• চ্যাম্পিয়নস লিগ
  • " />

     

    বুয়েনস আইরেসের কুরুক্ষেত্রে...

    বুয়েনস আইরেসের কুরুক্ষেত্রে...    

    ১.
    কোপা লিবার্তোদোরেস প্রথম লেগ ফাইনালের দিনটা অন্যরকম হওয়ার কথা ছিল মার্সেলো গ্যালার্দোর। ৮ মাইল দূরের স্টেডিয়ামে তার দল পৌঁছে গেছে তাকে ছাড়াই। সেমিফাইনালে রেফারির সঙ্গে বাজে আচরণ করে ডাগ আউট থেকে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন গ্যালার্দো। তাই বোকার সঙ্গে প্রথম লেগের ফাইনালেও তিনি ডাগ আউটে থাকতে পারবেন না। কোচ ডাগ আউটে নিষিদ্ধ হলেও অবশ্য দলের সঙ্গে থাকতে পারেন, সেক্ষেত্রে ম্যাচ চলার সময় থাকতে হয় দর্শক সারিতে। কিন্তু গ্যালার্দো দলের সঙ্গে যাত্রাটাও করতে পারেননি। দুপুর গড়াতেই তাই রিভারপ্লেটের মাঠ এল মনুমেন্টাল স্টেডিয়ামে আসলেন, ম্যানেজারের রুমের জানালা দিয়ে উঁকি মারলেন। বাইরে সাদা জার্সির জনসমুদ্র। অথচ বুয়েনস আইরেসের এ পাড়ায় আজ কোনো খেলা নেই।

    কোচের মতো রিভার সমর্থকেরাও ঘরে বসে থাকতে পারেননি। দুই লেগের ফাইনালে নিষিদ্ধ করা হয়েছে অ্যাওয়ে সমর্থকদের প্রবেশ। তাই লা বোম্বোনেরায় যেতে পারেননি রিভার সমর্থকেরা। আর কোচ যখন ডাগ আউটেই নিষিদ্ধ, তখন তার আর একটাই পরিচয় থাকে, একজন রিভার প্লেট সমর্থক! এল মনুমেন্টালের জানালা দিয়ে তাই সমর্থকদের সঙ্গে ম্যাচের আগে একসুরে গান গাইলেন গ্যালার্দো!

    ২.   
    লা বোম্বোনেরার প্রথম লেগ হওয়ার কথা ছিল অবশ্য আরও একদিন আগে। দুই দলের রেষারেষির লম্বা ইতিহাস, সাম্প্রতিক ঘটনা, তারওপর ফাইনাল- সবমিলিয়ে ম্যাচের আগের কয়েকদিন গুমোট হয়ে ছিল বুয়েনস আইরেস বাতাস। সংশয়ের মেঘ সরে গিয়ে সূর্য ওঠেনি ম্যাচের দিন, দুর্যোগের কবলে পড়ে পিছিয়ে গেছে খেলা। হয়ত প্রকৃতিও ঘটনার পরম্পরায় অপ্রস্তুত হয়ে একদিন পিছিয়ে দিয়ে গেল খেলা। সেদিন রেফারির ম্যাচ বাতিলের সিদ্ধান্ত আসার অনেক আগেই, মাঠে ঢুকে গিয়েছিল বোকা সমর্থকদের বিরাট একদল। গ্যালারিতে জমা হাঁটু সমান পানিতে গান-বাজনা করে রিভারকে আমন্ত্রণ জানিয়ে গেছে তারা! পরদিন সূর্য উঠল, সেই আগুনে সংশয়ও চাই হয়ে উড়ে গেল, মাঠেও গড়াল ম্যাচ। ২-২ এ ড্র করেছে বোকা-রিভার। প্রথম লেগ শেষে, সবকিছুই তোলা থাকল এল মনুমেন্টালের জন্য। তার চেয়েও বেশি স্বস্তি যোগাল একটা ম্যাচ নির্বিঘ্নে শেষ হওয়ার অনুভূতি…

    এই সংশয়ের শুরু আসলে লা বোকার বন্দর থেকে। উনিশ শতকের গোঁড়ার দিকে পাড়ার কর্মজীবি লোকেরা মিলে এক ফুটবল ক্লাব গঠন করল, নাম রিভার প্লেট। ওই একই বন্দরেই জন্ম বোকা জুনিয়র্সেরও, চার বছর পর। ৫ জন ইতালিয়ান বংশোদ্ভুত ভদ্রলোক মিলে গড়ে তুলেছিলেন ক্লাব। ইতালির অভীবাসীদের বড় একটা অংশ তখন থেকেই বোকা সমর্থক। বন্দরের নাম থেকে বোকা, আর ফুটবলে ইংলিশদের অবদানটা মনে রাখতে তাদের কাছ থেকে ধার করা নাম ‘জুনিয়র্স’। এখনকার মতো নীল-হলুদ জার্সি অবশ্য শুরু থেকেই ছিল না বোকার। সাদা-কালো জার্সি দিয়ে শুরু করেছিল তারা। কয়েকদিন মধ্যেই ‘অপয়া’ উপাধি পাওয়া সেই জার্সির রঙ বদলাতে হয়েছিল মালিকপক্ষের। লা বোকার বন্দরে যে জাহাজ ভিড়বে, তার রঙেই ঠিক করা হবে ক্লাবের জার্সি। ওই সিদ্ধান্তের পর সবার প্রথমে লা বোকাতে এসে ভিড়েছিল সুইডিশ এক জাহাজ। পরে সেখান থেকেই বোকার আজকের এই ঐতিহ্যবাহী জার্সির উৎপত্তি।

    এক জায়গায় জন্ম নেওয়া দুই ক্লাব তখনও নিজেদের পেশাদার দাবি করার অবস্থায় নেই। তবুও ঝামেলা কী আর এড়ানো যায়! এক জায়গায় দুই ক্লাব থাকবে না। ফুটবল ম্যাচেই নির্ধারণ হবে কে থাকবে, আর কে খুঁজবে নতুন ঠিকানা। সেই ম্যাচে হেরে রিভারকে পরে সরে যেতে হয়েছিল আরও ৮ মাইল দূরে। আর ওই বন্দরেই বোকা জুনিয়র্স একক রাজত্বে গড়ে তুলেছে লা বোম্বোনেরা!

    জন্মলগ্ন থেকে শুরু হওয়া বিবাদ সময়ের সঙ্গে কেবল নতুন মাত্রা যোগ করেছে দুই ক্লাবের প্রতিদ্বন্দ্বীতায়। আর এই প্রতিদ্বন্দ্বীতা বদলে দিয়েছে আর্জেন্টিনার ইতিহাস। ১৯৫০ এর পর নামী-দামী সব খেলোয়াড় ভিড়িয়ে রিভারপ্লেটের নাম হয়ে গেছে লস মিলিনিয়নারিয়স। আর্জেন্টিনার সবচেয়ে বেশি লিগ শিরোপাও তাদের। সাধারণভাবে রিভারকে বলা যায় আর্জেন্টিনার মধ্যবিত্ত শ্রেণীর ক্লাব। শৈল্পিকতা আর ছন্দের প্রতি তাদের প্রবল ঝোঁক। নিখুঁত নৈপুন্য, বিচক্ষণতা তাদের খেলার ধাঁচেরও অংশ। আর বোকার গল্পটা কর্মজীবি মানুষদের ঘিরেই, গায়ের ঘাম-পরিশ্রম, অদম্য লড়াইয়ের। খেটে খাওয়া লোকের স্বপ্নকে বাস্তবে পরিণত করার গল্প, জীবনের গল্প। আর এই দুই গল্পের মাঝে দাঁড়িয়ে স্তব্ধ হয়ে যায় আর্জেন্টিনা, মর্ত্যের তীব্রতম আবেগে, ফুটবলের বিশুদ্ধতম অনুভূতিতে। 


    ৩.
    সুপারক্লাসিকো তাই হয়ে যায় পৃথিবীর সবচেয়ে ভয়ঙ্করতম সুন্দর ফুটবল ম্যাচ। ধর্মের মতো ক্লাবকে সমর্থন যুগিয়ে যাওয়া সমর্থকেরা ঘৃনার অবাধ প্রদর্শনীতেও আরও পটু। দুই ক্লাবের সমর্থকদের কাজ-কর্ম তাই ছেলেমানুষীও ছাড়িয়ে যায়। রিভার প্লেটকে বোকা সমর্থকেরা ডাকেন গ্যালিয়ানস নামে। বাংলা অর্থ দাঁড়ায় মুরগী। ১৯৬৮ সালে কোপা লিবার্তোদোরেসের ফাইনালে পেনারলের বিপক্ষে ২-০ গোলে এগিয়ে থেকেও ম্যাচ হেরেছিল রিভার। তাই অসহায় প্রাণী মুরগীর নামে নামকরণ। বোকা স্ট্রাইকার কার্লোস তেভেজ একবার রিভারের বিপক্ষে গোল করে উদযাপন করেছিলেন মুরগী সেজে। সমর্থকদের তাঁতিয়ে দেওয়ার দোষে এরপর লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয়েছিল তেভেজকে। স্কুলের বন্ধুদের দেওয়া নাম, সেই নামে ডাকার কারণে আবার রেগে যাওয়া, তারপর রাগারাগি- স্কুল পেরিয়ে আসার পর এসব মনে করে হাসিই আসার কথা আপনার। কিন্তু এখানে বোধ-বুদ্ধি কোনোটাই খাটে না। রিভার সমর্থকেরাও তাই বোকাকে ডাকেন চানচিতোস নামে। এই নামের অর্থ অবশ্য আরেকটু ভয়াবহ, ছোট শুয়োর। রিভার সমর্থকদের অকাট্য যুক্তিও অবশ্য আছে এর পেছনে। ওই একই জায়গায় জন্ম দুই ক্লাবের। তাতে কী? লা বোকা তো নগর হিসাবে উন্নত না। ওখানে আগে ছিল ইট ভাটা, ওসব ভেঙেই বোকার স্টেডিয়াম বানানো। রিভার সমর্থকদের মতে বন্দরে দূষিত নদীর পানির গন্ধ ওই স্টেডিয়ামে গেলে পাওয়া যায় এখনও, তাই চানচিতোস নাম। সুপারক্লাসিকোর সময় রিভার সমর্থকেরা বোম্বোনেরার গেট দিয়ে ঢোকার আগে তাই মাস্ক পরেন, দুর্গন্ধ ঠেকাতে!

    এক ক্লাবের সমর্থকেরা অন্যক্লাবকে ব্যঙ্গ করে গান বাঁধেন। সেসব গানের দুই, একটা আবার গড়ে প্রতিবছর জায়গা করে নেয় আর্জেন্টিনার টপ চার্টেও। দ্বিতীয় লেগের ফাইনালের পর সেই সংখ্যাটা তো এবার নিশ্চিতভাবেই বাড়বে।

    সমর্থকদের এসব পাগলামী যে খেলোয়াড়দের ভেতরও সংক্রমণ হয় না তা না। বোকার কিংবদন্তী হুয়ান রোমান রিকেলমেই বলেছিলেন, সাদা বা লাল রঙের জামা কাপড় পরতে পারেন না তিনি, ওই রঙ গায়ে চড়ালেই নাকি রিভারের কথা মনে হয় তার।

    আর্জেন্টিনায় প্রতিটি মানুষের নামের পর দ্বিতীয় পরিচয় তার সমর্থন করা ফুটবল ক্লাব। ৭০ শতাংশ লোকই এই দুই ক্লাবের এই একটি বেছে নেন। আলফ্রেড ডি স্টেফানো থেকে ডিয়েগো ম্যারাডোনা হয়ে হুয়ান রোমান রিকেলম- আর্জেন্টিনার ফুটবলের প্রায় সব বড় নামের আঁতুড়ঘরও এই ঠিকানায়, মনুমেন্টাল নয় বোম্বোনেরায়।

     

     

     

    ৫.
    আর্জেন্টাইন দুই ক্লাবের ফাইনাল নিশ্চিত হওয়ার পর থেকেই এক অজানা ভয় ভর করেছিল। প্রতিদ্বন্দ্বীতার দিক দিয়ে পৃথিবীর ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ইভেন্ট। দ্য অবজারভার, টাইমস, ডেইলি মেইলের হিসাব অনুযায়ী পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ডার্বিও। ফুটবল সমর্থকদের বাকেট লিস্টের শুরুর দিকেই থাকে এই ম্যাচ। ফুটবল এখানে মুখ্য হয় না সবসময়। মাঠের বাইরের ঘটনা শিরোনাম হয় নিয়মিতই। হিংসাত্মক স্লোগান পরিণত হয় রক্তাক্ত দুর্ঘটনায়ও। ১৯৬৮ সালে মনুমেন্টাল স্টেডিয়ামে এই দুই দলের খেলা দেখতে গিয়ে স্টেডিয়ামে ৭১ জন সমর্থক প্রাণ হারিয়েছিলেন। আর ছোট খাট দাঙ্গা বাঁধা তো এই ম্যাচের নিত্ত-নৈমিত্তিক ঘটনা। এর সঙ্গে হুলিগানরাও যোগ দিয়ে সুপারক্লাসিকোর কুৎসিত চেহারাটা বিশ্বকে দেখিয়ে দেয় প্রায়ই। সবার মতো আক্রান্ত হন খেলোয়াড়েরাও। স্টেডিয়ামের টানেলে পিপার স্প্রে দিয়ে রিভার প্লেটের ৪ জন খেলোয়াড়কে হাসপাতালে পাঠিয়েছিল বারাস ব্রাভা নামে বোকার একদল হুলিগান। পরে পরিত্যক্ত হয়েছিল সেই ম্যাচ। এই বারাস ব্রাভারা এতোই শক্তিশালী যে, আর্জেন্টিনার জাতীয় নির্বাচনের ফল ওলট পালট করার ক্ষমতাও নাকি আছে তাদের!

    বোম্বোনেরার প্রথম লেগের পর তাই স্বস্তি ফিরেছিল আর্জেন্টিনায়। সুপারক্লাসিকোর আগে পরে সাতদিন নাকি আর্জেন্টিনায় অন্য কোনো বিষয় জায়গা পায় না কোনো আড্ডায়। কিন্তু এই সুপার ক্লাসিকো তো ফাইনাল, তাও মহাদেশীয় ক্লাব শ্রেষ্ঠত্বের। একটা ফুটবল ম্যাচ নিয়ে একটা দেশের প্রশাসনের তাই অজানা শঙ্কায় পড়ে যাওয়ায় অবাক হওয়ার কিছু থাকে না। হুট করে তাই পুরো ফুটবল বিশ্বের নজরও আর্জেন্টিনায়, কিন্তু সেখানেও বিপত্তি। লিবার্তোদোরেসের ফাইনাল কভার করতে তাবৎ দুনিয়া থেকে যতজন সাংবাদিক আবেদন করেছিলেন, তাদের জায়গা করে দিতেও হিমশিম খেতে হয়েছে আর্জেন্টিনাকে। খেলাটা এই দুই দলের না হলে তো সংখ্যাটা তিন ভাগের এক ভাগও হয় না!

    আর্জেন্টিনার সরকারি রেডিও অবশ্য একটা গুরুদায়িত্ব পালন করেছে নিজেদের গরজে। বোকা-রিভারের ম্যাচের সময় দেশের সবগুলো হাসপাতালে আগে থেকেই সতর্কবার্তা পাঠানো হয়েছিল, ম্যাচ চলাকালীন হৃদরোগে আক্রান্তদের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার ভয়ে। সংখ্যাটা আরেকটু কমিয়ে আনতে আর্জেন্টিনার রেডিও চ্যানেলে তাই দুইভাবে ধারাভাষ্য সম্প্রচার। নিয়মিত ধারাভাষ্য আর্জেন্টাইন ঐতিহ্য মেনেই চলেছে, বিশেষভাবে আলাদা করে আরেক চ্যানেলে ধীর-স্থিরভাবে বর্ণনা করা হয়েছে ম্যাচের সব ঘটনা। দ্বিতীয় লেগেও আর্জেন্টাইনদের জন্য থাকছে সেই সুবিধা!


     

     

    ৬.
    লিবার্তোদোরেসের ৫৮ বছর ইতিহাসে এবারই প্রথম ফাইনালে মুখোমুখি আর্জেন্টিনার দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী। আক্ষরিক অর্থে তারা জন্মেরও শত্রু। আগামী মৌসুম থেকেই ফাইনাল হবে এক লেগে, ইউয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের মতো নিরপেক্ষ ভেন্যুতে। শেষদানের জন্য চমক জমিয়ে রেখেছিল লিবার্তোদোরেসও।

    প্রথম লেগের পর প্রায় দুই সপ্তাহের একটা বিরতি গেছে। এল মনুমেন্টালে দ্বিতীয় লেগের সময় যতই ঘনিয়ে এসেছে বুয়েনস আইরেসে দম আটকে আসা মুহুর্তগুলো বাড়ছে ততোই। শহরের অলিতে গলিতে বোকা আর রিভারের রঙে রাঙানো দেয়ালের অন্যপাশে আছে উৎকণ্ঠাও।

    এবার গল্পটা পালটে যাবে। রিভারের মাঠে খেলতে যাবে বোকা, নিজেদের সমর্থকদের নিজ শহরে রেখে। অগ্নিপরীক্ষার আগে শুধুমাত্র অনুশীলন দেখতে লা বোম্বোনেরায় হাজির হয়েছিলেন ষাট হাজার দর্শক। মাঠের বাইরে আরও দশ হাজার সমর্থক অপেক্ষা করেছেন একবার মাঠে ঢুকে দলকে বিদায় জানাতে। কেউ কেউ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে স্টেডিয়ামের রেলিং বেয়ে উঠেছেন গ্যালারির চূড়ায়। শেষ মুহুর্ত পর্যন্তও দলকে সমর্থন যোগাতে।

    গ্যালার্দো এবার মাঠে থাকবেন। খেলোয়াড় আর কোচ হিসেবে এই শিরোপা জেতার অভিজ্ঞতা আছে তার। কিন্তু মনুমেন্টালের রঙ্গমঞ্চে শনিবার রাতে কাজে দেবে না কোনো কিছুই। এমন কিছু আগে তো দেখেনি কেউ। এই ম্যাচের ফলের ওপর হয়ত আরেকবার বদলে যাবে আর্জেন্টিনার এই দুই ক্লাবের ইতিহাসও। গল্প লেখা হবে, গান বানানো হবে, নতুন সব ব্যঙ্গাত্মক ছন্দও যোগ হবে। একদলকে শুনে যেতে হবে আজীবন, আরেক দল বলে যাবে চিরকাল। এই ম্যাচ তো ফাইনালেরও ফাইনাল!