তাসকিনের ভাবনায় শুধুই বিশ্বকাপ
বিপিএলে দারুণ বল করছিলেন, বছর দেড়েক পর জাতীয় দলে আবার ফিরবেন, মঞ্চটা সাজানোই ছিল। কিন্তু একটা চোট বদলে দিল সবকিছু, লম্বা সময়ের জন্য মাঠের বাইরে চলে যেতে হয়েছে তাসকিন আহমেদকে। নিউজিল্যান্ডে ওয়ানডে বা টেস্টে খেলা হয়নি তাই। আশার কথা, তাসকিন আবার দৌড়ানো শুরু করেছেন, সবকিছু ঠিক থাকলে এই মাসেই আবার শুরু করতে চান বোলিং। বিশ্বকাপের সম্ভাবনাও তাই তাঁর আশার দিগন্তে ভালোমতোই থাকছে।
সিলেট সিক্সারসের হয়ে শেষ ম্যাচ খেলার সময়ই চোট পেয়েছিলেন অ্যাঙ্কলে। এরপর বেশ কিছু দিন বিছানা ছেড়েই উঠতে পারেননি, সঙ্গী ছিল ক্র্যাচ। ধীরে ধীরে হাঁটতে শুরু করেছেন, অনুমানের চেয়ে দ্রুত সেরে উঠছেন। মিরপুরে দৌড় শুরু করেছেন আগেই, জানালেন সবকিছু ঠিক থাকলে ফিরতে পারেন এই মাসেই, ‘ আজকে আমার দ্বিতীয় রানিং সেশন হবে। আশা করি এভাবে চলতে থাকলে দ্রুত বোলিংও শুরু হবে আস্তে আস্তে। রানিংয়ের তীব্রতা বাড়ছে। এখন পর্যন্ত ব্যথা নেই। এভাবে স্মুথলি চলতে থাকলে খুব দ্রুতই বোলিং শুরু করা যাবে। আল্লাহ যদি চায় এই মাসেই বোলিং শুরু করব, এটা আমাদের প্ল্যান ওয়াইজ। আমার এবং ফিজিও’র যেই টিমটা আছে। প্রত্যেকটা প্লেয়ারের রিহ্যাবের প্ল্যান থাকে। আমাদের প্ল্যান অনুযায়ী সুপার লীগের মধ্যেই খেলা শুরু করার। প্রগ্রেস ভালো হলে এর আগেও হতে পারে। যাই হবে, আমি রিহ্যাবটা ভালো মত শেষ করেই শুরু করতে চাচ্ছি।’
সামনে আয়ারল্যান্ড সিরিজ, তার পরেই বিশ্বকাপ। আর মাসখানেকের মধ্যে বিশ্বকাপের চূড়ান্ত দলের মোটামুটি একটা কাঠামোও জানা হয়ে যাবে। তাসকিন বললেন, চোটে পড়ার গত মাসখানেক সময়ে জাতীয় দলের সিনিয়র ও কোচসহ কর্তারাও খোঁজ নিয়েছেন তার, ‘আসলে ইনজুরি হওয়ার পর জাতীয় দলের ম্যানেজমেন্টের উচ্চপদের কর্মকর্তারা আমার খোঁজ নিয়েছিল। প্রায় প্রায়ই ফলো আপ করছে, কতটুকু প্রগ্রেস, কি অবস্থা এইসব। এইসব জিনিস গুলো আরও বেশি অনুপ্রাণিত করে। আমাদের দলের কোচ ক্যাপ্টেন সিনিয়র ক্রিকেটাররা খোঁজ নিচ্ছে। এইসব শুধু আমি না, যে কোনো ইনজুরড প্লেয়ারের জন্যই যদি করা হয় সে অনুপ্রাণিত হবে।’
কিন্তু বিশ্বকাপে ফেরার আশায় যদি চোট থেকে সেরে ওঠার প্রস্তুতিতে বেশি ঝুঁকি নেওয়া হয়ে যায়? তাসকিনের ভাবনায় এখন শুধুই বিশ্বকাপ, ‘সত্যি কথা বলতে আমি বিশ্বকাপকে অগ্রাধিকার দিচ্ছি। কারণ বিশ্বকাপ আমার স্বপ্ন। আমি জানি না কাল সকালে ঘুম থেকে উঠে কি হবে। অত লম্বা আমি চিন্তা করছি না। আমি গুরুত্ব দিচ্ছি ১০০% ফিট হয়ে বিশ্বকাপ দলে সুযোগ পাওয়া। কারণ আমি ২০১৫ বিশ্বকাপ খেলেছি। বিশ্বকাপে খেলার শান্তিটাই অন্যরকম। এখনো মনে পড়লে বিশ্বকাপের স্মৃতি গুলো খুবই ভালো লাগে। ২০১৯ সালে আরেকটা বিশ্বকাপ আসছে। সবার কাছে আমি দোয়া চাইব সুস্থ থেকে বিশ্বকাপে যাওয়া ও ভালো করার। বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দল ভালো করতে পারলে, সেটা অন্যরকম ফিলিং হবে, এটা বলে বোঝানো যাবে না।’
গত বিশ্বকাপেও বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি উইকেট ছিল তাসকিনেরই। তবে এই পেসার জানেন, এবার সেটির পুনরাবৃত্তি করতে হলে মাঠে নেমেই দুর্দান্ত কিছু করতে হবে তাঁকে।