• ফুটবল

বাংলাদেশের ফুটবল বাঁচাবে কে?ঐতিহ্য রক্ষায় কেউ নেই।

পোস্টটি ৬৭৩৮ বার পঠিত হয়েছে
'আউটফিল্ড’ একটি কমিউনিটি ব্লগ। এখানে প্রকাশিত সব লেখা-মন্তব্য-ছবি-ভিডিও প্যাভিলিয়ন পাঠকরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে নিজ উদ্যোগে করে থাকেন; তাই এসবের সম্পূর্ণ স্বত্ব এবং দায়দায়িত্ব লেখক ও মন্তব্য প্রকাশকারীর নিজের। কোনো ব্যবহারকারীর মতামত বা ছবি-ভিডিওর কপিরাইট লঙ্ঘনের জন্য প্যাভিলিয়ন কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না। ব্লগের নীতিমালা ভঙ্গ হলেই কেবল সেই অনুযায়ী কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিবেন।

মহসিন আহমেদ রনিঃবাংলাদেশের ফুটবলের বর্তমান অবস্থা দেখে যে কারোই খারাপ লাগার কথা৷ শেষ কবে জাতীয় দলের সাফল্য এসেছিল কারো মনে নেই৷চাপে পড়ে পরিকল্পনা নিলেও হচ্ছেনা বাস্তবায়ন। সম্প্রতি এশিয়ান গেইমসে নিজেদের সামর্থ্যের কিছুটা হলেও প্রমাণ দিয়েছে। কিন্তু যেই লাউ সেই কদু, দেশে এসে সিনিয়রদের যোগ করে শ্রীলঙ্কার সাথে ১-০ গোলের অপ্রত্যাশিত হার।দেশের ফুটবলে শেষ পানের বছরে যেভাবে পতন হয়েছে আর কোনো দেশে এভাবে হয়নি।নানা পরিকল্পনার নামে লম্বা সময় ক্ষমতা ধরে রাখার অপচে, দেশের ফুটবল কে এতটা নিচে নামিয়েছে।       

সম্প্রতি শ্রীলঙ্কা বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক প্রীতি ফুটবল ম্যাচে  নীলফামারীতে নেমেছিল দর্শকদের ঢল।বিভাগ জেলা গুলো তে ফুটবল আয়োজন হলেই জনসমুদ্রে পরিণত হয় গোটা গ্যালারী। কিন্তু ব্যস্ত নগরী ঢাকায় বারবার ফুটবল আয়োজন করে দর্শক শূন্যতায় ভুগছে বাফুফে।যার ফলে হারাতে হচ্চে স্পনসরদের,সিলেট যশোর সহ দেশের বিভিন্ন জায়গা খন্ডকালীন ভাবে আন্তর্জাতিক প্রীতি ফুটবল ম্যাচ আয়োজন অনেকটাই সফল হয়েছিল বাফুফে।কিন্তু নানা জটিলতায় বারাবর ঢাকায়  আয়োজন করে লোকসান সহ হারাতে বসেছে দেশের ফুটবল। জেলা বিভাগ গুলো তে এই ফুটবল ম্যাচ গুলো আয়োজন হলে দেশের ক্ষুদে ফুটবলাররা কাছ থেকে দেখে অনুপ্রেরিত হত।

ফুটবল বিশ্লেষকদের মতে দেশের ফুটবলের পুরনো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে কাজ করতে হবে তৃনামুল পর্যায়।শুধু ঢাকায় নয় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আন্তর্জাতিক প্রীতি ফুটবল  আয়োজন করে সবাইকে ফুটবলের উন্নয়নের বার্তা দিতে হবে। যার ফলে তরুন সমাজ আবারো দেশের ফুটবলের উপর আস্থা ফিরে পাবে।  

আসছে আগামী ৪ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ অনুষ্ঠিত হবে সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়ন্সশীপ।সাফকে ঘিরে দল সাজাচ্ছেন নতুন কোচ জেমি ডে।বাংলাদেশ ফুটবল দলে বছরে  দু'একজন কোচ পরিবর্তন করা যেন ব্রত হয়ে গেছে।তবে নতুন কোচ প্রশ্ন তুলেছেন সিনিয়রদের শৃঙ্খলা আর ফিটনেস নিয়ে।তিনি বলেন এখানে শৃঙ্খলা নেই ক্লাব গুলো ফিটনেস ট্রেনিং না করানোর ফলে খাপখাইয়ে উঠতে পারে না ছেলেরা। তবে আমি অবাক হয়েছি এত বছর খেলেও সাধারণ একটা ম্যাচের চাপ নিতে পারে না ছেলেরা। এবার সময় এসেছে সিনিয়রদের বাদ দেয়ার তারা ব্যর্থ জুনিয়দের নিয়েই ঘটন করা হবে সাফের দল।           

 

তবে একাধিক বার সোনালী স্বপ্ন দেখিয়ে এসেছেন বাফুফে সভাপতি,কিন্তু তা আর বাস্তবায়ন হলো কই।তাই বলা যায় দেশের ফুটবলকে  বাঁচাতে মাঠে নেমে আন্দোলন করা এখন সময়ের দাবী মাত্র। যদিও অতীতে তেমন একটা ফল আসেনি।   

এবার দেখার পালা বারবার ঢাকায় নাকি ফুটবলের উন্নয়নে জেলা বিভাগকে প্রাধান্য দিবে দেশের ফুটবলের সর্বোচ্ছ সংস্থা বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন(বাফুফে)।