ক্রিকেট নিয়ে প্যারোডি
পোস্টটি ৩৩০৮ বার পঠিত হয়েছেউড়িয়ে মারা শটের রুকুন, প্যাভিলিওনে যাচ্ছে মিথুন-
মগজভরা শট ঠাসা মারছে কিন্তু লাগছে না।
গায়ে আঁটা সবুজ জামা, পুড়ে পিঠ হচ্ছে ঝামা;
মিথুন বলে, “স্পিডটা নামা- নইলে ব্যাটে মিলছে না”।
ড্রেসিংরুমে ম্যাচটি ধ’রে, ব’সে ব’সে চুপটি করে,
হাঁড়িপানা মুখটি ক’রে আঁকড়ে ধরে ব্যাটটুকু;
ঘেমে ঘেমে উঠছে ভিজে, ভ্যাবাচ্যাকা একলা নিজে,
হিজিবিজি খেলছে কি যে বুঝছে না কেউ একটুকু।
কায়েসের শট ম্যাচটা জুড়ে, উইকেটেরই ঝাঝ্রা ফুঁড়ে,
মগজেতে নাচ্ছে ঘুরে আউটগুলো ঝনর ঝন:
ঠাঠা-পড়া দুপুর দিনে, কায়েস বলে “আর বাঁচিনে,
ডেকে আন জিম্বাবুরে - ক’চ্ছে কেমন গা ছন্ছন্।”
দলটা বলে, “হায় কি হল! কায়েস বুঝি ভেবেই মোলো।
ওগো কায়েস ব্যাটটি খোল- দেখাও ইহার কারণ কি?
মিমি আবার পান্সে যেন, খেলা ভোলা আম্সি হেন,
কায়েস এত আউট কেন- শুনতে মোদের বারণ কি”?
মুশি বলে, “কেইবা খেলে যে শটটা ঘুরছে মনে,
হাটু গেড়ে বামদিকেতে হচ্ছি কতক আউট তাই়;
সে কথাটি বলছি শোন, অফ স্ট্যাম্পের বাইরে গোণো,
নাহি তার জবাব কোন কুলকিনারা নাইরে হায়।
লেখা আছে পুথিঁর পাতে, ‘নেড়া যায় বেলতলাতে’,
নাহি কোনো সন্ধ তাতে – কিন্তু প্রশ্ন ক’বার যায়?
এ কথাটা এদ্দিনেও পারে নিকো বুঝতে কেও,
লেখে নিকো পুস্তকেও, দিচ্ছিনা আমি জবাব তাই ।
লাখোবার টেস্ট দলেতে, যাওয়া তার ঠেকায় কিসে?
ভেবে তাই পাইনে দিশে নাই কি কোন বিকল্প তার?”
এ কথাটা যেম্মি বলা, উড়িয়ে মারা টেস্টে খেলা
টিপ্ ক’রে স্লিপ বাড়িয়ে গলা মেরে দিল ব্যাটটি তাঁর।
রেগে বলে, “আজ্ঞে সে কি? তালি দেওয়া বাদ হবে কি?''
রিয়াদ্ভাই নিত্যি দেখি টেস্ট দলে নাম পরিষ্কার-
আমাদেরি 'টেস্টতলা' যে, ন্যাড়ারা সব খেলতে আসে
একই রকম আউট হয় নিদেন পক্ষে পঁচিশ বার”।
(সুকুমার রায়ের ''ন্যাড়া বেলতলায় যায় ক’বার'' অবলম্বনে)
- 0 মন্তব্য