• ফুটবল

গেগেনপ্রেসিং, ট্যাক্টিকাল এনালাইসিস (পার্ট ১)

পোস্টটি ২৫২৮ বার পঠিত হয়েছে
'আউটফিল্ড’ একটি কমিউনিটি ব্লগ। এখানে প্রকাশিত সব লেখা-মন্তব্য-ছবি-ভিডিও প্যাভিলিয়ন পাঠকরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে নিজ উদ্যোগে করে থাকেন; তাই এসবের সম্পূর্ণ স্বত্ব এবং দায়দায়িত্ব লেখক ও মন্তব্য প্রকাশকারীর নিজের। কোনো ব্যবহারকারীর মতামত বা ছবি-ভিডিওর কপিরাইট লঙ্ঘনের জন্য প্যাভিলিয়ন কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না। ব্লগের নীতিমালা ভঙ্গ হলেই কেবল সেই অনুযায়ী কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিবেন।

মডার্ন ফুটবলের প্রেসিং ট্যাক্টিক্সগুলোর মধ্যে গেগেনপ্রেসিং বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রেসিং ট্যাক্টিক্স। বর্তমানে বেশিরভাগ ফুটবল টিমগুলোই হাই ইন্টেনসিভ প্রেসিংবেজড ফিজিক্যাল ফুটবল খেলে বলে গেগেনপ্রেসিং দিনদিন কোচদের মধ্যে অনেক জনপ্রিয় হচ্ছে। মডার্ন ফুটবলে সর্বপ্রথম জার্মান কোচ ক্লিন্সম্যানের হাত ধরে গেগেনপ্রেসিং বা কাউন্টারপ্রেসিংয়ের আগমন ঘটলেই বরুশিয়া ডর্টমুন্ডে থাকাকালীন তাদের তৎকালীন কোচ জার্গেন ক্লপ গেগেনপ্রেসিংকে অন্য লেভেলে নিয়ে গিয়েছে। এছাড়াও পেপ গার্দিওয়ালার বার্সেলোনা, ইয়ুপ হেইঙ্কসের বায়ার্ন মিউনিখ খুব কার্যকরীভাবে গেগেনপ্রেসিংয়ের প্রয়োগ করেছে। বর্তমান সময়ে বেশকিছু বিবর্তনের মধ্যে দিয়ে গেলেও ইউরোপের টপ কিছু ক্লাবের সাথে সাথে মাঝারি মানের অনেকগুলো ক্লাবও গেগেনপ্রেসিংয়ের মাধ্যমে কুইক ইন্টেনসিভ প্রেসিং করে অপোনেন্টকে তাক লাগিয়ে দিচ্ছে। বর্তমানে ইউরোপিয়ান ফুটবল ক্লাবগুলোর মধ্যে ক্লপের লিভারপুল, পেপ গার্দিওয়ালার ম্যানচেষ্টার সিটি, হান্সি ফ্লিকের বায়ার্ন মিউনিখ, টেন হাগের আয়াক্স, মার্সেলো বিয়েলসার লিডস ইউনাইটেড এবং গ্যাস্পারিনির আটলান্টা সফলভাবে গেগেনপ্রেসিংয়ের প্রয়োগ ঘটিয়ে দেখাচ্ছে। 

 

গেগেনপ্রেসিং কি 

গেগেনপ্রেসিং এমন একটি প্রেসিং ট্যাক্টিক্স যেখানে কোন টিম বল পজেশন লস করার পর ডিফেন্সে ড্রপব্যাক করে অর্গানাইজড হওয়ার পরিবর্তে ইমিডিয়েটলি বল পজেশন নিজেদের দখলে নেওয়ার জন্য এটেম্পট নেয়। গেগেনপ্রেসিংয়ের মূল লক্ষ্য হচ্ছে অপোনেন্টের কাউন্টার এটাক প্রতিরোধ করা এবং বল পজেশন রিগেইন করে ম্যাচের কন্ট্রোল নিজেদের করে নেওয়া। সাধারণত কোন টিমের পজিশনিংকে দুইভাগে ভাগ করা যায়, যখন টিমের আন্ডারে বল পজেশন থাকে এবং অফ দ্যা বল পজিশনিং। কোন টিম যখন বল পজেশন থাকা অবস্থায় পজেশন হারিয়ে ফেলে সেই অবস্থাকে ইন পজেশন এবং অফ দ্যা বল পজেশনের মাঝের ট্রাঞ্জিশন পিরিয়ড হিসেবে ধরা যায়। 

 

গেগেনপ্রেসিংয়ের ক্ষেত্রে প্লেয়ারদের লক্ষ্য থাকে অফ দ্যা বল পজেশনে যাওয়ার আগেই এই ট্রঞ্জিশন পিরিয়ডের মধ্যেই বল পজেশন রিগেইন করা। এক্ষেত্রে পজেশন হারানোর সাথে সাথেই অপোনেন্ট দলের বল ক্যারিয়ারকে কুইক ইন্টেন্সিভ প্রেসিং করা হয় ইমিডিয়েট বল রিকোভার করার উদ্দেশ্যে। গেগেনপ্রেসিং সফলভাবে ইমপ্লিমেন্ট করার জন্য বেশকিছু ফ্যাক্টর মেনটেইন করে চলতে হয়। এক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে প্লেয়ারদের মধ্যে অর্গানাইজেশন। প্লেয়ারদের নিজেদের মধ্যে পজিশনিং খুব ভালো থাকতে হয় এবং যতোটুক সম্ভব বল ক্যারিয়ারের স্পেস কনজাস্টেড করে রাখতে হয়। এক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে বল হোল্ডারকে প্রেসার দিয়ে ইমিডিয়েট ডিসিশন নিতে বাধ্য করা। ফলে তখন বল ক্যারিয়ার প্যানিকড হয়ে লং বল বা ভূল পাস খেলবে। ফলে পজেশন রিগেইন করার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যাবে। প্লেয়ারদের নিজেদের মধ্যে কাছাকাছি পজিশন নিতে হবে যাতে করে বল পজেশন হারানোর সাথে সাথে মৌমাছির ঝাঁকের মতো বল ক্যারিয়ারকে প্রেস করা যায়। গেগেনপ্রেসিংয়ের ক্ষেত্রে ট্রায়েঙ্গেল ক্রিয়েট করে প্রেসিং করলে অনেক বেশি এফেক্টিভ হয়।

 

গেগেনপ্রেসিং এর প্রকারভেদ 

বল ক্যারিয়ারকে আক্রমণ, অপোনেন্টের পাস ইন্টারসেপশন, পাসিং লেন ব্লক করা এবং প্রেসিংয়ের ইন্টেনসিটির উপর ভিত্তি করে গেগেনপ্রেসিংকে ভিন্ন ভিন্ন ৪ ভাগে ভাগ করা যায়।

 

১। জোন ওরিয়েন্টেড গেগেনপ্রেসিং : এই ধরনের গেগেনপ্রেসিংয়ের ক্ষেত্রে অপোনেন্ট থার্ডে বল পজেশন হারানোর পর সাথে সাথেই বল ক্যারিয়ারের জোনকে কনজাস্টেড করে প্রেসিং শুরু করা হয়। এক্ষেত্রে মূল লক্ষ্য থাকে বল ক্যারিয়ারের চারপাশে টাইট স্পেস ক্রিয়েট করে তাকে কুইক ডিসিশন নিতে বাধ্য করা। এসময় বল ক্যারিয়ারের চারদিক থেকে ঘিরে ধরে তাকে তার টিমমেটদের থেকে আইসোলেটেড করে দেওয়া হয়। টাইট স্পেস থাকায় বল ক্যারিয়ারকে কুইক ডিসিশন নিয়ে ফাস্ট বল সার্কুলেট করতে বাধ্য করা হয়। ফলে বল হোল্ডার প্যানিকড হয়ে ভূল পাস খেলবে অথবা লং বল খেলার চেষ্টা করবে, উভয় ক্ষেত্রেই পজেশন রিগেইন করার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে।

zone

      জোন ওরিয়েন্টেড গেগেনপ্রেসিং

 

জোন ওরিয়েন্টেড প্রেসিংয়ের ক্ষেত্রে প্লেয়ারদের বল ইন্টারসেপ্ট করার স্কিল এবং কুইক ট্যাকেলিং করার স্কিল উভয় ক্ষেত্রেই সমান দক্ষতা থাকতে হয়৷ এক্ষেত্রে দেখা যায় শুধুমাত্র বলের কাছাকাছি থাকা প্লেয়ার সরাসরি প্রেস করলেও তার সবচেয়ে কাছাকাছি থাকা দুই বা ততোধিক টিমমেট বলের দিকে কিংবা সরাসরি বল হোল্ডারের দিকে কুইক রান নেয়। এতে করে বল হোল্ডার কুইক পাস করতে বাধ্য হয় এবং তার সবচেয়ে কাছের প্রেস করা প্লেয়ারের জন্য বল উইন করা সহজ হয়। বর্তমান সময়ে ক্লপের লিভারপুলকে এই ধরণের প্রেসিং করতে দেখা যায়।

 

২। ম্যান টু ম্যান গেগেনপ্রেসিং : এই ধরনের গেগেনপ্রেসিংয়ের ক্ষেত্রে অপোনেন্ট থার্ডে পজেশন লস করার পর বলের কাছাকাছি থাকা একজন বা দুইজন সরাসরি বল ক্যারিয়ারকে ইমিডিয়েট প্রেস করতে শুরু করে। বাকিসব প্লেয়ার তাদের জোনে থাকা অপোনেন্ট প্লেয়ারদের টাইট মার্ক করে বল ক্যারিয়ারের পাসিং অপশনকে একেবারেই বন্ধ করে দেয়। তখন বল ক্যারিয়ার বাধ্য হয়ে থ্রু বল বা লং বল খেলতে চেষ্টা করে। এক্ষেত্রে পজেশন রিগেইন করার খুব ভালো সম্ভাবনা তৈরী হয়।

man to man

      ম্যান টু ম্যান গেগেনপ্রেসিং 

 

ম্যান ওরিয়েন্টেড গেগেনপ্রেসিংয়ের ক্ষেত্রে টিমের প্রত্যেক প্লেয়ারকে হাই ফিজিক্যালিটি এবং ওয়ান ভার্সেস ওয়ান ডুয়েলে স্ট্রং ট্যাকেলিং এবিলিটি থাকতে হয়। কারণ ম্যান টু ম্যান মার্ক করে রাখার কারণে প্রচুর ওয়ান ভার্সেস ওয়ান ডুয়েল হয়ে থাকে, তখন কুইক ট্যাকেল করে বল পজেশন রিগেইন করতে হয়। এজন্য প্লেয়ারদের বল ইন্টারসেপশন স্কিল খুব ভালো না হলেও ট্যাকেলিং এবং এরিয়াল বলে অনেক স্ট্রং থাকতে হয়। রিসেন্ট টাইমে বায়ার্ন মিউনিখ এবং লিডস ইউনাইটেডকে এরকম ম্যান টু ম্যান গেগেনপ্রেসিং করতে দেখা যায়। 

 

৩। পাসিং লেন ওরিয়েন্টেড গেগেনপ্রেসিং : এধরনের গেগেনপ্রেসিংয়ের ক্ষেত্রে অপোনেন্ট থার্ডে বল পজেশন লস করলে বল ক্যারিয়ারের সবচেয়ে কাছাকাছি থাকা প্লেয়ার বল ক্যারিয়ারকে সরাসরি প্রেস করে কুইকলি পাস দিতে বাধ্য করবে। বাকি টিমমেটরা ইমিডিয়েট তাদের জোনে থাকা প্লেয়ারদের মার্ক করবে। তবে এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হচ্ছে মার্ক করলেও বল হোল্ডারকে মার্কড থাকা প্লেয়ারকে পাস দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে। বল হোল্ডার পাস দিলে ইমিডিয়েট সেই পাসিং চ্যানেল ব্লক করে বল ইন্টারসেপ্ট করার চেষ্টা করবে।

 

lane       লেন অরিয়েন্টেড গেগেনপ্রেসিং

 

লেন ওরিয়েন্টেড গেগেনপ্রেসিংয়ের ক্ষেত্রে ট্যাকেলিং কিংবা ওয়ান ভার্সেস ওয়ান ডুয়েলের চেয়ে বল ইন্টারসেপ্ট করার দিকে বেশি জোর দেওয়া হয়। এজন্য প্লেয়ারদের ইন্টারসেপশন স্কিল অনেক ভালো থাকতে হয়৷ পেপ গার্দিওয়ালার প্রেসিং টাইপ অনেকটাই এইধরনের।

 

৪। বল ওরিয়েন্টেড গেগেনপ্রেসিং : এধরনের গেগেনপ্রেসিংয়ের ক্ষেত্রে স্পেসিফিক কোন ট্যাক্টিক্স বা সিস্টেমের উপর নির্ভর না করে প্লেয়ারদের একমাত্র লক্ষ থাকে যেভাবেই হোক বল পজিশন রিগেইন করা। ফলে কোন নির্দিষ্ট স্ট্রাকচার ফলো না করে বলের আশেপাশে থাকা সকল প্লেয়ার বল ক্যারিয়ারকে হাই ইন্টেনসিভ প্রেস করতে থাকে এবং এভাবেই পজেশন রিকোভার করতে চেষ্টা করে। এধরনের প্রেসিংয়ের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে প্লেয়ারদের অতিআক্রমণাত্বক মানসিকতার কারণে অনেক এনার্জি নষ্ট হয়৷ তাছাড়া স্পেসিফিক কোন স্ট্রাকচার না থাকায় বল ক্যারিয়ার প্রেসিং জোন থেকে টিমমেটদের কাছে বল সার্কুলেট করতে পারলেই হিউজ স্পেস ক্রিয়েট হয় এবং টিমমেটরা এরমাধ্যমে ইজিলি গোলস্কোরিং চান্স তৈরী করতে পারে। ৭০ এর দশকে ডাচ ফুটবলে এধরনের প্রেসিং সিস্টেম দেখা যেতো৷ টোটাল ফুটবলে প্রত্যেকটা প্লেয়ারকেই ফুল এরিয়া কভার দিতে হতো বলে এধরনের প্রেসিং সিস্টেম তাদের সাথে অনেকটাই ম্যাচ করতো৷ তবে রিসেন্ট টাইমে কোন ফুটবল টিমকে বল ওরিয়েন্টেড গেগেনপ্রেসিং করতে দেখা যায়নি।

ball

       বল ওরিয়েন্টেড গেগেনপ্রেসিং 

 

*ট্রায়েঙ্গুলার প্রেসিং : গেগেনপ্রেসিংয়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে নিজেদের মধ্যে দূরত্ব যতোটুক সম্ভব ন্যারো রাখা। কারণ প্লেয়াররা একজন আরেকজন থেকে ওয়াইডে থাকলে অপোনেন্ট খুব সহজেই প্রেসিংলাইন ব্রেক করে ফ্রি স্পেস ক্রিয়েট করতে পারবে। ন্যারো স্পেসের মধ্যে ট্রায়েঙ্গুলার গেগেনপ্রেসিং সবচেয়ে বেশি ইফেক্টিভ হয়৷ এক্ষেত্রে বল ক্যারিয়ারের চারদিকে ৩ জন ট্রায়েঙ্গেল ক্রিয়েট করে প্রেস করতে থাকবে। বল ক্যারিয়ারের সামনের দুইজন সরাসরি প্রেসিংয়ে অংশ নিলেও পিছনের ম্যান সরাসরি প্রেসিংয়ে অংশ না নিয়ে কভার ম্যানের রোল প্লে করবে। বল ক্যারিয়ার প্রেসিং বিট করে তার টিমমেটকে পাস দিলে ইমিডিয়েটলি নতুন ৩ জন আবারও কুইক ট্রায়েঙ্গেল জেনারেট করে প্রেস করতে শুরু করবে। বল ক্যারিয়ার তার অন্য কোন টিমমেটকে পাস দিলে কুইকলি নতুন ট্রায়েঙ্গেল জেনারেট করে নতুন বল ক্যারিয়ারকে প্রেস করতে থাকবে এবং এভাবেই পজেশন রিগেইন করার আগ পর্যন্ত একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত এই প্রোসেস চলতে থাকবে।

triangle

      ট্রায়েঙ্গুলার প্রেসিং সিস্টেম

 

*কভার ম্যান ব্যাবহার করে গেগেনপ্রেসিং : গেগেনপ্রেসিংয়ের ক্ষেত্রে একটু ব্যতিক্রম হচ্ছে কভার ম্যান ব্যাবহার করা। এক্ষেত্রে কভার ম্যানের রোল হচ্ছে সরাসরি প্রেসিংয়ে অংশ না নিয়ে প্রেসিং জোনের নিচে ড্রপব্যাক করে থাকা এবং টিমমেটদের যেকোন ধরনের মিসটেকের ক্ষেত্রে পজিশন কভার দেওয়া এবং সরাসরি প্রেসিংয়ে অংশ না নিয়েও সেকেন্ড বল উইন করার চেষ্টা করা। 

cover man

     এখানে ডি ব্রুইন কভার ম্যানের রোল প্লে করছে। ফলে ডি ব্রুইন সরাসরি প্রেসিংয়ে অংশ না নিয়ে স্পেস কভার দিচ্ছে।

কভার ম্যান ব্যাবহার না করার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে মার্কার যদি বল ক্যারিয়ারকে ট্যাকেল করে বা বল ইন্টারসেপ্ট করে বল রিকোভার করতে ব্যর্থ হয় সেক্ষেত্রে বল হোল্ডারের পক্ষে হিউজ স্পেস এক্সপ্লয়েট করা সম্ভব হয়। ফলে তার পক্ষে গোলস্কোরিং থ্রেট ক্রিয়েট করা সহজ হয়।

without cover man

     এখানে শুরুতে ফার্নানদিনহো চেম্বারলিনকে ইন্টারসেপ্ট করতে ব্যর্থ হয়। তখন ওটামেন্ডি কভার ম্যানের রোল প্লে না করে সালাহকে মার্ক করতে নিচে ড্রপ করে। ফলে চেম্বারলিন ফ্রি স্পেস পেয়ে যায় এবং গোল করে ফেলে।

 

তথ্যসূত্র : গোল, ১০১-ট্যাক্টিক্স, ইউটিউব