একজন ফুটবল সাপোর্টারের আত্মকথা
পোস্টটি ১২৬১ বার পঠিত হয়েছে
পটভূমির শুরুতেই ফ্ল্যাশব্যাক। একবারে ১৯৯৪। ঘন বর্ষার রাত। ফিফা বিশ্বকাপ ফাইনাল। টাইব্রেকারের শেষ স্পটকিক। গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে এলেন রবার্টো ব্যাজিও। গোলবারের অনেক উপর দিয়ে বল চলে গেল। রাত প্রায় তিনটা (আনুমানিক)। নব্বই দশকের ঢাকা, এত আধুনিক হয়নি। ঝিঁঝিঁ পোকারা শহরছাড়া হয়নি তখনো। গভীর রাতে ডেকে চলে অবিরাম। গভীর রাত পর্যন্ত জেগে থাকার আধুনিকতা থেকে ঢাকাবাসী তখনো বেশ দূরে। কিন্তু সেই রাতে অনেকেই জেগে ছিল। ঝিঁঝিঁ পোকাদের সুরকে ম্লান করে ঢাকার আকাশ বাতাসে ভেসে আসা ব্রাজিল সমর্থকদের বুনো উল্লাস ধ্বনি আমার বুকে বিঁধছে বুলেটের মত। ব্রাজিল সমর্থনে বন্ধুদের স্রোতে না বুঝেই ইটালির নীল ভালবেসে ফেলে একজন সদ্য স্কুল পড়ুয়ার জন্য এই ঘটনা মেনে নেয়া কঠিন। আমার মত অসহায় শিশুর দুঃখটা বুঝে কোথায় ব্যাজিও মন শক্ত করবেন, উল্টো তিনিও তখন অঝোর ধারায় কাঁদছেন। টিভি পর্দায় এই দৃশ্য দেখার পর আর কান্না আটকে রাখা যায়না। তবে অন্যরা কান্না দেখে ফেললে সেটা বিরাট লজ্জার ব্যাপার হয়, আমার শিশুমনের এই প্রবল বিশ্বাস। তাই আমি কান্না আড়াল করতে বিছানায় লুকিয়েছি। বালিশ ভিজে যাচ্ছে।
ছোটবেলা থেকেই আমার মধ্যে একটু পাগলামি আছে। সবকিছু পছন্দ করিনা। তবে যা পছন্দ করি, পাগলের মত করি। ম্যাকগাইভার এখনো আমার সবচেয়ে পছন্দের মানুষ। বড় ভাইদের ক্যাসেট বাজিয়ে শোনা ওয়ারফেইজ, ফিডব্যাক আর উইনিং এর গানের আবেদন আমার কাছে আজও অমলিন। স্কুলের দিনগুলোতে পাগলের মত জমানো ডাকটিকিটের এলবামগুলোতে ধুলো জমে গেলেও, হারিয়ে যেতে দেইনি কোন এক নীল চাঁদে সেই ডাকটিকেটগুলো ছুঁয়ে দেখব বলে।
প্রথম শৈশবে ফুটবলের ভালবাসায় অন্য একটি দেশের প্রতি আবেগ কতটুকু সঠিক, তা বিচার করার মত যথেষ্ট বোধবুদ্ধি ছিলনা। বড় হয়ে জীবনে নানামুখী সংশয়বাদে বিভ্রান্ত আমি আর সাহস করে সেই ভিন্ন দেশের প্রতি আবেগের যথার্থতা ঘাঁটাতে যেয়ে নতুন সংশয়ের আপদ ডেকে আনিনি। ক্যারিবিয়ান সাগর পাড়ের ক্যালিপ্সো সংগীতমাখা ক্রিকেটের সাথে প্রেম আর ত্রিনিদাদের রাজপুত্র ব্রায়ান চার্লসের অনুগত হিসেবে শপথ নেয়া দীর্ঘ সম্পর্কটা প্রাকৃতিক নিয়মেই হারিয়ে গেছে যখন টেস্ট ক্রিকেটে আত্মপ্রকাশ করেছিল নিজের বাংলাদেশ। তবে আলোকবর্ষ দূরে থাকা দেশের ফুটবলকে কখনও ইটালির মুখোমুখি হতে হবেনা তা যখন নিশ্চিত, তখন “আজাইড়া” পারফেকশনিস্ট হওয়ার কোন ইচ্ছা আমার নেই। ভেজালের এই দুনিয়ায় এমনিতেই বিশুদ্ধ আবেগের খুবই অভাব।
যাই হোক, ফ্ল্যাশব্যাকে যে জায়গায় ছিলাম, সেখনে ফিরে যাই। বিশ্বকাপ ফেল মেরে (যদিও সিলভার বুট জিতেছিলেন) এবং কান্নাকাটি শেষে ব্যাজিও বিদায় নিলেন আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে। ফুটবল মধ্যগগণে আরেকজন ছিলেন। তিনি থেকে গেলেন। পাওলো মালদিনি। মধ্যবিত্ত বাসায় না থাকলেও ডিশ এন্টেনা নামক বস্তু ছিল ঢাকার কিছু কিছু বনেদী বাসায়। সেখানে “হাম পাঁচ” নামে এক মজার হিন্দি সিরিয়াল দেখা যায়, সেটা আমি জানতাম। তবে ইউরোপীয় ক্লাব আর আন্তর্জাতিক ফুটবল নিয়ে তখনো আমি বকলম। আমার ছিল বিটিভি। সেখানে প্রিয় ম্যাকগাইভারকে দেখা পেলেও মালদিনির দেখা পাইনা। গুগল নামক বস্তু না থাকায় মালদিনি কি খান, কোথায় থাকেন, তিনি আবার কবে ফুটবল খেলবেন, সেইসব প্রশ্নের উত্তর জানা হয়না আমার। বড় ভাই ব্রাদারদের কাছে জানতে চাইলে, রোমারিও-বেবেতো আর ম্যারাডোনা-বাতিস্তুতার খবর কিছু কিছু জানা যায়, তবে মালদিনিকে নিয়ে তেমন কিছু জানা যায়না। একদিন জানতে পারলাম, মালদিনি নাকি এসি মিলান নামে ইটালির একটি ক্লাবে খেলেন। ম্যারাডোনা ন্যাপলী নামের যে ক্লাবটায় খেলতেন, এসি মিলান তার প্রবল প্রতিদ্বন্দী। সবচেয়ে আশাজাগানিয়া ব্যাপারটা হচ্ছে টিভিতে এদের খেলা দেখা না গেলেও খবরের কাগজের খেলার পাতায় ইউরোপের ফুটবল লীগের খবর প্রতিদিন না হলেও মাঝে মাঝে পাওয়া যায়। এসি মিলানের খবর সেখানে প্রায়ই দেখা যায়। সেই থেকে মিলানকে অনুসরণের শুরু। ভালোবাসারও।
ফ্ল্যাশ ব্যাক থেকে ফাস্ট ফরোয়ার্ড করে সামনে আসা যাক। একবিংশ শতাব্দীর প্রথম দশকের মধ্যভাগ। দিন বদলেছে বেশ। দেশের আবাহনী-মোহামেডানকে কোন অনুতাপ ছাড়াই ব্যকডেটেড মালের মত ফেলে দিয়েছি বহু আগেই। ক্যাবল টিভির বদৌলতে ইউরোপের ফুটবল দেখছি রীতিমত। সেই ফুটবল তখনো সবার মধ্যে ছড়িয়ে না পড়লেও বিচ্ছিন্নভাবে কয়েকজন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড আর লিভারপুল সাপোর্টার পাওয়া যায়। এসি মিলানের কোন সাপোর্টারের সাথে বন্ধুত্ব না হলেও ক্ষতি নেই আমার। কারণ রেড ডেভিল আর লিভারপুল ফ্যান বন্ধুরা এসি মিলানের সাপোর্টার হিসেবে খুব একটা ঘাঁটায়না আমায়। মিলানের তখন একচ্ছত্র আধিপত্য। সিরিএ জিতে চলেছে মুরির মত। চ্যাম্পিয়ন্স লীগেও অন্যতম ধারাবাহিক সাফল্য রোজানেরিদের। এই আনন্দে ইন্টার পাশ করার পর প্রথম টিউশনির টাকা দিয়ে গুলশান মার্কেট থেকে কিনলাম আমার প্রথম এসি মিলান জার্সি। গুলশানের ডিএনসিসি ছাড়া এই বস্তু তখন কোথাও পাওয়া যায়না। শেভচেংকোর নাম্বার সেভেন।
এমন একটা সময়েই বিশ্বটাকে থমকে দিয়ে ফ্যাভিও ক্যানাভারো নামক এক দৈত্য, পিরলো নামের এক আর্টিস্ট, টট্টি নামের এক রোমান যোদ্ধা, আর বুফন নামের এক বিশ্বস্ত প্রহরী তাদের নীল ঐক্যে চতুর্থবারের মত বিশ্বকাপটা জেতালেন ইটালিকে। আরেকটা টাইব্রেকার। এবারেরটা আমার হৃদয় ভাঙ্গেনি, জন্ম দিয়েছে আমার ফুটবল জীবনের সবচেয়ে আনন্দের ঘটনার।
করে সব এলোমেলো
শেভচেংকো চলে গেল
কেটে গেলো
বছর অনেক।
ফাস্ট ফরোয়ার্ড করে আমরা এখন ২০১৮ তে। সম্ভবত টানা পঞ্চমবারের মত চ্যাম্পিয়ন্স লীগে কোয়ালিফাই করতে ব্যর্থ হয়েছে মিলান। সিরি এ দেখে যে দুঃখ ভুলবো, সেই উপায় নাই। জুভেন্টাস নামক ডাকাত দল সিরি এ শিরোপার চিরস্থায়ী বন্দোবস্থ করে রেখেছে। দুঃসময় কাটিয়ে মিলানের নগর প্রতিদ্বন্দ্বী ইন্টার শুভ বার্তা দিচ্ছে। রোমান গ্ল্যাডিয়েটর ফ্রান্সেসকো টট্টি বিদায় নিলেও বুড়ো ডেনিয়েল ডি রসির রোমাও জায়গা করে নেয় চ্যাম্পিয়ন্স লীগে। ম্যানচেস্টারের সাপোর্টাররা নতুন করে না বাড়লেও ব্যাঙ্গাচির* মত চারদিকে বার্সা আর রিয়েল সাপোর্টাররা কিলবিল করে। আরো আছে বায়ার্ন, পিএসজি, চেলসি আর জুভেন্টাস সাপোর্টাররা। তাদের ভিড়ে আমার মতই হতাশ কয়েকশ মিলান ভক্ত সিরি এ’র ম্যাচ শেষে ফেইসবুকে এসি মিলানের বাংলাদেশ সাপোর্টারদের গ্রুপে হা হুতাশ করি। অন্য দলগুলোর সাপোর্টারদের সাথে বিশেষ আলোচনা বা খেলা নিয়ে কথা বার্তা বলিনা। কি বলব?
মরার উপর খাড়ার ঘা- ২০১৮ বিশ্বকাপ শুরু হয়েছে। প্রত্যেকবার ফিফা ওয়ার্ল্ড কাপ শুরু হওয়ার প্রায় ছয় মাস আগে থেকেই মনে মনে কাউন্ট ডাউন শুরু করে দেই। এইবার কাউন্ট ডাউন করছি কবে এই দুঃস্বপ্ন শেষ হবে। দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ চলছে। হেরে বাদ পরে গেলে দুই একদিন বিশ্রি খারাপ লাগা থাকে। তারপর সব ঠিক। এই কষ্ট মেনে নেয়া যায়। তবে আমার প্রিয় ইটালি’র ইউরোপের দেশগুলো থেকে অংশগ্রহণ করার যোগ্যতা নেই। এই অপমান হজম করা যায়না।
মিলানেরও একই অবস্থা। অর্থের ঝনঝনানি নেই। দামী খেলোয়ার কেনার সামর্থ্য নেই। কয়েক বছর ধরে তরুণ ফুটবলার তৈরি করার পর অর্থের লোভে তাদের বেশিরভাগ পাড়ি জমায় ধনী ক্লাবে। ফুটবলকে ঘিরে থাকা ভালবাসা ত্যাগ করতে না পারলেও ফুটবলকে তখন প্রায়ই টাকার কাছে বন্দী মনে হয়। এসি মিলান সেই বন্দীশালায়। কবে মুক্তি পাবে জানা নেই।
ফিরে আসি বর্তমানে। ইটালি ফিরেছে। কেউ কেউ বলছে ইটালির ফুটবলের পুনর্জাগরণ হয়েছে। ম্যাজিক ম্যান- রবার্তো মানচিনির কোচিং এ একটু করে দুর্বলতা কাটিয়েছে ব্যর্থতা পরবর্তী প্রথম বছরে। পরিশ্রম, মেধা আর দলীয় সংহতির অপূর্ব সংমিশ্রণে ইটালিকে পৃথিবীর অন্যতম শক্তিশালী দলে পরিণত হতে দেখা ছিল সমর্থক হিসেবে বিষ্ময়কর এক অভিজ্ঞতা। গত বিশ্বকাপে যে ইউরোপ থেকে কোয়ালিফাই করতে পারেনি ইটালি, সেই ইউরোপের শীর্ষ ২৩টি দেশকে টপকে ইংল্যান্ডের হোম থেকে ইউরোপের রাজার মুকুটটি নিয়ে গেছে রোমে। এর মধ্যেই ৩৪ টা ম্যাচ অপরাজিত থেকে নিজেদের আগের রেকর্ডটাও ভেঙেছে।
এসি মিলানের গল্পটা এতটা সিনেমেটিক নয়। তবে ঘুরে দাড়ানোর শুরুটা তারাও করেছে ভালভাবেই। এ বছরের সিরি এ'তে রোনাল্ডোর জুভেন্টাসকে পুরো মৌসুমে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়েছে তারা। ন্যাপলী, রোমা আর নতুন শক্তি আটালান্টাকে পেছনে রেখে লীগ রানার্স আপ হওয়া আর টানা সাত বছরের হতাশা কাটিয়ে উইয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লীগে ফেরাটা রোজানেরিদের নতুন দিনের আগমনী বার্তা দিচ্ছে।
শুরুতেই বলেছিলাম, গল্পটা কোন ফুটবল দলকে নিয়ে জয়গান গাওয়ার না। গল্পটা সাফল্য-ব্যর্থতা, জয়-পরাজয় আর লাভ-লোকসানের কিঞ্চিত উর্ধ্বে উঠে ফিরে দেখা ফুটবল প্রেমের আর দলকে অনুপ্রেরণা যোগানো অনুসরণের। সাফল্য-ব্যর্থতা আসবেই। জীবনের এটাই নিয়ম। প্রত্যেকটি লড়াইয়ে জিততেই হবে, এটা জীবনের চাহিদা নয়। তাতে যে জীবনের আনন্দ বেড়ে যায় তাও নয়। তবে প্রত্যেকটা লড়াই হতে হবে লড়াইয়ের মত। তবেই বিজয় হবে সত্যিকারের। মিলবে দুর্নিবার আনন্দ। জীবনেও, ফুটবলেও।
একটি দলকে সবসময় জয়ী হতে দেখার মধ্যেই দলকে ঘিরে থাকা সমর্থকদের সর্বসুখ নেই। শেভচেংকো-কাকা-পিরলোদের নিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লীগের বিজয় কেতন ওড়ানো মিলানকে সমর্থন দিয়ে যে সুখ ছিল, এ বছরের জীবনপণ করা লড়াইয়ে তারকাহীন দলটার চ্যাম্পিয়ন্স লীগে ফিরতে দেখার আনন্দ ছিল তার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি। তাই আমার কাছে দলকে সমর্থন করা মানে শুধু দলের জয়ের আনন্দে ভাসা না, দলের প্রতি শতভাগ আস্থা রাখা আর দলের সাফল্য ব্যর্থতার সঙ্গী হয়ে এক সাথে পথ চলা।
কারো কারো চোখে এ হয়ত বেশ বাড়াবাড়ি। একবিংশ শতাব্দীর এই ডিজিটাল দুনিয়ায় এত অপ্রয়োজনীয় সময় কোথায়! চার বছর পর পর আসুক বিশ্বকাপ। তখন প্রিয় দলের সাথে ম্যাচ করে আকাশি বা হলুদ (অথবা অন্য কোন রঙ) ডিজিটাল ফ্রেম অথবা গায়ে সেই দলের জার্সি চাপিয়ে নিজের ফেয়ার এন্ড হ্যান্ডসাম মেখে মেখে ফর্সা করা মুখখানার ছবি ফেইসবুকে সেঁটে দিলেই ফুটবলের সমর্থক হওয়া যায় বেশ। আর মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন্স লীগের ফাইনাল, দুয়েকটা এল ক্লাসিকো দেখলেই আপডেটও থাকা হবে। কর্পোরেট কেরিয়ার আছে, সেখানে অনেক চ্যালেঞ্জ আছে। আছে আকাশ পাতাল প্রতিযোগিতা করে নিজেকে কর্পোরেট পাপেট হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার পর্বতসম চাপ। বিসিএসে পাশ দিয়ে সরকারি আমলার ডিজেল চালিত পাজেরোতে চেপে বসে জানালার বাইরে তাকিয়ে খেটে খাওয়া মানুষদের দেখতে দেখতে নিজেকে জীবন যুদ্ধে জয়ী মনে করার আত্মতুষ্টি না আসলে আবার কিসের সফলতা?
তবে বিলাসি জীবন পেলেই যে শ্রান্তি ক্লান্তির উর্ধ্বে উঠে সুখ কেনা যায়, আমার তা মনে হয়না। জীবন ঘোড়া ছুটিয়ে উল্কার বেগে ছুটে চলা, চাওয়া পাওয়ার হিসাব মিলাতে যেয়ে শ্রান্তি ক্লান্তির মাঝে মিডলাইফ ক্রাইসিসের মুখোমুখি হতে আমার বড় ভয়। পছন্দের সীমিত কিছু বিষয়, প্রিয় কিছু মানুষ আর স্বপ্নকে বাধাগ্রস্থ না করে দুটি ফুটবল দলকে ঘিরে যদি কিছু সুখ পাওয়া যায়, ক্ষতি কি এই মিছে বাড়াবাড়িতে? অফিসের রাজ্যের ক্লান্তি কাটিয়ে পরের দিনের চাপ নিতে আগের রাতে আমার ৮ ঘন্টা ঘুমের প্রয়োজন নেই। তাহলে চাকরিই থাকল। কিন্তু জীবন থাকলো কোথায়? আমি বরং সপ্তাহে ২ দিন ৬ ঘন্টা ঘুমিয়ে মাঝের ২ ঘন্টায় এসি মিলান আর মাসের ইন্টারন্যাশনাল বিরতির জানালায় ইটালির খেলা দেখব। ইব্রাহিমোভিচ যখন বুড়ো হারে ভেল্কি দেখিয়ে গোল করবে, তাতেই আমি পরেরদিন অফিসে চাঙ্গা থাকব। আর যদি হেরে যায় দল? অন্ধকার আছে দেখেই না আলো এত সুন্দর। বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা হারিয়েছিল বলেইনা ইটালির পুনর্জাগরণটা এতটা হৃদয়গ্রাহী।
*ব্যাঙ্গাচি বলে বার্সা ও রিয়েল সাপোর্টারদের মনে কষ্ট দিয়ে থাকলে ক্ষমাপ্রার্থী। নো অফেন্স। সকল দলের সমর্থকদের জন্য শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা।
Special thanks to piqsels.com for allowing me to use the wonderful thumbnail in this blog article
- 0 মন্তব্য