• ভারত-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ
  • " />

     

    রোহিত ১৬২, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১৫৩

    রোহিত ১৬২, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১৫৩    

    চতুর্থ ওয়ানডে, মুম্বাই
    ভারত ৩৭৭/৫, ৫০ ওভার (রোহিত ১৬২, রাইডু ১০০, রোচ ২/৭৪)
    ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১৫৩ অল-আউট, ৩৬.২ ওভার (হোল্ডার ৫৪*, খলিল ৩/১৩, কুলদিপ ৩/৪২) 
    ভারত ২২৪ রানে জয়ী 


    আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফিরলো মুম্বাইয়ের ঐতিহাসিক ব্র্যাবোর্ন স্টেডিয়ামে। আর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ভারতের আধিপত্য পেলো পুরোনো চেহারা। পুনেতে হারের পর উইন্ডিজদের রেকর্ড ২২৪ রানে হারিয়েছে ভারত। রোহিত শর্মার ৭ম ‘ড্যাডি সেঞ্চুরি’ ও আম্বাতি রাইডুর তৃতীয় সেঞ্চুরিতে ৩৭৭ রান করার পর খলীল-কুলদীপের তোপে ভারত ওয়েস্ট ইন্ডিজকে আটকে দিয়েছে ১৫৩ রানেই। রানের হিসেবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এটি ভারতের সবচেয়ে বড় জয়, সব মিলিয়ে তৃতীয়। 

    রোহিত শর্মার আজ তেমন একটা দিন, যেদিন ১৬২ রানের ইনিংসের পরও আক্ষেপ করা যায় না হওয়া ডাবল সেঞ্চুরির জন্য। ৬০ বলে ফিফটি করা রোহিত সেঞ্চুরি ছুঁয়েছেন ৯৮ বলে। সেঞ্চুরির পর তার স্ট্রাইক রেট বেড়ে হয় ১৭০-এর ওপরে, শেষ ১০ ওভারে সেটা দাঁড়ায় ২০০-তে গিয়ে। বাউন্ডারির স্রোত, সঙ্গে ওয়েস্ট ইন্ডিজ বোলারদের হাপিত্যেশ মিলিয়ে রোহিতের ডাবল সেঞ্চুরিই যেন উঁকি দিচ্ছিল। স্কয়ার অব দ্য উইকেটে রোহিত ছিলেন অসাধারণ, ক্রিজের বাইরের দিকে বোলিং করেও সুবিধা করতে পারেননি ক্যারিবীয় বোলাররা। ১৩৩ বলে ১৫০ ছুঁয়েছেন রোহিত, ক্যারিয়ারে ৭ম বারের মতো। রেকর্ড তার আগেই হয়ে গেছে ‘ড্যাডি সেঞ্চুরি’তে, সেটাকেই বাড়িয়ে নিলেন আরেকধাপ। অ্যাশলি নার্সের বাইরের বলে স্ল্যাশ করতে গিয়ে রোহিত শেষ পর্যন্ত এজড হয়েছেন, ৪৪তম ওভারে গিয়ে। 

    এর আগে বিরাট কোহলিকে অবশেষে সেঞ্চুরিবঞ্চিত করতে পেরেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, কেমার রোচকে থার্ডম্যানে খেলতে গিয়ে ভারত অধিনায়ক ক্যাচ দিয়েছেন ১৬ রানে। তবে ‘বড় মাছ’ শিকারের পর যদি নতুন আশায় বুক বাঁধে জ্যাসন হোল্ডারের দল, তাদের ভুল ভাঙিয়েছে রোহিতের সঙ্গে তৃতীয় উইকেটে রাইডুর ২১১ রানের জুটি। আগের ম্যাচে ভারতের মিডল অর্ডার প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছিল, রাইডুর ইনিংস যেন সেটারই জবাব দিল। ক্রিজের ব্যবহার দারুণভাবে করেছেন এই ডানহাতি, রোহিত আউট হওয়ার পরও চালিয়ে গেছেন আক্রমণাত্মক ব্যাটিং। ৮০ বলে সেঞ্চুরি পূরণ করার পর অবশ্য রান-আউট হয়েছেন ফ্যাবিয়েন অ্যালেনের দারুণ রান-আউটে। 

    শিখর ধাওয়ান শুরুতে ফিরেছিলেন ৩৮ রান করে, শেষদিকে এমএস ধোনির ১৫ বলে ২৩ ও কেদার যাদবের ৭ বলে ১৫ রানের ক্যামিওতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে নিজেদের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোরে পৌঁছায় ভারত। 

    রানতাড়ায় এরপর ওয়েস্ট ইন্ডিজ খেই হারিয়েছে শুধু। একা দাঁড়িয়ে ছিলেন শুধু অধিনায়ক হোল্ডার, শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ৭০ বলে ৫৪ রানে। হোল্ডারের পর উইন্ডিজের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোর দশে নামা কিমো পলের ১৯। 

    চন্দরপল হেমরাজকে দিয়ে শুরু হয়েছিল উইন্ডিজদের যাওয়া-আসা, দলীয় ২০ রানে পড়েছিল প্রথম উইকেট। সেই রানেই আরও দুই উইকেট হারিয়েছে তারা, দুইটি আবার রান-আউট। শেই হোপকে সরাসরি থ্রোতে রান-আউট করেছেন কুলদিপ, কাইরন পাওয়েলকে করেছেন কোহলি। 

    মারলন স্যামুয়েলস বা শিমরন হেটমায়ার, দুজনও করতে পারেননি তেমন কিছু। ওয়েস্ট ইন্ডিজের মিডল অর্ডার ধসে দিতে ভূমিকা রেখেছেন খলিল আহমেদ, আর শেষে গিয়ে তাদের লেজ ছেঁটে দিয়েছেন কুলদিপ যাদব ও রবীন্দ্র জাদেজা মিলে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ শেষ পর্যন্ত করেছে রোহিত শর্মার চেয়েও ৯ রান কম!