আবুধাবিতে পাকিস্তানের প্রয়োজন ৯ উইকেট, অস্ট্রেলিয়ার মিরাকল
আবুধাবি টেস্ট
টস- পাকিস্তান (ব্যাটিং)
তৃতীয় দিনশেষে
পাকিস্তান ১ম ইনিংস ২৮২ (ফাখার ৯৪, আজহার ৯৪, লায়ন ৪/৭৮, ল্যাবুশেন ৩/৪৫) ও ২য় ইনিংস ৪০০/৯ ডিক্লে. (বাবর ৯৯, সরফরাজ ৮১, ফাখার ৬৬, লায়ন ৪/১৩৫, ল্যাবুশেন ২/৭৪)
অস্ট্রেলিয়া ১ম ইনিংস ১৪৫ (ফিঞ্চ ৩৯, স্টার্ক ৩৪, আব্বাস ৫/৩৩, আসিফ ৩/২৩) ও ২য় ইনিংস* (লক্ষ্য ৫৩৮) ৪৭/১ (ফিঞ্চ ২৪, হামজা ১/১৯)
অস্ট্রেলিয়ার জয়ের জন্য ৯ উইকেটে ৪৯১ রান প্রয়োজন
দুবাইয়ে মোটামুটি বড় সংগ্রহ দিয়েই অস্ট্রেলিয়াকে পিষ্ট করতে চেয়েছিল পাকিস্তান, তবে সে সময়টা তাদের দেননি উসমান খাওয়াজ ও টিম পেইনরা। আবুধাবিতে আবারও চতুর্থ ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার সামনে রানের পাহাড়, এবার বাকি আছে এখনও দুই দিন। সিরিজ জয়ের বেশ কাছেই চলে গেছে পাকিস্তান, অন্তত তাদের ব্যাটসম্যানরা সে কাজ করে রেখেছেন অনেকখানিই।
পাকিস্তান ব্যাটসম্যানরা রান পেয়েছেন, তবে তাদের আউট জোগান দিয়েছে অনেক আলোচনার। শুরুটা হয়েছিল আজহার আলির অদ্ভুতুড়ে রান-আউট দিয়ে। পিটার সিডলের বলে গালিতে খেলে বাউন্ডারি ভেবে দাঁড়িয়ে গিয়েছিলেন আজহার, ক্রিজের মাঝপথে। তার সঙ্গে গিয়ে আলোচনায় এরপর যোগ দিয়েছেন আসাদ শফিক, ওপাশে বাউন্ডারির আগেই আটকে যাওয়া বল থ্রো করে পেইনের কাছে পাঠিয়েছেন মিচেল স্টার্ক। পেইন যখন স্টাম্প ভাঙছেন, তখনও আজহার বুঝতে পারেননি, কী হতে চলেছে!
দিনের নবম ওভারে অস্ট্রেলিয়া তখন পেয়ে গেছে দ্বিতীয় উইকেট। তার আগেই লায়নের বলে স্টাম্পড হয়েছেন হারিস সোহেল। আজহারের অদ্ভুত রান-আউটের চাপ সামলে নিয়ে বাবর আজমকে বেশ কিছুক্ষণ সঙ্গ দিয়েছেন আসাদ শফিক, ৪৪ রান করে মারনার ল্যাবুশেনের বলে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ক্যাচ দেওয়ার আগে।
বাবরের সঙ্গে এরপর যোগ দিয়েছেন সরফরাজ আহমেদ। ৬ষ্ঠ উইকেটে দুজন মিলে তুলেছেন ১৩৩ রান। ওয়ানডেতে দারুণ বাবর টেস্টেও নিজেকে মেলে ধরেছেন, খেলেছেন ওয়ানডের মাঝের ওভারগুলোর মতো করেই। ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি অবশ্য পাওয়া হয়নি তার, ৯৯ রানে মিচেল মার্শের বলে স্টাম্পের সামনে ফাঁদে পড়েছেন তিনি।
সরফরাজ-বাবরের জুটি রানের গতি উর্ধ্বমুখী রেখেছিল পাকিস্তানের। বিলাল আসিফ এসেও ছিলেন আক্রমণাত্মক। একবার রিভিউ থেকে বেঁচে তিনিও আউট হয়েছেন অদ্ভুতভাবে। লায়নের বলে আউটসাইড-এজড হয়েছিলেন, বল উইকেটের পেছনে পেইনের প্যাডে লেগে এসে পড়েছে উইকেটের সামনে। সামনের দিকে ডাইভ দিয়ে সেটা ধরেছেন শর্ট লেগে থাকা ট্রাভিস হেড।
ইয়াসির শাহ সঙ্গ দিতে পারেননি সরফরাজকে সেভাবে, লায়নের চতুর্থ শিকার বনেছেন তিনি। একাই লিডটাকে আরেকটু বাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করতে চেয়েছিলেন সরফরাজ, ল্যাবুশেনকে স্লগ করতে গিয়ে হয়েছেন এলবিডব্লিউ। আবারও সেঞ্চুরি মিস করেছেন তিনি, সরফরাজের আউটের পর ইনিংস ঘোষণা করেছে পাকিস্তান, অস্ট্রেলিয়াকে ৫৩৮ রানের লক্ষ্য দিয়ে।
দিনের বাকি ছিল ১২ ওভার, অস্ট্রেলিয়া এর আগে পুরোটা সময় জুড়েই ছিল ফিল্ডিংয়ে। ওপেনিংয়ে উসমান খাওয়াজার বদলে এসেছিলেন শন মার্শ, তবে মীর হামজার প্রথম টেস্ট উইকেটে পরিণত হয়েছেন তিনি, অফস্টাম্পে বোল্ড হয়ে।
মোহাম্মদ আব্বাসের বিপক্ষে ক্রিজের বাইরে থেকে খেলার পরিকল্পনা ছিল অস্ট্রেলিয়ানদের, এলবিডব্লিউ থেকে বাঁচতে। আপাতত সেটা কাজে দিয়েছে অ্যারন ফিঞ্চ ও ট্রাভিস হেডের। তবে এ টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার প্রয়োজন হবে আরও দারুণ কিছুর। এ টেস্ট বাঁচাতে অস্ট্রেলিয়ার এখন মোটামুটি মিরাকলই প্রয়োজন!