প্রথম হারের স্বাদ পেল সাইফরা
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ ১৭৫ (৪৯.২ ওভারে) ( আফিফ ৬৩, ব্যামবার ৩/১৯)
ইংল্যান্ড ১৭৭/৩ (২৯.৩ ওভারে) ( ব্রুক ১০২*, অনিক ১/১৯)
ফলাফল- ইংল্যান্ড ৭ উইকেটে জয়ী
প্রথম দুই ম্যাচ জিতে উড়ছিল বাংলাদেশের যুবারা। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে জিতলেই নিশ্চিত হতো গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে পরের রাউন্ডে ওঠা। ব্যাটিং বিপর্যয়ের পর হ্যারি ব্রুকের সেঞ্চুরি, এই দুইয়ের সমন্বয়ে ইংল্যান্ডের অনূর্ধ্ব-১৯ দলের কাছে ৭ উইকেটে হেরে পরের রাউন্ডে ওঠাই অনিশ্চিত হয়ে পড়ল সাইফ হাসানদের।
লক্ষ্যটা খুব বেশি ছিল না ইংলিশদের সামনে। ১৭৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে অবশ্য সুবিধা করতে পারেননি ওপেনাররা। ১৯ রানের মাঝেই দুই ওপেনার ফিরলে ও ৪৯ রানে তৃতীয় উইকেট হারালে ভালোই চাপে পড়ে ইংল্যান্ড।
সেই চাপটা কাজে লাগাতে পারেনি বাংলাদেশ। এই সুযোগে ইংলিশ অধিনায়ক ব্রুক ম্যাচ বের করে আনেন বাংলাদেশের নাগাল থেকে। সাইফ, হাসান, অনিকদের কোনো পাত্তাই দেননি। ৮৪ বলে সেঞ্চুরি করে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়েন। তাঁকে দারুণ সঙ্গ দিয়েছেন ইউয়ান উডস, দুজনের ১২৮ রানের জুটির বাংলাদেশকে জয়ের কাছাকাছিও যেতে দেয়নি।
ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা দুঃস্বপ্নের মতো হয়েছিল বাংলাদেশের। ৮ রানেই ফিরেছেন প্রথম তিন ব্যাটসম্যান। ২৭ রানের মাথায় যখন আগের ম্যাচের নায়ক তৌহিদ হৃদয় ফিরলেন, অল্প রানেই গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কাটা চোখ রাঙাচ্ছিল ভালোভাবেই।
দলকে বিপদ থেকে উদ্ধার করেন আফিফ হোসেন। আমিনুল ইসলামকে নিয়ে তাঁর গড়া ৯৪ রানের জুটি বাংলাদেশকে লড়াই করার কিছু পুঁজি এনে দেয়। আমিনুল ৩১ করে ফিরলেও আফিফ তুলে নেন ফিফটি। ইনিংসটা আরও বড় করতে পারতেন, তবে ইউয়ান উডসের নিচু হয়ে আসা বলটি ঠেকাতে পারেননি।
আফিফের ফেরার পর ১৫০ রানের মাঝেই গুটিয়ে যাওয়ার ভয় ছিল। হাসান মাহমুদের ২৩ রানের কল্যাণে শেষ পর্যন্ত ১৭৫ রান তোলে বাংলাদেশ। পরের রাউন্ডে ওঠার জন্য পরশুর ইংল্যান্ড-কানাডা ম্যাচের দিকেই চোখ থাকবে সাইফদের।