পেশাদারিত্ব যখন শূন্যে কোঠায় সমালোচনা তখন বহ্বারম্ভে লঘুক্রিয়ার নামান্তর..
পোস্টটি ১১৪০ বার পঠিত হয়েছেখেলায় হার/জিত স্বাভাবিক ঘটনা..!
এমনকি খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স খারাপ হওয়া এমনকি ধারাবাহিকভাবে খারাপ করাটাও স্বাভাবিক যেহেতু আমরা প্রত্যেক মানুষই যে নিজ নিজ প্রফেশনে সফল হবো তা বলা মুশকিল....
সুতরাং সমালোচনা-আলোচনাটাও যৌক্তিক..
বাংলাদেশের দলের জয়/পরাজয় ফলাফল যাই হোক একজন সমর্থক হিসেবে আমার আফসোস বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের নীতিনির্ধারক থেকে শুরু খেলোয়াড় এবং সংশ্লিষ্ট সাংবাদিক কেউই কি কখনো পেশাদারিত্বের পরিচয় দিয়েছে?
বোর্ড প্রেসিডেন্ট তারসাথে কিছু মাথামোটা অথর্ব সংগঠকগণ সংবাদমাধ্যমে অবলীলায় খেলোয়াড়দের কোরবানি দেয় আর খেলোয়াড়রা এক কাঠি সরেস কখনো এক ম্যাচে ভালো করার পর অভিমানী সুর নতুবা মায়াকান্না কেউ কেউ আবার যথেষ্ট সুযোগ না পাওয়ার বেদনা..!
খেলোয়াড়দের এতো কষ্ট দেখলে আমার কষ্ট হয় না বরং লজ্জা হয় এরা কি আদৌ পেশাদার ক্রিকেটার না জানে মিডিয়া সামলাতে না জানে সমর্থকদের চাহিদা মেটাতে না পারে মাঠের খেলায় পারদর্শিতা প্রমাণ করতে যা পারে কখনো আয়না দেখাতে তো কখনো ১০০ বছর কি দিয়েছে অথবা তাদের মানুষ পরিচয় দেখাতে অথচ তাদের সব ক্ষোভ,রাগ,নিজেদের সামর্থ্যের সবটুকু প্রশ্নের উত্তর ব্যাট আর বলে দেয়ার কথা..!
সমর্থকগণও এর পিছনে দায়ী একটা উদাহরণ যদি দেই অষ্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড সিরিজে বেশিরভাগ অংশই সমালোচনা করেছে মিরপুরের পিচ নিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে হোম এডভান্টেজ নেয়া নতুন কিছু নয় একই সিরিজ যদি অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডে হতো তারাও বিশ্বকাপের প্রস্তুতি নাকি নিজেদের শক্তিমত্তা ব্যবহার করতো তা সহজেই অনুমেয়..!
এখন প্রশ্ন যদি হয় কিন্তু তারা বিশ্বকাপের প্রস্তুতি নিতে এদেশে এসেছে তাহলে বলব বাংলাদেশ এই সিরিজ আয়োজন করে প্রথমেই ভুল করে ফেলেছে বাংলাদেশের উচিত ছিলো তাদের মাটিতে অথবা নিউট্রাল ভ্যানুতে যেখানে বিশ্বকাপের মতো পিচ পাওয়া যাবে সেখানে সিরিজ আয়োজন করা...
ধরে নিলাম বাংলাদেশ মিরপুরের পিচ বিশ্বকাপের মতো করে পিচ তৈরি করেছে এবং বিশ্বকাপও জিতে নিয়েছে তারপরও আদতে কি এদেশের ক্রিকেটের অবকাঠামোগত দুর্বলতার উন্নতি কিংবা দীর্ঘস্থায়ী কোনো পাইপলাইন তৈরি হতো বা এই ১৫ জনের বাহিরে কি কারো লাভ হতো?
টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার ২০ বছর পরেও যখন দেশের ক্রিকেট কোনোরকম পরিকল্পনা ছাড়া এগিয়ে যায় তাহলে সমালোচনা খেলোয়াড়দের না নীতিনির্ধারকদের হওয়া উচিত কেননা তারাই আমাদের সামনে খেলোয়াড়দের পেশ করান..!
একযুগ পেরিয়ে গেলেও সাকিব,তামিম,মুশিদের কোনো বিকল্প খুঁজে না পাওয়া কোনো কালতালীয় ঘটনা নয় এটা একটি চূড়ান্ত ব্যর্থতার প্রমাণ..
উপমহাদেশে ট্যালেন্টের ঘাটতি কখনোই ছিলো না এমনকি বাংলাদেশও তার বাহিরে নয় তার সবচেয়ে বড় প্রমাণ বিজয়-বাবরের ক্যারিয়ার..!
একটা খেলোয়াড় যখন ধারাবাহিকভাবে খারাপ করে সে দায়ভার তার না দায়ভার যারা তাকে এরপরেও সুযোগ দেয় তাদের..
সাকিব আল হাসান প্রায়ই বলে এদেশের মিডিয়া সমালোচনাটুকুও সঠিক জায়গায় করতে পারে না..
আমি আরেকটু যদি যোগ করে দেই আমাদের সমর্থকগণরাও তাই...
এদেশের ক্রিকেট বোর্ডের পেশাদারিত্বের প্রশ্নে সবচেয়ে বড় দাগ ১৯ বিশ্বকাপে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড়ে রাতারাতি জার্সির ডিজাইনের পরিবর্তন করা..
সর্বোপরি এসবের ভীরে বাংলাদেশের জয় যেমন দীর্ঘস্থায়ী কোনো সুখ দেয় না তদুপরি হারটাও দীর্ঘস্থায়ী কষ্ট দেয় না সবটুকু দীর্ঘশ্বাস..!
অবকাঠামোগত উন্নয়ন কিংবা জয়/পরাজয়তো দূরের চিন্তা আপাতত যতটুকু চাই তা হচ্ছে সংশ্লিষ্ট সকলকে একটু পেশাদারি চিন্তাভাবনা এবং পেশাদারী এক্টিং করা..!
নাহয় সবকিছু বহ্বারম্ভে লঘুক্রিয়া মনে হবে..!
- 0 মন্তব্য