• অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ ২০১৮
  • " />

     

    ভারতের কাছে হেরে অশ্রু ঝরল ছোটদের

    ভারতের কাছে হেরে অশ্রু ঝরল ছোটদের    

    তীরে গিয়ে তরী ডোবা, এত কাছে তবু এত দূর- বাংলাদেশ-ভারত ক্রিকেট ম্যাচ এখন যেন এসব মোটামুটি ‘টেম্পলেটই’ হয়ে গেছে। বড়রা সেই হার অনেক বার সয়েছেন, এখন অন্তত চোখের জলে তাদের আর ভাসতে হয় না। কিন্তু শামীমদের জন্য এই দুঃখ তো নতুন, ভারতের কাছে দুই রানে হেরে যাওয়ার পর তাই চোখের পানি আটকাতে প্রাণান্ত করতে হলো বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব ১৯ দলের ব্যাটসম্যান শামীম হোসেনকে।

    অথচ জয়টা বাংলাদেশের জন্য খুবই সম্ভব ছিল। ১৫ ওভারে দরকার ৩৪ রান, হাতে আছে ৫ উইকেট; বাংলাদেশের জন্য কাজটা খুবই সম্ভব। মিরপুরে উন্মাতাল গ্র্যান্ড স্টান্ড, দর্শকদের উল্লাস- সবকিছুই ছিল বাংলাদেশের পক্ষে। কিন্তু এশিয়া কাপের সেমিফাইনালে সেখান থেকেই হারতে হলো ২ রানে। এক মুহূর্তের পাগলামিতে রান আউটে ম্যাচটা শেষ হয়ে গেল।

    সেটার জন্য শামীম নিজের সায়ই দেখছেন। এই টুর্নামেন্ট দারুণ কেটেছে তাঁর, পাকিস্তানের সঙ্গে জয়ে তাঁর ব্যাট ছিল চওড়া। আজও দলকে জিতিয়ে আসবেন বলেই মনে হচ্ছিল। কিন্তু ৫৯ রান করে আউট হয়ে গেছেন, ড্রেসিংরুমে বসে দেখেছেন দলের হার। সেটা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে গলা ধরে এলো তাঁর, ‘এমন হারের কষ্টটা তো বলে বুঝানো যাবে না। আমি আমার সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করেছিলাম, ম্যাচটা শেষ করে আসার...’।

    শামীম বললেন, ম্যাচটা শেষ করে আসতেই চেয়েছিলেন, ‘আমার লক্ষ্য ছিল আমি ম্যাচটা শেষ করে আসব। আমি যথেষ্ট চেষ্টা করেছি, আমার সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করেছি। আমাদের ব্যাটসম্যানরা মোটামুটি ভালোই করেছে, কিন্তু ম্যাচ ফিনিশ করতে পারে নি। আমাদের কিছু কিছু জায়গায় ঘাটতি ছিল।’

    বিসিবির গেম ডেভেলপমেন্ট কমিটির প্রধান খালেদ মাহমুদ অবশ্য ছোটদের মানসিক বাধার কিছু দেখছেন না। মনে করিয়ে দিয়েছেন, ছোটরা বড় ম্যাচ আগে কখনো খেলেইনি, সুতরাং প্রতিপক্ষ ভারত বলে তাদের আলাদা উদ্বেগের কিছু ছিল না। শামীম অবশ্য তাকিয়ে আছেন সামনের দিকে, শিখতে চাইছেন ভুল থেকে, ‘এবারের অনূর্ধ্ব-১৯ দলটি নতুন। সামনে আমাদের যেসব টুর্নামেন্ট গুলো হবে, আমরা চেষ্টা করব এই ছোট ছোট ভুল গুলো যেন পুনরায় না হয়। ’

    পরাজয়ের শ্মশানে বসেই দেখছেন জয়ের প্রতিচ্ছবি, ‘অনেক কিছুই শিক্ষা নেয়ার আছে, আসলে হাঁটতে হাঁটতে মানুষ জয়ের পথে যায়, এটাই।’