• পাকিস্তান-অস্ট্রেলিয়া সিরিজ
  • " />

     

    চলে গেলেন সাবেক অস্ট্রেলিয়ান টেস্ট স্পিনার ইয়ার্ডলি

    চলে গেলেন সাবেক অস্ট্রেলিয়ান টেস্ট স্পিনার ইয়ার্ডলি    

    ৭১ বছর বয়সে মারা গেছেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক স্পিনার ব্রুস ইয়ার্ডলি। খেলোয়াড়ি জীবনের পর কোচিং ও ধারাভাষ্যের সঙ্গে যুক্ত থাকা ইয়ার্ডলি দীর্ঘদিন ধরেই লড়াই করছিলেন ক্যান্সারের সঙ্গে। অবশেষে সে লড়াইয়ে হার মানলেন তিনি, কুনুনুরার হাসপাতালে ২৭ মার্চ জীবনকে বিদায় বলেছেন তিনি। 

    পেসার হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করলেও পরে স্পিন শুরু করেন ইয়ার্ডলি। তর্জনী ও মধ্যাঙ্গুলির সমন্বয়ে বল ঘুরাতে পারতেন তিনি। কেরি প্যাকারের ওয়ার্ল্ড ক্রিকেট সিরিজের ডামাডোলে ১৯৭৭-৭৮ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়া দলে ডাক পেয়েছিলেন তিনি। অবশ্য সাফল্য শীঘ্রই ধরা দেয়নি তার কাছে, সেটার জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছিল ইয়ার্ডলিকে। 

    সেরা সময়টা কাটিয়েছিলেন ১৯৮১-৮২ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়ার গ্রীষ্মে। পাকিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সে মৌসুমে ৬ টেস্টে তিনি নিয়েছিলেন ৩৮ উইকেট। ততোদিনে তার বয়স হয়ে গিয়েছিল ৩৪, ‘বুড়ো’ বয়সেও ভেলকি দেখিয়েছিলেন ইয়ার্ডলি। 

     

     

    ১৯৭৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে বার্বাডোজ টেস্টে ২৯ বলে ফিফটি করেছিলেন, যে রেকর্ড টিকে ছিল ৩৮ বছর ধরে। ইয়ার্ডলি বিখ্যাত আরেকটি কারণে- পরের মৌসুমে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের শেষ টেস্টে সিডনি টেস্টে দুই স্পিনার দিয়ে বোলিং শুরু করিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক গ্রায়েম ইয়ালোপ, দুজনের একজন ছিলেন ইয়ার্ডলি। ইংলিশ অধিনায়ক মাইকেল ব্রিয়ারলি বেশ ক্ষুব্ধ ছিলেন ইয়ালোপের এমন সিদ্ধান্তে। আরও মজার ব্যাপার হলো, স্পিনার দিয়ে বোলিং করাবেন বলে নতুন বলের বদলে আগের ইনিংসে ব্যবহৃত বলটিই নিয়েছিলেন ইয়ালোপ। 

    ৩৩ টেস্টের ক্যারিয়ারের শেষ টেস্টটি ইয়ার্ডলি খেলেছিলেন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ক্যান্ডিতে, ১৯৮৩ সালে। তার আগে তিন মৌসুম ক্যারিয়ারের সেরা সময়টা কাটিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার হয়ে। এরপর বিশ্বকাপ দল থেকে বাদ পড়ে অবসর ঘোষণা করেছিলেন। অবশ্য ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার হয়ে খেলে গেছেন প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে। 

    অস্ট্রেলিয়া সফরে মুত্তিয়া মুরালিধরনের অ্যাকশনের কারণে নো-বল ডাকার বিরোধিতা করেছিলেন ইয়ার্ডলি, খেলোয়াড়ি জীবনে এমন ঘটনার শিকার ছিলেন তিনিও। সে ঘটনার কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাহী কেভিন রবার্টস, “মাঠের বাইরে ব্রুস ছিলেন দারুণ এক ব্যক্তিত্ব, বিশ্বের সেরা একজন স্পিন কোচ হিসেবে সমাদৃত ছিলেন্ত ইনি। তিনি শ্রীলঙ্কাকে কোচিং করিয়েছেন, টেস্টের সবচেয়ে বেশি উকেট নেওয়া মুত্তিয়া মুরালিধরনের মেন্টর ছিলেন।” 

    “ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার বোর্ড সদস্য ও স্টাফদের পক্ষ থেকে আমরা অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটের প্রতি ব্রুসের অবদানকে সম্মান জানাই। তার পরিবার, বন্ধু ও ক্রিকেট সম্প্রদায়ের অনেকেই যারা তাকে চিনতেন তাদের প্রতি সমবেদনা জানাই।” 

     

     

    শারজায় সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডেতে ইয়ার্ডলির স্মরণে কালো আর্মব্যান্ড পরে নেমেছে অস্ট্রেলিয়া।