• ফুটবল

লিডস ইউনাইটেড: ট্যাক্টিকাল যতো দুর্বলতা

পোস্টটি ১৫৪২ বার পঠিত হয়েছে
'আউটফিল্ড’ একটি কমিউনিটি ব্লগ। এখানে প্রকাশিত সব লেখা-মন্তব্য-ছবি-ভিডিও প্যাভিলিয়ন পাঠকরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে নিজ উদ্যোগে করে থাকেন; তাই এসবের সম্পূর্ণ স্বত্ব এবং দায়দায়িত্ব লেখক ও মন্তব্য প্রকাশকারীর নিজের। কোনো ব্যবহারকারীর মতামত বা ছবি-ভিডিওর কপিরাইট লঙ্ঘনের জন্য প্যাভিলিয়ন কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না। ব্লগের নীতিমালা ভঙ্গ হলেই কেবল সেই অনুযায়ী কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিবেন।
১৬ বছর পর চ্যাম্পিয়ানশিপ থেকে প্রিমিয়ার লিগে ব্যাক করার পর শুরুটা দুর্দান্ত হলেও সময়ের সাথে সাথে লিডস ইউনাইটেডের পার্ফমেন্স দিনদিন মলিন হতে শুরু করেছে। ১৪ ম্যাচে ৫ জয়ে ১৭ পয়েন্ট নিয়ে প্রিমিয়ার লিগ টেবিলের ১৪ তম পজিশনে রয়েছে লিডস ইউনাইটেড। ওল্ড ট্রাফোর্ডে নিজেদের সর্বশেষ ম্যাচে ম্যানইউয়ের কাছে ৬-২ গোলে বিধ্বস্ত হওয়ার পর লিডসের কোচ হিসেবে মার্সেলো বিয়েলসার সামর্থ্য নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে কোথাও কোথাও।
২০২০-২১ সিজনে প্রিমিয়ার লিগের ১৪ ম্যাচে ৫ জয় ২ ড্র এর সাথে ৭ টি ম্যাচ হেরেছে লিডস। এই ১৪ ম্যাচকে দুইভাগে ভাগ করা যায়, যেখানে লিভারপুল, ফুলহাম, লিস্টার সিটি, ক্রিস্টাল প্যালেস, চেলসি, ওয়েস্টহাম, নিউক্যাসেল ইউনাইটেড এবং ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড এই ৮ টি ম্যাচে লিডস হজম করেছে ২৮ গোল এবং এই ৮ ম্যাচ থেকে মাত্র ৬ পয়েন্ট পেয়েছে। বাকি ৬ ম্যাচে মাত্র ২ গোল হজম করেছে এবং যার মধ্যে চারটাই ছিলো ক্লিনশিট। এই ৬ ম্যাচে লিডস ১১ পয়েন্ট পেয়েছে যার মধ্যে শুধুমাত্র উলসের সাথে ম্যাচটাতেই হেরেছিলো। এই সিজনে এখন পর্যন্ত প্রিমিয়ার লিগের সর্বোচ্চ ৩০ গোল হজম করেছে লিডস।
 

ডিফেন্সিভ উইকনেস:

লিগে মাত্র ১৪ ম্যাচেই ৩০ গোল হজম করেছে লিডস। কনসিড করা গোলগুলোর মধ্যে বেশিরভাগই ছিল চোখে পড়ার মতোই দৃষ্টিকটু। লিডস লিগে পার ম্যাচে ২.১ টি গোল কনসিড করেছে যা প্রিমিয়ার লিগের টিমগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ। ডিফেন্সিভ থার্ডে এররের মাধ্যমে অপনেন্ট ১১ বার শট নিতে পেরেছে যার মধ্যে ২বার লিডস গোল হজম করেছে। ফাস্ট ট্রাঞ্জিশনাল চেঞ্জ এর কারণে প্রতি ম্যাচে গড়ে ১৪৯ বার পজিশন লস করেছে।লিডস ডিফেন্ডাররা ১৪ ম্যাচে ১৯৬ বার বল ক্লিয়ার করতে পেরেছে যা প্রিমিয়ার লিগে টিমগুলোর মধ্যে ১৮ তম। লং বল প্লে লিডসের অন্যতম ভাইটাল ট্যাকটিক্স হলেও ডিফেন্ডারদের এরিয়াল বল উইন করার হার ৪৮.১% যেটা অতিরিক্ত গোল কনসিড করার বড় একটা কারণ। লিডসের ডিফেন্ডাররা এরিয়াল ব্যাটেল ১৪ ম্যাচে ৮৪ বার পজিশন লস করেছে।
লিডসের আরেকটা বড় দুর্বলতা সেটপিস ডিফেন্ডিংয়ে। এই সিজনে সেটপিস থেকে ৮ গোল কনসিড করেছে। সেটপিস ডিফেন্ডিংয়ে দুর্বল হওয়ার কারণ ডিফেন্ডারদের দুর্বল ম্যান মার্কিং এবং এরিয়াল বলে লো উইনিং রেট।
 
13-Corner
এই ছবিতে লিডসের সেটপিস ডিফেন্ডিংয়ের সময় ম্যান টু ম্যান মার্কিং স্ট্রাটেজি দেখা যাচ্ছে। ভ্যান ডাইক লাইন থেকে কিছুটা পিছনে থাকায় কক শুরু থেকে ভ্যান ডাইককে মার্ক করেনি। কর্নার নেওয়ার পর সালাহ ফার্স্ট বার থেকে কিছুটা সামনে সড়ে যায় এবং মানে কিছুটা ব্যাকওয়ার্ডে গিয়ে রবিন ককের মুভমেন্ট আটকে দেয়। যেকারণে ভ্যান ডাইক ফ্রি হয়ে সামনে অনেকটা স্পেস পেয়ে যায় এবং তার ফ্রি হেডারে লিভারপুল গোল পেয়ে যায়।
 
লিডস ম্যান টু ম্যান অরিয়েন্টেড প্রেসিং করলেও অতিরিক্ত হাই লাইনে খেলার কারণে অপোনেন্ট ডিফেন্সিভ থার্ডে প্রচুর স্পেস পায়। এজন্য অপনেন্ট এর প্লেমেকাররা থ্রুপাস দিয়ে অ্যাটাকিং থ্রেট ক্রিয়েট করার সুযোগ বেশি পায়। লিডসের দুইয়ের বেশি গোল হজম করা ম্যাচগুলোতে অপোনেন্টের মূল প্লেমেকারদের মোট কি পাসের সংখ্যা ৩৬ টি।
দুর্বল ম্যান মার্কিংয়ের আরেকটি বড় প্রমাণ লিডসের বিপক্ষে অপোনেন্টের টার্গেট ম্যানদের গোল সংখ্যা। লিডস এর বিপক্ষে অপোনেন্ট টার্গেট ম্যানদের টোটাল গোল ১০ টি, যা প্রিমিয়ার লিগের টিমগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ। দুর্বল মার্কিংয়ের সাথে বক্সের ভেতরে অপনেন্টকে হিউজ স্পেস দেওয়া এটার সবচেয়ে বড় কারণ। লিডস উইং ধরে প্রচুর হাইলাইনে খেলায় উইংবেজড এটাক করা টিমগুলোর পারফরম্যান্স লিডস এর বিপক্ষে বেশ ভালো। লিডসের ফুলব্যাক আয়লিং,ডালাস, আলিয়স্কি সবারই পজিশন লস্টের রেট অনেক বেশি হওয়ায় অপোনেন্টের স্পিডি উইঙ্গার ওয়াইড এরিয়ায় প্রচুর স্পেস পায় এবং এরিয়ালি থ্রেট ক্রিয়েট করতে পারে।
8-No-offside
লিডসের ডিফেন্সিভ শেইপ অপোনেন্টের অ্যাটাকারদের মুভমেন্ট অনুযায়ী ডায়নামিক হয়। ডিফেন্ডারদের কাছে ডিফেন্সিভ লাইন মেনটেইন করার থেকেও নিজেদের মার্কারদের উপর স্টিক্ট থাকা বেশি প্রায়োরিটি পায়, ফলে ডিফেন্সিভ লাইন আনঅর্গানাইজড হয়ে যায়। এই ছবিতে ফুলহামের আঙ্গুইসার কাছে ফিলিপস পজিশন হারালে ফুলহাম কুইক এটাকে যায়। এতে করে লিডসের ডিফেন্সিভ শেইপ আনঅর্গানাইজড হয়ে পড়ে। মার্কিং মেনটেইন করায় ডিফেন্ডারদের মধ্যে ডিসটেন্স অনেক বেশি হয়ে পড়ে। কুপার বল ইন্টারসেপট করার জন্য তার লাইন ছেড়ে কিছুটা উপরে উঠে যায়। এতে রিডের জন্য হিউজ স্পেস খালি হয়ে যায় এবং ফুলহাম তাদের সেকেন্ড গোল পেয়ে যায়।
 
লিডস যে ৬ টি ম্যাচে ডিফেন্সিভলি ভালো করেছে এদের মধ্যে অ্যাস্টন ভিলা বাদে প্রত্যেকটা দলেরই অ্যাটাকিং ট্রাঞ্জিশন সিস্টেম অনেক স্লো। উইংবেজড এটাকে এভারটন স্ট্রং হলেও কিছুটা লো ব্লক ডিফেন্স এবং মিলিয়েরের দুর্দান্ত কিছু সেইভের কারণে লিডস ক্লিনশিট রাখতে পেরেছে। কিন্তু শেফিল্ড ইউনাইটেড, ম্যানসিটি ও আর্সেনাল এই টিমগুলোর টার্গেট ম্যানের লো কনভার্সন রেট এবং স্লো অ্যাটাকিং ট্রাঞ্জিশনের কারণে এরা স্পেস পাওয়ার পরও লিডসের ভার্নারেবল ডিফেন্স ব্রেক করতে পারেনি।
 
11-Transitions
লিডসের এটাকের সময় অনেকক্ষেত্রে ৭ জন প্লেয়ার অপোনেন্ট থার্ডে এটাকে জয়েন করে। এজন্য পজিশন লস করলে অপোনেন্টের কাউন্টার এটাক ফেইস করার সময় ডিফেন্সিভ ট্রাঞ্জিশন মেনটেইন করার সময় অপোনেন্টের সমান বা অনেক সময় অপোনেন্টের চেয়ে কম সংখ্যক প্লেয়ার নিয়ে কাউন্টার ফেইস করতে হয়। এতে অপোনেন্ট কাউন্টারের সময় হিউজ ওপেন স্পেস ক্রিয়েট করতে পারে৷ এটা লিডসের কাউন্টারে গোল কনসিড করার বড় কারণ।
 
 

অ্যাটাকিং উইকনেস :

লিডসের কুইক অফেন্সিভ ট্রাঞ্জিশন সিস্টেম দুর্দান্ত হলেও প্রচুর ইজি গোল মিসের কারণে ক্রিয়েট করা চান্সের খুব কম সংখ্যকই গোলে পরিণত করতে পেরেছে। লিডসের প্লেয়াররা এই সিজনে ১৪৭ টি কি পাস দিয়েছে যা প্রিমিয়ার লিগের টিমগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ। টোটাল ২১৬ টি শট এটেম্পট নিয়েছে যা লিভারপুলের পর সর্বোচ্চ। কিন্তু গোল কনভার্সন রেট মাত্র ১৪% হওয়ায় খুব বেশি গোল করতে পারেনি। এর সবচেয়ে বড় কারণ হচ্ছে স্ট্রাইকারদের ফিনিশিংয়ে প্রচন্ড দুর্বলতা। লিডস এর নাম্বার নাইন রোলে ১৪ টি ম্যাচেই প্যাট্রিক ব্যামফোর্ডকে খেলতে দেখা গেছে। ব্যামফোর্ডের পজিশন সেন্স খুব ভালো হলেও ফিনিশিং স্কিল বেশ নড়বড়ে। ব্যামফোর্ড এই সিজনে ১০ টি চান্স মিস করেছে যেটা প্রিমিয়ার লিগের প্লেয়ারদের মধ্যে সর্বোচ্চ। ৯ টি গোল করলেও বক্সের বাইরে তাকে খুব একটা কার্যকরী হতে দেখা যায়নি। ব্যামফোর্ডের নেওয়া ৫২ টি শটের মধ্যে কেবল ২৩ টি এটেম্পট ছিল অন টার্গেট। এরিয়াল বলে ব্যামফোর্ডের দুর্বলতাও ছিলো চোখে পড়ার মতো, তার এরিয়েল ডুয়েল উইনিং রেট মাত্র 35%।দলে আর কোন স্পেসিফিক স্কোরার না থাকাও চান্স ক্রিয়েশনের তুলনায় গোল কম পাওয়ার বড় একটা কারণ। এছাড়াও এই সিজনে লিডস এর ৯ টি শট বারপোস্টে লেগেছে যেটা প্রিমিয়ার লিগের দলগুলোর মধ্যে ওয়েস্টহ্যাম এর পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।
 
 

৬০ মিনিটের পর ভার্নারেবল হয়ে যাওয়া :

একটানা প্রেসিং করে যাওয়ায় এবং বেশি পজিশন ধরে রাখার কারণে সময় যত বাড়তে থাকে লিডসের প্লেয়ারদের ওয়ার্করেট ধীরে ধীরে ততো কমতে শুরু করে। লিডস এই সিজনে এভারেজ ৫৬.৯% বল পজিশন ধরে রেখেছে যা কোনো ম্যাচেই ৫০% এর কম ছিলোনা। লিডস অপোনেন্ট পেনাল্টি এরিয়ায় পার ম্যাচে ১১৩ টি করে পাস কমপ্লিট করেছে, যা লিভারপুলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এতো পজিশন ধরে রাখা এবং পজিশন লস করলে কুইক প্রেসিং করে বল রিগেইন করার জন্য প্লেয়ারদের প্রচুর এরিয়া কভার দিতে হয়। যে কারণে ৬০ মিনিটের পর প্লেয়ারদের ওয়ার্কলোড কমতে শুরু করে এবং ট্রাঞ্জিশন সিস্টেম স্লো এবং ভার্নারেবল হতে শুরু করে। যে কারণে তখন প্লেয়াররা এরর করতে শুরু করে। লিডস ৬০ মিনিটের পরে মোট ১৩ টি গোল কনসিড করেছে যা মোট কনসিড করা গোলের ৪৪%। সেটপিস থেকে হওয়া ভুল গুলোর বেশির ভাগই ম্যাচের লেট মোমেন্টে হওয়ায় বেশকিছু পয়েন্টও হারাতে হয়েছে এ কারণে।
 

প্রেস রেজিস্ট্যান্ট না থাকা:

লিডসের ৪-১-৪-১ ফর্মেশনে বল হোল্ডিং মিডফিল্ডার হিসেবে প্রায় ম্যাচেই কেলভিন ফিলিপসকে খেলতে দেখা যায়। এছাড়াও ফিলিপসের ইনজুরির সময় স্ট্রাক, স্যাকেলটন, ডালাস বা ক্লিচকেও হোল্ডিং মিডফিল্ডার হিসেবে খেলতে দেখা গেছে। কিন্তু এদের মধ্যে কারোরই অপোনেন্টের প্রেসিং কন্ট্রোল করার মত সামর্থ্য নেই ভালোভাবে। যার কারণে মিডফিল্ডে প্রচুর পজিশন লস করতে দেখা যায়। হাই লাইনে লিডসের ট্যাকব্যাক করার সময় ট্রাঞ্জিশন সিস্টেম কিছুটা স্লো হওয়ায় অপনেন্ট খুব দ্রুতই মিডফিল্ডকে বিট করে ডিফেন্স ওপেন করে ফেলতে পারে।
এই সিজনে ফিলিপস পার ম্যাচে ৬.৯ টি করে একুরেট লং গোল দিয়েছে যা প্রিমিয়ার লিগের যে কোন ফুটবলারের মধ্যে সর্বোচ্চ। বল ডিস্ট্রিবিউটর রোলে ভালো করলেও ভালো প্রেস রেজিস্ট্যান্ট না হওয়ায় এবং দলে কুইক ডেস্ট্রয়ার না থাকায় ডিফেন্সিভলি দলকে প্রচুর ভুগতে হচ্ছে।
 
 

বল প্লেয়িং সেন্টার ব্যাক না থাকা:

এই সিজনে সেন্টার ব্যাক রোলে লিয়াম কুপার, রবিন কক, ডেভিস, লরেন্তে, স্ট্রাক এমনকি মাঝে মাঝে আয়লিংকেও খেলতে দেখা গেছে। কিন্তু এদের মধ্যে আইলিং বাদে কারোরই বল প্লেয়িং এবিলিটি ভাল না থাকায় ব্যাকলাইন থেকে বিল্ডআপ করার সময় লিডসকে অনেক সময়ই পজিশন লস করে ভুগতে দেখা গেছে। আয়লিং এর বল প্লেয়িং এবিলিটি ভালো হলেও ম্যানমার্কিংয়ে দুর্বলতা থাকায় বিয়েলসাও তাকে খুব বেশি সেন্টার ব্যাঙ্ক রোলে খেলাতে ভরসা পাচ্ছেনা।
 

বেঞ্চে পর্যাপ্ত ব্যাকআপ না থাকা:

লিডসকে এইসিজনের প্রায় প্রতিটি ম্যাচেই একই স্কোয়াড নিয়ে খেলতে দেখা গেছে। এর সবচেয়ে বড় কারণ হচ্ছে বেঞ্চে পর্যাপ্ত রিসোর্স না থাকা। এই সিজনে লীগের সবকয়টি ম্যাচেই মিলিয়ের, আয়লিং, ডালাস, ক্লিচ, ব্যামফোর্ড মাঠে ছিল। একটানা খেলার কারণে সিজন যত আগাচ্ছে প্লেয়াররা দিনদিন তত বেশি ফ্যাটিগড হচ্ছে। এজন্য প্লেয়াররা ইঞ্জুরি আক্রান্ত হচ্ছে বেশি। সিজন এর শুরুতে ফিলিপসের ইঞ্জুরির পরে কোন ব্যাকাপ না থাকায় স্ট্রাক, স্যাকেলটন, ক্লিচদের দিয়ে হোল্ডিং মিডফিল্ডার রোলে খেলাতে হয়েছে। কক, লরেন্তের ইঞ্জুরির পর পর্যাপ্ত ব্যাকাপ না থাকায় আয়লিংকে এখন সেন্টার ব্যাক রোলে খেলাতে হচ্ছে।
 
 
এই সিজনে অনেকগুলো ম্যাচে লিডস বড় ব্যবধানে হারলেও খেলোয়াড়দের ম্যাচ শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত হার না মানার মানসিকতা ছিল চোখে পড়ার মতো। ম্যাচের রেজাল্ট যেমনই হোক, প্রত্যেকটা ম্যাচেই লিডসের প্লেস্টাইল ছিল চোখ জুড়ানো। লাস্ট কিছু ম্যাচ ধরে বিয়েলসার কোচিং সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্ন তুললেও ট্যাক্টিক্যাল এররের চেয়ে প্লেয়ারদের ইন্ডিভিজুয়াল এররগুলোই বেশি চোখে পড়ছে। লিডস এর খেলোয়াড়দের টেক্টিকাল এবং ফিজিকাল সামর্থ্য নিয়ে কোন প্রশ্ন না থাকলেও টেকনিক্যাল আর স্কিল লেভেলে অনেক দুর্বলতা রয়েছে। বিয়েলসার প্লেস্টাইল অনুযায়ী খুব বেশি রিসোর্স না থাকায় অনেকগুলো ম্যাচেই তার ট্যাকটিকস ব্যকফায়ার করেছে। জানুয়ারি ট্রান্সফার উইন্ডোতে কিছু নতুন প্লেয়ার কিনলে এবং ইঞ্জুরিতে পড়া প্লেয়াররা ব্যাক করলে হয়তোবা লিডসকে আবারো সেই ভয়ঙ্কর রূপে খেলতে দেখা যাবে।
 
তথ্যসূত্র: অল ফুটবল, টোটাল ফুটবল এনালাইসিস, সোফাস্কোর, হু-স্কোর্ড।