• ক্রিকেট

বিশ্বকাপ কাহন

পোস্টটি ৬০১৭ বার পঠিত হয়েছে
'আউটফিল্ড’ একটি কমিউনিটি ব্লগ। এখানে প্রকাশিত সব লেখা-মন্তব্য-ছবি-ভিডিও প্যাভিলিয়ন পাঠকরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে নিজ উদ্যোগে করে থাকেন; তাই এসবের সম্পূর্ণ স্বত্ব এবং দায়দায়িত্ব লেখক ও মন্তব্য প্রকাশকারীর নিজের। কোনো ব্যবহারকারীর মতামত বা ছবি-ভিডিওর কপিরাইট লঙ্ঘনের জন্য প্যাভিলিয়ন কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না। ব্লগের নীতিমালা ভঙ্গ হলেই কেবল সেই অনুযায়ী কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিবেন।

 

ক্রিকেট কি? শুধুই খেলা? ব্যাট বলের কিছু শৃঙ্খলিত চালনা? হ্যাঁ, হতে পারে। সংজ্ঞা তো তাই-ই বলে। কিন্তু সত্যিই কি ক্রিকেট শুধুই খেলা? 

-

প্রশ্নটা কোথায় করছেন তার উপর ভিত্তি করে  বদলাবে উত্তরটাও।প্রশ্ন টা যদি করা হয় এই উপমহাদেশের কোনো অলিতে গলিতে , তবে ক্রিকেটটা শুধু খেলা নয়, ক্রিকেটটা আবেগ। আর উপমহাদেশের মধ্যেকার ৫৬ হাজার বর্গমাইলের এই লাল সবুজের দেশে ক্রিকেটটা তার থেকেও অনেক বেশি কিছু- এ যেন কোটি বাঙালির কাছে সঞ্জীবনী সুধা।

-

শত ভেদাভেদের মাঝেও সৌম্যের এক পেরিস্কোপে পুরো দেশ এক। শত না পাওয়ার হতাশার মাঝে তামিম ইকবালের একেকটা কাভার ড্রাইভ শুধু চোখের নয়, এনে দেয় পুরো দেহের প্রশান্তি। হেরে বা জিতে আবেগে যখন কেঁদে দেন মুশি, তার সাথে সাথে নিজেদের অজান্তেই চোখের কোনে পানি এসে জমতে শুরু করে পুরো জাতির।

-

শুরুর পর থেকে হাটি-হাটি-পা-পা করে বাংলাদেশের ক্রিকেট আজ অনেক বেশি পরিণত। হতেই হবে, কেননা আমাদের রকিবুলের ছিলো '৭১এ ব্যাটে জয় বাংলা লিখে খেলতে নামার সাহস, রক্তাক্ত মাথা নিয়েও ব্যাট হাতে নামা ফারুক আহমেদ আর '৭১ এর জুয়েলের অপূর্ণ ইচ্ছাকে পরিণত করে ভাঙা আঙুল নিয়ে খেলতে নামা তামিম ইকবাল। 

-

রকিবুল, ফারুক কিংবা জুয়েলের সেদিনের বাংলাদেশ আজ তামিম, মাশরাফিদের হাত ধরে বিশ্বমঞ্চে।

-

শিরোনাম থেকে দূরে সরে যাওয়ায় দুঃখিত। ফিরে যাওয়া যাক বিশ্বকাপে।

-

'৯৯ বিশ্বকাপ থেকে শুরু। শুরুতেই পাকিস্তানকে হারিয়ে দিয়ে বিশ্বকে আগমনী বার্তা জানান দেয়া সেদিনের বাংলাদেশ আজ অনেক বেশি পরিপক্ব।  '০৭ বিশ্বকাপে ভারতকে হারিয়ে যে স্বপ্নের পালে লেগেছিলো  নতুন হাওয়া আজ সময় এসেছে তাকে পূর্ণতা দেবার।

-

দেশ ছাড়ার আগে দল সেমিফাইনাল এর কথা বলে গেলেও আমি,  আতহার আলি খান আর আমাদের মতো অনেক ক্রিকেট পাগলরা বিশ্বাস করে বাংলাদেশ খেলবে পুরো ১১ টি ম্যাচ, স্বপ্নের ট্রফিটাকে ছুঁয়ে দেখার স্বপ্নও দেখছে কোটি বাঙালি। সদ্য এইসএসসি শেষ করা ছেলেটাও আছে স্বপ্নের ট্রফি হাতে বাংলাদেশের একখানা ছবি দেখে এডমিশন মিশনে নেমে পরার অপেক্ষায়।

-

এবার নজর দেয়া যাক স্কোয়াডে। স্কোয়াড ঘোষণার পর থেকে যে প্রশ্ন গুলো বারবার উঠে আসছিলো তা অন্তত ত্রিদেশীয় সিরিজ জেতার পর এখন আর নেই। থাকবেই বা কি করে, প্রশ্নকর্তারা যে এখন সবে মিলে গর্তে। স্কোয়াড ঘোষণার পর বেশি আলোচিত যে বিষয় গুলো ছিলো তা হলো

-

১. ইমরুল কায়েসের বদলে সৌম্য/লিটন কেনো?

২. ফিটনেসের যুক্তিতে তাসকিনকে কেন বাদ দেয়া হলো?

৩. মোসাদ্দেক কি করবে সেখানে?

৪. মিরাজের বলই বা কতটা কার্যকর ব্যাটিং পিচে?

-

১ম প্রশ্নটা যারা তুলেছিলো তারা শুধু অভাগা ইমরুল এর পাগলা সাপোর্টার না, অনেক ক্রিকেটবোদ্ধারাও চেয়েছিলেন ইমরুল খেলুক। আর শেষ ২ টা প্রশ্ন তোলা ব্যক্তিরা স্বঘোষিত ক্রিকেটবোদ্ধা। কে সেরা তা নিয়ে আলোচনা না করে বিশ্বকাপের প্রথম ৯ টা ম্যাচে ভালো করতে কে সবথেকে কার্যকরী সেটাই সবথেকে বড় ইস্যু হওয়া উচিত দল নির্বাচনের বেলায়, হয়েছেও তাই। 

-

ইমরুল, সৌম্য, লিটন এর সাপোর্টারদের মধ্যে যে ত্রিমুখী সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটেছিলো,  দল দেশ ছাড়ার আগেই সৌম্য সরকারের সাপোর্টাররা সেই সংঘর্ষ থেকে বেড়িয়ে আসার সুযোগ পায় ডিপিএল এর সৌম্যের শেষ ২ ম্যাচের পারফরমেন্সের কল্যাণে। এক ম্যাচে সেঞ্চুরি আর অন্য ম্যাচে  দেশের লিস্ট এ ইতিহাসে প্রথম দুশো রানের ইনিংস খেলে ইমরুল ভক্তদের প্রশ্নের জবাব দিয়েই দেশ ছেড়েছিলেন। তার উপর ত্রিদেশীয় সিরিজের ৩ ম্যাচে ৩ ফিফটি করে সমালোচকদের মুখে শেষ পেরেক টা ঠুকে দেন তিনিই। তবে লিটন আর কায়েস ফ্যানরা হাতে কিবোর্ড তুলে নিয়ে তখনো যুদ্ধের ময়দানে। 

-

ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্টের ১ টি মাত্র ম্যাচে সুযোগ পেয়ে ১ রানের ধারাবাহিতা থেকে বেড়িয়ে  এসে খেলা দারুণ এক ইনিংসে কায়েসের ফ্যানরা এখন একটু চুপ। তবে যদি লিটন এটা নাও করতে পারতো তবুও লিটনকে দলে নেয়ার পক্ষের পাল্লাটাই ভারি হতো বেশি।

-

সৌম্য, লিটন আর সাব্বির। বাংলাদেশ ক্রিকেটের হার্ড-হিটিং  তিনটি নাম।  যে নাম গুলো শুনলে চোখের সামনে ভেসে উঠে মাটি কামড়ে বা নীল আকাশ ছুঁয়ে একেকটা বলের বাউন্ডারির বাইরে আছড়ে পরার ছবি। শুধু প্রশ্ন ছিলো ধারাবাহিকতা নিয়ে। সৌম্য সুযোগ পেয়ে তার উত্তর দিতে পারলেও লিটন - সাব্বির পায়নি সুযোগ। তবুও বলতে পারি স্কোয়াড নিয়ে তোলা প্রথম প্রশ্নটা এখন আর কেউ তুলবে না, তোলার সাহস পাবে না।

-

৩ আর ৪ নম্বর প্রশ্নের উত্তর মাঠেই দিয়েছে মোসাদ্দেক, মিরাজরা। তবে ২ নম্বর প্রশ্নটা আবার হুট করে ঘুরে যায় ৩৬০ ডিগ্রি এঙ্গেলে। "তাসকিনকে বাদ দেয়া হলো কেন" থেকে প্রশ্ন টা হয়ে যায় "রাহির জায়গায় তাসকিনকে আনা হবে কোন যুক্তিতে।" "কেন রাহিকে হতে হবে '৯৯ এর জাহাঙ্গির?"

-

দল নির্বাচনের সময় " কেনো কোনো ওডিআই না খেলা রাহি বিশ্বকাপ দলে?" প্রশ্নের উত্তরে নির্বাচকরা সেদিন যেটা বলেছিলো সেটাই প্রকৃত উত্তর। ২ দিকেই টার্ন করাতে পারেন বল। অনেকে কিছুটা সমালোচনা করলেও অনেকদের মত ছিলো রাহিই হতে পারে বিশ্বকাপের সারপ্রাইজ প্যাকেজ।

-

বিশ্বকাপের স্বপ্ন দেখিয়ে কেনো দল থেকে বাদ দেয়া হবে রাহিকে? তাসকিনকে যদি নিতেই হতো তবে কেনো বিশ্বকাপের ঢের বাকি থাকতেই ফিটনেসের 'হাইস্যকর' যুক্তিতে তাকে বাদ দেয়া হয়েছিলো দল থেকে? উত্তর একটাই। অপেশাদার, খামখেয়ালীপনায় ভরপুর,মেরুদণ্ডহীন বিসিবির থেকে এরকম কিছু পাওয়া মোটেও অবাক করা কিছু না। চুপচাপ বসে যান।

 

তবুও তাসকিনের ব্যাপারে পাপন সাহেব যেটা বলেছিলেন সেটাই সঠিক, বোলিং বৈচিত্র‍্য। তবে ক্রিকেটের ক-ও না বোঝা আমি বলতে পারি দুজনেই যার যার যায়গা থেকে একেবারে আলাদা। দলের প্রয়োজনে যাকে প্রয়োজন ছিলো তাকে নেয়াটাই হতে পারতো সবথেকে ভালো সিদ্ধান্ত। সেদিক থেকে বিশ্বকাপের মতো মঞ্চে অভিজ্ঞতাকে প্রাধান্য দিলে তাসকিনের দলে থাকাটাই ছিলো বেশি যুক্তিযুক্ত। তবে নিজের ২য় ম্যাচেই ৫ উইকেট নিয়ে সে আলোচনা বন্ধ করে দেন খোদ রাহি নিজেই। অপেক্ষায় আছেন প্রথম বিশ্বকাপ খেলার।

-

সৌম্য, লিটন, মোসাদ্দেকদের দলে থাকাটা কতটা যুক্তিযুক্ত সেটা তারা প্রমাণ করার পরও কিছু মানুষ বলেই যাবে তারা বিশ্বকাপ দলে জায়গা ডিসার্ভ করে না। তারা ওই গ্রামের চাচাতো ভাইয়ের মতো 'সাকিব অহংকারী ' তাই আমি ' নিখিল বাংলা সাকিব হেটার্স সংঘের সদস্য' টাইপ হেটার। তাঁদেরকে বাতিলের খাতায় ফেলে দিয়ে এগিয়ে যাওয়া যাক।

-

স্কোয়াড নিয়ে আশা করি এর বাইরে আর কোনো প্রশ্ন নেই। তবে প্রশ্ন থাকতে পারে বিশ্বকাপের প্লেয়িং ইলেভেন কেমন হবে তা নিয়ে। এক্ষেত্রে যে প্রশ্ন গুলো ঘুরে ফিরে আসতে পারে তা হলো

-

১.সৌম্য, লিটন দুজনই থাকবে?

২.মুস্তাফিজ কি সত্যিই ভালো বল করতে পারবে?

৩.রুবেল আসলে বাদ যাবে কে?

৪.ওই একটা ৫ উইকেটের ফলে রাহিরই বা দলে থাকার সম্ভাবনা কতটুকু?

৫.মিঠুন,সাব্বির, সাইফুদ্দিনেরা সব ম্যাচে থাকবে?  আর

৬.মিরাজ না মোসাদ্দেক?

-

উত্তর একটাই। খেলতে হবে টানা ৯ ম্যাচ, তাই ১৫ জনের সবাই মোটামুটি খেলতে পারবে বলা যায়, বিশেষ করে বোলাররা, আরো বিশেষায়িত করতে গেলে ফাস্ট বোলাররা। তবে ফার্স্ট ম্যাচের ইলেভেন কেমন হবে তা নিয়ে অবুঝ ক্রিকেট সাপোর্টার হিসেবে আমার মতামত একটু দিই।

-

ফাইনালে মোসাদ্দেক যতটাই ভালো খেলে থাকুক না কেন সাকিব, মিরাজ দুজন ফিট থাকলে খেলবেন এ দুজনই। মুস্তাফিজও ইলেভেনে শিউর। রুবেল থাকছেই সেটা আমার বিশ্বাস। ফার্স্ট ২-৩ ম্যাচ মিঠুন, সাইফুদ্দিনেরা ফিট থাকলে অবশ্যই থাকছে। অর্থাৎ প্রথম দিকে সৌম্য খেললেও কয়েক ম্যাচ পর সৌম্য লিটন দুজনই থাকতে পারেন ইলেভেনে। পঞ্চপাণ্ডব আছেনই। ইলেভেন ফিক্সড।  এর বাইরে ১ম ম্যাচে হয়তো যাওয়া হবে না।প্রশ্ন রয়ে যায়, 'সাব্বির কোথায়?'

-

কেমন দাঁড়ালো তবে একাদশ?  

তামিম, সৌম্য, সাকিব,মুশফিক,মিঠুন, রিয়াদ,সাইফুদ্দিন, মিরাজ, মাশরাফি, মুস্তাফিজ আর রুবেল। 

-

সাব্বিরকে দলে রাখবেই, সেক্ষেত্রে বাদ যেতে পারে মিঠুন আর যদি রিয়াদ্ভাই হাত ঘুরান, সেক্ষেত্রে মিরাজও হতে পারে সাইড বেঞ্চার।

-

স্কোয়াড আর ইলেভেন নিয়ে বিরক্তিকর প্যাঁচালের জন্য ক্ষমাপ্রার্থী। এবার শেষ করব। তবে শেষের আগে পুরো দলের ২-১ টি সমস্যা বা করণীয় সম্পর্কে অনভিজ্ঞ পোস্টদাতা কিছু বলতে চাচ্ছেন। পড়তে গেলে সময় নষ্ট হবে শিউর। বাকিটা আপনার ইচ্ছা।

-

গত ৫ বছরে ওয়ানডে ক্রিকেটের অন্যতম বড় দল হয়ে যাওয়া বাংলাদেশ বিশ্বকাপের আগে তাঁদের আত্মবিশ্বাসটাও পুরো করে নিয়েছে টানা ৬ ফাইনাল হারের পর ৭ম বারের চেষ্টায় জয়ের মাধ্যমে। তাও বাঘের মতো করেই।  তবুও ত্রিদেশীয় এই টুর্নামেন্টের পর যেদিক গুলোতে দলের মনোযোগ বাড়ানো উচিত তার দুটি হলো

-

১.শুরুর দিকেই প্রতিপক্ষের উইকেট নিতে হবে।

২.৭৫/৮০+ ইনিংসগুলোকে গুলোকে শতকে রূপ দিতে হবে। 

-

১ম পয়েন্টের উদাহারণ হিসেবে বলতে পারি পাকিস্তানের পর পর ৩৪০+ রান করেও ইংল্যান্ডের মাটিতে তা ডিফেন্ড করতে না পারা আর ২য় পয়েন্টের ক্ষেত্রে বলতে পারি বড় ইনিংস না হলে আমরা ৩৪০ করতে পারব না।

-

ত্রিদেশীয় এই সিরিজে আইরিশ আর উইন্ডিজদের শতক থাকলেও চ্যাম্পিয়ন দলের নেই কোনো শতক। যা ইংল্যন্ডে ভোগাবে দলকে।

-

সেদিক থেকে চিন্তা করলে বড় ইনিংস খেলতেই হবে আর সেটা যদি তামিমের ক্ষেত্রে ৬৮ স্ট্রাইক রেট নিয়েও হয় তবুও। কারণ একদিকে যেমন তামিমের থেকে পাওয়া একটা শতক দলকে চাঙ্গা করবে, অন্যদিকে তার উইকেটটা দেরিতে হারালে প্রতিপক্ষের উপর চাপটাও বেশি পরবে। সাথে সৌম্য,সাব্বির রা তো আছেনই রান রেট ঠিক জায়গায় রাখতে।

-

ফিনিশিং এ বাংলাদেশের হয়ে সবথেকে বেশিবার নট আউট থাকা রিয়াদ্ভাইয়ের উপরেই মূল দায়িত্বটা থাকবে। সাথে সাকিবের ব্যাটে-বলে ফর্মে থাকা আর মুশির ধারাবাহিকতাও আত্মবিশ্বাস জুগিয়েছে দলকে, জোগাচ্ছেও। ফিল্ডিংটাকেও ব্যাটিং বোলিং এর মতো সমান গুরুত্ব দিতে হবে, পারলে একটু বেশিই। 

-

স্বপ্নের বিশ্বকাপটা স্বপ্নের মতো শেষ করতে প্রয়োজন প্রথম ম্যাচ টা জেতা। আমাদের ইতিহাসও তাই বলে।তাই ভালো কিছুর আশা করলে সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে  জিততেই হবে।শুরুর ম্যাচটা জিতলে আর পাকিস্তান,আফগানিস্তান, উইন্ডিজ আর লংকানদের সাথে ভুল না করলে ৯ ম্যাচের ৫ টি জিতবে বাংলাদেশ আশা করাই যায়। চায়ের দোকানে বসে রাতের বেলা চায়ের কাপে চুমুক দিতে দিতে যদি দেখি বাকি ৪ ম্যাচ এর ১ টিকেও জিতেছে বাংলাদেশ তবে প্রথমবারের মতো বিশ্বমঞ্চের সেমিতে যাওয়াটা অনেকটাই নিশ্চিত লাল সবুজদের।

-

সব ঠিকঠাক থাকলে এবারের বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সম্ভাবনা আগের তুলনায় অনেক বেশি। আত্মবিশ্বাসী এক দল কোটি বাঙালির ভালোবাসায় আর ইফতার সামনে নিয়ে বসে নিজের জন্য না করে সাকিব-তামিমদের জন্য রোজাদারের করা দোয়ায় ছুঁয়ে দেখবে সেই স্বপ্নের ট্রফিটা সেটাই স্বপ্ন দেশের ১৭ কোটি হৃদয়ের। অসম্ভব বলে কিছু নেই তবে আমরাই সেরা না। আমরাই সেরা না তবে আমাদের এই ১৫ জনই সেরা।  

-

কার্ডিফে বাশার-আশরাফুল বা রিয়াদ-সাকিবের সেদিনের বুক চিটিয়ে করা লড়াই পূর্ণতা পাবে তখনই যখন দিন এনে দিন খাওয়া রিক্সাওয়ালা রিক্সা থামিয়ে দিয়ে কোনো চায়ের দোকানে টিভিতে দেখবে স্বপ্নের ট্রফি উঁচিয়ে ধরেছে বাংলাদেশ, যেদিন নুন আনতে পানতা ফুরোনো পরিবারের ছেলেটাও পূজোয় আলাদা নতুন জামা না নিয়ে লাল সবুজের জার্সি কিনে দেখতে পাবে বিসিবির লগোর উপর একটা তারকা আঁকা। সেদিনের অপেক্ষায় আছে দেশের লাখো কুলি - মজুর থেকে শুরু করে কোটিপতি বাবার একমাত্র সন্তান আর সাথে দূর থেকে অপলক দৃষ্টিতে চেয়ে আছেন একজন শহীদ জুয়েল বা মাঞ্জারুল ইসলাম রানা।