• অস্ট্রেলিয়া-শ্রীলংকা সিরিজ
  • " />

     

    কামিন্স-রিচার্ডসনের তোপের পর ডিকভেলার প্রতিরোধ

    কামিন্স-রিচার্ডসনের তোপের পর ডিকভেলার প্রতিরোধ    

    স্কোর

    প্রথম দিন শেষে

    শ্রীলংকা ৫৬.৪ ওভারে ১৪৪ (ডিকভেলা ৬৪, করুণারত্নে ২৪; কামিন্স ৪/৩৯, রিচার্ডসন ৩/২৬)

    অস্ট্রেলিয়া ২৫ ওভারে ৭২/২ (হ্যারিস ৪০*, বার্নস ১৫; পেরেরা ১/৪ লাকমল ১/২৭)

    অস্ট্রেলিয়া ৭২ রানে পিছিয়ে

     

     

     

    এমন কিছু হবে, জানলে হয়ত দিনেশ চান্ডিমাল টসে জিতে অস্ট্রেলিয়াকেই ব্যাটিংয়ে পাঠাতেন! অস্ট্রেলিয়ান পেসারদের গতি আর ব্যাটসম্যানদের উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসার মহড়ায় তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়েছে শ্রীলংকার ব্যাটিং লাইনআপ। কামিন্স-স্টার্ক-রিচার্ডসনদের বোলিং তোপে ব্রিসবেনে প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৪৪ রানেই গুটিয়ে গেছে শ্রীলংকা।

    শুরুটা বেশ দেখেশুনেই করেছিলেন দুই লংকান ওপেনার। প্রথম ৪৫ মিনিট কোনো বিপদ হতে দেননি লাহিরু থিরিমানে ও দিমুথ করুনারত্নে। প্রথম আঘাত আনেন প্যাট কামিন্স, থিরিমানের ব্যাটের কানায় লেগে বল যায় তৃতীয় স্লিপে দাঁড়ান মার্নাস ল্যাবুশেনের হাতে। পরের ওভারেই চান্ডিমালকে ফিরিয়ে নিজের প্রথম টেস্ট উইকেটের স্বাদ পান ঝাই রিচার্ডসন। চান্ডিমালও স্লিপে ক্যাচ দিয়েছেন, ৫ রান করে তিনি ফেরেন জো বার্নসের হাতে তালুবন্দি হয়ে।

    তৃতীয় উইকেটে কিছুটা প্রতিরোধের আভাস দিয়েছিলেন করুনারত্নে ও কুশল মেন্ডিস। অস্ট্রেলিয়ান পেসারদের ভালোভাবেই সামলাচ্ছিলেন তারা। এই জুটি ভাঙেন নাথান লায়ন। লায়নের বলের অতিরিক্ত স্পিন ও বাউন্স সামলাতে না পেরে উইকেটের পেছনে পেইনের হাতে ক্যাচ দেন করুনারত্নে। এরপর ১২ রানের ব্যবধানে মেন্ডিস ও দনঞ্জয়া ডি সিলভাকেও হারায় শ্রীলংকা।

    ৬৬ রানে ৫ উইকেটে হারিয়ে তখন রীতিমত ধুঁকছে লংকানরা। সতীর্থদের যাওয়া আসার মিছিলে একপ্রান্ত আগলে ছিলে শুধু নিরোশান ডিকভেলা। রিচার্ডসন-কামিন্সদের গতির ঝড় সামলেছেন দারুণভাবে, পাল্টা আক্রমণও করেছেন। দলের অন্যরা সবাই মিলে যেখানে ছয়টি চার মেরেছেন পুরো ইনিংসে, ডিকভেলা একাই মেরেছেন সমান সংখ্যক চার, ছয়ও মেরেছেন একটি।

    ৮২.০৫ স্ট্রাইক রেটে ডিকভেলা পূর্ণ করেন ফিফটি। যেভাবে খেলছিলেন, পেতে পারতেন সেঞ্চুরিও। কিন্তু অন্য প্রান্তে তাকে সঙ্গ দিতে পারেননি কেউই। ডিকভেলাসহ দুই অংক ছুঁয়েছেন মাত্র চারজন ব্যাটসম্যান। শেষ পর্যন্ত ৬৪ রানে কামিন্সের বলে ফেরেন ডিকভেলা, বাউন্সারে মারতে গিয়ে মিড উইকেটে প্যাটারসনের হাতে ক্যাচ দেন। শ্রীলংকার ইনিংস থামে ১৪৪ রানে।

    ফ্লাড লাইটের আলোয় ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম দশ ওভার বেশ স্বাচ্ছন্দ্যের সাথেই খেলেছেন দুই অজি ওপেনার। মার্কাস হ্যারিস ও বার্নস ক্রিজে বেশ থিতুই হয়ে গিয়েছিলেন। সুরাঙ্গা লাকমলের গতির কাছে হার মানেন বার্নস, অফ স্ট্যাম্পের একটু বাইরের বলে ড্রাইভ করতে গিয়ে বল লাগে তাঁর ব্যাটের কানায়। স্লিপে দাঁড়ান মেন্ডিস ঝাঁপিয়ে পড়ে দারুণ ক্যাচ লুফে নেন।

    বার্নস ফিরলে জুটি বাধেন হ্যারিস ও উসমান খাওয়াজা। খাওয়াজা শুরু থেকেই ছিলেন নড়বড়ে। বেশ কয়েকবার তাঁর ব্যাট ঘেঁষে বল গেছে কিপারের হাতে। তবুও হ্যারিস-খাওয়াজা জুটি কোনো বিপদ ছাড়াই পার করে দিবে দিনের খেলা, মনে হচ্ছিল এমনটাই। শেষ পর্যন্ত সেটা হয়নি। দিনের খেলার তখন তিন ওভার বাকি। দিলরুয়ান পেরেরার বলে কাট করতে গিয়ে বোল্ড হন খাওয়াজা, ফেরার আগে করেছেন ১১ রান। নাইট ওয়াচম্যান লায়নকে নিয়ে শেষ কয়েকটা বল পার করেন হ্যারিস। ৪০ রানে অপরাজিত আছেন হ্যারিস। অস্ট্রেলিয়া পিছিয়ে আছে ৭২ রানে।