• ক্রিকেট

বৃদ্ধ শিশুর বাচ্চা ভুল!

পোস্টটি ১৪৩৮ বার পঠিত হয়েছে
'আউটফিল্ড’ একটি কমিউনিটি ব্লগ। এখানে প্রকাশিত সব লেখা-মন্তব্য-ছবি-ভিডিও প্যাভিলিয়ন পাঠকরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে নিজ উদ্যোগে করে থাকেন; তাই এসবের সম্পূর্ণ স্বত্ব এবং দায়দায়িত্ব লেখক ও মন্তব্য প্রকাশকারীর নিজের। কোনো ব্যবহারকারীর মতামত বা ছবি-ভিডিওর কপিরাইট লঙ্ঘনের জন্য প্যাভিলিয়ন কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না। ব্লগের নীতিমালা ভঙ্গ হলেই কেবল সেই অনুযায়ী কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিবেন।

 

টি-স্পোর্টসে খেলা চলছে। খেলার মাঝে নুডলসের একটা বিজ্ঞাপন দেখা যাচ্ছে । সেই বিজ্ঞাপনে এক কিশোর/কিশোরীকে উদ্দেশ্যহীনভাবে লাফাতে দেখা যাচ্ছে। বুঝতে পারছিনা, জেমকন খুলনার টিম ম্যানেজমেন্টের প্রতীকি ব্যাপার কিনা এটি!

খেলতে নামার আগে প্রতিপক্ষকে কেস স্টাডি করে নামতে হয় । নামতে হয় নিজের দলের প্রতিটা সদস্যকে জেনেশুনেই। আদতে জেমকন খুলনাকে দেখে তা মনে হচ্ছেনা ।

জেমকন খুলনা তাদের দুই ওপেনার হিসেবে বেছে নিল আনামুল আর কায়েসকে। তিনে নামছেন সাকিব, চারে রিয়াদ, পাঁচে নামছেন জহুরুল!

জহুরুল? হ্যা জহুরুল! জহুরুল ইসলাম অমির একমাত্র স্ট্রং জোন কাউ কর্নার । গত বিপিএলেও তিনি যে রানগুলো করে আলোচনায় এসেছিলেন, তার বেশিরভাগই ছিল কাউ কর্নারে উড়িয়ে মারা শটে। যে বলগুলো ব্যাটে লেগেছে সেগুলো হাওয়ায় ভেসেছে, যেগুলো লাগেনি, আউট হয়েছেন। মোটাদাগে জহুরুলের প্লেয়িং স্টাইল এটাই । এমন একজনকে টি-২০ ক্রিকেটে মিডল অর্ডারে নামিয়ে দেওয়া কোনভাবেই বুদ্ধিমত্তার পরিচয় হতে পারেনা। কিন্তু জেমকন খুলনা সেটাই করেছে।

জহুরুলকে খেলাতে হলে তাই খেলাতে হত ওপেনার হিসেবে, বিজয় কায়েসের জন্যে তা সম্ভব না হলে মিডল অর্ডার অন্তত জহুরুলের জায়গা নয়, পাঁচ নম্বর তো নয়ই!

সাকিব কিংবা রিয়াদ দুইজনই আজ আউট হয়েছেন নাহিদুলের বলে। নাহিদুল আলোচনায় এসেছিলেন মাশরাফির রংপুর রাইডার্সের বদৌলতে। নাহিদুলের বোলিং এর শক্তির জায়গা একটাই। অফ স্ট্যাম্পের একটু সামনে পিচ করে ডানহাতি ব্যাটসম্যানের জন্যে ভেতরে ঢুকে যাবে, বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের জন্যে বাইরে চলে যাবে। তা বাঁহাতি ডানহাতি ব্যাটসম্যানের জন্যে ভেতরে বাইরে হলেও নাহিদুল তার সাপেক্ষে বলকে শুধু ডানেই ঘোরাতে পারেন।

এই একটা ব্যাপার জানলেই ডানহাতি রিয়াদকে আর ব্যাট এগিয়ে এলবিডব্লু হতে হয়না, বাঁহাতি সাকিবকেও আর উড়িয়ে মারতে গিয়ে আউট হতে হয়না। সাকিব রিয়াদ যে দলটার টিম ম্যানেজমেন্টে আছে, সেই দলটা নাহিদুলকে স্টাডি না করেই খেলতে নেমেছে ব্যাপারটা বিশ্বাস করা একটু কষ্টসাধ্য।

এর মধ্যে আবার রিয়াদ ব্যাট করতে নেমেছেন চারে। আচ্ছা , ন্যাশনাল টিমে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ খেলেন কি হিসেবে? উত্তর ফিনিশার হিসেবে। জাতীয় দলের অধিনায়ক হওয়ায় রিয়াদ চাইলেই টি-২০ তে আগে ব্যাট করতে পারেন, কিন্তু তিনি তা করেন না। বোঝা যাচ্ছে, ম্যাচ জেতাতে তুলির শেষ আঁচড় দিতে তিনি নেমে পড়েন ৬ এ! তিনি যদি ফিনিশারই হবেন, জাতীয় দলে তাঁর রোল যদি হবে এটাই, তাহলে ডমেস্টিকে কেন তিনি চারে নামছেন? ডমেস্টিক দিয়েই তো আমরা ন্যাশনাল টিমের জন্যে প্রস্তুত হই, নাকি?

প্রশ্ন শুধু এটুকুই না, বিপক্ষ দলে সৌম্য লিটন মোসাদ্দেক থাকার পরও কেন স্পিনে দল সাজালো না খুলনা? আবার শেষ টি-২০ তেও দলে থাকা শফিউলের প্রয়োজন হঠৎ করেই কিভাবে ফুরিয়ে গেল?

এতকিছুর উত্তর আমরা পাব না! তা কবে পেয়েছি?