• দক্ষিণ আফ্রিকা-শ্রীলংকা সিরিজ
  • " />

     

    অভিষেকে এমবুলদেনিয়ার পাঁচের পরও এগিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা

    অভিষেকে এমবুলদেনিয়ার পাঁচের পরও এগিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা    

    ডারবান টেস্ট, তৃতীয় দিনশেষে 
    দক্ষিণ আফ্রিকা ২৩৫ ও ২৫৯ (ডু প্লেসি ৯০, ডি কক ৫৫, এমবুলদেনিয়া ৫/৬৬, ফার্নান্ডো ৪/৭১)
    শ্রীলঙ্কা ১৯১ ও ৮৩/৩ (ওশাদা ২৮*, পেরেরা ১২*)
    শ্রীলঙ্কার জয়ের জন্য ৭ উইকেটে ২২১ রান প্রয়োজন 


    ডারবান টেস্ট শুরু হয়েছিল শ্রীলঙ্কার জন্য একবুক আশা নিয়ে। প্রথম ইনিংসে ব্যাটিং দুর্দশার পরও তৃতীয় দিন সে আশাটা টিকিয়ে রেখেছিলেন অভিষিক্ত স্পিনার লাসিথ এমমবুলদেনিয়া, ৫ উইকেট নিয়ে। তবে দিনশেষে অবশ্য ঠিকই ডারবানের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা, তিন পেসারের তিন উইকেটে। জয়ের জন্য এখনও ২২১ রান প্রয়োজন শ্রীলঙ্কার। 

     

     

    দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসের মূল স্থপতি ছিলেন অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসি। নিজের ৯০ রানের ইনিংসের সঙ্গে জড়িত ছিলেন কুইন্টন ডি কক ও ভারনন ফিল্যান্ডারের সঙ্গে যথাক্রমে ৯৬ ও ৬০ রানের জুটিতে। ৪ উইকেটে ১২৬ রানে দিন শুরু করা দক্ষিণ আফ্রিকা ১ম সেশনে হারিয়েছিল শুধু ৫৫ রান করা ডি ককের উইকেট, যিনি এমবুলদেনিয়ার লেংথ বলে হয়েছিলেন এলবিডব্লিউ। লাঞ্চের পরও ফিল্যান্ডারের সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৩০০-এর দিকে নিয়ে যাচ্ছিলেন ডু প্লেসি। হঠাৎ ঝড়ে এলোমেলো হয়ে গেছে তা। ৮ রানে তারা হারিয়েছে ৫ উইকেট, যেগুলো ভাগাভাগি করেছেন বিশ্ব ফার্নান্ডো ও এমবুলদেনিয়া। 

    ১৮ রান করে ফিল্যান্ডার হয়েছেন বোল্ড, ঘাতক এমবুলদেনিয়া। ডু প্লেসি তার ১০ম সেঞ্চুরি থেকে ১০ রান দূরে থেমেছেন সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগে। ফার্নান্ডোকে সামনে না পেছনের পায়ে খেলবেন করতে করতে ছেড়েছেন, যেটা আঘাত করেছে তার প্যাডে। দক্ষিণ আফ্রিকার পিচ্ছিল পথে হাঁটা শুরু হয়ে গেছে যেন তার আগে থেকেই। 

     

     

    কাগিসো রাবাদাকে কট-বিহাইন্ড করে নিজের পাঁচ পূর্ণ করেছেন এমবুলদেনিয়া, চতুর্থ শ্রীলঙ্কান বোলার হিসেবে অভিষেকেই পাঁচ উইকেটের কীর্তি গড়লেন তিনি। এর আগে যা ছিল কোসালা কুরুপ্পুয়াচাচ্চি, উপুল চন্দনা ও আকিলা দনঞ্জয়ার। এমবুলদেনিয়ার পর বাকি কাজ সেরেছেন মোট ৪ উইকেট নেওয়া ফার্নান্ডো- কেশব মহারাজ ও ডেল স্টেইনকে বোল্ড করে। ২৫৯ রানে গুটিয়ে গিয়ে, শ্রীলঙ্কাকে ৩০৪ রানের লক্ষ্য দিয়ে থেমেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। 

    দক্ষিণ আফ্রিকায় নিজেদের দ্বিতীয় জয়ের লক্ষ্যে শুরুটা অবশ্য আশাজাগানিয়াই করেছিলেন দুই ওপেনার- দিমুথ করুনারত্নে ও লাহিরু থিরিমান্নে। ৪২ রানের দৃঢ় জুটি ছিল, যেটা ভেঙেছে রাবাদার বলে থিরিমান্নের বড় শটের ব্যর্থ চেষ্টায় স্লিপে ডু প্লেসির দারুণ ক্যাচে পরিণত হওয়ায়। পরের ওভারে করুনারত্নে হয়েছেন এলবিডব্লিউ, ফিল্যান্ডারের বলে। এক ওভার পর বাজে শটে অলিভিয়ারকে উইকেট দিয়েছেন কুশল মেন্ডিস, ৮ বল খেলেও রান না করেই। 

    অভিষিক্ত ওশাদা ফার্নান্ডোর সঙ্গে কুশল পেরেরা দিনের বাকিটা সময় নিরাপদেই কাটিয়েছেন, আলোকস্বল্পতায় দিনের খেলা আগেই শেষ হওয়ার আগে। দুজনের অবিচ্ছিন্ন জুটি ৩১ রানের। তবে শ্রীলঙ্কার প্রয়োজন আরও বড় কিছুর। ডারবানে হবে লঙ্কান ইতিহাস? দক্ষিণ আফ্রিকা হতে দিবে সেটা? 

    এ তিনদিনের ইতিহাস অবশ্য শ্রীলঙ্কার পক্ষে নয়।