• ক্রিকেট

টেস্ট ক্রিকেটে ১৯ পেরিয়ে।

পোস্টটি ২২৪৬ বার পঠিত হয়েছে
'আউটফিল্ড’ একটি কমিউনিটি ব্লগ। এখানে প্রকাশিত সব লেখা-মন্তব্য-ছবি-ভিডিও প্যাভিলিয়ন পাঠকরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে নিজ উদ্যোগে করে থাকেন; তাই এসবের সম্পূর্ণ স্বত্ব এবং দায়দায়িত্ব লেখক ও মন্তব্য প্রকাশকারীর নিজের। কোনো ব্যবহারকারীর মতামত বা ছবি-ভিডিওর কপিরাইট লঙ্ঘনের জন্য প্যাভিলিয়ন কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না। ব্লগের নীতিমালা ভঙ্গ হলেই কেবল সেই অনুযায়ী কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিবেন।

২০১৫ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালের পর ঘরের মাঠে পাকিস্তান,ভারত আর দক্ষিণ আফ্রিকাকে ওডিআই সিরিজে হারানোয় বদলে যাওয়া এক বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখা শুরু করেছিলো কোটি বাঙালি। সাথে বৃষ্টির কারণে '১৭ এর চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমিফাইনাল।  এসবই তো স্বপ্ন দেখিয়েছে আমাদের '১৯ বিশ্বকাপে সবথেকে ভালো করার। ওডিআই রেকর্ডস বাংলাদেশের যেমনই হোক, টেস্ট টা যে বাংলাদেশ খেলতেই শেখেনি এখনও সেটা সবাই বিশ্বাস করবে। 

 

ভ্রু কুঁচকোতে কুঁচকোতে যে লোকটা বাংলাদেশের ওডিআই দলকে নিয়ে মাঝে মাঝেই বাজি ধরার সাহস রাখে সেও কখনোই টেস্টে বাংলাদেশের পক্ষে মন থেকে বিশ্বাস করে কথা বলতে পারে না। কিন্তু কেনো? আমাদের টেস্টের অর্জন কি কম? এতো সহজেই সব ভুলে গেলে চলবে? একটা বছর খারাপ যেতেই পারে। এই তো মাত্র এক বছর আগে আমরা উইন্ডিজকে হারিয়েছি ইনিংস আর ১৮৪ রানে। ঠিক তার আগের সিরিজেই জিম্বাবুয়েকে হারিয়েছিলাম ২১৮ রানে। সাথে মুশির ২য় দ্বিশতক আর রিয়াদের অনেক দিন বাদের এক সেঞ্চুরি। তার আগের ৮ ইনিংসের বাজে পারফর্মেন্সের পর ফর্মে ফিরেছিলেন দলের বর্তমান কাপ্তান মুমিনুল হক। আরও তো কতই সাফল্য আছে।  এই যেমন ইংল্যান্ড - অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেও জয়। তবে কয়েক ম্যাচের খারাপ পারফর্মের জন্যই আপনি খারাপ বলে দেবেন?

 

এই ম্যাচে ভারতের সাথে ইনিংস আর ১৩০ রানে হারতেই পারে বাংলাদেশ। 'ভারতে হারানোর কোনো চাপ নেই বাংলাদেশের ' দলের কাপ্তানের এমন কথার পর প্লেয়াররা চাপ কেনই বা নিবে? লাভ কি নিয়ে? কিন্তু ঠিক তার আগের টেস্টে কোন যুক্তি দ্বার করাবেন? দ্বার করানোর কেউ নেই-ও এখন। মাত্র ২য় টেস্ট খেলতে নামা আফগানদের কাছে যে নিজের মাঠে হেরেছি ২২৪ রানে। ১ বছর আগেও বছরের প্রথম টেস্ট খেলতে নামা জিম্বাবুয়ের কাছে হেরেছিলাম ১৫১ রানের বিশাল ব্যবধানে। ১৯ বছর পার করেও বাংলাদেশ এখনো টেস্ট ক্রিকেটের কচি খোকা, বয়ঃসন্ধিকাল থেকে বহুদূরে।

 

জিম্বাবুয়ের কাছে হারের ঐ ম্যাচ নিয়ে তার আগের  শেষ ৮ ইনিংসে টাইগাররা পেরোতে পারেনি ২০০ রানও, যেখানে আমিনুল, বাশাররা নিজেদের অভিষেক ইনিংসেই গাঙ্গুলির ভারতের বিপক্ষে করেছিলো ৪০০ রান।

 

দর্শক উন্মাদনা কাজে লাগিয়ে তৎকালিন বোর্ড প্রেসিডেন্ট সাবের হোসেন চৌধুরীর পারদর্শীতায় মাত্র ১ বার বিশ্বকাপ খেলা দলটা পেয়ে যায় টেস্ট স্ট্যাটাস নামক সোনার হরিণ। ২০০০ সালের ২৬ জুন আইসিসির ঘোষণায় পুরো দেশে যেন এক উৎসব শুরু হয়ে যায়, হবেই বা না কেনো? এটা তো টেস্ট স্ট্যাটাস যেটা স্কটল্যান্ড, নেদারল্যান্ডের মতো দল এখনোও পায়নি। 

 

২০০০ সালের ১০ নভেম্বর, ঢাকার গুলিস্তানের বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে নতুন এক ইতিহাস লেখা হবে।পুরো দেশ অপেক্ষায়; যারা পারলো স্টেডিয়ামে এসে সাক্ষী হলো ইতিহাসের। শোনা যায়, আগের রাত থেকেই নাকি অনেকে অবস্থান করেছেন স্টেডিয়ামে। প্রথম টেস্ট খেলতে নামল বাংলাদেশ ; প্রতিপক্ষ সৌরভ, যোশিদের ভারত। প্রথম টেস্টের প্রথম টস টাই জিতে নেয় বাংলাদেশের ক্যাপ্টেন নাইমুর রহমান দুর্জয়। টস জিতে ব্যাটিং এর সিদ্ধান্ত বাংলাদেশ অধিনায়কের। ১ম ইনিংসে দুর্দান্ত বাংলাদেশ।  অভিষেক টেস্টেই আমিনুল ইসলামের ১৪৫ রানের ইনিংস আর বাশারের ৭১ এ সবকটি উইকেট হারিয়ে ৪০০ করে দুর্জয়ের দল। জবাব দিতে নেমে প্রথম টেস্টেই ৬ উইকেট নেয়া দুর্জয়ের সাথে রফিকের ঘূর্ণিতে মাত্র ২৯ রানের লিড নিতেই ১০ উইকেট পরে যায় পরাশক্তি ভারতের। যোশী করেন ৯২ আর ক্যাপ্টেন গাঙ্গুলি ৮৪। তবে ২য় ইনিংসে আর দাঁড়াতে পারেনি বাংলাদেশ। মাত্র ৯১ রানেই গুটিয়ে যায় দল। ১ উইকেট হারিয়েই জয় তুলে নেয় ভারত।

 

সেদিন থেকে আজ পর্যন্ত বাংলাদেশ মোট টেস্ট খেলে ফেলেছে ১১৬ টি,যেখানে জয়ের সংখ্যা মাত্র ১৩ আর ড্র ১৬ টি।

 

৫ বছর খেলার পর ২০০৫ এর জানুয়ারিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম জয় তুলে নিতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ। মুলতান টেস্টের দুঃখ কিছুটা হলেও কাটে তাতে। তাতেন্দা তাইবুর জিম্বাবুয়েকে ২২৬ রানে হারিয়ে নিজেদের টেস্ট ইতিহাসের ১ম জয় তুলে নেয় হাবিবুল বাশারের বাংলাদেশ। বাশার, রাজিন,নাফিস,রফিক,মাশরাফি, এনামুল জুনিয়রদের সেই জয়ই এখনো পর্যন্ত শুধু রানের হিসেবে বাংলাদেশের সবথেকে বড় জয়। রানের হিসেবে সেরা ৫ জয়ের সবকটিই এসেছে এই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে; ১৩ জয়ের ৬ টিও। তবে এই জয়ের আগে বাংলাদেশ হারে টানা ১৬ সিরিজ আর পরে হারে ১১ সিরিজ যার দুটোই দুটো বিশ্বরেকর্ড। দলের সব থেকে বড় জয় গত বছর উইন্ডিজদের বিপক্ষে ইনিংস আর ১৮৪ রানে।

 

১৩ জয়ের ৯ টিই এসেছে নিজ দেশের মাটিতে, ৪ টি দেশের বাইরে।দেশের বাইরে ১ম সিরিজ জয় উইন্ডিজদের নিচের সারীর এক দলের বিপক্ষে। ১ম ম্যাচে মাশরাফির অধিনায়কত্বে জয় পায় বাংলাদেশ ২০০৯ এর জুলাইতে। মাশরাফির সেই ম্যাচটিই একদিকে ছিলো তার অধিনাকত্বের ১ম টেস্ট, অন্যদিকে নিজের টেস্ট ক্যারিয়ারের শেষ টাও বটে। ১০০% টেস্ট জয়ের রেকর্ড নিয়েই টেস্টের দর্শক হয়ে যান সেদিন থেকে। সাকিব আল হাসানের অধিনায়কত্বে ফ্লয়েড রেইফারের উইন্ডিজের বিপক্ষে দেশের ইতিহাসের সর্বোচ্চ ২১৭ রান তাড়া করে ৪ উইকেটের জয় পায় বাংলাদেশ পরের ম্যাচেও। উইকেটের বিবেচনায় যে জয়টি এখনো দেশের পক্ষে সেরা জয়;সাথে ১৫ মার্চ '১৭ তে লংকানদের হারানো ম্যাচটাও। বিদেশের মাটিতে ১ম টেস্ট সিরিজ জয় বাংলাদেশের।

 

দেশের মাটিতে আসা ৯ জয়ের ৫ টিই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে,২ টি উইন্ডিজ আর ১ টি করে জয় ইংল্যান্ড - অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। সব থেকে বেশি ৭ জয় এনে দেয়া ক্যাপ্টেন মুশফিকের হাত ধরেই আসে ২০১৬ তে ইংল্যান্ড আর '১৭ তে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জয়। দেশের শততম টেস্টে শ্রীলংকার মাটিতেই তাঁদের হারায় মুশির বাংলাদেশ। 

 

ক্যাপ্টেন হিসেবে শতভাগ জয় মাশরাফির- ১ ম্যাচে ১  জয়, যদিও সে ম্যাচের পুরো নেতৃত্ব দিতে পারেননি তিনি।দেশের টেস্ট ইতিহাসের সেরা টেস্ট অধিনায়ক মুশফিকের হাত ধরে এসেছে ৭ জয় আর ৯ ড্র। ১ টি করে জয় এসেছে হাবিবুল বাশার,মাশরাফি আর রিয়াদের নেতৃত্বে।সাকিবের হাতে ৩ টি। ২১.৪২% জয় নিয়ে এই সাকিব এখানে সবার উপরে। কোনো জয় না পাওয়া ক্যাপ্টেন দুর্জয়,পাইলট,সুজন,আশরাফুল, তামিম আর মুমিনুল।

 

দলীয় সাফল্য বলতে এর সাথে যুক্ত হবে সাউথ  আফ্রিকা,ইন্ডিয়া ও পাকিস্তানের সাথে ড্র। ১৯ বছরের দলীয় সাফল্য এখানেই শেষ। ব্যর্থতার গল্পটা অনেক বড়।অন্য দেশগুলোর থেকে অভিষেকের প্রথম ১৯ বছরে বাংলাদেশের খেলা টেস্ট সংখ্যার গ্রাফ টা অনেক বেশি ঊর্ধ্বমুখী কিন্তু উন্নতিটা ঠিক তার উলটো। ১১৬ ম্যাচের ৮৭ টিতে হার। অভিষেকের ৫ বছরের মাথায় ১ম জয় পাওয়া দলটা ২য় জয় পায় অভিষেকের ৯ বছর পর। ৬৩৮,৫৯৫/৮,৫৫৬ সর্বোচ্চ রান করা দলটার সর্বনিম্ম স্কোরটা চোখে লাগার মতোই, আর যখন সব থেকে কম স্কোর টা আসে সমর্থকদের বিশ্বাসের বদলে যাওয়া বাংলাদেশের কাছ থেকে; ৪ঠা জুলাই '১৮ উইন্ডিজের বিপক্ষে অলআউট হয় মাত্র ৪৩ রানে।দেশের বিপক্ষে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চটা লংকান গ্রেট কুমার সাঙ্গাকারার ৩১৯ রান।

 

উন্নতির আশায় নতুন নতুন প্লেয়ারদের অভিষেক করাতে করাতে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের হয়ে মোট টেস্ট খেলা প্লেয়ার এর সংখ্যাটা ৯৫।তবুও উন্নতি যে নেই। এই তালিকায় আছেন সৌম্য,সাব্বির,লিটন,আরিফুল আর নাজমুল অপুরাও।

 

সানজামুল আর অপু খেলেছেন এক টেস্ট।সানজামুল আর অপু যদি আর না ফেরেন টেস্টে তবে দেশের হয়ে শুধু ১টি টেস্ট খেলে বাদ পরা প্লেয়ারের সংখ্যা হবে ৯ জন। রঞ্জন দাশ,এহসানুল হক,আনোয়ার হোসাইন,রফিকুল ইসলাম,ফয়সাল হোসাইন,সোহরাওয়ার্দি শুভ আর জিয়াউর রহমানের নামের পরই থাকবে তাঁদের নাম।

 

মাত্র ২ টেস্ট খেলে বাদ পড়া শান্ত অনূর্ধ্ব ১৯ পর্যায়ের সর্বোচ্চ রানের মালিক; ৩২ টি ফার্স্ট ক্লাস ম্যাচে তাঁর রান ২১৩৫। সোহান,আবুল হাসান,নাজিমুদ্দিন আর সাজিদুল ইসলামেরা অন্তত তাঁর থেকে ভাগ্যবান; খেলেছেন ৩ টি করে টেস্ট। শুভাশিস রয়, ইলিয়াস সানিরা ৪ টি করে টেস্ট খেলেই বাদ।নিয়মিত ইনজুরির সাথে লড়াই করা তাসকিন খেলেছেন ৫ টেস্ট। লেগ স্পিনারের সংকটের দেশে লেগী জুবায়েরও খেলেছেন মাত্র ৬ টেস্ট। ৬ টেস্টে ৯ ইনিংসে ১১৯.১ ওভার বল করে ৩০.৮১ গড়ে ১৬ উইকেট নেয়ার পরও উপেক্ষিত জুবায়ের লিখন। ১ বার ৫ উইকেট নেয়া এই বোলারের স্ট্রাইক রেট দেশের অন্য সব বোলারের থেকেও অনেক ভালো - ৪৪.৬।

 

দলীয় পরিসংখ্যানটা ভালো না হলেও মাঝে মাঝেই কিছু ব্যক্তিগত অর্জন টেস্ট ব্যর্থতা ভুলিয়ে রাখে বাঙালি দর্শকদের।এই যেমন জিম্বাবুয়ের কাছে হারের পরের ম্যাচটা জিততেই সবাই সব ভুলে যায়। আফগানদের বিপক্ষে ১ টি-টোয়েন্টি জিতে ২২৪ রানের হারটাও ভুলে যাই আমরাই।

 

ব্যক্তিগতভাবে সবথেকে বেশি ডবল হান্ড্রেডের মালিক মুশফিকুর রহিম এবং বিশ্বের একমাত্র উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান হিসেবেও। ডবল হান্ড্রেড আছে তামিম ও সাকিবেরও।দেশের হয়ে টেস্ট ফরম্যটে সবথেকে বেশি শতক আর অর্ধশতক দুটোই তামিম ইকবালের।সবথেকে বেশি ৫ উইকেট দখলে নিয়েছে বাংলার ক্রিকেটের প্রথম পোস্টার বয় সাকিব আল হাসান; সবথেকে বেশি উইকেটও তাঁর। মিরাজ,তাইজুলেরাও এগোচ্ছে সমান তালে। ব্যাটিং এ তো মুমিনুলকে তার রাজকীয় শুরুটা দেখে আমরা বাঙালিরাই নাম দিয়ে ফেলেছিলাম বাংলার ডন।  অভিষেকে সেঞ্চুরির রেকর্ড আছে ৩ ক্রিকেটারের, আমিনুল ইসলাম, মোহাম্মদ আশরাফুল আর আবুল হাসানের। অভিষেকে অর্ধশতরান আছে ১৫ জনের। আবুল হাসানের আছে ১০ নম্বরে নেমে হান্ড্রেড করার রেকর্ড আর সোহাগ গাজির আছে হান্ড্রেড সহ হ্যাটট্রিকের।

 

টেস্ট ক্রিকেটে ১৯ বছর পার করা বাংলাদেশের আজকের এই হালের জন্য অনেক কিছুই দায়ী। দায়ী দায়িত্বে থাকা স্পষ্টভাষী পাপন্দা ও তার সহযোগীরাও। দায়ী নির্বাচকরা। ডোমেস্টিক কাঠামো আর পিচ দুটোই দায়ী সবথেকে বেশি হয়তো। যে ডোমেস্টিকে কিছুদিন আগে ডবল হান্ড্রেড করা ইমরুল কায়েস এই ম্যাচের ২ ইনিংসেই ব্যর্থ। কারণটাও স্বাভাবিক। ডোমেস্টিকে নাকি খেলা হয় পাকা রাস্তার পিচের উপর। ডোমেস্টিক বাদই দিলাম। বিকেএসপির ৪ নাম্বার মাঠটি চলতি ইমার্জিং এশিয়া কাপের একটা ভেন্যু যার মাঠের মাধ্যে সগৌরবে একপায়ে দাঁড়িয়ে আছে তালগাছ। এভাবে একটা জাতীয় দলের উন্নতি হয় না। আশা করাটাও বোকামো। 

 

তবুও একদিন ভালো করবে বাংলাদেশ। সেই দিনটি দেখার আশায় বুক বেঁধে আছে দেশের দিনমজুর থেকে শুরু করে ডাক্তার - ইঞ্জিনিয়াররা। সেই আশায় এখনো এডমিশন টেস্টের ফাঁকে সময় পেলেই একটা ছেলে বসে যায় খেলা দেখতে, কিছু লেখতে।হয়তো বোকামো। কিন্তু একদিন সেই দিনটা যদি আসে?