• ক্রিকেট

দ্বীপসফরের শেষকথা

পোস্টটি ৫৩৩৯ বার পঠিত হয়েছে
'আউটফিল্ড’ একটি কমিউনিটি ব্লগ। এখানে প্রকাশিত সব লেখা-মন্তব্য-ছবি-ভিডিও প্যাভিলিয়ন পাঠকরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে নিজ উদ্যোগে করে থাকেন; তাই এসবের সম্পূর্ণ স্বত্ব এবং দায়দায়িত্ব লেখক ও মন্তব্য প্রকাশকারীর নিজের। কোনো ব্যবহারকারীর মতামত বা ছবি-ভিডিওর কপিরাইট লঙ্ঘনের জন্য প্যাভিলিয়ন কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না। ব্লগের নীতিমালা ভঙ্গ হলেই কেবল সেই অনুযায়ী কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিবেন।

কথায় বলে সকালের সূর্য দেখে নাকি দিনের পূর্বাভাস পাওয়া যায়। প্রবাদটাকে সহজ ভাষায় বললে যেটা হয় সেটা হল, শুরু দেখে নাকি সব টা অনুমান করা যায়। এবার প্রবাদকে প্রবাদের জায়গায় রেখে দিন, দ্বীপসফরে বাংলাদেশ দলের শুরুটা স্মৃতি হাতড়ে বের করে ফেলুন। এবার চটপট জবাব দিন, দ্বীপসফরের শুরু দেখে কি আপনি সবটা অনুমান করতে পেরেছিলেন?

পারার কথা নয়। বাংলাদেশ দলের মানসিক দিকটার সমস্যা আজকের নয়, সে বহুদিনের পুরোনো গল্প। নবীন আফগানিস্তানের কাছে কাবুলিওয়াশের পর বাংলাদেশ দেশের বাইরে টেস্টে 'ধরাধাম জয়' করে ফেলবে, এ কল্পনা আমি করিনি, তেমনই ১০০ এর নিচে অলআউট হওয়ার লজ্জা পোহাতে হবে এ চিন্তাও আমি করি নি। টেস্ট সিরিজ ব্যার্থতার কাটাছেড়া অনেক হয়েছে, আজ সেসব নিয়ে লিখব না। টেস্ট সিরিজ বাদে যা কিছু হয়েছে আজ লিখব সেসব নিয়ে, আর 'সেসব' এর পুরোটাই যে জয়কাব্য সে কি অনুমান করতে কষ্ট হবার কথা?

মানসিক দিকটার কথাতে ছিলাম। কাবুলিওয়াশের পর যদি টেস্টে ১০০ এর নিচে অলআউট হতে হয়, তবে তো টেস্টে খাদে পড়ে যাবার পর ৫০ ওভারি ফরম্যাটে নাস্তানাবুদ হবার কথা ছিল! সেটি কেন হয় নি? সেটি হয়নি কেননা দলে একজন আচার্য ছিলেন, আচার্য মাশরাফি!

ক্যাপ্টেন মাশরাফির গুণগান এখন যতই করব পানসে মনে হবে। গ্রীক পুরাণের যোদ্ধাদের গল্প যেমন লিখতে হয় না, একজন মাশরাফির গল্প তাই আর নতুন করে কিছু বলার নেই। ক্যাপ্টেন মাশরাফি একজন অধিনায়ক হওয়ার আগে একজন নেতা, জাত নেতা! বিশ্ব ক্রিকেট ক্রিকেটীয় শার্প মস্তিষ্কের অধিনায়ক কম দেখেনি, কিন্তু একজন নেতা বিশ্ব ক্রিকেটে বারবার আসেনি। মাঠে কৌশলী সিদ্ধান্ত নেওয়াই শুধু নয়, খারাপ সময়ে সতীর্থদের পাশে থাকা, সাহস যোগানো, বাইরে ঘুরতে নিয়ে যাওয়া .. একজন নেতা একজন অধিনায়কের পাশাপাশি এসব গুণই তো ধারণ করেন। সৌরভ গাঙ্গুলী যেমন ভারতীয় ক্রিকেট ইতিহাসে এই পরিবর্তনের কান্ডারী, নেতা মাশরাফিও বাংলাদেশ ক্রিকেটের ইতিহাস বদলে দেওয়া একজন আচার্য।

ওয়ানডে তে শেষবার খেলেছেন জানুয়ারীতে। দলের সাথে ছিলেন না বহুদিন। সেই মাশরাফি যেন এলেন, দেখলেন আর জয় করলেন। ভেঙ্গে পড়া একটা দলকে শুধু খাদ থেকে তুললেনই না, বিজয়মঞ্চে অধিষ্ঠিত করে গেলেন। নিন্দুকের 'ক্যাপ্টেন কোটা' শব্দটা কি মাশরাফি শুনেছিলেন? কিংবা জনমানুষের সাথে মিশে যাওয়া মাশরাফিকে কি কেউ বলে দিয়েছিল? ক্যাপ্টেন মাশরাফিকে ছাপিয়ে যাচ্ছে মাশরাফির খেলোয়াড়ি পরিচয়। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ব্রেক থ্রু এনে দেওয়া, আগে নেমে ব্যাটিংয়ে ঝড় তোলা, মাশরাফি যেন ফিরিয়ে দিচ্ছেন তাঁর সাতটি সার্জারীর প্রত্যেকটা রিহ্যাবের দিন। পুষিয়ে দিতে চাইছেন আমাদের সকল বকেয়া পাওনা, ক্রিকেট দেবতার সকল না দেওয়া অর্ঘ্য। একজন মাশরাফি বাংলাদেশ ক্রিকেট আগে পায়নি, আর কখনও কি পাবে?

ওয়ানডে সিরিজে সবচেয়ে চমকপ্রদ এক নাম সাকিব আল হাসান। সাকিবকে প্রথমবারের মত ওয়ানডাউনে ব্যাট করতে পাঠানো হয় খুব সম্ভবত দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে । সেবার ব্যাপারটি আমি আমলে নিয়েছিলাম না। এরপর যখন ত্রিদেশীয় সিরিজের আগে ঘোষণা এল সাকিবকে পাকাপাকিভাবে ৩ এ পাঠানো হবে, ব্যাপারটি আমার ভাল লাগেনি। ভাল না লাগার দুটি কারণ আছে। প্রথমত সাকিব দলের সবচেয়ে ব্যাস্ত ক্রিকেটার এবং মিডল অর্ডারের প্রাণভোমরা। প্রায় 'সাডেন ডেথ' সময়ে কতবার তিনি মুশিকে নিয়ে জুটি গড়ে দলকে টেনে তুলেছেন সে হিসাব নেই। একের পর এক উইকেট পতনে ৫/৬ এ নেমে কতবার তিনি হয়ে উঠেছেন আস্থার অপর নাম সে হিসাবও নেই। সেই নির্ভরতার আল হাসান যখন মিডল ছেড়ে টপ এ উঠে যান, ভয়ের সাথে তখন আশঙ্কা যোগ হওয়াও বিচিত্র কিছু নয়। দ্বিতীয় কারণটি ছিল, ৩ নং এ নামা একজন খেলোয়াড়ের যে যে গুণ থাকা দরকার সাকিবের মধ্যে তার প্রায় কোনটিই নেই!

টেকনিকে তিনি মুমিনুল থেকেও পিছিয়ে, ক্রিজে এসে পরিপূর্ণ ব্যাকরণিক উপায়ে ডিফেন্স সাকিবের চরিত্রের সাথে বেমানান, টেম্পার ধরে রাখাতে তিনি পারদর্শী নন। এই সাকিব ব্যাট করবেন জো রুট, বিরাট কোহলি দের ৩ নং পজিশনে! কিন্তু দেবীর পূজাতে ফুল না থাকলেও চলে যদি মনে ভক্তি থাকে আর দেবী প্রার্থনা টা ঠিকঠাক পান। সাকিবও ক্রিকেট দেবীকে রান টা বুঝিয়ে দিয়েছেন। সাকিব রান করেছেন, আমাদের বুঝিয়ে দিয়েছেন.. নামটি সাকিব আল হাসান। ক্যারিয়ারের শুরুর থেকেই যেন সাকিব এক রহস্যময় চরিত্র, গল্পের সুপারম্যানের চেয়েও বেশি অতিমানব। সাকিব যখন ক্যারিয়ারের শুরুতে ছিলেন, বোলিং টা তার কাছে 'কিভাবে কিভাবে যেন হয়ে যায়' ছিল। বোলার সাকিবকে প্রথম পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন সম্ভবত জেমি সিডন্স। কোন এক চট্টগ্রাম টেস্ট এ স্কোয়াডে স্পেশালিস্ট স্পিনার ছিল না। কোচকে জিজ্ঞেস করা হল, দলে কোন স্পেশালিস্ট স্পিনার নেই কেন? সিডন্স বললেন, 'কেন সাকিব? ওই তো স্পেশালিস্ট'।

কিন্তু সাকিবের কাছে বরাবরই তিনি ব্যাটিং টা বেশি উপভোগ করেন। বোলিং টা তার কাছে 'কিভাবে কিভাবে যেন হয়ে যায়'। সেই হওয়া নিয়েই তিনি বনে যেতে চলেছেন সফল এক স্পিনার। নিয়ে ফেলেছেন তিনশো উইকেট। সাকিব বরাবরই আমাদের অবাক করেছেন, চমকে দিয়েছেন। এবারও ব্যাত্যয় ঘটেনি । ৩ এ নেমে তিনি সফল, আশার চাইতেও অধিক সফল। সাকিব মানে স্বস্তি, সাকিব মানে অবাক, সাকিব মানে রূপকথাতে ব্যাটিং বোলিং সবাক। সেই সাকিব আবারও আমাদের মুগ্ধ করবে, বাংলাদেশ ক্রিকেটই শুধু নয়, বিশ্ব ক্রিকেট একজন সাকিব আল হাসান কে সম্ভবত আগামী ১০০ বছরে আর একটিও পাবে না!

ওয়ানডে ক্রিকেটে তবু দুটি জায়গায় সমস্যা থেকে যাচ্ছে- ওপেনিং এ তামিমের সঙ্গী, লোয়ার অর্ডারে দ্রুত রান তোলায় বিশেষজ্ঞ একজন। প্রথমটি খুব সম্ভবত লিটনকে দিয়ে পূরণ করা যেতে পারে। বিজয়, সৌম্যর ব্যার্থতার ষোলকলা পূর্ণতায় লিটন এবার সুযোগ পেতে পারেন এমনটা শোনা যাচ্ছিল। সেই শোনা টা হয়ত 'করা' তে রূপান্তর করলেন তিনি শেষ টি-২০ তে। লিটন আসলে নিজের প্রতিভার ৭০% ও বিশ্ব ক্রিকেটকে দেখাতে পারেনি । মাশরাফি, সাকিব, মুশফিক, তামিম সবার মতে মুশফিকের পর এমন ক্লিন ব্যাটসম্যান বাংলাদেশ ক্রিকেট আর পায়নি। সে হিসেবে লিটন কেও ওপেনিং স্লটে একটা সুযোগ দেয়া যেতে পারে। লিটন যতক্ষণ ক্রিজে থাকে ওকে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী মনে হয়। ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে পারলে বাংলাদেশ ক্রিকেট হয়তো দারুণ কিছু পেতে যাচ্ছে, সেই পাওয়াটা বিরাট কোহলির কাছাকাছি হলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।

হার্ড হিটার নিয়ে সমস্যার কথা বলছিলাম। এই জায়গায় আসলে দুইটা অপশন আছে। এক. সাব্বির, দুই. আরিফুল। একটু বলে রাখি, এই জায়গায় সৈকত কেও ভাবা হচ্ছে। কিন্তু সৈকতকে লোয়ার অর্ডারে ভাবা হবে সবচাইতে বোকামি সিদ্ধান্ত। সে হার্ড হিটার নয়। 'তুলনামূলক ভাষায়' সৈকত একজন 'মুশফিক সদৃশ' ব্যাটসম্যান যে কিনা ভবিষ্যতে মিডল অর্ডারের ভরসা হবে। তার রান তুলতে শুরুতে সময় লাগে। তাই লোয়ার অর্ডারে বেমানান সৈকতকে লোয়ার অর্ডারেই নামিয়ে দেওয়াটা ভুল হবে । এতে সৈকত কিংবা বাংলাদেশ কেউই লাভবান হবে না। তার মানে অপশন দুইজন।

আশাটা সাব্বিরের থেকেই ছিল বেশি। মাঠে ওর শরীরি ভাষা, আক্রমণাত্মক ভাব সবকিছুই বিশ্বসেরাদের কাতারের। কিন্তু ঐ যে, ব্যাটে রান না থাকলে সবকিছু পানসে। সাথে তার ব্যাক্তিজীবনও প্রশ্নবিদ্ধ। পেশাগত জীবনে সাফল্য পাওয়ার প্রথম শর্ত ব্যাক্তিজীবনকে সুন্দর রাখা, নির্মল রাখা। সাব্বিরের একের পর এক বেখেয়ালি আচরণ যে তার মাঠের খেলাটাকে নষ্ট করে দিচ্ছে তা কি সাব্বির বুঝছেন? নিজেকে পরিবর্তন করার ব্যাপারটি কি সাব্বির ধরতে পারছেন? না বুঝলে ও না পারলে একাদশে একজন 'আফ্রিদি' রাখার কোন কারণ দেখছি না। তবে সাব্বির ফিরে আসুক ফিনিক্স পাখির মত নিজেকে পরিবর্তন করে, এইই চাওয়া!

হারাধনের দুইটি ছেলে রইল বাকি এক। আরিফুল হক। সত্যি বলতে সাব্বিরের মত আরিফুলও 'গ্রেট প্রোসপেক্ট'। আরিফুল কি করতে পারেন তা গত বিপিএল এই তিনি দেখিয়েছেন। হয়তো টি-২০ তে ব্যার্থ হয়েছেন, কিন্তু আমি মনে করি আরিফুলকেই সুযোগ টা দেয়া উচিত। হাতে খুব বেশি অপশনও নেই। আরিফুলকে এই দেড় মাসে প্রস্তুত করে ফেললে এশিয়া কাপে দারুণ কিছু কি আমরা পেতে পারি না?

বোলিং লাইনআপ এ মুস্তাফিজুর, মাশরাফি, রুবেল থাকছেন। আবু ধাবির স্লো উইকেটে সৈকতের নাম কাটা পড়ে হয়তো অপুও ঢুকে যাবেন। সাথে থাকবেন মিরাজ, সাকিব। মোটামুটি বৈচিত্র‍্যময় একটা বোলিং লাইনআপ পেতে যাচ্ছি।

ভরসাটা মুস্তাফিজে অনেকখানি। গত দুই তিন বছরে 'মুস্তাফিজ শেষ' রব উঠেছে অনেকবার। গত ওয়ানডের কথাই ধরি। পুরো ওয়ানডে সিরিজে মুস্তা ৫ এর নিচে ইকোনমি রাখলেন, গুরুত্বপূর্ণ উইকেট নিলেন... দেশের স্বনামধন্য একটি পত্রিকা লিখে ফেলল 'নিজেকে ফিরে পেলেন না মুস্তাফিজ'। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে 'গেল গেল' রব উঠল। আচ্ছা, লোকে আসলে মুস্তাফিজ থেকে কি চায়? সে প্রতি ম্যাচেই নামবে আর ৫ উইকেট করে পাবে? এটা পৃথিবীর কোন বোলারের পক্ষেই সম্ভব না। সাথে মুস্তাফিজকে নিয়ে বিস্তর কাটাছেড়া চলছে। তাই আমার মতে মুস্তাফিজ আছেন স্বমহিমাতেই।

তামিম ইকবাল এর কথা না বললে পাপ হয়ে যাবে। নিজেকে বদলে ফেলতে চাইলে যে কেউ তামিম ইকবালকে অনুসরণ করে ফেলতে পারেন। শুধু তাই নয়, নিজের এতগুলো রূপ দেখে তামিম গ্রীক পুরাণের নার্সিসাস হয়ে গেলেও যেতে পারেন। তামিম ইকবাল কি পারেন, এর চেয়ে জিজ্ঞেস করুন ও কি পারে না? তামিম ইনিংস বিল্ড আপ যেমন করতে পারেন, তেমনি টর্নেডো তামিম যে হারিয়ে যাননি তা আমরা বুঝেছি টি-২০ সিরিজেই। এই তামিম সেরা, এই তামিম ফিনিক্স পাখির সবচেয়ে বড় 'ব্রান্ড'।

এবার ক্রিকেটের সাথে একটু বিজ্ঞান যোগ করব। রসায়নে প্রভাবক বলে একটা ব্যাপার আছে। প্রভাবক বিক্রিয়া শেষে অপরিবর্তিত থাকে কিন্তু মূল বিক্রিয়া প্রভাবক ছাড়া কল্পনাতীত।
মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ যেন সেই প্রভাবক। প্রতিটি ম্যাচেই তিনি বাংলাদেশ ক্রিকেটের জয়ের মূখ্য পার্শ্বচরিত্র। মাশরাফিকে সঙ্গ দেবার সময় তিনি দ্রুত স্ট্রাইক রোটেট করে প্রান্তবদল করেছেন, দলের প্রয়োজনে তিনিই দলকে বড় সংগ্রহ এনে দিতে সাহায্য করেছেন। সুনীল গাভাস্কার একবার রিয়াদকে এশিয়ার সেরা লোয়ার অর্ডার ব্যাটসম্যান বলেছিলেন। মনে হচ্ছে তিনি ভুল বলেননি। একজন সাকিব কিংবা মাশরাফি যতটা গুরুত্বপূর্ণ, দলে একজন রিয়াদ ঠিক ততটাই গুরুত্বপূর্ণ । একজন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদকে পেয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট আহ্লাদে দশ/বারো খানা হলেও কম হয়ে যায়।

ওহ হ্যা, সামনের মাসেই কিন্তু এশিয়ার বিশ্বকাপ.........

জয়ের সুবাতাস ঘর ছাড়িয়ে পর-এও ছড়িয়ে গেছে। 'টাইগার্স-বাইট' মিরপুর, চট্টলা ছাড়িয়ে কার্ডিফ, গায়ানা, ফ্লোরিডা তে পৌছে গেছে, 'বাংলাদেশী ব্রান্ড অফ ক্রিকেট' এর সুবাতাস কলম্বো ঘুরে চলে গেছে দ্বীপদেশে, দ্বীপদেশ ঘুরে এই বাতাস গিয়ে লাগুক কান্তার মরুর দুবাইতেও......