• ফুটবল

ক্যালভিন ফিলিপস: ট্যাক্টিকাল এনালাইসিস

পোস্টটি ১৩২২ বার পঠিত হয়েছে
'আউটফিল্ড’ একটি কমিউনিটি ব্লগ। এখানে প্রকাশিত সব লেখা-মন্তব্য-ছবি-ভিডিও প্যাভিলিয়ন পাঠকরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে নিজ উদ্যোগে করে থাকেন; তাই এসবের সম্পূর্ণ স্বত্ব এবং দায়দায়িত্ব লেখক ও মন্তব্য প্রকাশকারীর নিজের। কোনো ব্যবহারকারীর মতামত বা ছবি-ভিডিওর কপিরাইট লঙ্ঘনের জন্য প্যাভিলিয়ন কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না। ব্লগের নীতিমালা ভঙ্গ হলেই কেবল সেই অনুযায়ী কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিবেন।

১৬ বছর পর নিজেদের প্রিমিয়ার লিগের প্রথম ম্যাচেই ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন লিভারপুলের সাথে শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচ দিয়ে বিয়েলসা হয়তো জানান দিয়ে দিয়েছিলেন, আমরা ফুটবল কে ভালোবাসা দিয়ে খেলতে এসেছি, দর্শকদের হৃদয় ফুটবলের সৌন্দর্যে ভরিয়ে দিতে এসেছি।

সুন্দর ফুটবল খেলেই লিডস টেবিলে নবম হয়ে সিজন শেষ করে, যেখানে তাদের সাথে প্রমোট হওয়া অন্য দুই দল ফুলহাম ও ওয়েস্টব্রম রেলিগেট হয়ে দ্বিতীয় বিভাগে নেমে যায়।

লিডসের ফ্রি ফ্লোয়িং ফুটবল, বল পজিশন ধরে রেখে ক্রমান্বয়ে আক্রমণে যাওয়া ফুটবল দর্শদের আনন্দ দিয়েছে।

লিডসের এই সাফল্যের পেছনে দলের বেশ কিছু খেলোয়ারের অবদান চোখে পড়ে। এর মধ্যে বিভিন্ন ম্যাচে দুর্দান্ত সেভ দিয়ে গোলপোস্ট আগলে রাখা মিলিয়ের কিংবা সিজনে ১৭ গোল করা প্যাট্রিক ব্যামফোর্ড অথবা দারুণ স্কিলফুল ফুটবল খেলা রাফিনহা। অন্য আরেকজন খেলোয়ার ও ছিলেন, ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার হওয়ায় যাকে নিয়ে তেমন আলোচনা হয়নি বললেই চলে। তিনি হলেন ক্যালভিন ফিলিপস। লিডসের মাঝ মাঠ গুছিয়ে রাখার গুরুদায়িত্ব যিনি পালন করেছেন খুবই দায়িত্বের সাথেই।

সিজনে দু'বার ইঞ্জুরিতে পড়ে পারফর্মেন্স এ কিছুটা ছন্দপতন হলেও সব মিলিয়ে ফিলিপসের পারফরম্যান্স ছিলো দুর্দান্ত। তার ভিশনারি লং বল সাপ্লাই কিংবা বল রিকভারি ছিলো এস্টোনেশিং। লিডসের মাঝমাঠের মূল স্তম্ভই ছিলেন ফিলিপস।

 

পজিশন এবং রোল

 

বিয়েলসা সাধারণত তার দলকে ৪-১-৪-১ ফর্মেশনে খেলান। বিয়েলসার সিস্টেমে ফিলিপস সেন্ট্রাল ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার রোলে খেলেন, যার পজিশন থাকে দুই সেন্টারব্যাকের সামনে সিঙ্গেল পিভট হিসেবে।

অফ দ্যা বল পজেশনে থাকা অবস্থায় ফিলিপস সাধারণত দুই সেন্টারব্যাকের সামনে শিল্ডের মতো অবস্থান করেন। বেশিরভাগ ম্যাচে ফিলিপস ম্যান মার্কিং ফ্রি রোলে থাকলেও মাঝে মাঝে তাকে প্রতিপক্ষের মূল টার্গেট ম্যানকে সরাসরি ম্যান মার্ক করতে দেখা যায়। তবে অফ দ্যা বলে ফিলিপসের মূল রোল থাকে সর্বোচ্চ সংখ্যক এরিয়া কভার করে প্রতিপক্ষের পাসিং জোনকে কনজাস্টেড করে রাখা এবং বল হোল্ডারকে ক্রমাগত প্রেস করে তাকে ভূল ডিসিশন নিতে বাধ্য করা। তিনি পুরো ৯০ মিনিটই একটানা একই রিদমে গ্রাউন্ড কভার করার চেষ্টা করেন। ফিলিপসের হাই ওয়ার্করেট এবং ফিজিক্যালিটির কারণে তাকে লিডস ইউনাইটেডের মিডফিল্ডের ইঞ্জিন বলা হয়।

অফেন্সিভ ট্রাঞ্জিশনের সময় লিডসের ৪-১-৪-১ ফর্মেশন ৩-৩-১-৩ এ রুপান্তরিত হয়। এসময় ফিলিপস দুই সেন্টারব্যাকের মাঝে ড্রপ করে তাদের আরো ওয়াইডে মুভ করার সুযোগ করে দেন, ফলে দুই ফুলব্যাক আরো ওয়াইড এবং হাইলাইনে পুশ হয়ে আক্রমণে সাহায্য করার সুযোগ পায়। ফিলিপস দুই সেন্টারব্যাকের মাঝে পজিশন নিয়ে থ্রি ম্যান ব্যাকলাইন তৈরী করেন 

2

এসময় তার মূল ভূমিকা থাকে বক্স টু বক্স মিডফিল্ডার রোলে থাকা ডালাস/রোদ্রিগো/ক্লিকের সাথে কুইক ওয়ান-টু পাসিং করে করে অপনেন্টের হাইপ্রেসকে বিট করে ফরোয়ার্ড প্রোগ্রেসে সাহায্য করা, তবে তাকে সাধারণত বল ক্যারি করে ফরোয়ার্ড প্রোগ্রেস করতে দেখা যায়না। ফিলিপস লং বল সার্কুলেশনে বেশ ভালো হওয়ায় মিড থার্ডে বিল্ডআপের সময় তাকে প্রায়শই ওয়াইড এরিয়ায় রাফিনহা কিংবা হ্যারিসনকে ডায়াগনাল লং বল দিতে দেখা যায়।

অফেন্সিভ ট্রাঞ্জিশনের সময় বলের পজেশন হারালে দলের বেশিরভাগ খেলোয়ারই আক্রমণে অংশ নেওয়ায় লিডসের ডিফেন্সিভ হাফে হিউজ ফ্রি স্পেস তৈরী হয়। এসময় ফিলিপস এগ্রেসিভলি অপনেন্টের বল ক্যারিয়ারকে ট্যাকেল কিংবা প্রেস করে করে তাদের কাউন্টার প্লে নষ্ট করে দিতে চেষ্টা করেন, অথবা হাইলাইনে উঠে গিয়ে বল ইন্টারসেপ্ট করে পুনরায় বল পজেশন ফিরে পেতে চেষ্টা করেন। এ সম্পর্কে লেখার পরবর্তী অংশগুলোতে উদাহরণ এবং বিভিন্ন ম্যাট্রিক্সসহ বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে।

 

বিল্ড-আপ ইনভলভমেন্ট 

লিডস ইউনাইটেড সাধারণত বিল্ডআপ ফ্রম দ্যা ব্যাক সিস্টেম ফলো করে থাকে৷ এজন্য তাদের ফর্মেশন প্রতিপক্ষের ফর্মেশনের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হয়৷ এক্ষেত্রে বিয়েলসা সাধারণত একটি মেথড ফলো করেন : প্রতিপক্ষ দলে যদি একজন সেন্ট্রাল ফরোয়ার্ড থাকে তবে বিয়েলসা ২ জন সেন্টারব্যাক খেলান এবং প্রতিপক্ষ যদি ২ জন ফরোয়ার্ড নিয়ে খেলতে নামে তবে বিয়েলসা ৩ জন সেন্টারব্যাক খেলান। অর্থাৎ নিউমেরিক্যাল সুপিরিওরিটি অর্জনের জন্য লিডসের ডিফেন্সিভ এরিয়ায় সবসময় অপনেন্টের চেয়ে অন্তত বাড়তি একজন ম্যান থাকে।

লিডস যখন ২ জন সেন্টারব্যাক নিয়ে খেলতে নামে তখন ইনিশিয়াল বিল্ডআপ পিরিয়ডে ফিলিপস দুই সেন্টারব্যাকের উপরে থেকে ডায়মন্ড শেইপ ক্রিয়েট করেন। ডায়মন্ড থাকার কারণে প্রত্যেক বল ক্যারিয়ারের সামনে অনেকগুলো পাসিং অপশন তৈরী হয়, ফলে অপনেন্টের ফার্স্ট প্রেসিং লাইনকে বিট করে বল ফরোয়ার্ড প্রোগ্রেস করাটা বেশ সহজ হয়। 

3উল্লেখিত ছবিতে গোলকিপার থেকে বিল্ডআপের শুরুতে ফিলিপস মিডফিল্ডলাইন থেকে কিছুটা নিচে ড্রপ করে ডায়মন্ড শেইপ ক্রিয়েট করেছেন।

 

4

 

তবে থ্রি ম্যান ব্যাক নিয়ে খেলার সময় কিছুটা পরিবর্তন দেখা যায়। এসময় মাঝে থাকা সেন্টারব্যাক অপর দুই ওয়াইড সেন্টারব্যাক থেকে কিছুটা নিচে পজিশন নেন, এবং ফিলিপস তিন সেন্টারব্যাকের সাথে মিলে ডায়মন্ড ক্রিয়েট করেন। 

বিল্ডআপের সেকেন্ডারি ফেজে ফিলিপসের ভূমিকা বেশ গুরুত্বপূর্ণ, ফিলিপস দুই বক্স টু বক্স মিডফিল্ডারের সাথে কুইক পাসিং করে বিল্ডআপের ফ্লো ধরে রাখার চেষ্টা করে। তবে ফিলিপসকে প্রায়ই সেন্টারহাফ থেকে ওয়াইড এরিয়া বরাবর ডায়াগনাল লং বল দিতে দেখা যায়। লিডসের ফুটবলাররা এরিয়াল বলে বেশ শক্তিশালী, তাদের সেকেন্ড বল উইনিং রেট বেশ ইমপ্রেসিভ হওয়াটা ফিলিপসকে রিস্কি লং বল দিতে আরো বেশি ইন্সপায়ার্ড করে।

5উল্লেখিত গ্রাফের দিকে যদি আমরা খেয়াল করি, এখানে গত সিজনের প্রিমিয়ার লিগের মিডফিল্ডারদের মধ্যে যারা কমপক্ষে ১০০০ মিনিট খেলেছেন তাদের লং পাসিং এবিলিটির কম্পারিজন দেখানো হয়েছে। এরমধ্যে ফিলিপসের লং বল এবিলিটি বেশ ইমপ্রেসিভ। ফিলিপস পার ৯০ তে ১৬.৬ টি লং পাস এটেম্পট করেছেন যার ৭১.৭% ই একুরেট।

লং বল সার্কুলেশনে পুরো সিজনজুড়েই ফিলিপস ছিলেন দুর্দান্ত, তবে এরমধ্যেও স্পেশালভাবে উঠে আসবে গুডিসন পার্কে এভারটনের বিপক্ষে লিডসের ০-১ গোলে জেতা ম্যাচটির কথা। সে ম্যাচে ফিলিপস টোটাল লং বল দিয়েছিলেন ২৯ টি যার ৯৩.১% ই ছিলো একুরেট। ইনসেন!

 

7ফিলিপস যখন আলিয়স্কির থেকে পাস রিসিভ করেন, তখন হ্যারিসন অপনেন্ট থার্ডের রাইট হাফ স্পেসে অবস্থান করছিলেন এবং আয়লিং রাইট উইং এ লাইন স্ট্রেচ করছিলেন৷ সেখান থেকে আয়লিং বরাবর ফিলিপসের দুর্দান্ত ডায়াগনাল লং বল।

ফিলিপসকে প্রতি ম্যাচেই এমন ভিশনারি লং বল সার্কুলেট করতে দেখা গেছে, এরমধ্যে এমন কিছু লং বলও ছিলো যার মাধ্যমে অপনেন্ট ডিফেন্সলাইন একেবারেই এক্সপোজড হয়ে পড়ে। নিচের ছবিতে এমনই একটি উদাহরণ রয়েছে।

 

8ম্যানচেষ্টার ইউনাইটেডের ডিফেন্ডাররা হাইলাইনে উঠে থাকার সময় নিজেদের হাফের রাইট হাফস্পেস থেকে ফিলিপসের লং বল সুইচ। ম্যানইউয়ের রাইট ব্যাক ওয়ান বিসাকা সেন্টার এরিয়ায় পজিশন নিয়ে থাকায় রাইট সাইড ছিলো একেবারেই এক্সপোজড। ফিলিপসের লং থ্রু বল থেকে কস্তা লেফট সাইডে বক্সের বাইরে একদম ফ্রি স্পেস পেয়ে যান, যার থেকে লিডস গোলস্কোর করার বেশ ভালো একটা সুযোগ পেয়ে যায়।

 

9 লিস্টারের বিপক্ষে ম্যাচে সেন্টার এরিয়া থেকে রাফিনহা বরাবর ফিলিপসের লং বল। লিস্টারের রাইটব্যাক জাস্টিন কুপারের লং বল ইন্টারসেপ্ট করতে তার পজিশন ছেড়ে হাইলাইনে উঠে আসায় রাইট সাইড এক্সপোজড হয়ে যায় ফিলিপস খুব দ্রুত সময়ের মধ্যেই বল এন্টিসিপেট করে রাইট সাইডের ফ্রি স্পেস বরাবর রাফিনহাকে পাস দেন, এতে করে রাফিনহা কাউন্টার এটাকে উঠার মতো অনেক স্পেস পেয়ে যান।

 

প্রেসিং ও ডিফেন্সিভ কন্ট্রিবিউশন 

লিডস হচ্ছে এমন একটি দল যারা বল পজেশন সবসময় নিজেদের দখলে রাখতে পছন্দ করে। কিন্তু বেশি প্রোডাক্টিভ খেলার কারণে তারা প্রচুর পজেশন লস করে। এজন্য তারা সবসময় বলের পজেশন হারালে দ্রুত সময়ের মধ্যে হাই ইন্টেনসিভ প্রেসিং করে অপনেন্টের থেকে বল রিট্রিভ করার চেষ্টা করে।

10উল্লেখিত প্লটে গত সিজনে প্রিমিয়ার লিগের মিডফিল্ডারদের প্রেসিং এফিশিয়েন্সি দেখানো হয়েছে। x অক্ষ বরাবর পার ৯০ তে প্রেস এটেম্পট এবং y অক্ষ বরাবর পার ৯০ তে প্রেস সাক্সেস রেট দেখানো হয়েছে।

উপরের গ্রাফ অনুযায়ী পার ৯০ তে জর্দান আইয়ু, এলান, উইলকের প্রেস এটেম্পটের রেট সবচেয়ে বেশি, তাই তাদেরকে এগ্রেসিভ প্রেসার ধরা যায়। প্রেসিং সাক্সেস রেট বিবেচনায় উইনাল্ডম, রোদ্রি, তিয়েলম্যানসকে এফেক্টিভ প্রেসার বলা যায়। এই গ্রাফ অনুযায়ী ফিলিপসের প্রেস এটেম্পট এবং তার প্রেস সাক্সেস রেট বিবেচনায় তাকে এফেশিয়েন্ট প্রেসার হিসেবে বিবেচনা করা যায়।

বিল্ডআপের সময় লিডসের ২ সেন্টারব্যাক এবং ফিলিপস বাদে বাকিসব প্লেয়ার হাইলাইনে পজিশন নেওয়ায় বলের পজেশন হারালে ফিলিপসকে প্রায়ই অপনেন্ট থার্ডে গিয়ে বল ক্যারিয়ারকে প্রেস করতে দেখা যায় বল রিকোভারির এবং অপনেন্টের কাউন্টার প্লে নষ্ট করে দেওয়ার জন্য।
 
11রাইট উইং থেকে রাফিনহার ক্রস বার্নস ব্লক করে ২ টাচে ইমিডিয়েট পেরেজকে থ্রু পাস দেয়। ফিলিপস কুইকলি পিছন থেকে উঠে এসে বল ইন্টারসেপ্ট করে লিস্টারের কাউন্টার এটাকের সুযোগ নষ্ট করে দেয়।

ফিলিপসের পজিশনিং ব্রিলিয়ান্স, অপনেন্টের মুভমেন্ট রিডিং স্কিল এবং তার ফিজিক্যালিটির কম্বিনেশন অপনেন্টের কাউন্টার নষ্ট করার ক্ষেত্রে বেশ কার্যকর। নিচের উদাহরণটি খেয়াল করা যাক।

12জোটা লেফট ফ্লাঙ্ক থেকে হাফস্পেস ধরে বল পায়ে ফরোয়ার্ড মুভ করতে শুরু করে। এসময় ফিলিপস জোটার রানিং পাথ ব্লক করে তাকে মুভ করতে বাধা দেয়৷ ফিলিপস সরাসরি জোটার পা থেকে বল কেড়ে না নিলেও তাকে ব্লক করে রাখে, ফলে আলিয়স্কি বল নিজের কন্ট্রোলে নেওয়ার মতো সময় পেয়ে যায়।

 

13ফিলিপসের পজিশনিং সেন্স এবং অপনেন্টের পাসের ফ্লাইট প্রেডিক্ট করে তা ইন্টারসেপ্ট করার আরেকটি চমৎকার উদাহরণ দেখা যাক। জোটার পায়ে বল থাকার সময় ফিলিপসের সাথে ফিরমিনোর হিউজ ডিসটেন্স ছিল। কিন্তু জোটার পাস এটেম্পটের সাথে সাথে ফিলিপস বলের দিকে মুভ করে। জোটার পাসটি সাক্সেসফুলি ফিরমিনোর কাছে পৌছালে ফিরমিনো লিডসের গোলকিপার মিলিয়েরের সাথে ওয়ান ভার্সেস ওয়ান পজিশনে থেকে এটেম্পট নেওয়ার সুযোগ পেয়ে যেতো। কিন্তু ফিলিপস তার চমৎকার পজিশনিং সেন্সের মাধ্যমে দ্রুত জোটার পাস রিড করে বল ইন্টারসেপ্ট করে ফেলে।

ফিলপসের বল ইন্টারসেপশন ডিফেন্সে কন্ট্রিবিউট করার পাশাপাশি কখনো কখনো ভালো আক্রমণেরও সুযোগ করে দেয়।

14 ছবির শুরুতে ফ্যাবিনহে ফিরমিনো বরাবর পাস দেয়। কিন্তু ফিলিপস ফিরমিনোর পেছন থেকে এসে পাস ইন্টারসেপ্ট করে নেয়। ফিলপসের ইন্টারসেপশনের ফলে সম্পূর্ণ লিভারপুলের ডিফেন্সলাইন এক্সপোজড হয়ে যায়। ফিলিপসের কুইক পাস থেকে ব্যামফোর্ডের সাথে লিভারপুলের গোলকিপার এলিসনের ১ ভার্সেস ১ সিচুয়েশন তৈরী হয়।

 

15লিস্টারের এটাকের সময় আয়লিং হাইলাইনে পজিশন নিয়ে ছিলেন, ফলে লিডসের রাইট ফ্লাঙ্ক একেবারেই এক্সপোজড হয়ে ছিলো। এসময় সেই ফ্রি ম্পেসে তিয়েলম্যানস বার্নসের দিকে থ্রু পাস দেয়। ফিলিপস কুইকলি রাইট উইং এ সড়ে গিয়ে বার্নসের পায়ে বল যাওয়ার আগেই বল ইন্টারসেপ্ট করে লিস্টারের আরেকটি পটেনশিয়াল কাউন্টার এটাক ডেস্ট্রয় করে ফেলেন।

 

২০২০-২১ সিজনে লিডসের হয়ে ফিলিপসের পার্ফমেন্স ছিল দুর্দান্ত। দলের হয়ে সামনে থেকেই ভালো পারফর্ম করেছে ফিলিপস। সাধারণভাবে ফিলিপসের অবদান চোখে না পড়লেও দলের জন্য তার ভূমিকা ছিল অসামান্য। ইউরোতে ইংল্যান্ডের হয়ে সাক্সেসফুল ক্যাম্পেইন শেষে ফিলিপস চাইবে তার পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা নতুন সিজনেও একইভাবে ধরে রাখতে।