• পাকিস্তান-অস্ট্রেলিয়া সিরিজ
  • " />

     

    'ওয়ার্নার খেললে জোহানেসবার্গ টেস্ট বয়কট', 'মিথ্যা' বললেন লায়নরা

    'ওয়ার্নার খেললে জোহানেসবার্গ টেস্ট বয়কট', 'মিথ্যা' বললেন লায়নরা    

    ডেভিড ওয়ার্নার খেললে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে গত বছর জোহানেসবার্গ টেস্ট বয়কট করার হুমকি দিয়েছিলেন তারা- এমন দাবিকে ‘মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার চারজন বোলার। মিচেল স্টার্ক, জশ হ্যাজলউড, প্যাট কামিন্স ও ন্যাথান লায়ন এক যৌথ বিবৃতিও দিয়েছেন এ ব্যাপারে। 

    ২৮ মার্চ ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার দেওয়া নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে স্মিথ ও ওয়ার্নারের। এর পরদিনই সিডনি মর্নিং হেরাল্ডের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কেপটাউনে বল-টেম্পারিং কেলেঙ্কারির পরও ওয়ার্নারকে জোহানেসবার্গে খেলানো হলে সেটি বয়কট করার হুমকি দিয়েছিলেন স্টার্ক-হ্যাজলউড-কামিন্স-লায়নরা। স্টার্ক সে টেস্ট মিস করেছিলেন চোটের কারণে, বাকি তিনজন খেলেছিলেন। সে টেস্টের আগেই তখনকার অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ, সহ-অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার ও বল-টেম্পারিং করা ক্যামেরন ব্যানক্রফটকে দেশে ফিরিয়ে এনেছিল ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। 

    এক বিবৃতিতে এই চারজন তাদের টেস্ট বয়কটের হুমকির এই সংবাদকে ‘মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর’ উল্লেখ করে বলেছেন, “ফেয়ারফ্যাক্স প্লাটফর্মজুড়ে ২৯ মার্চ ২০১৯ তারিখে যে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে আমরা হতাশ। এতে দাবি করা হয়েছে, গত বছর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে চতুর্থ টেস্টে ডেভিড ওয়ার্নারকে খেলালে আমরা নিজেদের সরিয়ে নেওয়ার কথা বলেছিলাম।” 

    “এই দাবি বেশ কয়েকটা কারণে হতাশাজনক। তবে সবচেয়ে বড় কারণ হলো, এটি মিথ্যা। সংবাদমাধ্যমে এরকম মিথ্যা দাবি ডেভিডের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন তোলে যেটি খুবই প্রদাহী ও বিভ্রান্তিকর। দল হিসেবে আমরা সবাই একসঙ্গে সামনে এগিয়ে যেতে চাই, অস্ট্রেলিয়ার পুরুষ দলকে বিশ্বকাপ ও অ্যাশেজের জন্য প্রস্তুত করতে চাই।” 

    দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে গত বছর কেপটাউন টেস্টে ‘স্যান্ডপেপার’ দিয়ে বল টেম্পারিংয়ের সময় টিভি ক্যামেরায় ধরা পড়েছিলেন ব্যানক্রফট। তিনি ও স্মিথ আইসিসির শাস্তি পেয়েছিলেন, তবে ওয়ার্নারকে পরে তদন্তের ভিত্তিতে শাস্তি দিয়েছিল ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। ‘সব কিছুর মূলে’ থাকার দায় দেওয়া হয়েছিল ওয়ার্নারকেই। 

    জোহানেসবার্গ টেস্টে নতুন ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক করা হয়েছিল টিম পেইনকে, পরে পাকাপাকি দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তাকেই। আর ওয়ানডে দলে পেইনের পরে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে অ্যারন ফিঞ্চকে। ওয়ার্নারকে অস্ট্রেলিয়ার নেতৃত্বের দায়িত্ব থেকে বহিস্কার করা হয়েছে আজীবনের জন্য, স্মিথ ও ব্যানক্রফটের ক্ষেত্রে সে নিষেধাজ্ঞা এক বছরের। 

     

     

    আর আন্তর্জাতিক ও রাজ্য ক্রিকেটে নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার আগেই স্মিথ ও ওয়ার্নার যোগ দিয়েছিলেন আরব আমিরাতে পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজে স্কোয়াডের সঙ্গে, এখন দুজনই খেলছেন আইপিএল। আর আগেই বিগব্যাশ দিয়ে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটে ফিরেছিলেন ব্যানক্রফট।