কাতার বিশ্বকাপে ব্রাজিলঃ সম্ভাব্য স্কোয়াড, শক্তিমত্তা, দুর্বলতা
পোস্টটি ১৫০৯ বার পঠিত হয়েছেপ্রতি বিশ্বকাপেই ৫ বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল এর নাম সম্ভাব্য ফেভারিট তালিকায় থাকেই। এবারো তার ব্যতিক্রম নয়। আর্জেন্টিনার সাম্প্রতিক ফর্ম আর ফ্রান্স, ইংল্যান্ড কিংবা পর্তুগাল এর প্রতিভাবান স্কোয়াড এর ভীড়েও মেসি কিংবা শাভির মত মানুষ ফেভারিট হিসেবে ব্রাজিলের নামই বলছে। এই মুহুর্তে ফিফা র্যাংকিং এ ১ নম্বরে থাকা ব্রাজিল বাজির দরেও এগিয়ে আছে। ১৯৮২ ও ৮৬ এর টেলে সান্তানার পরে এই প্রথম পর পর দুই বিশ্বকাপে একই কোচ এর অধীনে খেলতে যাচ্ছে ব্রাজিল। ৬ বছর ব্রাজিল কোচের উত্তপ্ত চেয়ারে পার করে দেওয়া তিতে কিভাবে দলের স্কোয়াড গড়ে তুললেন, দলের সম্ভাব্য লাইন আপ, শক্তিমত্তা বা দুর্বলতাই বা কি সেটা একটু দেখে নেওয়া যাক।
সম্ভাব্য স্কোয়াডঃ
গোলকিপারঃ
সম্ভবত এই একটা পজিশনের সব খেলোয়াড় ইতোমধ্যেই ঠিক হয়ে গেছে। ব্রাজিল এর শেষ কিছু কল আপ লক্ষ্য করলেই বোঝা যায়, দলের সাথে অ্যালিসন বেকার, এডারসন আর ওয়েভারটনই যাচ্ছেন বিশ্বকাপে।
ডিফেন্ডারঃ
ফুলব্যাকঃ সেই ২০১৮ বিশ্বকাপ এর পর থেকেই বিশেষ করে রাইট ব্যাক পজিশন নিয়ে তিতের দুশ্চিন্তা রয়েই গেছে। আপনি ব্রাজিলের লাস্ট কিছু স্কোয়াড খেয়াল করে দেখবেন দুই রাইটব্যাকের একজন কিছুটা ডিফেন্সিভ মাইন্ডের, আরেকজন অ্যাটাকিং মাইন্ডের। লেফট ব্যাকের ক্ষেত্রেও একই ব্যাপার। বিশ্বকাপের স্কোয়াড বিবেচনা করার সময় সাম্প্রতিক ফর্ম বিবেচনায় রাইটব্যাকে ডিফেন্সিভ হিসেবে দানিলোই থাকবেন। কিন্তু অ্যাটাকিং দানি আলভেস বুড়িয়ে গেছেন। তার উত্তরসূরী হিসেবে এমারসন রয়্যালকে বিবেচনা করা হলেও তিনি প্রত্যাশা মেটাতে পারেন নি। আর কোনো ভালো বিকল্প না থাকায় তিতে শেষ ইন্টারন্যাশনাল ব্রেকে ঘানার বিরুদ্ধে ম্যাচে এডারসন মিলিতাও কে রাইটব্যাক হিসেবে খেলিয়েছেন, বিশ্বকাপেও তাই করবেন মনে হচ্ছে। পোর্তো থাকাকালীন এক সিজন রাইটব্যাক হিসেবে খেলার অভিজ্ঞতা এক্ষেত্রে কাজে দেবে। কাজেই দুইজন ডিফেন্সিভ মাইন্ডেড রাইটব্যাক নিয়েই ব্রাজিল কাতারে যাচ্ছে ধরে নেওয়া যায়।
লেফটব্যাক হিসেবে ৩ মাস আগেও অ্যাটলেটিকো মিনেইরোর গিলের্মো আরানা এগিয়ে ছিলেন। কিন্তু ইনজুরিতে পড়ে তার বিশ্বকাপ স্বপ্ন শেষ হওয়াতে এই মুহুর্তে তিতের হাতে বিকল্প আছেন অ্যালেক্স সান্দ্রো, অ্যালেক্স টেলেস আর রেনান লোদি। ভাবনার ব্যাপার হলো তিনজনের কেউই এখন ফর্মে নেই। লোদি তো রেলিগেশন জোনে থাকা নটিংহ্যাম ফরেস্ট এর একাদশেই জায়গা পাচ্ছেন না। এদিকে এই সিজনে মোনাকোর হয়ে দূর্দান্ত ফর্মে আছেন কাইয়ো হেনরিক। প্রিলিমিনারি ৫৫ জনের স্কোয়াডেও আছেন বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে। তবে সর্বশেষ ইন্টারন্যাশনাল ব্রেকেও যেহেতু তিতে হেনরিককে দলে ডাকেন নি, বিশ্বকাপেও তার ডাক পাওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণই বলা চলে। তাও লেফটব্যাকদের মধ্যে সাম্প্রতিক ফর্ম বিবেচনা করলে সারপ্রাইজ প্যাকেজ হিসেবে ডাক পড়তেও পারে। কাইয়ো হেনরিকও যেহেতু একটু অ্যাটাকিং মেন্টালিটির, তিনি ডাক পেলে কপাল খুব সম্ভবত টেলেস এরই পুড়বে। তবে আপাতত এমন কিছু ঘটবে না বলেই মনে হচ্ছে।
সেন্টারব্যাকঃ সেন্টারব্যাকে বর্ষীয়ান থিয়াগো সিলভা আর মারকুইনহোস এর একাদশে জায়গা পাকা ধরে নেওয়া যায়। মিলিতাও কে রাইটব্যাক হিসেবে বিবেচনা করায় বাকি দুইটা পজিশন এর জন্যে গ্লেইসন ব্রেমার, গ্যাব্রিয়েল ম্যাঘালাস আর রজার ইবেনেজ এর মধ্যে লড়াই চলবে। সিরি এ এর গত মৌসুমের সেরা ডিফেন্ডারের খেতাব পাওয়া ব্রেমার ইনজুরিমুক্ত হলে তার দলে থাকার সম্ভাবনা নিশ্চিত। গ্যাব্রিয়েল এবং ইবেনেজ দুইজনেই আছেন ভালো ফর্মে। তবে গ্যাব্রিয়েল কিছুটা এরর প্রোন আর ইবেনেজ এর লেফট ব্যাকে খেলার অভিজ্ঞতা আছে। সেক্ষেত্রে সর্বশেষ কল আপ অনুযায়ী ইবেনেজই খুব সম্ভবত যাচ্ছেন কাতারে।
মিডফিল্ডারঃ
ডিফেন্সিভ মিডে ক্যাসেমিরো আর তার ব্যাকআপ ফাবিনহো অটো চয়েস। যদিও ফাবিনহোর এই সিজনের পারফরম্যান্সে কিছুটা ভাটা পড়েছে, যা কোচের কপালে একটু ভাঁজ ফেলতে পারে। সেন্টার মিডে দূর্দান্ত ফর্মে থাকা ব্রুনো গুইমারেস আর কোচ তিতের অটোচয়েস ফ্রেড থাকবেন ধরেই নেওয়া যায়। একাদশেও তিতে ফ্রেড কেই সুযোগ দেওয়ার সম্ভাবনা বেশী। অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার হিসেবে কোচ পাকেতা কে সবসময়েই প্রেফারেন্স দিয়ে এসেছেন। তার বিকল্প হিসেবে এভারটন রিবেইরো থাকবেন হয়তো। ফ্ল্যামেঙ্গোর হয়ে তার সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সও তার পক্ষেই কথা বলছে। এই পজিশনে কোতিনহো আদর্শ হতে পারতেন। কিন্তু এই সিজনের শুরু থেকেই আছেন বাজে ফর্মে। তার উপর সর্বশেষ নিউক্যাসল বনাম অ্যাস্টন ভিলার ম্যাচে তিতে উপস্থিত ছিলেন। সেই ম্যাচে ৬১ তম মিনিটে বদলী হিসেবে নেমে জঘন্য পারফর্ম করেছেন। সাথে সাথেই দলে তার জায়গা হারিয়েছেন বলা যায়। এবারের বিশ্বকাপ স্কোয়াড যেহেতু ২৬ জনের, তাই তিতের হাতে এক্সট্রা কিছু স্লট আছে। সেক্ষেত্রে মিডের ডেপথ বাড়ানোর জন্যে একজন এক্সট্রা মিড নিতে পারেন। এক্ষেত্রে এমন একজনকেই প্রেফার করবেন যিনি সেন্টার মিড এবং বক্স টু বক্স দুইভাবেই খেলতে পারেন। সম্ভাব্য ডগলাস লুইজ, গারসন আর এডেনিলসন ছিলেন লিস্টে। শেষ পর্যন্ত লুইজের ভাগ্যেই মনে হয় শিকে ছিঁড়বে।
ফরোয়ার্ডঃ
বিশ্বকাপের আগে ব্রাজিলের প্রায় সব ফরোয়ার্ডই আছেন দূর্দান্ত ফর্মে। স্কোয়াড ২৬ জনের হওয়াতে এক্সট্রা অন্তত দুইজন ফরোয়ার্ড নেওয়ার অপশন এসেছে। রাইট উইং এ রাফিনহা আর অ্যান্টনি থাকছেন। লেফট উইং এ নেইমার আর ভিনিসিয়াস জুনিয়র। এর মধ্যে নেইমারকে তিতে লো ব্লক টিম গুলোর সাথে অ্যাটাকিং মিড হিসেবে খেলাতে পারেন। স্ট্রাইকার হিসেবেন গ্যাব্রিয়েল জেসুস আর রিশার্লিসন থাকছেন। তবে রিশার্লিসন এখনো ইনজুরি থেকে সেরে উঠেননি, আর জেসুস আর্সেনালে এর হয়ে সর্বশেষ ৮ ম্যাচে গোল পান নি। কাজেই ভালো ফর্মে থাকা রবার্তো ফিরমিনো কিংবা ফ্ল্যামেংগোর পেদ্রোর মধ্যে একজনকে দলে রাখার কথা বিবেচনা করতে হবে তিতেকে। তবে অলিখিত ৩ জন ব্রাজিলিয়ান খেলোয়াড় কোটা থাকায় থার্ড স্ট্রাইকার হিসেবে পেদ্রোই যাবেন হয়তো কাতারে। ম্যাথিয়াস কুনহা কিংবা গ্যাবিগোল ফর্মের কারণে বাদ পড়ছেন স্কোয়াড থেকে। তবে দুর্ভাগ্য বলতে হবে গ্যাব্রিয়েল মার্টিনেল্লির। আর্সেনালের হয়ে দূর্দান্ত ফর্মে থাকার পরেও হয়তো কাতার যাওয়া হবে না তার। কারণ একদিকে তার পজিশন লেফট উইং এ দুই তালিসমান ভিনি আর নেইমার আছেন। অন্যদিকে রদ্রিগোকে ধরা হচ্ছে এইবার ব্রাজিলের এক্স ফ্যাক্টর হিসেবে। ফরোয়ার্ডের সব পজিশনে খেলার দক্ষতা আর রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে সুপার সাব হিসেবে পারফরম্যান্স এগিয়ে রাখছে রদ্রিগোকে। কাজেই তিতে এক্সট্রা মিডের পরিবর্তে এক্সট্রা ফরোয়ার্ড নেওয়ার ডিসিশন না নিলে কিংবা তিন স্ট্রাইকারের একজনকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত না নিলে বিশ্বকাপ ঘরে বসেই দেখতে হবে মার্টিনেল্লিকে। এত ভালো ফর্মে থাকার পরেও শুধু স্কোয়াড কম্বিনেশনের কারণে বাদ পড়াটা দূর্ভাগ্যজনকই বলা চলে।
সবমিলিয়ে সম্ভাব্য স্কোয়াড নিচের মত দাঁড়ায়।
গোলকিপার- অ্যালিসন বেকার (লিভারপুল), এডারসন (ম্যান সিটি), ওয়েভারটন (পালমেইরাস)
ডিফেন্ডার- থিয়াগো সিলভা (চেলসি), মারকুইনহোস (পিএসজি), ব্রেমার (জুভেন্টাস), রজার ইবেনেজ (রোমা), এডার মিলিতাও (রিয়াল মাদ্রিদ), দানিলো (জুভেন্টাস), অ্যালেক্স টেলেস (সেভিয়া), অ্যালেক্স সান্দ্রো (জুভেন্টাস)
মিডফিল্ডার- ক্যাসেমিরো (ম্যান ইউনাইটেড), ফাবিনহো (লিভারপুল), ব্রুনো গুইমারেস (নিউক্যাসেল), ফ্রেড (ম্যান ইউনাইটেড), লুকাস পাকেতা (ওয়েস্টহ্যাম), এভারটন রিবেইরো (ফ্ল্যামেঙ্গো), ডগলাস লুইজ (অ্যাস্টন ভিলা)
ফরোয়ার্ড- নেইমার (পিএসজি), ভিনিসিয়াস জুনিয়র (রিয়াল মাদ্রিদ), অ্যান্টনি (ম্যান ইউনাইটেড), রাফিনহা (বার্সেলোনা), গ্যাব্রিয়েল জেসুস (আর্সেনাল), রিশার্লিসন (টটেনহাম), পেদ্রো (ফ্ল্যামেঙ্গো), রদ্রিগো (রিয়াল মাদ্রিদ)
শক্তিমত্তাঃ
এই ব্রাজিল টিমের শক্তিমত্তার জায়গা বলতে গেলে নিঃসন্দেহে অ্যাটাকিং অপশনের কথাই মাথায় আসবে। একঝাঁক খেলোয়াড় যাদের প্রায় প্রত্যেকেই ফর্মে আছেন। বছর দেড়েক আগেও রাইট উইঙ্গারের জন্য হাহাকার ছিলো। আর এখন রাফিনহা আর অ্যান্টনি দুজন আছেন। বার্সায় যাওয়ার পর যদিও নিজেকে ওভাবে মেলে ধরতে পারেন নি রাফিনহা, তবে ব্রাজিলের জার্সি গায়ে বরাবরই ভালো খেলেছেন। এই সিজনে তো নেইমার আছেন তার সেরা ফর্মে। ভিনি আর রদ্রিগোও তাদের গতবারের ফর্মটা টেনে এনেছেন। জেসুস কিংবা রিশার্লিসন ক্লাবের হয়ে ঠিক গোল বন্যা না বইয়ে দিলেও একেবারে খারাপ খেলছেন তা বলা যাবে না। এমনকি পেদ্রোও কোপা লিবার্তোদোরেসে ভালো ফর্মে ছিলেন। মিডফিল্ডে ব্রুনো যদি স্টার্ট করেন তাহলে ক্রিয়েটিভিটির অভাব হবে বলে মনে হয় না। আর কিপিং এ অ্যালিসন তো আছেনই ভরসা হয়, সাথে ব্যাকআপ থাকছেন এডারসন। সবচেয়ে বড় শক্তিটা হলো চার বছর আগের মত দল আর নেইমার ডিপেন্ডেন্ট নয় গোলের জন্যে। তার অনুপস্থিতিতেও ঠিকই আক্রমণ গড়ে উঠছে, গোলও হচ্ছে। কোচ হিসেবে তিতে নিজেও পরিণত হয়েছেন। গতবারের মত একই ট্যাকটিকস এ স্থির না থেকে বিপক্ষ দলের অবস্থা বুঝে ট্যাকটিকস সাজাচ্ছেন। আর টিম কেমিস্ট্রিটাও চমৎকার। সব মিলিয়ে পজিটিভ একটা ভাইবই পাওয়া যাচ্ছে দলের মধ্যে।
দুর্বলতাঃ
দলের মূল দুর্বলতা আসলে ইতোমধ্যেই বলা হয়েছে। দানি আলভেস, কাফু, রবার্তো কার্লোস, মার্সেলোদের বলার মত কোনো উত্তরসূরী উঠে আসে নি, ব্যাপারটা আসলেই ভাবনার মতন। তিতের বর্তমান ট্যাকটিকস অনুযায়ী দুই ফুলব্যাকের একজন অ্যাটাকিং, আরেকজন ডিফেন্সিভ মাইন্ডেড হয়ে থাকেন। রাইটব্যাকের দুইজনেই অফেন্সে তেমন ভালো না হওয়াতে লেফটব্যাকে টেলেসই খেলবেন হয়তো। কিন্তু স্কোয়াডের সব ফুলব্যাকই এই মুহুর্তে বিলো অ্যাভারেজ ফর্মে আছেন। কাজেই আক্রমণ গড়ায় নিচ থেকে যথেষ্ট পরিমাণ সাহায্য না পেলে তার প্রভাব দুই উইঙ্গারের ওপর পড়তে পারে। সেন্টারব্যাকে থিয়াগো সিলভার বয়স চলছে ৩৮, মারকুইনহোস গত সিজন থেকেই তার সেরা ফর্মে নেই। ব্রাজিলের ডিফেন্সে সেটপিসেও দুর্বলতা রয়ে গেছে। আর ভালো গতিসম্পন্ন ডিফেন্ডার কেবল মিলিতাও আছেন। কাজেই প্রতিপক্ষের কাউন্টার অ্যাটাকের সময় দ্রুতগতির ফরোয়ার্ডদের কিভাবে থামাবেন তা নিয়ে তিতেকে কিছুটা মাথা ঘামাতে হবে বৈকি। সব মিলিয়ে ডিফেন্সটা মূল দুর্বলতা। তাছাড়া সেন্টার ও অ্যাটাকিং মিডে আছে সৃজনশীলতার অভাব। ব্রুনো যদিও এদিক থেকে কিছুটা নিশ্চয়তা দিচ্ছেন, কিন্তু তার অনুপস্থিতিতে কে বল সাপ্লাইয়ের দায়িত্বটা নেবেন সেটাই বড় প্রশ্ন। ফ্রেড এর কাছ থেকে অতটা ক্রিয়েটিভিটি আশা করা যায় না। পাকেতার সাথে নেইমার এর গেমপ্লে ভালো জমে। কিন্তু প্রতিপক্ষের ডিফেন্স চিরে দেওয়ার মত ক্ষমতা পাকেতার মধ্যে দেখা যায় নি। সেই হিসেবে নেইমারকেই হয়তো নিচে নেমে বল যোগানোর দায়িত্ব পালন করতে হবে। আর আক্রমণে ডেডলি ফিনিশার এর অভাব তো অনেক দিন ধরেই। জেসুস আর্সেনালের হয়ে বিল্ড আপে ভালোই করছেন, কিন্তু এখনো তার ফিনিশিং এ দুর্বলতা রয়েই গেছে। বিশেষ করে বিগ ম্যাচ গুলোতে হাফ চান্স থেকে গোল না করতে পারাটা ভালোই ভোগাতে পারে দলকে।
কোনো দলই সব পজিশনে সেরা খেলোয়াড় নিয়ে টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করে না। সব মিলিয়ে ব্রাজিলের হাতে যেসব অপশন আছে, তার ব্যবহার ঠিকমতো করতে পারলে সেরা ফলাফলই পাওয়া সম্ভব। এখন পর্যন্ত র্যাংকিং এ শীর্ষে থেকে কোনো দলই বিশ্বকাপ জেতে নি। তিতে সেটা পারবেন কিনা সেটা সময়ই বলে দেবে। আপাতত ৭ নভেম্বর তিতের বিশ্বকাপ স্কোয়াড ঘোষণার অপেক্ষায়।
- 0 মন্তব্য