• ফুটবল

লিডস ইউনাইটেড, পাওয়ার হাউজ অব ট্যাক্টিকাল ফুটবল

পোস্টটি ৬২৭৮ বার পঠিত হয়েছে
'আউটফিল্ড’ একটি কমিউনিটি ব্লগ। এখানে প্রকাশিত সব লেখা-মন্তব্য-ছবি-ভিডিও প্যাভিলিয়ন পাঠকরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে নিজ উদ্যোগে করে থাকেন; তাই এসবের সম্পূর্ণ স্বত্ব এবং দায়দায়িত্ব লেখক ও মন্তব্য প্রকাশকারীর নিজের। কোনো ব্যবহারকারীর মতামত বা ছবি-ভিডিওর কপিরাইট লঙ্ঘনের জন্য প্যাভিলিয়ন কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না। ব্লগের নীতিমালা ভঙ্গ হলেই কেবল সেই অনুযায়ী কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিবেন।

১৬ বছর পর ইংল্যান্ডের টপ টায়ার ফুটবলে ব্যাক করার পর মার্সেলো বিয়েলসার আন্ডারে লিডসের স্টার্টিং এখন পর্যন্ত বিস্ময়কর। এনফিল্ডে লিভারপুলের বিপক্ষে নিজেদের প্রথম ম্যাচ থেকেই বোঝা যাচ্ছে অপোনেন্ট যারাই হোক, বিয়েলসা কোনভাবেই তার প্লেস্টাইল স্যাক্রিফাইজ করবে না। মোহাম্মদ সালাহর লেট পেনাল্টি গোলে এনফিল্ড থেকে কোন পয়েন্ট নিয়ে ফিরতে না পারলেও নিজেদের ইমপ্রেসিভ প্লেস্টাইল দিয়ে ঠিকই ফুটবল ফ্যানদের মুগ্ধ করতে পেরেছে। এরপরের ম্যাচেই ফুলহামের সাথে ৪-৩ গোলের থ্রিলার ম্যাচ জিতে প্রিমিয়ার লিগে নিজেদের প্রথম জয় তুলে নেয় লিডস। এরপর ম্যানসিটির সাথে ১-১ এর ড্র এবং উলভসের সাথে ১-০ গোলের পরাজয়। লাস্ট ম্যাচে এস্টন ভিলার উইনিং স্ট্রিক ভেঙে ব্যামফোর্ডের দুর্দান্ত হ্যাট্রিকে ভিলা পার্কে ৩-০ তে ম্যাচ জিতে নেয়। এখন পর্যন্ত ২০২০-২১ সিজনে ৬ ম্যাচের মধ্যে তিন ম্যাচ জিতে লিডস ইউনাইটেড প্রিমিয়ার লিগের পয়েন্ট টেবিলে ৬ নম্বর পজিশনে আছে।

প্লেয়িং স্টাইলঃ
লিডসের পজিশনবেসড বিল্ড আপ প্লে এখন পর্যন্ত ফ্যানদের মধ্যে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে। লিডসের প্লেস্টাইলের মূল দর্শন হচ্ছে কুইক ট্রাঞ্জিশন করে অপোনেন্ট হাফে নিউমেরিক্যাল এডভান্টেজ গেইন করা এবং কুইক ওয়ান টু ওয়ান পাসিং করে গোলস্কোরিং চান্স ক্রিয়েট করা। বল পজিশন না থাকলে আউটিফিল্ড প্লেয়ারদের হাই ফিজিকাল ওয়ার্কলোডের মাধ্যমে এগ্রেসিভ ম্যান মার্কিং করা এবং কুইক পজিশন রিগেইন করা।

ফর্মেশন স্ট্রাকচারঃ
বিয়েলসা নরমালি লিডসকে ৪-১-৪-১ ফর্মেশনে খেলায় যেটা বিল্ডআপের সময় ৩-৩-১-৩ এ শিফট করে। এখন পর্যন্ত বিয়েলসা অপোনেন্টের ফর্মেশনের উপর বেস করে ব্যাক ফোর প্লে এবং থ্রি ম্যান ব্যাকলাইন দুই সিস্টেমেই খেলিয়েছে। নরমালি ৪-১-৪-১ ফর্মেশনের থেকে ৩-৩-১-৩ এ শিফট হওয়ার সময় সিঙ্গেল পিভট রোলে খেলা ফিলিপস ২ সেন্টার ব্যাকের মাঝে ৩ ম্যান ব্যাকলাইন তৈরি করে। দুই ফুলব্যাক আয়লিং এবং ডালাস সেন্টারলাইন বরাবর পজিশন নেয় ওয়াইড এরিয়ায় নিউমেরিক্যাল এডভান্টেজ পাবার জন্য। বক্স টু বক্স রোলে থাকা ক্লিচ কিছুটা নিচে নেমে দুই ফ্লাঙ্কে থাকা হ্যারিসন এবং কস্তাকে বল সাপ্লাই দেয়ার চেষ্টা করে।
অপোনেন্টে টিমে যদি ১ জন সেন্টার ফরোর্য়াড থাকে তবে বিয়েলসা লিডসকে থ্রি ম্যান ব্যাকলাইনে খেলায়। অর্থাৎ লিডস নিউমেরিক্যাল সুপিরিয়রিটির জন্য অপোনেন্ট দলে যতোজন সেন্টার ফরোয়ার্ড থাকে তারচেয়ে একজন বেশি সেন্টার ব্যাক নিয়ে খেলতে নামে। এই সিজনে এখন পর্যন্ত শেফিল্ডের সাথে ৩ ম্যান ব্যাকলাইন নিয়ে খেলতে দেখা যায়,কারণ শেফিল্ডের সেন্টার ফরোয়ার্ড ছিলো দুইজন ।
অনুরূপভাবে, অপোনেন্ট যদি তিনজন সেন্টার ব্যাক নিয়ে খেলতে নামে( শেফিল্ড, উলভস ) তখন বিয়েলসা ২ জন সেন্টার ফরোয়ার্ড খেলায়। অপোনেন্ট দলে ২ জন সেন্টার ব্যাক থাকেলে লিডস ১ জন সেন্টার ফরোয়ার্ড নিয়ে খেলতে নামে।

 

Screen-Shot-2020-10-22-at-11.33.46

৪ ম্যান ব্যাকলাইনে এভাবে লিডসের পজিশন থাকে। বিল্ডআপের সময় ফিলিপস ২ সেন্টার ব্যাকের মাঝখানে এসে ৩ ম্যান ডিফেন্স নিয়ে ৩-৩-১-৩ শেপ তৈরী করে।

 

বিল্ড আপ প্লেঃ
লিডস তাদের পজিশন প্লে বিল্ডআপ করে ব্যাক ফোর এবং তাদের একমাত্র হোল্ডিং মিডফিল্ডার ক্যালভিন ফিলিপসকে নিয়ে। যদিও এস্টন ভিলা ম্যাচে বল ডিস্ট্রিবিউটর রোলে দলের একমাত্র প্লেয়িং সেন্টারব্যাক প্যাসকেল স্ট্রাককে দেখা গেছে। বিল্ডআপের সময় দলের দুই নাম্বার এইট রোদ্রিগো এবং ক্লিচ যতোটুকু সম্ভব উপরে পজিশন নিয়ে পাসিং চান্স ক্রিয়েশনের জন্য স্পেস খুঁজতে থাকে। তবে প্রয়োজন অনুযায়ী বিল্ড আপে পাসিং অপশন বাড়ানোর জন্য নিচেও নেমে আসে। এসময় দুই উইঙ্গার কস্তা এবং হ্যারিসন যতোটুক সম্ভব ওয়াইড এরিয়ায় পজিশন নেয়ার চেষ্টা করে সেন্টার এরিয়ার ওভারলোড কমানোর জন্য। লিডসের ব্যাক ফোর এবং ফিলিপস ৫ জনই লং পাসে কমফোর্টেবল হওয়ায় পজিশন পাওয়ার পর বাকী ৫ জন ফরোয়ার্ড প্লেয়ারদের লং বল পাঠানোর চেষ্টা করে। এটাই লিডসের বিল্ডআপ করার প্রাইমারি মেথড। উদাহরণস্বরূপ রবিন কক রাইট উইং এ কস্তার কাছে লং বল পাঠালো। এই সময় ক্লিচ তার মার্কারের থেকে কিছুটা নিচে নেমে পজিশন নেয় কস্তার পাসিং লেন বাড়ানোর জন্য। এই সময় ডিফেন্স থেকে আয়লিং কুইক ওভারল্যাপ করে ফ্লাঙ্ক ধরে উপরে উঠে আসে অ্যাটাকে জয়েন করার জন্য। তখন ব্যামফোর্ড সেন্টার এরিয়া থেকে কিছুটা রাইটে সড়ে আসে। ফলে ছোট জায়গায় ৪ জন হওয়ায় অপজিশন ফ্লাঙ্কে নিউমেরিক্যাল সুপিরিয়রিটি পেয়ে যায়। অপর বক্স টু বক্স মিডফিল্ডার রোদ্রিগো তখন উপরে উঠে আসে এবং লেফট উইং থেকে কস্তা বক্সের ভেতর কাটইন করার চেষ্টা করে। অপোনেন্ট বক্স এরিয়ায় ৬ জন এটাকিং প্লেয়ার থাকায় ৬ ভার্সেস ৪ সিচুয়েশন তৈরী হয় এবং এতে গোল স্কোরিং চান্স ক্রিয়েট হয়। লেফট ফ্লাঙ্ক দিয়ে বিল্ডআপের সময়ের সিনারিও একইরকম থাকে লিভারপুল ম্যাচে থার্ড গোলটা অপোনেন্ট বক্সে এভাবে ওভারলোডের মাধ্যমেই এসেছিল। লিডসের লং বল প্লের আর একটা ভালো দিক হচ্ছে যদি লং বল প্লেতে অপোজিশন হেডার জিতে যাতে যায় , নিউমেরিক্যাল এডভান্টেজের জন্য লিডস খুব দ্রুতই সেকেন্ড বলের জন্য ফাইট করতে পরে। কারণ অপোনেন্ট এরিয়ায় ওভারলোডের কারণে বলের আশেপাশে লিডসের বেশ কয়েকজন প্লেয়ার থাকার কারণে পজিশন ব্যাক পাবার ভালো চান্স থাকে।

 

এটাকিং ফিচারঃ
লিডসের এটাকিং ব্যালেন্সের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে ওয়াইড এরিয়া ঠিকমত ইউটিলাইজ করা। এটাক করার সময় লিডসের ফ্রন্ট ৫ (২ উইংগার, ২ নাম্বর ৮ এবং নাম্বার ৯) যতোটুক সম্ভব ওয়াইড এরিয়ায় ছড়িয়ে থাকার চেষ্টা করে। ২ উইঙ্গার অপোনেন্ট ডিফেন্সের বাইরে টাচলাইনের কাছাকাছি পজিশন নেয়। এতে করে অপোনেন্ট ফুলব্যাকদের সাথে ১ ভার্সেস ১ সিচুয়েশন তৈরি হয়। এসময় লিডসের ২ ফুলব্যাক ওভারল্যাপ করে উপরে উঠে আসলে ফ্লাঙ্ক এরিয়ায় ২ ভার্সেস ১ সিচুয়েশন তৈরি হয় এবং উইঙ্গার কাটব্যাক করে থ্রেট ক্রিয়েট করার সুযোগ পায়। অপোনেন্ট হাই লাইন প্রেসিং করলে ডিফেন্সিভ ওয়াইড এরিয়ায় কুইক ওয়ান টু ওয়ান করে কাউন্টার এটাক করে। ম্যানসিটি ম্যাচে বারবার লেফট উইং দিয়ে ডালাস-কস্তা-ক্লিচ নিজেদের মধ্যে কুইক ওয়ান টু ওয়ান পাসিং করে এভাবে কাউন্টার এটাকে যেতে দেখা গেছে অনেকবার।

 

fwd-5

ছবিতে উলভসের সাথে ম্যাচে লিডসের ফ্রন্ট ৫ এর পজিশন দেখা যাচ্ছে। দুই উইঙ্গার ওয়াইড এরিয়ায় একদম টাচলাইন বরাবর পজিশন নিয়েছে আর দুই বক্স টু বক্স মিডফিল্ডার একদম উপরে উঠে গেছে।

 

প্রেসিংঃ
বিয়েলসার প্লেস্টাইলে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ট্যাক্টিক্স হচ্ছে প্রেসিং। লিডস ম্যান টু ম্যান অরিয়েন্টেড প্রেসিং করে থাকে সবসময়। পজিশনিং এর সময় অপোনেন্টের যতোজন সেন্টার ব্যাক থাকে, লিডস তার চেয়ে একজন কম সেন্টার ফরোয়ার্ড নিয়ে খেলে। এজন্য নরমালি অপোনেন্ট থার্ডে প্রেসিংয়ের সময় অপোনেন্টের ২ জন প্লেয়ার আনমার্কড অবস্থায় থাকে। নরমালি অপোনেন্টের গোলকিপারের সাথে অন্য একজন আউটফিল্ড প্লেয়ার আনমার্কড থাকে। এরকম হওয়ার কারণ হচ্ছে বিয়েলসার সেটাপে অপোনেন্টের সেন্টার ফরোয়ার্ডের চেয়ে একজন সেন্টারব্যাক বেশি থাকে। এজন্য ম্যান টু ম্যান মার্ক করা সম্ভব হয় না। লিডসের ফ্রন্ট প্লেয়ার অপোনেন্টের সেন্টার ব্যাকদের প্রেস করা শুরু করে। এসময় অপোনেন্টের বাকি প্লেয়াররা মার্কড অবস্থায় থাকে। এজন্য অপোনেন্ট জোনাল ম্যান মার্কিংয়ের জন্য পেনিট্রেট হয়ে লং থ্রু বল দেওয়ার চেষ্টা করে। লিডসের প্লেয়াররা এরিয়াল বলে স্ট্রং থাকায় এভাবে পজিশন রিগেইন করার চান্স বেশি থাকে।

 

front-2

ছবিতে লিডসের ম্যান টু ম্যান ওরিয়েন্টেপ প্রেসিং সিস্টেম দেখা যাচ্ছে। ম্যান মার্কের জন্য উলভসের ডিফেন্সিভ থার্ডে রুই প্যাট্রিসিও আর উইলি বোলি ছাড়া বাকি সবাই মার্কড হয়ে আছে।

 

ট্যাক্টিক্যাল উইকনেসঃ
মার্সেলো বিয়েলসা ট্যাক্টিক্যালি অনেক স্ট্রং হলেও, লো রিসোর্সের কারণে তার ট্যাকটিক্সের বেশ কিছু উইকনেসও রয়েছে। লিডসের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা হলো প্লেয়াররা অনেক হাই এরিয়া কভার দেওয়ার কারণে ৯০ মিনিট ধরে ম্যান ওরিয়েন্টেড প্রেসিং করতে পারে না। ৬০ মিনিট পর যখন প্লেয়ারদের স্ট্যামিনা অনেক কমে যায় তখন ম্যান মার্কিং এবং কুইক পজিশনিং ট্রাঞ্জিশনেও ভূল হতে শুরু করে। হাই লাইন প্রেসিং করা টিমগুলোর সাথে বেশি ওয়ার্কলোডের কারণে ৬০ মিনিট পর প্লেয়াররা একদমই ফ্যাটিগড হয়ে পড়ে।
এটাকের সময় ম্যাক্সিমাম টাইম লিডসে ৩ ম্যান ব্যাকলাইন বাদে বাকি ৭ জনই অপোনেন্টের থার্ডে থাকে। তখন পজিশন লস হলে অপোনেন্ট উইং ধরে কুইক কাউন্টার এটাকের সুযোগ পায় । লিডসের ম্যান টু ম্যান প্রেসিং সিস্টেমের কারণে অপোনেন্ট লিডসের ডিফেন্সিভ থার্ডে অনেক স্পেস পায়। ফুলব্যাকরা সবসময় হাই-লাইনে থাকায় অপোনেন্টের কুইক উইঙ্গার থাকলে তারা সহজেই বিট করে ওয়াইড এরিয়ায় হিউজ স্পেস ক্রিয়েট করতে পারে।
লিডসের অতিরিক্ত লং পাসে বিল্ডআপ করাটাও অনেকসময় ব্যাকফায়ার করে। ফ্রন্ট ৫ এবং দুই ফুলব্যাক হাই লাইনে থাকায় অপেনেন্টেরে একটা ইন্টারসেপ্টেড পাস হিউজ স্পেস ক্রিয়েট করে ডিফেন্সকে ডেস্ট্রয় করে দিতে পারে। ম্যানসিটি ম্যাচে মিলিয়েরের লং বল মেন্ডি ইন্টারসেপ্ট করে, এতে হিউজ স্পেস ক্রিয়েট হয়। লিডস তখন কুইকলি ড্রপব্যাক করতে ফোর্সড হয়। লেফট সাইড থেকে স্টার্লিং কাটইন করে গোল করে ফেলে।
লিডসের আরেকটা দুর্বলতা হচ্ছে ন্যারো লাইন ডিফেন্স মেনটেইন করা টিমের সাথে সেন্টার এরিয়ায় স্পেস ক্রিয়েট করা কঠিন হয়ে পড়ে। এতে ওয়াইড এরিয়ায় রিস্কি বল বেশি খেলতে হয়। এজন্য পজিশন লসের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। একারণে শেফিল্ডের সাথে ডেডলক ভাঙতে ৮৮ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছিলো এবং উলভসের ন্যারো লাইন ব্রেক করতেই পারেনি।

 

Eh9n1LrX0AYjXdL

এখানে দেখা যাচ্ছে লিভারপুলের বক্সে লিডসের ৭ জন প্লেয়ার ওভারলোড করে রেখেছে। এতে কুইক বল রিকোভারি করে এটেম্পট নিতে সুবিধা হয়। কিন্তু ৬০ মিনিটের পর লিডসের এই ট্রাঞ্জিশন সিস্টেম বেশি ভার্নারেবল হয়ে যায়। যেকারণে অপোনেন্ট কুইক কাউন্টারে যাওয়ার সুযোগ পায়।

 

লিডস ইউনাইটেড সবসময় এটাকিং ফুটবল খেললেও হাই লাইনে খেলা টিমগুলোর সাথে অনেক বেশিই ডমিনেটিং ছিলো। এজন্য টপ ৬ এর টিমগুলোর সাথে তাদের ভালো খেলার সম্ভাবনা বেশি, লিভারপুল এবং ম্যানসিটির ম্যাচে তার প্রমাণও পাওয়া গেছ। সিজনের এখনো বহু পথ বাকি থাকলেও এখন পর্যন্ত যেরকম ইমপ্রেসিভ খেলেছে তাতে লিডস সিজন শেষে ভালো করবে অনেকটা নিশ্চিতভাবেই বলা যায়। তবে টাফ শিডিউলে বিয়েলসার হাই ওয়ার্কলোড প্লেস্টাইলে প্লেয়াররা নিজেদের কতটা ফিট রাখতে পারে সেটাও বিগ ফ্যাক্টর।