• ক্রিকেট

পুরাতন পোস্টমর্টেম..

পোস্টটি ৯০৫ বার পঠিত হয়েছে
'আউটফিল্ড’ একটি কমিউনিটি ব্লগ। এখানে প্রকাশিত সব লেখা-মন্তব্য-ছবি-ভিডিও প্যাভিলিয়ন পাঠকরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে নিজ উদ্যোগে করে থাকেন; তাই এসবের সম্পূর্ণ স্বত্ব এবং দায়দায়িত্ব লেখক ও মন্তব্য প্রকাশকারীর নিজের। কোনো ব্যবহারকারীর মতামত বা ছবি-ভিডিওর কপিরাইট লঙ্ঘনের জন্য প্যাভিলিয়ন কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না। ব্লগের নীতিমালা ভঙ্গ হলেই কেবল সেই অনুযায়ী কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিবেন।

অল্পের জন্য কুশল পেরেরা,বেন স্টোকস কিংবা এই সিজনের রিশভ পান্ট বা গত ম্যাচের মায়ার্স হতে পারেনি মিরাজ আরেকটু সুন্দর ভাষায় বললে লিখা হলো না রূপকথা বা ক্রিকেটের রাজকীয় ভার্সনের রাজা হতে পারলেন না আমাদের মিরাজ..

FB_IMG_1713031579405

 

হয়ত অনেকে আজকে মিরাজের দৃঢ়চেতা মনোভাব দেখে অবাক হয়েছেন কিন্তু মিরাজ তার দৃঢ়চেতা মনোভাব বিশ্বময়দানেও দেখিয়েছিলো ২০১৬ সালে অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার স্বপ্নবাজ নেপালের ২১১ রানকে তাড়া করতে নেমে যখন বাংলাদেশ ৯৮ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে অসহায় তখন বাংলাদেশের জয়ের জন্য সমীকরণ ১৩১ বলে ১১৪ আর তখনই অনূর্ধ্ব ১৫,১৭ এবং বিশ্বকাপের কাপ্তান উইকেট কিপার ব্যাটসম্যানকে নিয়ে ১১৭* এর অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে দলকে সেমিফাইনালে নিয়ে যান সেই ম্যাচে অপরাজিত ৫৫ করে এবং হাত ঘুরিয়ে ১ উইকেট নিয়ে ম্যান অব দ্যা ম্যাচ হোন সেই বিশ্বকাপের ম্যান অব দ্যা টুর্নামেন্ট.. 

 

উল্লেখ্য সে ম্যাচের পর আনন্দবাজার পত্রিকায় দেয়া সাক্ষাতকারে বলেছিলেন চাপের মুহূর্তে ভালো খেলি আসলে খেলতে পছন্দ করি আর এই কথাটার সাথে মিলে যায় বাংলাদেশ ক্রিকেটের বরপুত্র সাকিব আল হাসানের ২০১২ এশিয়া কাপে বলা কথাটি ''চাপের মুহূর্তে খেলতে ভালোবাসি''

 

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তার শুরু টেস্টে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দেশের মাটিতে সেবার ব্যাটিংয়ে ১ রানও না করা ব্যাটসম্যানটি বোলার হয়ে সিরিজে ১৯ উইকেট নিয়ে হোন সিরিজ সেরা..যার বোলিং দেখে অশ্বীনও প্রশংসা করতে কার্পণ্য করেননি.. তার বোলিং সত্ত্বা কখনোই আড়ালে ছিলো না তার প্রমাণ মেলে দ্রুততম সময়ে বাংলাদেশের হয়ে টেস্টে ১০০ উইকেট শিকার আর প্রমাণ মেলে বর্তমানে ওডিআই ফরম্যাটে ৪ নম্বর র‍্যাংকিং দেখে..!

 

দর্শকের সাথে সাথে বোর্ড কিংবা তার অকপটে স্বীকার করে নেয়া যে তিনি ব্যাটিং করতেই ভুলে গেছেন অথচ তিনি বয়সভিত্তিক খেলায় নিজেকে ব্যাটিং অলরাউন্ডার পরিচয় দিতেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করতেন অথচ তিনি জাতীয় দলে এখন নিয়মিত বোলার হিসেবে খেলে যাচ্ছেন আরেকটি উদাহরণ টানতে হয় দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত এশিয়াকাপে যখন বাংলাদেশের সকল ওপেনার ব্যর্থতায় ডুবুডুবু তখন ফাইনালে লিটন দাশকে নিয়ে ওপেনিংয়ে এনে দিয়েছিলেন টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের সেরা শুরুটুকু..

 

তাহলে ব্যাটসম্যান অলরাউন্ডারের ব্যাটিং সত্ত্বা বিলুপ্ত প্রায় তখন বিসিবির ভূমিকা কি ছিলো?

তাকে নার্সিং তো নয়ই বরং বোর্ড কর্তা পাপন বলেছিলেন তিনি জানেনই না মিরাজ ছয় মারতে পারে.. 

আসলে এই সিরিজের মিরাজের ব্যাটিং পারফরম্যান্স সবাইকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলো সে পারে,সে জানে এবার আমাকে সমর্থন দিন আমি হতাশ করবো না..ব্যাটিং মিরাজ আপনাকে ধন্যবাদ এবং আমরা আশাকরি আপনি এরকম পরিস্থিতি থেকে আর আমাদের হতাশায় নয় বরং জয়ের আনন্দে ভাসাবেন..

আর বোলিং মিরাজকে অভিনন্দন দ্রুততম সময়ের ১০০ উটকেট শিকারী এবং ওডিআইতে ৪ নম্বর র‍্যাংকিংয়ের জন্য.. 

আমরা চাই না আপনি সাকিব আল হাসান হোন আমরা চাই আপনি নতুন আরেকটি বেঞ্চমার্ক যেখান থেকে নতুনরা আইডল হিসেবে আপনাকে স্মরণ করবে..!

FB_IMG_1713031626039

নাজমুল হাসান শান্তঃ- নামের মতোই শান্ত,সাবলীল হয়ে গেছেন তার স্বভাবের কথা বলছি না বলছি তার ব্যাটিংকে..এখন অবধি শান্তর পারফরম্যান্স বিচার করতে গেলে স্বয়ং শান্তর ক্রিকেটার হওয়ার লজ্জাও চেপে ধরতে পারে..কিন্তু এখানে কি শুধুই শান্তর দোষ নাকি ম্যানেজমেন্ট বা বিসিবিরও দোষ রয়েছে...?

যেখানে একটি দেশের বোর্ড ইয়াংস্টারদের থেকে সেরাটা বের করে আনতে তাদের নিজেদের কমফোর্ট জোনে খেলিয়ে থাকেন সেখানে বিসিবি কি করলো?

তার অভিষেক নিউজিল্যান্ডের মাটিতে যেখানে অস্ট্রেলিয়া,ইংল্যান্ড কিংবা ভারতের মতো দলের হাপিত্যেশ দৃষ্টিকটু সেখানে শান্তর মতো ইয়াংস্টারকে বিরুদ্ধ কন্ডিশনে অভিষেক করিয়ে বিসিবি কি প্রমাণ করতে চেয়েছে তা অবশ্যই প্রশ্নের সুযোগ রাখে.

 

এই সিরিজের আগে শান্ত ভালো ফর্মেই ছিলো প্রেসিডেন্ট কাপে দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে ফাইনালেও নিয়ে যান তাহলে জাতীয় দলে এই ইনফর্ম ব্যাটসম্যানের এ কি এমন হলো যে এরকম ভরাডুবি..

কারণ একটাই যেখানে বিশ্বকাপে সাকিবের ৩ নম্বর পজিশনে বিশ্বকাপে সেরা স্কোরারদের একজন সেরকম পজিশনে যখন ম্যানেজমেন্ট অপরিপক্ব কিংবা নিজেকে এখন অবধি প্রমাণ করতে ব্যর্থ সেখানে কিভাবে শান্তকে বিবেচনায় আনা হয় তার উত্তর বিসিবিকে দিতে হবে..সাকিবের পজিশনে খেলা যেকোনো ইয়াংস্টারের জন্য অবশ্যই এভারেস্ট সমচাপ বৈকি কোনো সুযোগ নাই..সেখানে সমর্থকদের তৈরি অনবদ্য ট্রলের কাঁটাছেড়া স্পষ্টত বিদ্যমান..!

 

এই ব্যর্থতার দায়ভার সে শান্তর নয় যে শান্ত বয়সভিত্তিক দলে সর্বোচ্চ রানের মালিক বা ঘরোয়া ক্রিকেটের নিয়মিত পারফর্মার.. এই ব্যর্থতা ম্যানেজমেন্টের অদূরদর্শীতা, সমর্থকদের অদৃশ্য চাপ, সাকিবের পারফর্মেন্সের চাপিয়ে দেয়া বোঝা..!

এরথেকে বের হয়ে আসার জন্য শুধু শান্তকে নয় বরং বোর্ড ম্যানেজমেন্টকে,বিসিবিকে যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত নিতে হবে অন্যথায় ঝরে যেতে পারে প্রস্ফুটিত না হওয়া সম্ভাবনাময়ী একটি ফুল..!

 

সাকিব আল হাসানঃ- একটা কথা মাথায় আসে না বিসিবির সাথে সাকিবের সমস্যা কোথায় মাঝেমধ্যে তো এমন মনে হয় যে বিসিবির সৎ ছেলে..এই সাকিবকে কেন এতো 'না'.. 

এই সাকিব একদিনে হয়ে উঠেনি এই সাকিব একটি জীবন্ত উপন্যাস যেখানে শুধু জয়ের গল্প থাকার কথা কিন্তু অনেক যদি কিন্তুর আড়ালে সাফল্যের চেয়ে ব্যর্থতা আর অবাধ্যতার গল্প..

বিশ্বকাপে অতিমানবীয় পারফর্মেন্সের পরেও যখন ৩ নম্বর পজিশন খোয়াতে হয় এক নবাগতর কাছে তখন তার গল্প সে কার কাছে বলবে?

যেখানে ক্রিকেটের একটি সাধারণ বেসিক দলের সেরা ব্যাটসম্যানরা বেশি বল খেলবে তখন বিসিবি আর ম্যানেজমেন্ট এতটুকু মূর্খতা নিয়ে কি প্রমাণ করতে চায়?

সাকিবরা শুধু জাতীয় সম্পদ নয় বরং ক্রিকেটের সম্পদ তা নষ্ট করার অধিকার বিসিবি রাখে না...

যেখানে ''হোয়াট ইজ সাকিব?'' প্রশ্ন আসে তখন আমরা হাসি,লজ্জা হয় আর প্রশ্ন জাগে এদের কথা বলার অধিকার কে দেয়?

সাকিব হচ্ছে বনের বাঘ তাকে খাঁচায় আটকে রাখার কাজ করলে হীতে বিপরীত হবে এছাড়া আর কোনো ভবিষ্যত নেই..

বিসিবিকে শীঘ্রই সাকিবের চাওয়া পাওয়া পূরণ করুক দেখে নিবেন সাকিব নয় বাংলাদেশ ক্রিকেট এগিয়ে যাবে..!

 

মিঠুনঃ- আসলে দলে তার ভূমিকার মতোই তাকে নিয়ে আমার কোনো শব্দ নাই..

শুধু বিসিবির কাছে প্রশ্ন কেন? 

 

সৌম্যঃ- বিসিবি আর ম্যানেজমেন্টকে কে অধিকার দিয়েছে তার মতো সম্ভাবনাময়ী একজন খেলোয়াড়ের টপ অর্ডার,মিডল অর্ডার করানোর?

কেন ৭ নম্বরে স্থায়ীভাবে কাউকে সমাধান করা হচ্ছে না এভাবে সৌম্য বা বাংলাদেশ ক্রিকেট নষ্ট করার অধিকার ম্যানেজমেন্ট কিভাবে পায়?

''৭ নম্বরে ব্যাটিং করা আর হোন্ডার গিয়ার চেঞ্জ করা একই কথা'' - সৌম্য 

কতটা অসহায় হয়ে একথা বলেছেন তার প্রমাণ হারিয়ে যাওয়া নাসিরের ক্যারিয়ার বলে..

কারণ তিনি একবার এক সাংবাদিককে বলেছিলেন ৭ নম্বরে ব্যাটিং করা কতটা কষ্টের তা যদি জানতেন..

সর্বোপরি বলতে চাই দয়াকরে সৌম্যের ক্যারিয়ার ধ্বংস করবেননা তাকে টপ অর্ডারে সুযোগ দিন নতুবা বাদ দিন..!

 

মোস্তাফিজঃ- কেন তাকে টেস্টে খেলাতেই হবে?

এভাবে ভাঙাচোরা জোড়াতালি আর কত?

তার ফিটনেস কিংবা টেস্ট খেলতে অনীহাই কি তা দৃশ্যমান করে না?

দয়া করে তার লং টাইম সার্ভিস থেকে বাংলাদেশ ক্রিকেটকে বঞ্চিত করবেন না..

যেখানে বিদেশের মাটিতে পেস বোলিংয়ের সামনে হাঁটু কাঁপানো স্ট্যান্স কিংবা উপমহাদেশের বোলার সামির হাস্যরস সেখানে নিজেদের মাটিতে ১ পেসার ৩ স্পিনার নিয়ে হেরে যাওয়াই কি ব্যর্থতার প্রতিক নয়?

রাহির লাইন লেংথকে ব্যবহার করার জন্য তার স্পিড নিয়ে বোর্ডের এখনো কোনো কাজ দৃশ্যমান নয় তাছাড়া এই টেস্টেও ৭ উইকেট পাওয়ার পরও সে পরের টেস্ট খেলা নিয়ে নিশ্চিত নয় তাহলে কিভাবে হবে টেস্ট আঙিনায় উত্থান?

 

মমিনুলঃ- ব্যাটসম্যান মমিনুল দেশের মাটিতে দলের চুম্বক অংশ কিন্তু অধিনায়ক মমিনুলকে হয়ত এতো তাড়াতাড়ি বিচার করা ঠিক হবে না তবে ''একটি দিন কেমন যাবে তা সকালই দেখলেই বুঝা যায়'' এটা সবসময় সত্যি না হলেও মমিনুল যে সেই পথেই ধরেছেন তা বলার অপেক্ষা রাখে না..!

অধিনায়কত্ব নিয়ে বিসিবির ভাবা উচিত এবং সিনিয়র কাউকে এ বিষয়ে নিযুক্ত করা সময়ের দাবি এবং অবশ্যই সেটা লম্বা সময়ের জন্য..!

 

টেস্ট ক্রিকেট আর বাংলাদেশ যেন হতাশার চূড়ান্ত উদাহরণ..! 

বিরাট কোহলি বলেছিলেন সে সন্দিহান বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা হয়ত টেস্ট ক্রিকেটের মর্যাদা বুঝে না..

আবেগি বাংলাদেশ তখন রাগ করলেও এটাই ধ্রুব সত্য..! 

আর টেস্ট ক্রিকেটের বাংলাদেশের কংকালতো আফগানিস্তানের সাথেই বের হয়ে আসলো..

এর দোষ শুধুমাত্র ক্রিকেটারদর নয়..

এর দোষ বোর্ড,ম্যানেজমেন্ট,সাংবাদিকগণ,সমর্থকগণ..!

টেস্ট ক্রিকেট হচ্ছে ক্রিকেটের আসল ফরম্যাট যেখানে শুধু পারফরম্যান্স করে টেকা যায় না দরকার হয় আবেগের,নিজস্ব সত্ত্বার যেখানে হাড় ভেঙে যাবে,সাদা জার্সি রক্তে লাল হয়ে যাবে, মলিন চেহারা ডুবে যাবে ঘামের সাগরে ইস্পাত কঠিন মনোযোগ নিয়ে দাঁতে দাঁত চেপে ধরে বুক চিতিয়ে লড়াই করার মত অব্যর্থ জীবনীশক্তি.. 

কিন্তু আমাদের ক্রিকেটার কোনোরকম খেলে শেষ করতে পারলেই হয় এরকম চিন্তাভাবনা নিয়ে আর যাই হোক টেস্ট ক্রিকেটে ভালো করা যায় না..

 

টেস্ট হচ্ছে নারিকেল গাছের মতো..১০ বছর আগে কোনো ইনভেস্ট করলে সেটা ১০ বছর পরে ফল দিতেও পারে না দিতে পারে তবে সুযোগ নিতেই হবে এইক্ষেত্রে বিসিবির ইনভেস্ট কোথায় বা ক্ষেত্র কোথায়?

 

বাংলাদেশ বোধহয় একমাত্র দেশ যেখানে বিপিএলের পারফর্মেন্স দেখে টেস্টে নেওয়া হয় অথচ ভারতে রঞ্জি,ঘরোয়া ক্রিকেটের পারফরম্যান্স ক্রিকেটারদের রক্তচোষা পরীক্ষার মধ্য দিয়ে টেস্ট দলে জায়গা করে নিতে হয় আর লেখা হয় গ্যাবা দুর্গ জয়ের গল্প..!

 

টেস্ট আঙিনায় দুই দশক পরেও চোখে পরার মতো ঘরোয়া ক্রিকেটে কোনো উন্নতি নেই..

নেই পেস বোলিংয়ে ভালো করার প্রয়াস কিংবা পেস বোলের বিরুদ্ধে ভালো করার সদিচ্ছা..!

 

এই হারকে নিয়ে করা উচিত ময়নাতদন্ত, হোক ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলানো.. 

ভাবনা হোক নির্ঘুম রাত ব্যাপী, যন্ত্রণায় নিজেদের খুন করে ফেলুক,সমস্যার গভীরে যাওয়ার সময় হয়েছে সময় হয়েছে পরিবর্তনের.. 

বিসিবিকে ভাবতে হবে ভাবতে বাধ্য করতে হবে অন্যথায় হতাশা আর প্রতিবার ভুল থেকে শিক্ষা নেওয়ার বুলিকে ব্ল্যাংকপয়েন্ট থেকে গুলি করে ঝাঁঝরা করে ফেলুক..!

 

সর্বোপরি ওয়েস্ট ইন্ডিজকে অভিনন্দন, বাংলাদেশকে ধন্যবাদ টেস্ট ক্রিকেটের ঐতিহ্যকে বাঁচিয়ে রাখতে সহায়তা করার জন্য.. 

ব্রাথওয়েট স্যালুট..

 

সকলকে ধন্যবাদ..!