• ফুটবল

বায়ার্নকে হারাতে বার্সেলোনার ট্যাক্টিক্স কেমন হওয়া উচিত? (পর্ব ২)

পোস্টটি ৯৩৮ বার পঠিত হয়েছে
'আউটফিল্ড’ একটি কমিউনিটি ব্লগ। এখানে প্রকাশিত সব লেখা-মন্তব্য-ছবি-ভিডিও প্যাভিলিয়ন পাঠকরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে নিজ উদ্যোগে করে থাকেন; তাই এসবের সম্পূর্ণ স্বত্ব এবং দায়দায়িত্ব লেখক ও মন্তব্য প্রকাশকারীর নিজের। কোনো ব্যবহারকারীর মতামত বা ছবি-ভিডিওর কপিরাইট লঙ্ঘনের জন্য প্যাভিলিয়ন কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না। ব্লগের নীতিমালা ভঙ্গ হলেই কেবল সেই অনুযায়ী কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিবেন।

ফাইনাল থার্ডে মুলার সাধারণত বক্সের বাইরে থেকে লেভানডোস্কি বরাবর ভার্টিকাল বল অথবা দুই কাটইন উইঙ্গার সানে-গ্যানাব্রি অথবা লেফ্টব্যাক ডেভিস বরাবর  লেটেরাল পাস দিয়ে থ্রেট ক্রিয়েট করার চেষ্টা করে। বার্সেলোনার মিডফিল্ডারদের মধ্যে বুসকেটসের বল ইন্টারসেপশন রেট সবচেয়ে ইমপ্রেসিভ, কোন সেন্টারব্যাক যদি তার লাইন ছেড়ে বেরিয়ে এসে মুলারের বল ইন্টারসেপ্ট করতে চেষ্টা করে তবে বিহাইন্ড দ্যা লাইনে বায়ার্নের ফরোয়ার্ড প্লেয়াররা অনেকটা ফ্রি স্পেস পেয়ে যাবে। এজন্য বুসকেটসকেই মুলারের ডিফেন্স ব্রেকিং পাসগুলো এগ্রেসিভলি ইন্টারসেপ্ট করার চেষ্টা করতে হবে।

 

মুলারের পর ফাইনাল থার্ডে সবচেয়ে ক্রিয়েটিভ ফুটবলার হচ্ছে সানে। সানে লেফ্ট উইঙ্গার পজিশনে খেললেও সাধারণত লেফ্ট হাফ স্পেসেই বেশি অপারেট করে। সানের ড্রিবলিং স্কিল বেশ ভালো হওয়ায় টাইট স্পেসের মধ্যে কুইক পাসিংয়ের পরিবর্তে ড্রিবল করে বক্সে কাটইন করার চেষ্টা করে।  তবে সাথে ওয়ান অন ওয়ান ব্যাটেলে বেশ দুর্বল, বায়ার্ন মিউনিখে এখন পর্যন্ত সানের বেস্ট ভার্সন পাওয়া যায়নি। নূ ক্যাম্পে বার্সেলোনার বিপক্ষের ম্যাচে আরাউহোর সাথে তিনটি ওয়ান ভার্সেস ওয়ান ব্যাটেলের তিনবারই বল পজেশন লস করে সানে। এজন্য সানেকে আরাউহো ম্যান মার্ক করে রাখলে সানের পক্ষে ড্রিবল করে থ্রেট ক্রিয়েট করা বেশ কঠিন হয়ে পড়বে।

 

ওয়ান অন ওয়ান ব্যাটেলে দুর্বল হওয়ায় ওয়াইড এরিয়ায় সানে খুব একটা কার্যকরী না, লেফ্ট উইং থেকে সেন্ট্রালি কাটইন করার সময় সানের পজেশন লস করার কারণে বায়ার্নকে অপনেন্টের কাউন্টারের সম্মুখীন হতে হয়। এক্ষেত্রে বার্সেলোনার নিজেদের থার্ডে বল পজেশন রিগেইন করার জন্য রাইট সাইডে ফ্রি স্পেস রেখে সানের জন্য প্রেস ট্র্যাপ ক্রিয়েট করে  এবং সেখান থেকে প্রেস করাটা বেশ কার্যকরী হতে পারে।

 

এবার অন দ্যা বলে বার্সেলোনার এপ্রোচ কেমন হওয়া উচিত সেটা নিয়ে আলোচনা করা যাক৷ আমরা সবাই জানি বার্সেলোনা ব্যাক থেকে বিল্ডআপ করে। এক্ষেত্রে বিল্ডআপের সময় বার্সেলোনাকে সবচেয়ে বড় যে সমস্যার মুখোমুখি হতে হবে তা হচ্ছে বায়ার্নের প্রেসিং। প্রেসিং ইন্টেনসিটির দিক থেকে বায়ার্ন মিউনিখ ইউরোপের সেরা দলগুলোর মধ্যে একটি। নাগেলসম্যানের একটি ইউনিক প্রেসিং স্টাইল রয়েছে, যেটাকে বিট করে বল ফরোয়ার্ড প্রোগ্রেস করা বার্সেলোনার জন্য বেশ চ্যালেঞ্জিং হবে।

 

বায়ার্ন মিউনিখ সাধারণত অপনেন্টের উপর হাই ব্লক প্রেসিং সিস্টেম এপ্লাই করে৷ অপনেন্ট ব্যাক থেকে বিল্ডআপ করার সময় বায়ার্নের ফরোয়ার্ড প্লেয়াররা অপনেন্টের প্রত্যেকটি প্লেয়ারকে সরাসরি ম্যান মার্ক করে বল ক্যারিয়ারকে আইসোলেটেড করে প্যানিক লং বল দিতে বাধ্য করে। অপনেন্ট ব্যাক থেকে বিল্ডআপের সময় বায়ার্নের স্ট্রাইকার লেভানডোস্কি অপনেন্টের সেন্টারব্যাককে সরাসরি মার্ক করার পরিবর্তে দুই সেন্টারব্যাকের মধ্যবর্তি পাসিং লেন ব্লক করে দেয়। অপর ফরোয়ার্ড প্লেয়াররা তখন বাকি ডিফেন্ডারদের মার্ক করার পরিবর্তে ডিফেন্সলাইনকে মিডফিল্ড থেকে আইসোলেটেড করে রাখতে চেষ্টা করে। এজন্য বল ক্যারিয়ার যেকোন একদিকে হরাইজন্টাল পাস দেওয়ার সুযোগ পায়। কিন্তু বল সেন্টারব্যাক থেকে যতো ওয়াইড এরিয়ায় যেতে থাকে তখন বায়ার্নের ফরোয়ার্ড প্লেয়াররা বল ক্যারিয়ারের হরাইজন্টাল পাসিং অপশন ব্লক করে তার জোন নালিফাই করে দেয়, এসময় দুই পিভট কিমিচ-গোরেজকা আরো হাইলাইনে উঠে অপনেন্ট মিডফিল্ডারদের মার্ক করে রাখে। বল ক্যারিয়ারের একপাশে টাচলাইন এবং অপরপাশ ব্লক থাকায় তার কাছে ব্লাইন্ড ফরোয়ার্ড বল খেলা ছাড়া আর কোন অপশন থাকেনা।

 

২

স্টেগানের থেকে বিল্ডআপের শুরুতে বায়ার্ন খুব বেশি ইন্টেনসিটিতে প্রেস করেনি। স্টেগান গার্সিয়াকে পাস দেওয়ার সাথে সাথেই লেভানডোস্কি গার্সিয়ার সাথে অপর সাইডের হরাইজন্টাল পাসিং লাইন ব্লক করে দেয়। এসময় গ্যানাব্রিও ডাইরেক্টলি গার্সিয়াকে প্রেস করতে শুরু করেনি। রাইটব্যাক রবার্তো ছিলো একেবারেই ম্যান মার্কিং ফ্রি, একইসাথে গার্সিয়ার সাইডে আলবাও অনেকটাই ফ্রি যেহেতু আলবার সাথে পাভার্ডের অনেকটা ডিসটেন্স ছিলো। 

 

গার্সিয়া সহজেই রবার্তোর দিকে বল সুইচ করে বায়ার্নের প্রেসিং লাইনকে বিট করে ফেলতে পারতো। কিন্তু তুলনামূলক সহজ অপশন হওয়ায় আলবার কাছেই গার্সিয়া পাস দেয়, এবং সেটাই ছিলো বড় ভূল। আলবা বল রিসিভ করার সাথে সাথেই পাভার্ড আলবার সাথে টাইট পজিশনে এসে সরাসরি প্রেস করতে শুরু করে, গ্যানাব্রি গার্সিয়াকে রেখে আলবার সাথে সেন্ট্রাল পিচের পাসিং অপশন বন্ধ করে দেয়। ফলে আলবার কাছে টাইট স্পেসে ব্লাইন্ড লং বল দেওয়া ছাড়া আর কোন অপশন ছিলোনা।

 

বায়ার্নের প্রেসিং সিস্টেমকে বিট করার সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে প্যানিকড না হয়ে লং বলের মাধ্যমে জোন সুইচ করা। এক্ষেত্রে সেন্টারব্যাককেই চেষ্টা করতে হবে বল সুইচ করার জন্য, কারণ বল যতো ওয়াইড এরিয়ার দিকে যাবে বল ক্যারিয়ার ততো আইসোলেটেড হতে থাকবে। বার্সেলোনার সেন্টারব্যাকদের মধ্যে বল সুইচিংয়ে পিকে সবচেয়ে এগিয়ে। এজন্য ব্যাক থেকে বিল্ডআপের সময় যথাসম্ভব পিকের মাধ্যমে বল সুইচ করানোর চেষ্টা করতে হবে। 

 

বায়ার্নের প্রেসিং সিস্টেম যতোটা দুই সেন্টারব্যাক দিয়ে বিল্ডআপের ক্ষেত্রে কার্যকর, অপনেন্টের ব্যাক থ্রি বিল্ডআপে অংশ নিলে তা ততোটা কার্যকরী  হয়না। আরাউহো বল পায়ে ভালনারেবল হওয়ায় বিল্ডআপের সময় বুসকেটসকে ডিফেন্সে ড্রপ করে থার্ড সেন্টারব্যাকের রোল প্লে করতে হবে। তাছাড়া বার্সেলোনার গোলকিপার টের স্টেগান বল পায়ে যথেষ্ট স্ট্রং, তার লং বল ডিস্ট্রিবিউশন এবিলিটিও বেশ ভালো, যেটা বায়ার্নের হাই ব্লক প্রেসিংকে বিট করে ডিফেন্সিভ থার্ড থেকে মিড থার্ডে বল প্রোগ্রেস করতে বেশ সাহায্য করবে।

 

বায়ার্ন অফেন্সিভলি স্ট্রং হওয়ায় অন দ্যা বলে তাদের দুই সেন্টারব্যাক বাদে বাকিসব প্লেয়াররাই হাইলাইনে পুশ হয়ে থাকে। এজন্য ইন বিটুইন দ্যা লাইনের গ্যাপ কভার করার জন্য দুই সেন্টারব্যাকও অনেক হাইলাইন এরিয়ায় অপারেট করে। বায়ার্নের সেন্টারব্যাকদের মধ্যে সবাই বল পায়ে বেশ স্ট্রং এবং  লেস এররপ্রোণ, কিন্তু লুকাস হার্নান্দেজ বাদে শুলে এবং উপামেকানো দুজনই বেশ স্লো। এজন্য ফাইনাল থার্ডে বায়ার্ন পজেশন লস করলে বিহাইন্ড দ্যা ডিফেন্সের ফ্রি স্পেস কভার করা তাদের জন্য বেশ কঠিন হয়ে পড়ে। এজন্য অপনেন্টের ফরোয়ার্ডলাইনে স্পিডি প্লেয়ারদের এগেইনস্টে বায়ার্নের সেন্টারব্যাকরা বেশ স্ট্রাগল করে। 

 

বার্সেলোনার ফরোয়ার্ডলাইনে সবচেয়ে স্পিডি ফুটবলার হচ্ছে ডেম্বেলে, এজন্য বায়ার্ন মিউনিখ হাইলাইনে বল পজেশন লস করলে ডেম্বেলে তার স্পিড দিয়ে বায়ার্নের ব্যাকলাইনের ফ্রি স্পেস এক্সপ্লয়েট করে থ্রেট ক্রিয়েট করতে পারবে। অফেন্সিভ ট্রাঞ্জিশনে বায়ার্নের দুই সেন্টারব্যাকের মাঝে অনেকটা ডিসটেন্স থাকে, তাই ডেম্বেলে সেন্ট্রাল এরিয়ায় অপারেট করলে সেটা বার্সেলোনার জন্য অনেক বেশি এফেক্টিভ হতো, কারণ ডেম্বেলে রাইট সাইডে অপারেট করলে বায়ার্নের লেফ্টব্যাক ডেভিসের স্পিডের সামনে বিট হওয়ার চান্স আছে। সেই তুলনায় বায়ার্নের সেন্টারব্যাক ডুয়ো ডেম্বেলের চেয়ে অনেক স্লো। তাই ডেম্বেলে খুব সহজেই ইন বিহাইন্ড দ্যা ডিফেন্স রান নিয়ে বায়ার্নের থার্ডে ফ্রি স্পেস এক্সপ্লয়েট করতে পারতো। কিন্তু সেন্টার এরিয়ায় ডিপাইকে দেখার সম্ভাবনাই বেশি। ইঞ্জুরির কারণে আনসু ফাতিকে বায়ার্ন ম্যাচে পাওয়া যাবেনা, নাহলে ফাতির স্পিড এবং ড্রিবলিংও বায়ার্নের ব্যাকলাইনের জন্য অনেকটা থ্রেটেনিং হতো। 

 

অন দ্যা বলে বায়ার্নের লেফ্টব্যাক ডেভিস অপনেন্ট থার্ডের টাচলাইন এরিয়ায় পজিশন নিয়ে লাইন স্ট্রেচ করে, যেহেতু লাইন স্ট্রেচিংয়ে সানে খুব একটা কমফোর্ট না এবং সে সেন্ট্রাল এরিয়ায় অপারেট করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। ডেভিস হাইলাইনে অপারেট করার কারণে ফাইনাল থার্ডে পজেশন লস করলে বায়ার্নের লেফ্টসাইড একেবারেই এক্সপোজড হয়ে পড়ে। ডেভিস যদিও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তার স্পিড দিয়ে অপনেন্টের কাউন্টার এটাক নষ্ট করে দিতে চেষ্টা করে, কিন্তু অপনেন্টের রাইট উইঙ্গার স্পিডি হলে কুইকলি ট্র্যাকব্যাক করে ডিফেন্সিভ শেইপ ঠিক করা ডেভিসের পক্ষে বেশ কঠিন হয়ে পড়ে।

 

৩

উপরের ছবিতে যখন শাপারেঙ্কো  যখন কাজোরিয়াকে পাস দেয়, তখন ডেভিসের সাথে তার ডিসটেন্স ছিলো অনেক বেশি। সে বল কন্ট্রোলে নিয়ে গার্মিশ এর কাছে পাস দিতে দিতে ডেভিস ডিফেন্সে ড্রপ করলেও বায়ার্নের লেফ্ট সাইডে হিউজ ফ্রি স্পেস ক্রিয়েট হয়। সেই ফ্রি স্পেসের মধ্যে গার্মিশ খুব সহজেই গোল করার সুযোগ পায়।

 

অন দ্যা বলে ডেভিস হাইলাইনে অপারেট করার কারণ লুকাস হার্নান্দেস তার পজিশন থেকে কিছুটা লেফ্টে মুভ করে ওয়াইড এরিয়ার ফ্রি স্পেস কভার করার চেষ্টা করে। এজন্য দুই সেন্টারব্যাকের মধ্যে অনেকটা গ্যাপ ক্রিয়েট হয়, যদিও পাভার্ড ড্রপব্যাক করে থাকায় উপামেকানো তখন কিছুটা সেন্টার এরিয়ায় সড়ে আসে। 

 

৪

আবার লুকাস অনেক সময় প্রেস করার জন্য তার লাইন ছেড়ে অনেকটা উপরে উঠে আসে, ডেভিসও তখন হাইলাইনে থাকায় বায়ার্নের ব্যাকলাইনে বিশাল হোল ক্রিয়েট হয়। উপরের উদাহরণটা খেয়াল করা যাক। ডেভিস হাইলাইনে এসে পজেশন লস করায় লুকাসও তার লাইন ছেড়ে উপরে উঠে আসে। তখন এলভেদি  এম্বোলো বরাবর পাস দিলে লুকাস হার্নান্দেজ এম্বোলোকে প্রেস করতে শুরু করে। তখন এম্বোলো জাকারিয়াকে ব্যাকপাস দেয় এবং জাকারিয়া বিহাইন্ড দ্যা ডিফেন্স ডায়াগনাল রান মেইক করা হফম্যান বরাবর থ্রু বল দেয়। উপামেকানো হফম্যানের স্পিডের কাছে বিট হওয়াতে পুরো বায়ার্নের ডিফেন্স এক্সপোজড হয়ে পড়ে, এবং ফাইনালি হফম্যান নয়ারের সাথে ওয়ান অন ওয়ান সিচুয়েশনে গোল মিস করে।

 

 

আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় ফর্মে থাকা বায়ার্নের বিপক্ষে ম্যাচ জেতাটা বার্সেলোনার জন্য অনেকটা অসাধ্য সাধনের মতোই কঠিন কাজ। কিন্তু চ্যাম্পিয়ান্স লিগের নকআউট রাউন্ডে যেতে হলে বার্সার হাতে জয় ছাড়া অন্য কোন অল্টারনেটিভ অপশন নেই। একটি উপায় অবশ্য আছে, সেক্ষেত্রে বার্সেলোনাকে তাকিয়ে থাকতে হবে কিয়েভ বেনফিকা ম্যাচের দিকে, কিন্তু জাভি নিশ্চয়ই অন্য ম্যাচের ফলাফলের দিকে তাকিয়ে থাকতে চাইবে না। তাই বার্সেলোনাকে বায়ার্নকে হারানোর চেষ্টাই করতে হবে। সেক্ষেত্রে দলের সবাইকে নিজেদের পজিশন থেকে স্টেপ আপ করতে হবে, নিজেদের ১০০% এফোর্ট দিয়ে বায়ার্ন মিউনিখের সাথে লড়াই করতে হবে। আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় হারাটা বায়ার্ন মিউনিখের জন্য নিঃসন্দেহে বড় আপসেটের ব্যাপার হবে, কিন্তু বায়ার্নকে সেই আপসেটের স্বাদ দিতে জাভি নিশ্চয়ই মুখিয়ে থাকবে!