মাশরাফির ভাবনায় বিশ্বকাপের সম্ভাব্য স্কোয়াডের 'মানসিক প্রস্তুতি'
বিশ্বকাপের আগে আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজ, তবে ততদিনে মোটামুটি চূড়ান্ত করে ফেলতে হবে বিশ্বকাপের স্কোয়াড। এর আগে নির্বাচকদের হাতে সাম্প্রতিক আন্তর্জাতিক পারফরম্যান্স ছাড়াও একটা মানদন্ড হতে পারে ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ। অবশ্য ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা বলছেন, বিশ্বকাপের মতো টুর্নামেন্টের সঙ্গে প্রিমিয়ার লিগের আকাশ-পাতাল পার্থক্যের কারণেই এ লিগ নিয়ে সেভাবে ভাবছেন না তিনি।
নিউজিল্যান্ড সিরিজের অনাকাঙ্খিত সমাপ্তির পর প্রিমিয়ার লিগে এখনও খেলতে নামেননি তামিম ইকবাল, মাহমুদউল্লাহ, মুশফিকুর রহিমরা। খেলেননি মোস্তাফিজুর রহমান, মেহেদি হাসান মিরাজরাও। অন্যদিকে সাকিব আল হাসান খেলছেন ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ, আইপিএলে। তবে যে ১৫ জন বিশ্বকাপের চূড়ান্ত স্কোয়াডে থাকবেন, তারা পারফরম্যান্সের ভিত্তিতেই আসবেন বলে আশা মাশরাফির, “আমি এই (দল) নির্বাচনের মাঝে নেই অবশ্যই। আগেও পরিস্কার করেছি, এখনও করছি- দল নির্বাচন আমার হাতে নেই। কিন্তু যে ১৫ জনই আসুক না কেন তারা পারফর্ম করে আসছে কি না সেটি বিষয় না। আমাদের মূল ফোকাস থাকবে আয়ারল্যান্ড সিরিজ এবং বিশ্বকাপে আমরা দল হিসেবে কেমন করছি সেটা।
“সুতরাং এখানকার পারফরম্যান্স আমি আগের পরের কথা টেনে এনে বলছি যে, এখানে অনেক উইকেট পেয়েও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আমরা ভুগেছি, এবং আমার মতো সিনিয়র ক্রিকেটার বা অন্য যারা আছে তারাও করেছে”, মঙ্গলবার একটি অনুষ্ঠানে বলেছেন মাশরাফি, “আবার এখানে খারাপ করেও দেখা গিয়েছে ওখানে যেয়ে আমরা ভালো করেছি। তাই আকাশ আর পাতাল ব্যবধান দুটি জায়গার মধ্যে। এই কারণে আমি বলছি যে মানসিক দিক থেকে কে তৈরি থাকবে তার ওপরে অনেক কিছু নির্ভর করবে। হয়তো দেখা গেল যে এখানে কেউ লিগ খেলছে ঠিকই, তবে সে কিছু নির্দিষ্ট কিছু নিয়ে কাজ করছে যেটি বিশ্বকাপে তার প্রয়োজন হতে পারে। আমি মনে করি তার ওইদিকেই নজর থাকা উচিৎ যে যেটি সে চিন্তা করছে। সুতরাং মানসিকভাবে প্রস্তুত মানে আপনিও প্রস্তুত। সেটাই আমি বুঝাতে চেয়েছি আসলে। তবে যারা রান করছে বা ভালো করছে সেটি নির্বাচক প্যানেল ঠিক করবে যে কারা যাবে আর কারা যাবে না।”
মাশরাফি নিজে প্রিমিয়ার লিগে এখন পর্যন্ত ৪টি ম্যাচ খেলেছেন আবাহনীর হয়ে, এক ম্যাচে ২ উইকেট নিলেও বাকিগুলোতে থেকেছেন উইকেটশুন্য। তবে ঢাকা লিগের পারফরম্যান্সে খুব বেশি পার্থক্য গড়বে না বলে মনে করেন মাশরাফি, “আসলে আমি ঢাকা লিগ (এর পারফরম্যান্স) নিয়ে তেমন একটা চিন্তিত না। কারণ এখানে অনেকবার আমি দেখেছি যে মানুষ দিনের পর দিন সেঞ্চুরি করেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে গিয়ে ভুগেছে। কারণ উইকেট বলেন, ‘ইন্টেন্ড’ বলেন, ক্রিকেটের ‘ইন্টেন্ড’ বলেন এগুলো তো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের কাছাকাছি তো না, তবে ঢাকা লিগে কিছুটা আছে। বিপিএলেও আছে। তবে টুর্নামেন্টটি তো ওয়ানডে ফরম্যাটে হবে।
“আমার কাছে মনে হয় মানসিকতা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। মানসিকভাবে (কেউ) প্রস্তুত কিনা এবং এটার সাথে সে খেলায় নির্দিষ্টভাবে কী করছে সেটা গুরুত্বপূর্ণ। আমার কাছে মনে হয় বিশ্বকাপ পুরোপুরি মানসিক খেলা। এই এক দেড় মাসে আপনি এখানে ৫-৬ উইকেট পেয়েও ওখানে যেয়ে ভুগতে পারেন। তাই মানসিকভাবে (কে) কতটা তৈরি সেটা গুরুত্বপূর্ণ।”
আর বিসিবির ক্রিকেট অপারেশনস কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খান বলছেন, ১৫ জনের স্কোয়াডের ১৩-১৪ জন মোটামুটি নিশ্চিতই আছেন। বাকি একটি বা দুইটি জায়গায় ঢাকা লিগ বা বিপিএলের পারফরম্যান্স নির্বাচকরা বিবেচনায় আনবেন।