক ও মন্তব্য প্রকাশকারীর নিজের। কোনো ব্যবহারকারীর মতামত বা ছবি-ভিডিওর কপিরাইট লঙ্ঘনের জন্য প্যাভিলিয়ন কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না। ব্লগের নীতিমালা ভঙ্গ হলেই কেবল সেই অনুযায়ী কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিবেন।

 

শেষ টি টোয়েন্টিতে বড় হারে সমাপ্ত হলো বাংলাদেশ দলের সাউথ আফ্রিকা সফর। মাঠের লড়াইয়ে জয় পরাজয় যাই হোক, মাঠের বাইরের হার সত্যি কষ্টের। সর্বোচ্চ বেতনের তালিকায় বাংলাদেশ কোচ আছেন চারে। সেইসাথে লম্বা টিম ম্যানেজমেন্ট। অবশ্যই তারা আমাদের চেয়ে বেশি ক্রিকেট প্রজ্ঞার অধিকারী, কিন্তু সাদা চোখে কিছু সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তোলা খুব কি দোষের?

১ দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ খেলোয়াড় অধিনায়ক সাকিব আল হাসান, তিনি আর রুবেল হোসেন বাদে বাংলাদেশের বোলিং কচি কাচার মেলা। শফিউল ইসলাম বাদ পড়ায় রইল বাকি মিরাজ, সাইফুদ্দিন বা তাসকিন, তাদের ম্যাচিউরিটি কতটা? তাই সাকিব যত ভাল বোলিংই করুন, প্রথমেই টানা তার কোটা শেষ করে, ডেথে সাইফুদ্দিন বা তাসকিনে ভরসা করা কতটা যৌক্তিক?

 

 

 

২ লিটন দাস মাঠে থাকার পরও মুশফিককে কিপিং এর দায়িত্ব না দিলেই কি নয়, দলের প্রয়োজনে ধোনি দীনেশ কার্তিককে গ্লাভস তুলে দিয়ে ফিল্ডিং করেছেন। এমন উদাহরণ কম নেই, মুশফিকের কিপিং বিতর্ক আর কত?

 

৩ ব্যাটিং এ দারুন শুরুর পর ইমরুল আউট হলে, যুক্তি হতে পারে দুই। প্রথমত, একজন নেমে এক প্রান্ত আগলে রাখবেন, অন্যপ্রান্তে আক্রমণের দায়িত্ব থাকবে সৌম্যের কাঁধে। অথবা দুই প্রান্ত থেকে আক্রমণ করা যেতে পারে, যেটি বাংলাদেশ করার চেষ্টা করেছে বলেই সাদা চোখে মনে হয়েছে।

 

৪ আপনি যদি দুই প্রান্ত থেকে আক্রমণে যান, অবশ্যই ফাটকা খেলতে হবে। সেক্ষেত্রে সাব্বির বা খুব ভাবলে সাইফুদ্দিন হতে পারেন সেরা অপশন। কিন্তু দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ খেলোয়াড় অধিনায়ক সাকিব কি বাজির খেলোয়াড় হতে পারেন? সাকিব-মুশফিককে ওই দায়িত্ব পালন করতে হলে ব্যাটিং এর মেরুদণ্ড কারা?

 

৫ এরপরও সাকিব মুশফিক ফিরে যাওয়ার পর কোন চিন্তায় মাহমুদুল্লার আগে এলেন সাব্বির? তখনও অলৌকিক কোন আশা থাকলেও সেজন্য অন্তত ৫ ওভার কি দেখেশুনে খেলতে হত না? যদি তাই হয় তবে  কে সাধারণ বুদ্ধিতে এগিয়ে মাহমুদুল্লাহ নাকি সাব্বির? আর সাব্বির এলেন মেনে নেওয়া গেল, কিন্তু যেভাবে তিনি খেললেন, যেন সিক্স এ সাইড চলছে।

 

৬ লিটনকে বাদ দিলে এই একাদশের সবাই অন্তত দুই বছরের বেশি সময় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছেন। প্রথম ইনিংসে ব্যাকরণ মেনে আমলার ঝড় দেখেও তাদের শিখতে আর কত সময় প্রয়োজন? মুশফিকের মত অভিজ্ঞ খেলোয়াড় অন্তত কিছু সময় কি ব্যাকরণে চেষ্টা করতে পারতেন না?

 

৭ গত ম্যাচে প্যাটারসন গতির ঝড় তুলে নিয়মিত বল করেছেন ১৪০ এর বেশি গতিতে। উপমহাদেশের বাইরে সবচেয়ে বড় ভয় বলা হয় গতি আর বাউন্সকেই। এদিন কোন সাউথ আফ্রিকানই গতির ঝড় তোলেন নি, শুধু লাইন লেন্থ দিয়েই মরা পিচে ব্যাটসম্যানদের উইকেট তুলে নিলেন। পুরো সফরেই ফ্ল্যাট পিচে নিজেদের ব্যর্থতাই তুলে ধরলেন ব্যাটসম্যানরা।